সুযোগ পেয়েও লেবাননকে হারানো হলো না বাংলাদেশের



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর কীভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ দল সেটিই ছিল দেখার। তবে হতাশ করেনি বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শক্তিশালী লেবাননের বিপক্ষে দারুণ ফুটবল খেলেছে হাভিয়ের ক্যাবরেরার দল। প্রথমার্ধে আক্রমণে এগিয়ে থাকার পরও দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের রক্ষণের ভুলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে হাল ছাড়েনি সোহেল-মোরসালিনরা।

দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে মোরসালিনের গোলে ম্যাচে সমতা টানে বাংলাদেশ। এরপর সুযোগ ছিল ম্যাচের জয় নিশ্চিত করা। যদিও গোল মিসের মহড়ায় শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। তবে ঠিকই ১-১ গোলের ড্র’য়ে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে একটি পয়েন্ট অর্জন করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

এদিন কিংস অ্যারেনায় গ্যালারি ভর্তি দর্শকের সামনে প্রথমার্ধে বেশ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে বাংলাদেশ। শুরুতে কিছুটা অগোছালো ফুটবল খেললেও ২০ মিনিটের পর সুযোগ তৈরি করতে থাকে বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রথম সুযোগটা তৈরি করেন শেখ মোসরালিন। এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে তৈরি করেছিলেন দারুণ এক সুযোগ। তবে তা শেষমেশ কাজে লাগাতে পারেননি বক্সে লেট রান নিয়ে আসা সোহেল রানা জুনিয়র। তার আগেই বলটা ক্লিয়ার করেন লেবানিজ ডিফেন্ডার।

এরপর ৩৪ মিনিটে ফের আক্রমণে উঠে বাংলাদেশ। ডান দিকে আক্রমণে উঠে এসে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম দারুণ এক সুযোগই তৈরি করেছিলেন। নিচু ক্রস করেছিলেন বক্সের মাঝে। শেখ মোরসালিন জায়গামতো দাঁড়িয়েও ছিলেন। কিন্তু বলটা শেষমেশ লেবানিজ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে দিক বদলে যায়। বাংলাদেশের হাত ফসকে বেরিয়ে যায় সুযোগটা।

এরপর আর আক্রমণে উঠার সুযোগ পায়নি লেবানন। উল্টো বিরতির আগে কোনো রকমে গোল হজম করা থেকে বেঁচেছে দলটি। ৪৪ মিনিটে ফাহিমের বাড়ানো বল জালে জাড়নোর সহজতম সুযোগটি পেয়েছিলেন মোরসালিন। তবে শেষ পর্যন্ত জাল খোঁজে পায়নি তার পা। গোল মিসের হতাশা নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করতে হয় বাংলাদেশকে।

দ্বিতীয়ার্ধেও একই চিত্র। শুরুতে সময় নিলেও পরে আক্রমণে উঠে বাংলাদেশ। যদিও প্রথম গোলটা পায় লেবাননই। গোলরক্ষক শ্রাবণ ও রক্ষণের ভুলে জটলার মধ্যে বলটা গিয়ে পড়ল বদলি হিসেবে নামা মাজেদ ওসমানের পায়ে। ৬৮ মিনিটে বল জালে জড়িয়ে লেবাননকে এগিয়ে নেন তিনি। ম্যাচে পিছিয়ে পড়ল বাংলাদেশ।

পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে বহুবার ম্যাচে ফিরিয়েছেন মোরসালিন। আজ আবারও ওই একই কাজটাই করলেন। বক্সের বাইরে থেকে ৭২ মিনিটে আগুনে এক শটে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেন, বলটা নিয়ে আছড়ে ফেললেন লেবাননের জালে। গোল হজম করার তিন মিনিটের মাথায় আবারও ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ।

এরপর আরও বেশ কবার গোল করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ম্যাচের একেবারে শেষ বাঁশি বাজার আগে গোলরক্ষকে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি মোরসালিন। নয়তো বিজয়ের পতাকা উড়িয়েই মাঠ ছাড়তে পারব বাংলাদেশ। সেটি না হলেও ঠিকই এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ।

   

‘অলরাউন্ডার’ জাদেজায় চেন্নাইয়ের প্রতিশোধ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে পাঞ্জাব কিংসকে ২৮ রানে হারিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। আগের ম্যাচে ঘরের মাঠে পাঞ্জাবের কাছে হেরে যায় রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল। বলে-ব্যাটে জাদেজার জ্বলে ওঠার ম্যাচে সে হারের শোধ তুলেছে তারা।

ধর্মশালায় টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় চেন্নাইকে। রুতুরাজ (৩২) এবং ড্যারিল মিচেল (৩০) ত্রিশের ঘরে রান করেছিলেন। তবে মিডল এবং লোয়ার অর্ডারের অন্য ব্যাটারদের মধ্যে জাদেজা বাদে অন্য কেউ নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ২৬ বলে ৩ চার এবং ২ ছয়ে ৪৩ রান করে চেন্নাইকে লড়াকু স্কোর পেতে সাহায্য করেন জাদেজা। 

শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৭ রানে থামে চেন্নাই। পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন রাহুল চাহার ও হার্শাল প্যাটেল।

জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাঞ্জাব। একশ পেরোনোর আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার পর বল হাতেও আগুন ঝরান জাদেজা। ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে ২০ রানে নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট পান সিমারজিত সিং ও তুষার দেশপাণ্ডে।

তাদের বোলিং তোপে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৯ রানে আটকে যায় পাঞ্জাব। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে ওপেনার প্রভসিমরান সিংয়ের ব্যাটে।

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন জাদেজা। এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে চেন্নাই। সমান সংখ্যক ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট নিয়ে এক ধাপ নিচে আট নম্বরে নেমে গেছে পাঞ্জাব।

;

বেনেট-ক্যাম্পবেলের ব্যাটে ভদ্রস্থ সংগ্রহ জিম্বাবুয়ের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিং দুর্দশা কাটল না জিম্বাবুয়ের। প্রথম টি-টোয়েন্টির চিত্রনাট্য মেনে শুরুতে ব্যাটিং ধস এবং তারপর একটা বড় জুটিতে একশ ছাড়ানো স্কোর। তবে ১৩৯ রানের এই সংগ্রহকে মোটেও লড়াকু বলা যায় না। বাংলাদেশের সামনে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যটা সহজই বলা চলে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী টসে হেরে ব্যাটে করতে নেমে আরও একবার ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ১০.২ ওভারে ৪২ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট খুইয়ে বসে তারা। রান তোলায় ধীরগতি আর সঙ্গে একের পর এক উইকেট হারানোয় বেশ বিপদেই পড়ে সফরকারীরা। রিশাদ-তাসকিনরা নিখুঁত বোলিংয়ে চেপে ধরেছিলেন তাদের।

একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা যখন জেঁকে ধরছে জিম্বাবুয়েকে, তখনই ষষ্ঠ উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেল এবং ব্রায়ান বেনেট খাদের কিনারা থেকে দলটিকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। ৪৩ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন এই দুই ব্যাটার।

এই ম্যাচ দিয়ে দলে প্রবেশ করা ক্যাম্পবেল ফেরার আগে করেন ২৪ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৪৫ রান। অবশ্য ১ রানেই থামতে পারত ক্যাম্পবেলের ইনিংস, যদি শেখ মেহেদীর বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলি অনিক লোপ্পা ক্যাচ না ফেলতেন।

ফিফটি না পেলেও দলকে অন্তত একশ পার করিয়ে দিতে পেরেছেন ক্যাম্পবেল। ২৯ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়ের রানটাকে ভদ্রস্থ করেছেন বেনেট। তাদের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ পর্যন্ত পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন স্পিনার রিশাদ হোসেন ও পেসার তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট গেছে শেখ মেহেদী, শরিফুল ও সাইফউদ্দিনের ঝুলিতে।

;

জিকোর শারীরিক অবস্থার উন্নতি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবাহনীর বিপক্ষে বিপিএল ফুটবলের ম্যাচে মাথায় মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন বসুন্ধরা কিংসের গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো। ম্যাচে আবাহনীর ফরোয়ার্ড কর্নেলিয়াসের পায়ের আঘাতে রক্তাক্ত হন তিনি। প্রথমে স্ট্রেচার ও পরে অ্যাম্বুলেন্সে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। তবে স্বস্তির খবর, জিকো এখন ভালো আছেন।

ঘটনার পরপরই তাকে বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কপালে কসমেটিক অস্ত্রোপচার করতে হয়। সিটি স্ক্যানে অবশ্য গুরুতর কিছু ধরা পড়েনি। তাই চিকিৎসা শেষে রাতেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।

আজ (রবিবার) একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে জিকো তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানিয়ে বলেন, ‘আমি আগের চেয়ে ভালো আছি। সুস্থ বোধ করছি।’

সুস্থ বোধ করলেও যে শিগগিরই তার মাঠে ফেরা হচ্ছে না-সেটাও জানিয়েছেন এই গোলকিপার, ‘তবে এখনই মাঠের অনুশীলনে নামতে পারবো না। আগামী ৭ মে ডাক্তার আবার দেখবে। তখনই জানা যাবে সবশেষ অবস্থা।’

;

পাঞ্জাবের বিপক্ষে লড়াকু পুঁজি চেন্নাইয়ের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে ১৬২ রান করে পাঞ্জাব কিংসকে হারাতে পারেনি চেন্নাই সুপার কিংস। হারতে হয়েছিল ৭ উইকেটে। ফিরতি ম্যাচে আগে ব্যাট করা চেন্নাই করতে পারল আগের ম্যাচের চেয়ে ৫ রান বেশি, ৯ উইকেটে ১৬৭ রান। ধর্মশালায় পাঞ্জাবের বিপক্ষে জয়ের জন্য এই রান যথেষ্ট হবে কি? সে প্রশ্ন সময়ের কাছে তোলা থাক। তবে এই রান নিয়ে অন্তত লড়াই করা সম্ভব।

তবে চেন্নাইয়ের টালমাটাল বোলিং লাইনআপ আদৌ এই পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে পারবে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন বটে। মুস্তাফিজ এই ম্যাচের আগেই চলে এসেছেন বাংলাদেশ। চোটের কারণ ছিটকে গেছেন পাথিরানা। একই কারণে মাঠের বাইরে দীপক চাহারও। চেন্নাইকে তাই ইংল্যান্ডের ৩৬ বছর বয়সী পেসার রিচার্ড গ্লিসন আর তুষার দেশপাণ্ডেদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। আঙুলের জাদুতে চেন্নাইকে জয়ের পথে ফেরানোর চেষ্টা করবেন জাদেজা-মঈন আলিরা।

জাদেজা অবশ্য বল হাতে এরই মধ্যে নিজের কাজটা ঠিকঠাক করেছেন। দলের অন্য ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যে ২৬ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪৩ রান করেছেন এই অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান এসেছে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ব্যাটে। ১৯ বলে ৩০ রান করেন কিউই ব্যাটার ড্যারিল মিচেল।

পাঞ্জাবের দুই বোলার রাহুল চাহার এবং হার্শাল প্যাটেল সমান তিনটি করে উইকেট নিয়ে চেন্নাইয়ের রানকে নাগালের মধ্যে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন।

;