দশম থেকে এখন তৃতীয় দামি ক্লাব মেসির মায়ামি
লিওনেল মেসি। এই নামই এখন বিশ্বের অন্যতম ব্যান্ড। বিশেষ করে ফুটবল বিশ্বে। মেসি যেখানেই যান সেখানেই যেন শুরু হয় ফুটবলের নতুন এক অধ্যায়। যার সহজ পরিলক্ষণ এখন আমেরিকার মেজর লিগ সকার (এমএলএস)।
এই প্রথমবারের মতো শত কোটি ডলার ছাড়িয়েছে মেসির ইন্টার মায়ামির বাজারমূল্য। এতে আগের মৌসুমে এমএলএসের দশম দামি ক্লাব থেকে এবার সোজা তৃতীয় অবস্থানে ফ্লোরিডার দলটি। খেলাধুলার তথ্য-উপাত্ত নিয়ে গবেষণা ও বিশ্লেষণের কাজ করা প্রতিষ্ঠান ‘স্পোর্টিকো’ এর তথ্য অনুযায়ী মায়ামির বাজারমূল্য এখন ১০২ কোটি ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১১ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। তালিকায় মায়ামির ওপরে কেবল লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি (১১৫ কোটি ডলার) ও আটলান্টা ইউনাইটেড (১০৫ কোটি ডলার)।
এ বছরে সবচেয়ে দামি ক্লাবের তালিকায় শীর্ষে না পৌঁছালেও উন্নতির অঙ্কের হিসেবে সবার ওপরে মায়ামিই। আগের বছর থেকে শীর্ষে দুইয়ে থাকা লস অ্যাঞ্জেলেস ও আটলান্টা ইউনাইটেডের দাম যেখানে বেড়েছে ২৮ ও ২৩ শতাংশ, সেখানে মায়ামির বেড়েছে ৭৪ শতাংশ। এতে বলাই যায়, সামনে সময়ে সবাইকে ছাড়িয়ে যেতে চলেছে মেসির এই মায়ামি।
দুই মার্কিন হোর্হে মাস ও হোসে মাসের সঙ্গে ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা ফুটবলার ডেভিড বেকহাম, এই তিনে মিলে ২০১৮ সালে গড়ে তোলেন ইন্টার মায়ামি। তবে পাঁচ বছরে তেমন চোখে পড়ার মতো কিছু করতে পারেনি ক্লাবটি। যা সহসাই বদলেছে এক মেসি নাম যুক্ত হওয়ার। গত বছরের জুলাইয়ে ইউরোপ পাট চুকিয়ে নতুন গন্তব্য হিসেবে মায়ামিকে বেছে নেন মেসি। এবং একইসঙ্গে ভাগ্য যেন বেছে নেয় মায়ামিকে। আগামী ২৯ জানুয়ারি ক্লাবটির ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এর দিন দুই আগেই নিজেদের অর্ধযুগ বয়সে পা দেওয়ার আগে ক্লাব পেল বড় সুখবর। তর্কের জেরে এই সুখবরটা বলা যায় এই মেসির সুবাদেই।