ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বার্তা দিয়ে রাখল নিউজিল্যান্ড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লড়াইটা এমন ম্যাড়মেড়ে হবে, কে ভেবেছিল?

গেল বিশ্বকাপের ফাইনালে লড়াইটা হয়েছিল ১০২ ওভারের। তা শেষেও দুই দল ছিল সমতায়, যা ভেঙেছিল বাউন্ডারির সংখ্যা। যাতে কপাল পুড়েছিল নিউজিল্যান্ডের। চার বছর পর সেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াইটা একেবারে শুরুর দিনেই। তাতে একটা চাপা প্রত্যাশাও গড়ে উঠেছিল, আগের ফাইনালের মতো রোমাঞ্চের পুনরাবৃত্তির।

কিন্তু তা আর হলো কই! নিউজিল্যান্ড যে তা হতে দেয়নি! ২৮৩ রান তাড়া করে ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ব্ল্যাকক্যাপরা। তাও আবার ১৩.৪ ওভার হাতে রেখেই! তাতে কিউইরা বিশ্বকাপের বাকি ফেভারিটদের একটা বার্তাও দিয়ে রাখল বৈকি! জানান দিল, আমরাও শিরোপাটা জিততেই এসেছি!

২০২৩ বিশ্বকাপের শুরুর ম্যাচটা ছিল প্রথা ভাঙার ম্যাচ। চলতি শতাব্দিতে যে এবারই প্রথম কোনো বিশ্বকাপে শুরুর ম্যাচে ছিল না স্বাগতিক দেশের উপস্থিতি! তার প্রভাবটা পড়েছিল গ্যালারিতেও। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে রীতিমতো শূন্যতার শোকসভা বসে গিয়েছিল যেন। 

তবে মাঠের ক্রিকেটটা শুরুতে জানান দিচ্ছিল রোমাঞ্চেরই। ইংলিশদের শুরু থেকেই বিপাকে রেখেছিল নিউজিল্যান্ড। তবে জো রুট ছিলেন এক পাশ ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে। ওপাশে সঙ্গীর আসা যাওয়া দেখেছেন বটে, নিজে খেলেছেন ৭৩ রানের ইনিংস। তবে বাকিরাও যে একেবারে খারাপ করছিলেন, তা নয়, শুধু থিতু হয়ে উইকেট ছুঁড়ে আসছিলেন এই যা! ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১ থেকে ১১ সবাই ছুঁলেন দুই অঙ্ক, এরপরও রানটা হলো 'মোটে' ২৮২। 

ইংল্যান্ড বোলিংয়ে শুরুটা করেছিল দুর্দান্ত। দ্বিতীয় ওভারে তুলে নিয়েছিল উইল ইয়াংয়ের উইকেট। তবে তাদের সুখটা শেষ ওখানেই। নিউজিল্যান্ড যে পুরো ইনিংসে উইকেটই খোয়ায়নি আর!

ইয়াং ফেরার পর উইকেটে আগমন রাচিন রবীন্দ্রের, যিনি আবার তার ছোট্ট ক্যারিয়ারে তিন তো দূর অস্ত, চার-পাঁচ-ছয়েও খেলেননি কখনো। নতুন বলের সামনে তিনি ভড়কে তো যানইনি, ইংলিশদের শাসিয়েছেন বেশ। ওদিকে ওপেনার ডেভন কনওয়ে ছিলেন শুরু থেকে যেমন ছিলেন তেমনই, আগ্রাসী। তাতেই কাজটা সহজ হয়ে গেছে নিউজিল্যান্ডের।

দ্রুত উইকেট খুইয়ে খোলসে ঢুকে যাওয়ার বদলে দুজন খেলেছেন একেবারে হাত খুলে। প্রথম দশটা ওভারের রান দেখুন, ১০, ০ (উ), ৯, ০, ৮, ১০, ১৭, ৯, ১০ ও ৮। ৮১ রান উঠেছে প্রথম পাওয়ারপ্লেতে, যা শেষ আট বছরে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ। ইংলিশদের পরিকল্পনাটা জানালা দিয়ে পালিয়েছে তো তখনই! শুরুর দশ ওভারে যে ভিতটা গড়ে নিয়েছিলেন দুজনে, তার ওপর দাঁড়িয়েই এরপর রান করে চলেছেন অনায়াসে। 

দুজন মিলে এরপর ভেঙেছেন একের পর এক রেকর্ড। বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল ১৬৮ রানের, ১৯৯৬ বিশ্বকাপে যা গড়েছিলেন লি জারমন আর ক্রিস হ্যারিস মিলে। সেটাকে দুইয়ে ঠেলে দেন দুজনে। 

বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের দ্রুততম সেঞ্চুরি ছিল মার্টিন গাপটিলের, ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮৮ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। সে রেকর্ডটা আজ ভেঙেছে, তাও একবার নয়, দুবার। ৮৬ বলে সেঞ্চুরি করে প্রথমে কনওয়ে, এরপর ৮২ বলে সেঞ্চুরি করে রবীন্দ্র ভাঙেন রেকর্ডটা। নিউজিল্যান্ডের অনায়াস জয় এল তাতেই। সঙ্গে বার্তাটা? তা তো দেওয়া হয়েই গেছে!

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে কথা বলছে একটা 'গোবেচারা' ফ্যাক্টও। শেষ চার বিশ্বকাপেই শেষ হাসিটা হেসেছে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া দলটা। এবার বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি পেল কিউইরা। আগের চার বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তিটাও যে নিউজিল্যান্ড এবার ঘটিয়ে ফেলতে চাইবে, তা আর বলতে!

   

শাইনপুকুরকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের প্রথম পর্বের ১১ ও সুপার লিগের পাঁচ ম্যাচের সবকটি জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে আবাহনী লিমিটেড। টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবে ৪ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ওপেনার খালিদ হাসান এবং তিনে নামা অমিত হাসানের ফিফটিতে লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। ৫৮ বলে সমান ৫৮ রান আসে খালিদের ব্যাটে। দলীয় সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন অমিত।

দলের অন্য ব্যাটাররা ইনিংস বড় করতে না পারায় ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৪ রানে থামে তারা। আবাহনীর পক্ষে তিন উইকেট নেন স্পিনার রাকিবুল হাসান।

২৩৫ রান তাড়া করতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরিতে ২৩ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আবাহনী। ১১০ রান করে বিজয় দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।

এই জয়ে ১৬ ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৩২ পয়েন্ট পাওয়া আবাহনী অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। সমান সংখ্যক ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে শাইনপুকুর।

;

টানা চতুর্থ হার নিগারদের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে এখন বৃষ্টি উপভোগ করছেন সাধারণ মানুষ। তীব্র দাবদাহের পর এক পশলা বৃষ্টি শরীর-মন ভিজিয়ে দিচ্ছে সবার। কিন্তু সিলেটে শিলাবৃষ্টি নিশ্চয়ই উপভোগ করেননি নিগার সুলতানা জ্যোতি ও তার সতীর্থরা। আজ সিলেটে বাংলাদেশ-ভারত চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয় ব্যাটিং ইনিংসের সময় দীর্ঘ সময় বৃষ্টিতে বন্ধ থাকে ম্যাচ। যার ফলে কুড়ি ওভারের ম্যাচ নেমে আসে ১৪ ওভার। এর মধ্যেই জয়ের জন্য ১২৫ রান তোলার চ্যালেঞ্জ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সে লক্ষ্যে ব্যর্থ হয়েছেন নিগাররা। ডিএলএস পদ্ধতিতে ৫৬ রানের হারে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ৪-০ তে পিছিয়ে পড়েছে স্বাগতিকরা।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার শেফালি বর্মাকে হারায় ভারত। শরিফা খাতুনের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে এক্সট্রা কাভারে থাকা রিতু মনির তালুবন্দি হন শেফালি (২)।

তিনে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দয়ালন হেমলতা। তবে দুটি করে চার-ছক্কায় ২২ রান করার পর তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মারুফা আক্তার।

তবে ভারতের ইনিংসে পাওয়ার প্লে’র যখন আরও এক বল বাকি, তখনই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় সিলেটে, একপর্যায়ে তা শিলাবৃষ্টিতে রূপ নেয়। শিলাবৃষ্টি আর ভেজা আউটফিল্ডের কারণে প্রায় ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকার পর শুরু হয় খেলা। তাতে ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে ১৪ ওভারে।

বিরতির পর অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর এবং উইকেটকিপার রিচা ঘোষ ক্লিন হিটিংয়ে ভারতকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেয়ার চেষ্টা করেন। শেষ ওভারে রানআউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ৫ চারে ৩৯ রান করেন হরমনপ্রীত। ১৫ বলে ২৪ রান করেন রিচা। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় ভারত। ডিএলএস পদ্ধতিতে ১২৫ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ।

সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে ১২০-এর ঘর ছুঁতে না পারা বাংলাদেশের জন্য যে এই লক্ষ্য মোটেও সহজ ছিল না। ব্যাটিংয়ে নামতেই সেটা প্রমাণ হয়ে যায়। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে তারা।

দুই অঙ্কের ঘরেও পৌঁছাতে পারেননি ওপেনার দিলারা আক্তার (২১), তিনে নামা রুবাইয়া হায়দার (১৩) ও শরিফা খাতুন (১১*) বাদে অন্য ব্যাটাররা। এমন ব্যাটিং দিয়ে তো ১৪ ওভারে ১২৫ রান তাড়া করা যায় না। বাংলাদেশও পারেনি। নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ৬৮ রানে থামতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

;

বঙ্গবন্ধু কাপ কাবাডিতে খেলবে শক্তিশালী কোরিয়া-পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

২০২১ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে বাংলাদেশ। নিয়মিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনের বর্ষপঞ্জিতেও অর্ন্তভূক্ত হয়েছে বাংলাদেশের এই প্রতিযোগিতা। এবং বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আগামী ২৩ থেকে ৪ জুন অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসর। ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়া এই তিন মহাদেশের ১১টি বিদেশি দলের সাথে অংশ নিবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ইউরোপের পোল্যান্ড, আফ্রিকার কেনিয়া এবং এশিয়ার দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, জাপান, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইরাক, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও স্বাগতিক বাংলাদেশ।

প্রথমবারের মতো অংশ নিবে সবশেষ দুই বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলা দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও থাইল্যান্ড এবং এশিয়ান কাবাডির পরাশক্তি পাকিস্তান- আজ সোমবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স সভাকক্ষে বৈঠক শেষে জানান ডিএমপি কমিশনার ও টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান, তিনি কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। বিভিন্ন কারণে আসছে না লাতিন আমেরিকার আর্জেন্টিনা, ইউরোপের ইংল্যান্ড ও এশিয়ার চাইনিজ তাইপে।

বিদেশি দলগুলো আসবে ২৩ ও ২৪ মে, ২৫ মে ম্যানেজার্স মিটিংয়ে হবে গ্রুপিং ও ফিকশ্চার। খেলা হবে মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে।

২০২১ সাল বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের ৫০ বছর পূর্তি। সে কারণে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসরকে বর্ণিল রুপ দিতে চায় ফেডারেশন। সারাদেশে একযোগে কাবাডি উৎসব করার পরিকল্পনা রয়েছে, হবে আতশবাঁজি- জানিয়েছেন কাবাডি ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান গাজী মো. মোজাম্মেল হক।

প্রথম আসরে অংশ নিয়েছিল ৬টি দল। ২০২২ সালে দ্বিতীয় আসরে ৮টি ও ২০২৩ সালে তৃতীয় আসরে অংশ নেয় ১২টি দল। গত তিন আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। প্রথম দুইবার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল কেনিয়া। ২০২১ সালে ৩৪-২৮ ও ২০২২ সালে ৩৪-৩১ পয়েন্টে জিতেছিল লাল-সবুজ দল। আর গত আসরে চাইনিজ তাইপেকে ২৮-৪২ পয়েন্টে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিকরা। তিনবারই বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তুহিন তরফদার।

;

জয়ের জন্য বাংলাদেশের চাই ১৪ ওভারে ১২৫ রান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিজ আগেই হাতছাড়া হয়েছে। এখন ভারতের বিপক্ষে মান বাঁচানোর লড়াই চলছে। সে লড়াইয়ে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জটা সহজ নয়। বৃষ্টির বাগড়ায় ১৪ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য ১২৫ রান।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার শেফালি বর্মাকে হারায় ভারত। শরিফা খাতুনের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে এক্সট্রা কাভারে থাকা রিতু মনির তালুবন্দি হন শেফালি (২)।

তিনে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দয়ালন হেমলতা। তবে দুটি করে চার-ছক্কায় ২২ রান করার পর তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মারুফা আক্তার।

তবে ভারতের ইনিংসে পাওয়ার প্লে’র যখন আরও এক বল বাকি, তখনই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় সিলেটে, একপর্যায়ে তা শিলাবৃষ্টিতে রূপ নেয়। শিলাবৃষ্টি আর ভেজা আউটফিল্ডের কারণে প্রায় ঘণ্টাখানেক বন্ধ থাকার পর শুরু হয় খেলা। তাতে ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে ১৪ ওভারে।

বিরতির পর খেলা শুরু হলে তেড়েফুঁড়ে খেলতে চান ভারতীয় ব্যাটাররা। তবে ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা দ্রুতলয়ে রান তুলতে গিয়ে সুবিধা করতে পারেননি। রাবেয়া খানের বল ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে টার্নে পরাস্ত হন। বোল্ড হয়ে ফেরার আগে তার ব্যাটে আসে ২২ রান।

তবে অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর এবং উইকেটকিপার রিচা ঘোষ ক্লিন হিটিংয়ে ভারতকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেয়ার চেষ্টা করেন। শেষ ওভারে রানআউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ৫ চারে ৩৯ রান করেন হরমনপ্রীত। ১৫ বলে ২৪ রান করেন রিচা। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ১৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় ভারত।

;