যে সেঞ্চুরি জীবন বদলে দিয়েছে ম্যাককালামের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম

ব্রেন্ডন ম্যাককালাম

  • Font increase
  • Font Decrease

২০০৮ সালের প্রথমবারের মতো মাঠে গড়িয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ১৫৮ রানের এক অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। তবে ১৫ বছরের পুরনো সেই স্মৃতি এখনও নতুনের মতো পরিষ্কার এই সাবেক কিউই অধিনায়কের কাছে। এই ইনিংসের পরই অনেকটা রাতারাতি তারকা ব্যাটার হিসেবে খ্যাতি পেয়ে যান ম্যাককালাম। তিনি জানিয়েছেন এই ইনিংসটিই জীবন বদলে দিয়েছে তার।

ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাককালাম বলেন, “এই মুহূর্তটি নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখার কারণ হলো এই ইনিংসটি আমার জীবন বদলে দিয়েছে। আমি শুধু নিউজিল্যান্ডের একজন ক্রিকেটার ছিলাম, যেখানে কেউ জানত না আমি কোথা থেকে এসেছি অথবা আমি কি করতে পারি। কিন্তু ওইদিনটি আমাকে প্ল্যাটফর্ম করে দিয়েছে এবং নিজের জীবন বদলানোর সুযোগ করে দিয়েছে।”

নিজের খেলোয়াড়ি জীবনে ম্যাককালাম প্রতিনিয়ত ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন নিজেকে। অবসরের পর বেশকিছুদিন কলকাতা নাইট রাইউডার্সের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবে খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারের মতো কোচিং ক্যারিয়ারেও বেশ সফল ম্যাককালাম।

বর্তমানে ইংল্যান্ড টেস্ট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তার আক্রমণাতমক কৌশল বর্তমানে টেস্ট ক্রিকেটের চেহারাই পাল্টে দিয়েছে।

   

৭ উইকেটের সহজ জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ ভারতের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১১৮ রানের লক্ষ্যটা ছিল সহজের কাতারেই। তবে তা পুরোদস্তুর মামুলি বানিয়ে দিলেন ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা। তাদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ওপেনিং জুটিতেই আসে ৯১ রান। বাকি ২৭ রান তুলতে আরও ২ উইকেট হারালেও সফরকারীদের জয়ের পথে সেটি তেমন একটা বাঁধা সৃষ্টি করতে পারেনি। ১০ বল হাতে রেখে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের অনায়াস জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত নারী ক্রিকেট দল। 

টানা তিন ম্যাচেই সহজ এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ৩-০ ব্যবধানে জিতে নিল হারমানপ্রীতের দল। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। 

লড়াকু সেই সংগ্রহের ভিতে জ্যোতিদের জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়েছে ভারতের ব্যাটিং ইনিংসের শুরুর ১০ ওভারেই । সেখানেই বিনা উইকেটে ৮৪ রান তুলে ফেলে শেফালি ও মান্ধানা। পরে দলীয় ৯১ রানের মাথায় ফিফটি পেরিয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান তোলা শেফালিকে ফেরান রিতু মনি। 

সেখান থেকে জয়ের জন্য ৭৪ বলে স্রেফ ২৭ রানের প্রয়োজন ছিল ভারতের। এতে আরও এগেই লক্ষ্য পৌঁছানোর কথা থাকলেও দুই স্পিনার নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খানের কিছুটা লড়াই চালানো স্পেলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে ১৯তম ওভার পর্যন্ত পাড়ি দিতে হয় সফরকারীদের। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার দিলারা আক্তারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। মুর্শিদা খাতুনকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতেই ৪৬ রান তোলেন দিলারা। তবে দারুণ শুরুর পর ৮ বলে ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন এই দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লের পর সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে রান আউটে কাটা পড়ে ফেরেন মুর্শিদা। এরপরের ওভারেই দারুণ শুরু পাওয়া দিলারাকে ফেরান রেনুকা সিং। ২৭ বলে ৫ চারের মারে ৩৯ রান করছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। 

পরে সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে সেই ধাক্কা সামলে এগোন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তবে ১৪তম ওভারে ফের রান আউটের ধাক্কা। সেখানে ১৫ রান করে ফেরেন সোবহানা। এবং দলীয় ১০৮ রানে মাথায় ফেরেন জ্যোতিও। ৩৬ বলে তিনি করেন ২৮ রান। দিলারা-সোবহানা-জ্যোতি বাদে এদিন ২২ গজে নামা বাকি ৬ ব্যাটারের কেউই পেরোতে পারেননি ১০ রানের গণ্ডি। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রাধা যাদব।  

দাপুটে জয়ে নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসে ৩৮ বলে ৮ চারের মারে ৫১ রান করা শেফালি জেতেন ম্যাচসেরার খেতাব। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড: (তৃতীয় টি-টোয়েন্টি)

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল: ১১৭/৮ (২০ ওভার) (দিলারা ৩৯, নিগার ২৮; রাধা ২/২২, শ্রেয়াঙ্কা ১/২৪)

ভারত নারী ক্রিকেট দল: ১১৮/৩ (১৮.২ ওভার) (শেফালি ৫১, মান্ধানা ৪৭; রিতু ১/১০, রাবেয়া ১/২৪)

ফলাফল: ভারত ৭ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: ভারত ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে

ম্যাচসেরা: শেফালি ভার্মা

;

ভারতের সামনে জ্যোতিদের ১১৮ রানের সহজ লক্ষ্য



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিজের শুরুর দুই ম্যাচে হারের মূল ধাক্কাটাই ছিল ব্যাটিংয়ে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজে ২-০ তে পিছিয়ে পড়ার পর সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি হয়ে দাঁড়ায় বাঁচা-মরার। সেখানেও টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। সেখানে শক্তিশালী ভারতকে থামাতে পরিস্থিতি দাবী করছিল বড় সংরহের। সেখানে দিলারা-জ্যোতিদের ব্যাটে চড়ে শুরুটা ভালো পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে ফের আরও একবার মিডল-অর্ডার ব্যাটারদের হতশ্রী পারফর্মে রানের ১১৭ রানে মামুলি সংগ্রহ নিয়েই ইনিংস শেষ করতে হয় বাংলাদেশকে। 

ইনিংসের শুরুর ১৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড ছিল ২ উইকেটে ৮৩ রান। সেখান থেকে শেষ ৪২ ওভারে ৩৪ রান তুলতেই আরও ৬টি উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার দিলারা আক্তারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। মুর্শিদা খাতুনকে নিয়ে আগের দুই ম্যাচের টপ-অর্ডার ব্যর্থতা ছাপিয়ে ওপেনিং জুটিতেই ৪৬ রান তোলেন দিলারা। তবে দারুণ শুরুর পর ৮ বলে ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন এই দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লের পর সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে রান আউটে কাটা পড়ে ফেরেন মুর্শিদা। এরপরের ওভারেই দারুণ শুরু পাওয়া দিলারাকে ফেরান রেনুকা সিং। ২৭ বলে ৫ চারের মারে ৩৯ রান করছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। 

পরে সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে সেই ধাক্কা সামলে এগোতে থাকেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তবে ১৪তম ওভারে ফের রান আউটের ধাক্কা। সেখানে ১৫ রান করে ফেরেন সোবহানা। এবং দলীয় ১০৮ রানে মাথায় ফেরেন জ্যোতিও। ৩৬ বলে তিনি করেন ২৮ রান। দিলারা-সোবহানা-জ্যোতি বাদে এদিন ২২ গজে নামা বাকি ৬ ব্যাটারের কেউই পেরোতে পারেননি ১০ রানের গণ্ডি। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রাধা যাদব।  



;

জুনায়েদ সিদ্দিকীকে নিয়ে কানাডার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল ঘোষণা 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সবশেষ ২০১১ সালে যৌথভাবে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা আয়োজিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলছিল কানাডা। এরপর আর এক যুগ সময়ে কোনো বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারেনি নর্থ আমেরিকার দেশটি। তবে লম্বা সময়ের সেই খরা কাটিয়ে এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টুর্নামেন্টটির ঠিক এক মাসে নিজেদের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলও ঘোষণা করলো কানাডা। 

কানাডা ঘোষণা করা ১৫ সদস্যের দলের নেতৃত্বে আছেন সাদ বিন জাফর। দলে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা একমাত্র ক্রিকেটার কানওয়ারপাল তাথগুর। দলে জায়গা মিলেছে ৩৯ বছর বয়সী পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত জুনায়েদ সিদ্দিকীর। পাকিস্তানের করাচিতে জন্মগ্রহণ করা এই অলরাউন্ডারের কানাডা জাতীয় দলে অভিষেকটা ২০১১ সালে।  

এদিকে কানাডার এই দলটি বয়স্ক ক্রিকেটারে ঠাসা। হর্ষ ঠাকের, নিকোলাস কির্তন ও দিলপ্রীত বাজওয়া বাদে দলের বাকি ১২ সদস্যের বয়সই ৩০-এর ঊর্ধ্বে। 

প্রথমবারের মতো ২০ দলের এই টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডে বেশ কঠিন পরীক্ষার সমানে পড়তে হবে কানাডাকে। নর্থ আমেরিকার এই দেশটি আছে গ্রুপ ‘এ’-তে, যেখানকার বাকি চার দল ভারত, পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড এবং আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আগামী ২ জুন টুর্নামেন্টের মুলপর্বের উদ্বোধনী ম্যাচে নামবে সাদ জাফরের দলটি। 

কানাডার বিশ্বকাপ দল: সাদ বিন জাফর (অধিনায়ক), অ্যারন জনসন, দিলন হেইলিগার, দিলপ্রীত বাজওয়া, হর্ষ ঠাকের, জেরেমি গর্ডন, জুনায়েদ সিদ্দিকী, কলিম সানা,  কানওয়ারপাল তাথগুর, নবনীত ধালিওয়াল, নিকোলাস কিরটন, পরগত সিং,  রবীন্দরপাল সিং,  রায়ানখান পাঠান, শ্রেয়াস মোভা। 

রিজার্ভ: তাজিন্দর সিং (ট্রাভেলিং রিজার্ভ), আদিত্য ভারধরাজন, আমার খালিদ, পারভিন কুমার, যতীন্দ্র মাথারু।

;

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের শুরুটা হয়েছিল হার দিয়েই। ৪৪ রানে সেই হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও সফরকারীদের বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে ১৯ রানে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে আজকের (বৃহস্পতিবার) তৃতীয় ম্যাচটি জ্যোতি-নাহিদাদের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে সিরিজ বাঁচানোর। 

সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে ভারতের নারী ক্রিকেট দল। আজকের ম্যাচটিতে জিতলেই দুই ম্যাচ হাত রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করবে হারমানপ্রীতের দল। এতেই সিরিজ বাঁচাতে এবং নিজেদের ফেরাতে এই ম্যাচ নিশ্চিত জয় প্রয়োজন বাংলাদেশের। সেই ম্যাচে স্বাগতিকদের ম্যাচের শুরুটা অবশ্য টসের হার দিয়ে। সেখানে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। 

বাংলাদেশের একাদশে এসেছে এক পরিবর্তন। সুলতানা খাতুনের পরিবর্তে একাদশে জায়গা মিলেছে শরিফা খাতুনের। 

বাংলাদেশ একাদশ: নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, দিলারা আক্তার দোলা, সোবহানা মোস্তারি, মুর্শিদা খাতুন, রিতু মনি, রাবেয়া খান, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, শরিফা খাতুন, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা।

;