বাংলাদেশকে ২০০ রানের মধ্যে আটকাতে চায় নিউজিল্যান্ড



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃষ্টি, আলোকস্বল্পতা আর ভেজা আউটফিল্ডে একের পর এক সেশন বাতিল। এসবের পরও আলোচনার কেন্দ্রে মিরপুরের উইকেট। কখনো স্পিন তো পেসারদের প্রতি উদার মিরপুরের রহস্যঘেরা উইকেট। টেস্টের প্রথম দিনে স্পিনারদের দু’হাত ভরে উইকেট দেয়া মিরপুরের আজ পেসারদের প্রতিও কিছুটা সদয় হয়েছে। যে উইকেটকে ব্যাটারদের জন্য মৃত্যুকূপ ভাবা হচ্ছিল, সেখানে আক্রমণাত্মক ঢংয়ে ব্যাট চালিয়ে সফল হয়েছেন গ্লেন ফিলিপস।

দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাই হাজির সেই ফিলিপসই। কোন পরিকল্পনায় ব্যাটিং করে এমন ‘কঠিন’ উইকেটে ৭২ বলে ৮৭ রান করেছেন - এই প্রশ্নের জবাব ফিলিপস দিলেন এভাবে, ‘আমি স্রেফ যত বেশি সম্ভব ব্যাট দিয়ে খেলতে খেলতে চেয়েছি, বিষটা আমি যতটা কার্যকরিভাবে সম্ভব, নিয়েছি। এটা বুঝে গিয়েছিলাম যে তারা অনেক ভালো বল করবে। সে বলগুলোরই আমি মুখোমুখি হয়েছি। এই পরিকল্পনাতেই যতটা পরিষ্কারভাবে আটকে থাকা যেত, আমি থাকতে চেষ্টা করেছি। কিছুটা টার্ন আর বাউন্স থাকবে, এটা মেনে নিয়েছিলাম, সেটাতে উইকেট না দিয়ে যতটা সম্ভব শান্ত থাকতে চেষ্টা করেছি, মাথাটা পরিষ্কার রাখতে চেষ্টা করেছি।’

পুরো একদিন বৃষ্টি আর তারপর আর্দ্র কন্ডিশনে উইকেটের বর্তমান অবস্থা কি? এই প্রশ্নের উত্তরও মিলল ফিলিপসের কথায়, ‘আমার মনে হয় এটা প্রথম দিনের মতোই আছে। স্পিন আছে একটু, স্কিড করছে একটু। এর কারণে কাজটা কঠিন হয়েছে অবশ্যই। যেভাবে দুই দল ব্যাট করেছে তাতে অনেক ঝুঁকি ছিল। আমরা এটা বুঝেছিলাম যে এখানে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক বলই খেলতে পারব, রানগুলো তার থেকেই করতে হবে।’

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, এমন উইকেটে ম্যাচ জিততে বা অন্তত লড়াই করতে কত রান যথেষ্ট হতে পারে। ফিলিপস রানের রেঞ্জ বলতে কার্পণ্য করলেন না, ‘উইকেটটা যদি না বদলায়, কভারের নিচে পুরো ম্যাচেই একরকম থাকবে উইকেটটা, তাতে আমি বলব, ১৮০-২০০ রানের আশেপাশে যে কোনো কিছুই ভালো স্কোর হবে, তাড়া করাটাও কঠিন হবে।’

আর তাই বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২০০ রানের মধ্যেই বেঁধে ফেলতে বদ্ধপরিকর এই কিউই ব্যাটার, ‘তাদের ২০০ রানের নিচে আটকে রাখতে পারলে আমি বেশ খুশিই হবো।’

উল্লেখ্য, টস জিতে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৭২ রান করে। জবাব দিতে নেমে বৃষ্টিবিঘ্নিত ইনিংস ১৮০ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৮ ওভারে ২ উইকেটে ৩৮ রান স্কোরবোর্ডে জমা করেছে। লিড পেয়েছে ৩০ রানের।

   

১১০ ভাগ দিচ্ছেন তাসকিন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাটারদের তেমন কোনো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি। কারণ সিকান্দার রাজাদের ১২৪ রানে আটকে দিয়ে বোলাররা আগেই জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনরা নাচিয়ে ছেড়েছেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের। এই দুই পেসারই তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। ১৫ রানে ৩ উইকেট নেয়া সাইফউদ্দিনের চেয়ে ১ রান কম খরচায় সমান উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তাসকিন।

ম্যাচসেরা হয়ে উচ্ছ্বসিত তাসকিনের মুখে পুরো বোলিং বিভাগের জন্য প্রশংসা ঝরেছে, ‘প্রথমত আমরা আজ দারুণ জয় পেয়েছি, বল হাতে ভালো শুরু পেয়েছি। আমরা বেসিক কাজটা ঠিকঠাক করেছি, সে কারণেই পুরস্কৃত হয়েছি। গত কয়েক সপ্তাহ সবাই কঠোর অনুশীলন করছে, সেই ফল পাচ্ছে। প্রত্যেকেই নিজেদের উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শতভাগের চেয়েও বেশি দিয়েছেন জানিয়ে তাসকিন যোগ করেন, ‘১১০ শতাংশ দিচ্ছি। আমরা দারুণ একটা ম্যাচ খেলেছি, সামনেও এটা ধরে রাখার চেষ্টা করব।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজটিকে আদতে জুনে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেই দেখা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে শুরুটা দারুণ হয়েছে বাংলাদেশের। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

;

পিঠের চোটে ভুগছেন রোহিত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওয়াংখেড়েতে আইপিএলের গতকালের (শুক্রবার) ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স হেরে গেছে ২৪ রানে। ম্যাচে ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে খেলেছেন মুম্বাইয়ের সাবেক অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে খেলে অবশ্য খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ইনিংস শুরু করতে নেমে ১২ বলে করেছে ১১ রান। তার দল কলকাতার দেয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গুটিয়ে ১৪৫ রানে।

ম্যাচে কেন ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে খেলেছেন রোহিত? ম্যাচ শেষে এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মুম্বাইয়ের স্পিনার পীযুষ চাওলা। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পীযুষ জানান, ‘তার (রোহিত) পিঠে কিছুটা সমস্যা আছে। তাই সতর্কতা হিসেবে ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে খেলেছে।’

ভারতের ক্রিকেটভক্তদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে রোহিতের এই চোটের খবর। আইপিএলের পরপরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে ভারতকে। বিশ্বকাপে দেশটির নেতৃত্ব দেবেন রোহিত। ভারতের সমর্থকরা নিশ্চয়ই প্রার্থনা করছে, রোহিতের পিঠের এই পীড়া যেন দ্রুতই সেরে যায়।

;

এক যুগ পর ডর্টমুন্ডের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানছেন রয়েস



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জার্মান ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সমর্থকদের সবচেয়ে প্রিয় খেলোয়াড়দের তালিকা করলে খুব সম্ভবত ওপরের দিকেই থাকবে মার্কো রয়েসের নাম। শুধু ডর্টমুন্ড কেন, ফুটবলের অন্যতম ভদ্র ও দর্শকপ্রিয় খেলোয়াড়দের মধ্যেও নিশ্চিতভাবেই থাকবে তার নাম।

টানা ১২ বছর এই ক্লাবের জন্য নিজের সেরাটা দিয়ে খেলেছেন, নিজেকে নিয়ে গেছেন ডর্টমুন্ডের কিংবদন্তির তালিকায়। তবে চলতি মৌসুম শেষে প্রিয় এই ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি ঘটাচ্ছেন এই জার্মান তারকা ফুটবলার, এমনটাই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

ক্লাবের পক্ষ থেকে গতকাল (শুক্রবার) আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, ডর্টমুন্ডের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াচ্ছেন না রয়েস। ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবটির হয়ে ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ ৪২৪ টি ম্যাচ খেলা ফুটবলার তিনি। এছাড়াও ১৬৮ গোলের সঙ্গে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন এই অ্যাতাকিং মিডফিল্ডার।

ডর্টমুন্ডের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে পোস্ট করা ভিডিও বার্তায় রয়েস বলেছেন, ‘প্রিয় ডর্টমুন্ডের ভক্তরা, দারুণ এই স্টেডিয়ামে আমি ১২ বছর খেলার সুযোগ পেয়েছি। জীবনের অর্ধেক সময়ই আমি এই ক্লাবকে দিয়েছি। অনেক উত্থান-পতন গেছে। তবে ভালো সময়গুলোই মনে আছে। ক্লাব এবং আমি নিজের চুক্তির মেয়াদ না বাড়াতে সম্মত হয়েছি। এই ক্লাবে অনেক বছর খেলতে পেরে আমি খুবই গর্বিত। এই মুহূর্তে আসলে কী বলা উচিত, তার জন্য সঠিক শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না। তবে ভক্তদের এটা জানা দরকার, সামনে আরও বড় লক্ষ্য আছে আমাদের। আমরা ওয়েম্বলিতে যেয়ে আবারও ট্রফি নিয়ে আসতে চাই।‘

হলুদ-কালো জার্সি গায়ে রয়েস দুইবার জার্মান কাপ জিতেছেন। এছাড়াও ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলেছেন। যদিও ইউসিএলের ট্রফিটা কখনও উঁচিয়ে ধরা হয়নি তার। চলতি আসরে তার দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে, ইতোমধ্যে প্রথম লেগে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠার জন্য এগিয়ে আছে। ক্লাবে নিজের শেষটা এবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরেই করতে চান রয়েস।

;

নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জুনে পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। যেখানে স্বাগতিক হিসেবে যৌথভাবে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল (শুক্রবার) বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে ক্যারিবিয়রা। এরপর রাতে আরেক স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রও প্রকাশ করল তাদের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড।

বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে যুক্তরাষ্ট্র। এই সিরিজের জন্যও সেই একই স্কোয়াড নিয়েই মাঠে নামবে তারা এমনটাই জানানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট বোর্ড থেকে।

ঘরের মাটিতে দলকে এবার নেতৃত্ব দিবেন মোনাক পাটেল। এছাড়াও স্কোয়াডের উল্লেখযোগ্য নামের মধ্যে আছে কোরি অ্যান্ডারসন। তিনি সদ্য নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দলে পাড়ি জমিয়েছেন। এমনকি নিউজিল্যান্ডের হয়ে এর আগে বিশ্বকাপেও খেলেছেন তিনি।

বাংলাদেশের বিপক্ষে স্বাগতিকদের সিরিজটি শুরু হবে আগামী ২১ মে। পরের দুটি ম্যাচ ২৩ ও ২৫ মে। সবকটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে টেক্সাসের হিউস্টনে, প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে।

যুক্তরাষ্ট্র স্কোয়াডঃ

মোনাঙ্ক পাটেল (অধিনায়ক), অ্যারন জোন্স (সহ-অধিনায়ক), আড্রিস গাউস, কোরি অ্যান্ডারসন, আলি খান, হারমিত সিং, জেসি সিং, মিলিন্দ কুমার, নিসর্গ পাটেল, নিতিশ কুমার, নসথুশ কেনজিগি, সৌরভ নেত্রাভালকার, শেডলি ফন শলকউইক, স্টিভেন টেইলর, শায়ান জাহাঙ্গীর।

রিজার্ভ: গজানন্দ সিং, জুনোয় ড্রাইড্যাল এবং ইয়াসির মোহাম্মদ।

;