বিস্ময়কর ডাবল সেঞ্চুরিতে অজিদের জেতালেন ম্যাক্সওয়েল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডস হয়ে সবশেষ নাম হতে পারত অস্ট্রেলিয়া! আফগানদের ২৯২ রানের জবাবে ৯১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর সেই সম্ভাবনাই জোড়াল হচ্ছিল। লজ্জার মুখে পড়তে বসেছিল অজিরা। তবে না অজিদের দম্ভ মাটিতে নুয়ে পড়তে দেয়নি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে লড়াইটা চালিয়ে গেছেন।

লম্বা সময় ব্যাট করায় একটা সময় পা দুটিও আর চলতে চাইছিল না। তবে তিনি থামেননি। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। রচিত করেছেন হার না মানার এক মাহকাব্য। জয়ের পথে খেলেছেন ১২৮ বলে ২০১ রানের এক মহাকাব্যিক ইনিংস। যা বিশ্বকাপে তার ক্যারিয়ার সেরা। আর তাতেই থেমেছে আফগান রূপকথা। একই সঙ্গে এ জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে অজিদের।

বিশ্বকাপে টানা তৃতীয় জয়সহ অষ্টম ম্যাচে এসে আসরে পঞ্চম জয় তোলার ক্ষণ গুনছে তখন আফগানরা। অজিদের হারালেই চওড়া হবে আফগানদের সেমি ফাইনালে উঠার রাস্তাটা। সে পথটা প্রস্তুত করেছিল আফগান বোলাররা। মুম্বাইয়ে সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে যাওয়ার ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে রীতিমতো নাস্তানাবুদ করে আফগানরা। একশ রানের আগেই নেই ৭ উইকেট। তখনও জয় থেকে ২০০ রান দূরে ম্যাক্সওয়েলের অস্ট্রেলিয়া।

শুরুতে সঙ্গ পাননি লাবুশেন, স্টয়নিস ও স্টার্কের কাছ থেকে। তবে দমে যাননি তিনি। ব্যাট হাতে শাসন করেছেন ম্যাচের পুরোটা সময়। তাতে অন্যপ্রান্তে প্যাট কামিন্স ডট বল খেললেও কখনোই রানের চাপে পড়েনি অজিরা। ভাগ্য নাকি সাহসীদের পক্ষে থাকে। ম্যাক্সওয়েলেরও তায় হলো। নয়তো তার অমন সহজ দুটি ক্যাচ কেনই বা মিস করতে যাবে আফগান ফিল্ডাররা।

সুযোগটা লুফে নিয়েছেন ম্যাক্সওয়েলও। সেঞ্চুরির পর থেকেই সমস্যা হচ্ছিল পায়ে। একটা সময় তো মাঠে শুয়ে ব্যথায় কাতরাতে হয়েছে তাকে। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে ব্যাট হাতে নামা শুরু করেছিলেন অ্যাডাম জাম্পা। বাদ সাধলেন ম্যাক্সওয়েল। সিদ্ধান্ত নিলেন পা বেইমানি করলেও লড়াইয়ের শেষ না দেখে উইকেট ছাড়বেন না তিনি। এরপর সিঙ্গেল এড়িয়ে কেবল চার-ছক্কায় মন দিলেন।

একেকটি শট যেন একেকটি মহাকাব্য। কি শট খেলেননি ইনিংসে। পুরোটা সময় আফগান বোলাদের নাজেহাল করে ছেড়েছেন। পায়ের ব্যথা চেপে রেখে শেষটাই হেসেছেন। হাসিয়েছেন। সতীর্থদের ভাসিয়েছেন আন্দদে। দলের জয় পেতে যখন প্রয়োজন ১৫ রান। ডাবল সেঞ্চেুরি হাকাতে তখন ম্যাক্সওয়েলেরও প্রয়োজন ১৫। এরপর শেষ তিন বলে দুটি ছক্কা ও একটি চার মেরে নিজের ডাবল সেঞ্চুরি আদায় করে নিয়েছেন। ম্যাচ জয়ের গল্পটা নিজেই লিখেছেন ম্যাক্সওয়েল। দলকে জিতিয়েছেন ১৯ বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখে।

এর আগে সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে যাওয়ার ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় আফগানরা। ১ উইকেট খরচায় স্কোরবোর্ডে ১২০ রান জমা করে দলটি। এরপর উইকেটে থিতু হয়ে একে একে ফিরে যান রহমত, শহিদি, ওমরজাই ও নবীরা। তবে লক্ষ্যে অবিচল থেকে বিশ্বকাপে নিজের অভিষেক সেঞ্চুরি তুলে নেন ইব্রাহিম জাদরান। তার ১২৯ রানেই ইনিংসেই অস্ট্রেলিয়াকে ২৯২ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে আফগানরা। যদিও ম্যাক্সওয়েলের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে তাদের।

   

জিম্বাবুয়েকে তুড়িতে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রিচার্ড এনগারাভার করা ১৮তম ওভারের প্রথম বলে মাহমুদউল্লাহ সপাটে ছক্কা হাঁকালেন। ১০৩ মিটারের সে বিশাল ছক্কায় বল স্টেডিয়াম ছাড়িয়ে যেন সাগরে আছড়ে পড়ল। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশও অনেকটা একইভাবে উড়িয়ে দিল জিম্বাবুয়েকে। ৬ উইকেটের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় জিম্বাবুয়েকে। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে তারা। ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ষষ্ঠ উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন জোনাথান ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান বেনেট।

তাদের নৈপুণ্য শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান পর্যন্ত পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে। ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন বেনেট। ২৪ বলে ৪৫ রান করেন সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে জোনাথান।

রিশাদ হোসেন এবং তাসকিন আহমেদের ঝুলিতে যায় দুটি করে উইকেট। একটি উইকেট পান শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শেখ মেহেদী হাসান।

জবাব দিতে নেমে লিটন দাস এবং তানজিদ হাসানের উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান পায় বাংলাদেশ। তবে ধীরগতিতে ব্যাট চালান দুজনই, লিটনের ব্যাটে আসে ২৫ বলে ২৩, তানজিদ করেন ১৯ বল্রে ১৮ রান।

বাংলাদেশের ইনিংসে বেশ কয়েকবার বৃষ্টি বাগড়া দিলে ব্যাটারদের মনোযোগেও বিঘ্ন ঘটে। তবে তাওহিদ হৃদয় ছিলেন ব্যতিক্রমী। সহজাত ব্যাটিং করে ২৫ বলে ৩৭ রান করে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এই তরুণ ব্যাটার। ১৬ বলে দুই চার এবং একটি বিশাল ছক্কায় ২৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাতে ৯ বল এবং ৬ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

আগামী ৭ মে (মঙ্গলবার) একই মাঠে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে।

;

‘অলরাউন্ডার’ জাদেজায় চেন্নাইয়ের প্রতিশোধ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে পাঞ্জাব কিংসকে ২৮ রানে হারিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। আগের ম্যাচে ঘরের মাঠে পাঞ্জাবের কাছে হেরে যায় রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল। বলে-ব্যাটে জাদেজার জ্বলে ওঠার ম্যাচে সে হারের শোধ তুলেছে তারা।

ধর্মশালায় টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় চেন্নাইকে। রুতুরাজ (৩২) এবং ড্যারিল মিচেল (৩০) ত্রিশের ঘরে রান করেছিলেন। তবে মিডল এবং লোয়ার অর্ডারের অন্য ব্যাটারদের মধ্যে জাদেজা বাদে অন্য কেউ নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ২৬ বলে ৩ চার এবং ২ ছয়ে ৪৩ রান করে চেন্নাইকে লড়াকু স্কোর পেতে সাহায্য করেন জাদেজা। 

শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৭ রানে থামে চেন্নাই। পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন রাহুল চাহার ও হার্শাল প্যাটেল।

জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাঞ্জাব। একশ পেরোনোর আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার পর বল হাতেও আগুন ঝরান জাদেজা। ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে ২০ রানে নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট পান সিমারজিত সিং ও তুষার দেশপাণ্ডে।

তাদের বোলিং তোপে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৯ রানে আটকে যায় পাঞ্জাব। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে ওপেনার প্রভসিমরান সিংয়ের ব্যাটে।

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন জাদেজা। এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে চেন্নাই। সমান সংখ্যক ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট নিয়ে এক ধাপ নিচে আট নম্বরে নেমে গেছে পাঞ্জাব।

;

বেনেট-ক্যাম্পবেলের ব্যাটে ভদ্রস্থ সংগ্রহ জিম্বাবুয়ের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিং দুর্দশা কাটল না জিম্বাবুয়ের। প্রথম টি-টোয়েন্টির চিত্রনাট্য মেনে শুরুতে ব্যাটিং ধস এবং তারপর একটা বড় জুটিতে একশ ছাড়ানো স্কোর। তবে ১৩৯ রানের এই সংগ্রহকে মোটেও লড়াকু বলা যায় না। বাংলাদেশের সামনে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যটা সহজই বলা চলে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী টসে হেরে ব্যাটে করতে নেমে আরও একবার ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ১০.২ ওভারে ৪২ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট খুইয়ে বসে তারা। রান তোলায় ধীরগতি আর সঙ্গে একের পর এক উইকেট হারানোয় বেশ বিপদেই পড়ে সফরকারীরা। রিশাদ-তাসকিনরা নিখুঁত বোলিংয়ে চেপে ধরেছিলেন তাদের।

একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা যখন জেঁকে ধরছে জিম্বাবুয়েকে, তখনই ষষ্ঠ উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেল এবং ব্রায়ান বেনেট খাদের কিনারা থেকে দলটিকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। ৪৩ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন এই দুই ব্যাটার।

এই ম্যাচ দিয়ে দলে প্রবেশ করা ক্যাম্পবেল ফেরার আগে করেন ২৪ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৪৫ রান। অবশ্য ১ রানেই থামতে পারত ক্যাম্পবেলের ইনিংস, যদি শেখ মেহেদীর বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলি অনিক লোপ্পা ক্যাচ না ফেলতেন।

ফিফটি না পেলেও দলকে অন্তত একশ পার করিয়ে দিতে পেরেছেন ক্যাম্পবেল। ২৯ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়ের রানটাকে ভদ্রস্থ করেছেন বেনেট। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ পর্যন্ত পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন স্পিনার রিশাদ হোসেন ও পেসার তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট গেছে শেখ মেহেদী, শরিফুল ও সাইফউদ্দিনের ঝুলিতে।

;

জিকোর শারীরিক অবস্থার উন্নতি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবাহনীর বিপক্ষে বিপিএল ফুটবলের ম্যাচে মাথায় মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন বসুন্ধরা কিংসের গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো। ম্যাচে আবাহনীর ফরোয়ার্ড কর্নেলিয়াসের পায়ের আঘাতে রক্তাক্ত হন তিনি। প্রথমে স্ট্রেচার ও পরে অ্যাম্বুলেন্সে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। তবে স্বস্তির খবর, জিকো এখন ভালো আছেন।

ঘটনার পরপরই তাকে বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কপালে কসমেটিক অস্ত্রোপচার করতে হয়। সিটি স্ক্যানে অবশ্য গুরুতর কিছু ধরা পড়েনি। তাই চিকিৎসা শেষে রাতেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।

আজ (রবিবার) একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে জিকো তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানিয়ে বলেন, ‘আমি আগের চেয়ে ভালো আছি। সুস্থ বোধ করছি।’

সুস্থ বোধ করলেও যে শিগগিরই তার মাঠে ফেরা হচ্ছে না-সেটাও জানিয়েছেন এই গোলকিপার, ‘তবে এখনই মাঠের অনুশীলনে নামতে পারবো না। আগামী ৭ মে ডাক্তার আবার দেখবে। তখনই জানা যাবে সবশেষ অবস্থা।’

;