ভয়ঙ্কর ভারত বনাম অসাধারণ অস্ট্রেলিয়া!



এম. এম. কায়সার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাকিদের চেয়ে ঠিক কোথায় এগিয়ে ভারত?

ইডেন গার্ডেন্সের প্রবেশদ্বারের সামনে প্রশ্নটা গৌতম ভট্টাচার্য উল্টো কৌতুহলী হলেন- ‘বলুন, কোথায় এগিয়ে নেই! ব্যাটিং বোলিং ফিল্ডিং সবকিছু জুড়েই শক্তপোক্ত।’ সাংবাদিক হিসেবে এটি গৌতমের দশম বিশ্বকাপ কাভারের অভিজ্ঞতা। তবে এর আগের কোনোটিতেই এমন শক্তিমান ভারতকে দেখেননি বলে জানালেন গৌতম।

তাহলে বলছেন কোনো সঙ্কটই নেই এই ভারত দলে?    

গৌতম এই চিন্তা করার জন্যও বেশি সময় নিলেন না- ‘ভারতের এই দলটাকে দেখে আমার মনে হচ্ছে বড় কর্তা সংসার সামাল দিচ্ছে। কিন্তু আমি সেদিনের অপেক্ষায় আছি যেদিন দেখবো এই সংসার মেজদা বা ছোড়দা কিভাবে সামাল দেয়। ধরো কোনো ম্যাচে উপরে থেকে শুভমান গিল, রোহিত, কোহলি, লক্ষণ বা শ্রেয়াশ কেউ রান পেল না। সেদিন নিচের দিকের বাকিরা কিভাবে সমাধান করে? কিম্বা ধরো, কোনো একদিন শামী, সিরাজ বা বুমরাহ’র মধ্যে দুজন একটু বেশি রান খরুচে হয়ে গেল। অথবা একদিন স্পিনে কুলদীপের বাজে দিন গেল। মার খেলো। সেদিন বোলিংয়ের সঙ্কট মেটাতে কে এগিয়ে আসে?’

অবশ্য টানা ১০ ম্যাচে ভারতকে এমন দুঃসময়ে কখনোই পড়তে হয়নি। দশে দশ হয়ে ফাইনালে খেলছে রোহিত শর্মার দল। এই দলের দুর্বলতা কোথায় সেটা খুঁজে বের করার কোনো উপায়ই যে রাখেনি কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের দল। একটা ম্যাচ থেকে পরের ম্যাচে পারফরম্যান্সের গ্রাফ ক্রমশ নতুন উচ্চতায়।

ব্যাটসম্যানরা রান করছেন। বড় রান। সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি হচ্ছে। বোলাররা উইকেট তুলে নিচ্ছেন। ফিল্ডাররা দারুণসব ক্যাচ ধরছেন। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংও হচ্ছে চোখ জুড়ানো। গ্যালারিতে সমর্থকদের প্রাণপাত করা সমর্থন। শ্লোগানের সুর। সম্মিলিত সেই শক্তিতে প্রতি ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে প্রায় পিষে ফেলে জিতছে ভারত। টানা ১০ ম্যাচ জিতে ফাইনালে ভারত। এই বিশ্বকাপে ভারত যে পুরোদুস্তর ‘সুপারম্যান’ এর মেজাজে!

কীভাবে এই অর্জন?

এটা একমাসে বা একটা সিরিজে হয়নি। পেছনের চার বছরে ভারত ৬৬টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে। খেলায় ৫০ জন খেলোয়াড়কে। সেই তালিকা একসময় ২৪ জনে কমিয়ে আনা হয়। তাদের নিয়েই গত মার্চ থেকে অক্টোবর এই সময়জুড়ে ১৫টি ওয়ানডে খেলে ‘সুপার একাদশ’ স্থির করে ভারত। ওই দল নিয়েই ভারত বিশ্বকাপ দশে দশ।

৩৯৭। ৪১০। ৩২৬। ৩৫৭। এই সংখ্যাগুলো পেছনের চার ম্যাচে ভারতের রান। পরে ব্যাট করা জয়ী ম্যাচগুলোতেও ভারতের জয়ের ব্যবধান বিশাল। একপাশে ভারত এবং অন্যপাশে বাকি ৯ দল; এই বিশ্বকাপকে এমনই একপেশে, একতরফা করে ফেলেছে ভারত!

১৯ নভেম্বরের ফাইনালের আগেই এই বিশ্বকাপে বাকি সব্বাইকে হারিয়েছে ভারত। জিতছে ও জিতেছে দাপুটে এবং নিষ্ঠুর ভঙ্গিতে!

বিশ্বকাপ মানেই অস্ট্রেলিয়া হট ফেভারিট। এই ফরমেটে রেকর্ডটাই যে তাদের পক্ষে। সবচেয়ে বেশি পাঁচটা বিশ্বকাপ ট্রফি আছে অস্ট্রেলিয়ার। শেষ ছয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের চারটিতেই চ্যাম্পিয়ন। এবারও যথারীতি টপ ফেভারিটের মর্যাদা নিয়েই শুরু করেছিল দলটি। সেই সন্মান নিয়েই দাপুটে ভঙ্গিতে শেষ চারে অস্ট্রেলিয়া।

যদিও বিশ্বকাপের শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। ভারতের কাছে হারে শুরু। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও ১৩৪ রানের হারের বিশাল ধাক্কা। তবে ঘুরে দাঁড়াতে হয় কীভাবে সেটা বোধকরি অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ভালো কেউ পারে না। প্রথম দুই হারের পর এবারের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া মানেই অসাধারণ! টানা আটটি জয়।

একটা দলকে তখনই সম্ভবত ভালো করে চেনা যায়, যখন সেই দলটা পিছিয়ে পড়েও রেস জেতে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তেমন একটা ম্যাচ জিতেই অস্ট্রেলিয়া জানিয়ে দিলো তারা লড়তে জানে। জিততে জানে। সেই ম্যাচে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ডাবল সেঞ্চুরি এই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ফাইনার পয়েন্ট। ৯১ রানে ৭ উইকেট হারানো দল শেষ পর্যন্ত ২৯৩ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে নেয়, আর কোনো উইকেট না হারিয়ে; এই বিশ্বকাপে সেই সাফল্যের গল্পও লিখেছে অস্ট্রেলিয়া।

তবে ফিনিশিংটা এখনো যে বাকি। এই ভারতের মাটি থেকেই অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফি জিতেছিল। ১৯৮৭ সালে সেই বিশ্বকাপ জয়ের উল্লাসের ছবি ও পত্রিকার কাটিং মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের স্পোর্টস মিউজিয়ামে শোভা পাচ্ছে। অজি অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডারের সেই ছবির পাশে কি প্যাট কামিন্স জায়গা নিতে পারবেন?

   

পিঠের চোটে ভুগছেন রোহিত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইডেন গার্ডেন্সে আইপিএলের গতকালের (শুক্রবার) ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স হেরে গেছে ২৪ রানে। ম্যাচে ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে খেলেছেন মুম্বাইয়ের সাবেক অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে খেলে অবশ্য খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ইনিংস শুরু করতে নেমে ১২ বলে করেছে ১১ রান। তার দল কলকাতার দেয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গুটিয়ে ১৪৫ রানে।

ম্যাচে কেন ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে খেলেছেন রোহিত? ম্যাচ শেষে এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মুম্বাইয়ের স্পিনার পীযুষ চাওলা। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পীযুষ জানান, ‘তার (রোহিত) পিঠে কিছুটা সমস্যা আছে। তাই সতর্কতা হিসেবে ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে খেলেছে।’

ভারতের ক্রিকেটভক্তদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে রোহিতের এই চোটের খবর। আইপিএলের পরপরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে ভারতকে। বিশ্বকাপে দেশটির নেতৃত্ব দেবেন রোহিত। ভারতের সমর্থকরা নিশ্চয়ই প্রার্থনা করছে, রোহিতের পিঠের এই পীড়া যেন দ্রুতই সেরে যায়।

;

এক যুগ পর ডর্টমুন্ডের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানছেন রয়েস



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জার্মান ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সমর্থকদের সবচেয়ে প্রিয় খেলোয়াড়দের তালিকা করলে খুব সম্ভবত ওপরের দিকেই থাকবে মার্কো রয়েসের নাম। শুধু ডর্টমুন্ড কেন, ফুটবলের অন্যতম ভদ্র ও দর্শকপ্রিয় খেলোয়াড়দের মধ্যেও নিশ্চিতভাবেই থাকবে তার নাম।

টানা ১২ বছর এই ক্লাবের জন্য নিজের সেরাটা দিয়ে খেলেছেন, নিজেকে নিয়ে গেছেন ডর্টমুন্ডের কিংবদন্তির তালিকায়। তবে চলতি মৌসুম শেষে প্রিয় এই ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি ঘটাচ্ছেন এই জার্মান তারকা ফুটবলার, এমনটাই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

ক্লাবের পক্ষ থেকে গতকাল (শুক্রবার) আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, ডর্টমুন্ডের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াচ্ছেন না রয়েস। ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবটির হয়ে ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ ৪২৪ টি ম্যাচ খেলা ফুটবলার তিনি। এছাড়াও ১৬৮ গোলের সঙ্গে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন এই অ্যাতাকিং মিডফিল্ডার।

ডর্টমুন্ডের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে পোস্ট করা ভিডিও বার্তায় রয়েস বলেছেন, ‘প্রিয় ডর্টমুন্ডের ভক্তরা, দারুণ এই স্টেডিয়ামে আমি ১২ বছর খেলার সুযোগ পেয়েছি। জীবনের অর্ধেক সময়ই আমি এই ক্লাবকে দিয়েছি। অনেক উত্থান-পতন গেছে। তবে ভালো সময়গুলোই মনে আছে। ক্লাব এবং আমি নিজের চুক্তির মেয়াদ না বাড়াতে সম্মত হয়েছি। এই ক্লাবে অনেক বছর খেলতে পেরে আমি খুবই গর্বিত। এই মুহূর্তে আসলে কী বলা উচিত, তার জন্য সঠিক শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না। তবে ভক্তদের এটা জানা দরকার, সামনে আরও বড় লক্ষ্য আছে আমাদের। আমরা ওয়েম্বলিতে যেয়ে আবারও ট্রফি নিয়ে আসতে চাই।‘

হলুদ-কালো জার্সি গায়ে রয়েস দুইবার জার্মান কাপ জিতেছেন। এছাড়াও ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলেছেন। যদিও ইউসিএলের ট্রফিটা কখনও উঁচিয়ে ধরা হয়নি তার। চলতি আসরে তার দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে, ইতোমধ্যে প্রথম লেগে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠার জন্য এগিয়ে আছে। ক্লাবে নিজের শেষটা এবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরেই করতে চান রয়েস।

;

নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জুনে পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। যেখানে স্বাগতিক হিসেবে যৌথভাবে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল (শুক্রবার) বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে ক্যারিবিয়রা। এরপর রাতে আরেক স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রও প্রকাশ করল তাদের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড।

বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে যুক্তরাষ্ট্র। এই সিরিজের জন্যও সেই একই স্কোয়াড নিয়েই মাঠে নামবে তারা এমনটাই জানানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট বোর্ড থেকে।

ঘরের মাটিতে দলকে এবার নেতৃত্ব দিবেন মোনাক পাটেল। এছাড়াও স্কোয়াডের উল্লেখযোগ্য নামের মধ্যে আছে কোরি অ্যান্ডারসন। তিনি সদ্য নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দলে পাড়ি জমিয়েছেন। এমনকি নিউজিল্যান্ডের হয়ে এর আগে বিশ্বকাপেও খেলেছেন তিনি।

বাংলাদেশের বিপক্ষে স্বাগতিকদের সিরিজটি শুরু হবে আগামী ২১ মে। পরের দুটি ম্যাচ ২৩ ও ২৫ মে। সবকটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে টেক্সাসের হিউস্টনে, প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে।

যুক্তরাষ্ট্র স্কোয়াডঃ

মোনাঙ্ক পাটেল (অধিনায়ক), অ্যারন জোন্স (সহ-অধিনায়ক), আড্রিস গাউস, কোরি অ্যান্ডারসন, আলি খান, হারমিত সিং, জেসি সিং, মিলিন্দ কুমার, নিসর্গ পাটেল, নিতিশ কুমার, নসথুশ কেনজিগি, সৌরভ নেত্রাভালকার, শেডলি ফন শলকউইক, স্টিভেন টেইলর, শায়ান জাহাঙ্গীর।

রিজার্ভ: গজানন্দ সিং, জুনোয় ড্রাইড্যাল এবং ইয়াসির মোহাম্মদ।

;

স্টার্কের আগুনে বোলিংয়ে মুম্বাইকে আটকাল কলকাতা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাগজে-কলমের হিসেবে আইপিএলের চলতি আসরের প্লে অফে খেলার কিঞ্চিৎ সম্ভাবনা এখনও বাকি আছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে। তার জন্য শুক্রবার রাতে নিজেদের মাঠে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে জয় পাওয়া জরুরি ছিল হার্দিকদের জন্য। তবে ২৪ রানের জয় তুলে শেষ হাসি হাসল কলকাতাই।

এদিন টসে হেরে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকরা। ব্যাট হাতে বেশ নড়বড়ে দেখা যায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের খেলোয়াড়দের। ওয়াংখেড়েতে মুম্বাইয়ের বোলারদের তোপের মুখে পড়েন তারা। পাওয়ার প্লে-তেই সাজঘরে ফেরত যান কলকাতার চার ব্যাটার, স্কোরবোর্ডে রান তখন ৫৭।

ব্যাটিং ধ্বস সামলে দলের হাল ধরেন মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটার ভেংকাটেশ আইয়ার ও মানিশ পান্ডে। তাদের ব্যাটে চড়ে লড়াকু পুঁজি পায় সফরকারীরা। নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার এক বল আগেই সবকটি উইকেট হারিয়ে কলকাতার দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৯ রানে।

জবাবে ব্যাট হাতে ধাক্কা খায় মুম্বাইও। টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়ার পর দলকে টেনে তোলেন সূর্যকুমার যাদব। তার ৩৫ বলে ৫৬ রানের ঝোড়ো ইনিংসে জয়ের আশা দেখতে থাকে ওয়াংখেড়ের নীল জার্সি পরিহিত দর্শকরা। তবে কলকাতার বোলারদের নৈপুণ্যে শেষ হাসিটা হাসা হয়নি স্বাগতিকদের। ৭ বল বাকি থাকতেই মুম্বাইয়ের সাওবকটি উইকেট তুলে নেন কলকাতার বোলাররা। মিচেল স্টার্ক একাই নেন চার উইকেট।

এই জয়ের পর পয়েন্ট তালিকার দুইয়েই অবস্থান করছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে এই ম্যাচে জয়ের দেখা পাওয়ায় ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্টের সঙ্গে প্লে-অফে এক পা দিয়েই রেখেছে কলকাতা। অপরদিকে ১১ ম্যাচে মাত্র তিনটিতে জয় পাওয়া মুম্বাই চলতি আইপিএলে বেশ নিষ্প্রভ। শীর্ষ চারে ওঠার সম্ভাবনা তাদের প্রায় শেষ বললেই চলে।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

কলকাতাঃ ১৬৯ (১৯.৫ ওভার); ভেংকাটেশ ৭০। মানিশ ৪২; বুমরাহ ৩-১৮, থুশারা ৩-৪২।

মুম্বাইঃ ১৪৫ (১৮.৫ ওভার); সূর্যকুমার ৫৬, ড্যাভিড ২৪; স্টার্ক ৪-৩৩, বরুণ ২-২২।

ফলাফলঃ কলকাতা ২৪ রানে জয়ী।

প্লেয়ার অব দা ম্যাচঃ ভেংকাটেশ আইয়ার।

;