রোমাঞ্চকর ফাইনাল জিতে ইসলামাবাদের তৃতীয় শিরোপা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনালে মুলতান সুলতানসকে হারাতে শেষ ওভারে ৮ রান প্রয়োজন ছিল ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের। বল হাতে মুলতানের মোহাম্মদ আলি, আর ব্যাটিংয়ে ইসলামাদের আগের তিন ম্যাচের জয়ের নায়ক ইমাদ ওয়াসিম। প্রথম চার বলে আসে ৭ রান নিয়ে জয়ের পথ সহজ করে নেয় ইসলামাবাদ।

কিন্তু ফাইনালে রোমাঞ্চ না হলে কী চলে! শিরোপা জিততে শেষ ২ বলে যখন ১ রান চাই ইসলামাবাদের, তখন পঞ্চম বলে সাজঘরে ফিরলেন নাসিম শাহ। শেষ বলে ব্যাটিং এন্ডে আনকোরা হুনাইন শাহ। মোহাম্মদ আলির করা শেষ বলে চার হাঁকিয়ে দলকে শিরোপা এনে দেন এই টেল-এন্ডার ব্যাটার।

সুলতানদের বিপক্ষে ২ উইকেটের এই জয়ে টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি তিন শিরোপা বগলদাবা করল ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। অন্যদিকে আরও একবার হতাশায় পুড়তে হল মোহাম্মদ রিজওয়ানের দলকে। ২০২১ সালে নিজেদের প্রথম শিরোপা জয়ের পর টানা তিন আসরে ফাইনালে উঠে তিনবারই হারের মুখ দেখল তারা।

এদিকে পিএসএলের প্রথম আসর ২০১৬-তে শিরোপা জিতেছিল ইসলামাবাদ। এরপর ২০১৮ আসরেও জিতে সবশেষ পাঁচ আসরে পায়নি শিরোপার দেখা। সেই খরা কাটিয়ে নিজেদের শিরোপা ক্যাবিনেটে তৃতীয়টি যোগ করলো ফ্রাঞ্চাইজিটি।

করাচিতে ফাইনালে আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় মুলতান। ১৪ রানেই ২ উইকেট হারানোর পর উসমান খানের দলীয় সর্বোচ্চ ৫৭ এবং শেষদিকে ইফতিখার আহমেদের ৩২ রানের ইনিংসের জবাবে ৯ উইকেটে ১৫৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় মুলতান।

সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ঝোড়ো পেলেও মাঝে এসে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ইসলামাবাদ। ওপেনিংয়ে নেমে মার্টিন গাপটিলের পর ৫০ রানের পর আজম খানের ৩০ এবং শেষের এসে আরও একবার ক্যামিও ইনিংসে দলের জয়ের ভূমিকা রাখলেন ইমাদ (১৯*)। এতে ম্যাচসেরা হ্যাটট্রিক করলেন এই অলরাউন্ডার। প্রথম এলিমিনেটর, দ্বিতীয় এলিমিনেটরের পর ফাইনালে ম্যাচসেরার খেতাব ইমাদের দখলেই। এদিকে আসরজুড়ে ব্যাট হাতে ৩০৫ রান ও বোলিংয়ে ১৪ উইকেটের ভরে টুর্নামেন্ট সেরার খেতাব জেতেন শিরোপা জয়ী দলের কাপ্তান শাদাব খান।

   

জ্যোতিদের সামনে ভারতের ১৪৬ রানের চ্যালেঞ্জ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধারহীন বোলিং, হতশ্রী ফিল্ডিং। এই দুইয়ে মিলে ইনিংসের শুরুর ১৩ ওভারে ভারতের কাছে তেমন পাত্তা পায়নি বাংলাদেশের মেয়েরা। ১২ ওভার ৫ বলেই ২ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান তুলে ফেলে হারমানপ্রীতের দল। পরে শেষ দিকে রাবেয়া খানের ঘূর্ণিতে ম্যাচ কিছু সময়ের জন্য নিজেদের দিকে নিতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা। অবশ্য শুরুর সেই দাপ্ট ধরেই শেষে এসে ভালো সংগ্রহে পৌঁছে যায় ভারত। জয়ের জন্য জ্যোতিদের তাই ছাড়িয়ে যেতে হবে সফরকারীদের ১৪৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য।

শেষ ৭ ওভারে স্রেফ বলের সমানই রান তুলতে পেরেছে ভারতের নারী ক্রিকেট দল। অর্থাৎ, ১৩ ওভারে ১০৩ রান থেকে শেষ ৪২ বলে ৪২ রান তুলতে পেরেছে সফরকারীরা। এর মধ্যে শেষ ওভারে স্রেফ ২ রান দিয়ে জোড়া উইকেট শিকার করেছেন মারুফা আক্তার। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। সেখানে দ্বিতীয় ওভারেই দলটির তারকা ব্যাটার স্মৃতি মান্ধানার উইকেট তুলে নিতে পারতো বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৯ রানের মাথায় এই বাঁহাতি ব্যাটারের সহজ এক ক্যাচ ছেড়ে দেন ফারিহা তৃষ্ণা। অবশ্য পরের ওভারেই সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন তিনি। দলীয় ১৮ রানের মাথায় বোল্ড করে ফিরিয়েছেন মান্ধানাকে। 

সেই চাপ সামলে যস্তিকা ভাটিয়াকে নিয়ে ৪৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন শেফালি ভার্মা। অষ্টম ওভারে এসে এবার শেফালিকে ফেরান রাবেয়া। পরে দারুণ ছন্দে যস্তিকাকেও ফিরিয়েছেন তিনি। স্কোরবোর্ডে তখন ৪ উইকেটে ১০৮ রান। সেখানেই ম্যাচ নিজেদের দিকে করে নেয় বাংলাদেশ। যস্তিকার আগে ৩০ রান করে ফেরেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত। বাকি কেউই আর স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারেননি তেমন কিছু।  

;

বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ে পাঠিয়েছে ভারত



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরই মেয়েদের টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসর বসবে বাংলাদেশের মাটিতে। আর তার আগে বাংলাদেশের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বাংলাদেশ সফরে এসেছে ভারতীয় নারী দল। সফরে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে তারা। যার প্রথমটি মাঠে গড়াচ্ছে আজ। যেখানে টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর।

এর আগে সবশেষ জুলাই মাসেই মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারত। সেই সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এরপর কদিন আগে ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে বাংলাদেশ। অবশ্য সবশেষ সিরিজে হারতে হয়েছে ভারতেও। তাদের বিপক্ষেও প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। তাই দু’দলের সামনেই সুযোগ জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করে এগিয়ে যাওয়ার।

ভারত একাদশ: হরমনপ্রীত কৌর (অধিনায়ক), স্মৃতি মান্ধানা, ইয়াস্তিকা ভাটিয়া, দীপ্তি শর্মা, শেফালি ভার্মা, সাজনা সজীবন, রিচা ঘোষ, পূজা ভাস্ত্রকার, রেণুকা সিং ঠাকুর, শ্রেয়াঙ্কা পাতিল, রাধা যাদব।

বাংলাদেশ একাদশ: নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, দিলারা আক্তার দোলা, সোবহানা মোস্তারি, মুর্শিদা খাতুন, ঝর্ণা আক্তার, রাবেয়া, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, সুলতানা খাতুন, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা।

;

ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ এখন পাকিস্তানের



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেকটা অনুমেয়ই ছিল পাকিস্তানের কোচ হতে যাচ্ছেন জেসন গিলেস্পি ও গ্যারি কার্স্টেন। এরপরও দেশটা পাকিস্তান বলেই শেষ ঘোষণা না আসা পর্যন্ত শঙ্কা থাকেই। অবশেষে সেই শঙ্কায় দূর হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড পিসিবি।

অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি পেসার জেসন গিলেস্পিকে টেস্ট কোচ করা হয়েছে। অন্যদিকে সাদা বল অর্থাৎ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ২০১১ সালে ভারতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতানো দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ গ্যারি কার্স্টেনকে। অন্যদিকে সদ্য শেষ হওয়া নিউজিল্যান্ড সিরিজে সাময়িকভাবে দায়িত্ব সামলানো আজহার মাহমুদকে সব ফরম্যাটেই সহকারী কোচ হিসেবে রাখা হয়েছে। আর এই তিন জনকেই আগামী দুই বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে পিসিবি।

আসছে জুন মাসেই বসবে টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসর। আর সেই আসরের আগেই পাকিস্তান দলের ইংল্যান্ড সফরে দলের দায়িত্ব নেবেন কার্স্টেন। যেখানে তার অধীনে ২২ মে চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। যা হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। এরপর সেখান থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে বিমান ধরবে পাকিস্তান দল। অন্যদিকে পাকিস্তানের টেস্ট কোচ হিসেবে গিলেস্পির যাত্রা শুরু হবে আগস্টে। যেখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে পাকিস্তান দল।

এই তিন কোচের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পিসিবি প্রধান মহসিন নকভি বলেন, ‘তাদের তিন জনেরই দুর্দান্ত রেকর্ড আছে। আমি তাদের পাকিস্তান ক্রিকেট পরিবারে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। জেসনের কোচিং ক্যারিয়ার দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় পর্যায়েই সাফল্যের ছিল। তাকে খেলোয়াড়দের উন্নয়ন এবং দলের পারফরম্যান্সের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে গ্যারির কোচিং ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। তার জয়ী মানসিকতা, সেই সঙ্গে তরুণ প্রতিভা বিকাশ করার ক্ষমতা রয়েছে। খেলার সর্বোচ্চ স্তরে সাফল্য অর্জন করেছে সে, তাকে ক্রিকেটের সবচেয়ে সম্মানিত এবং ডিমান্ডেবল কোচদের একজন করে তোলেছে।’

;

লিগ শিরোপা জেতার অপেক্ষা বাড়ল পিএসজির



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রেঞ্চ লিগের নিচের সারির দল লে হাভ্রের সঙ্গে টেবিল টপার পিএসজির ম্যাচ, তাও আবার পিএসজির ঘরের মাঠে। এই ম্যাচে দাপটের সঙ্গে জয় তুলে নিবে স্বাগতিকরা, তা দেখা ছিল সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তবে সবাইকে অবাক করে পিএসজিকে রুখে দিল লে হাভ্রে, ৩-৩ গোলের সমতায় শেষ হলো ম্যাচ।

চলতি মৌসুমের ফ্রেঞ্চ লিগ শিরোপা নিশ্চিতই বলা যায় পিএসজির। তবে এই ম্যাচে পূর্ণ পয়েন্ট আদায় করতে পারলেই আনুষ্ঠানিকভাবে লিগ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা যেত লুইস এনরিকের দলকে। তবে হতাশাজনক এই ড্রয়ের পর সেই অপেক্ষা আরেকটু বাড়ল তাদের।

এদিন ম্যাচের ১৯তম মিনিটে প্রথম গোল হজম করে পিএসজি। মিনিট দশেক পরে তা শোধ করেন ব্র্যাডলি বারকোলা। বিরতির আগে আবারও এগিয়ে যায় লে হাভ্রে।

বিরতির পরই দেম্বেলের পরিবর্তে দলকে উদ্ধার করতে মাঠে নামেন কিলিয়ান এমবাপে। ৬১তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় সফরকারীরা। ম্যাচ হাত থেকে ছুটে যেতে থাকায় গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। ৭৯তম মিনিটে পিএসজির হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন হাকিমি। এক গোলে পিছিয়ে থেকেই হারতে যাচ্ছে পিএসজি বেশিরভাগ দর্শকরা তাই ধরে নিয়েছিল।

তবে যোগ করা সময়ের শেষ মুহুর্তে এসে দলের হয়ে সমতাসূচক গোলটি করেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস। ফলে ৩-৩ গোলে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়ে পিএসজি। এই ড্রয়ের পর ৩১ ম্যাচে ৭০ পয়েন্টের সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ্বেই আছে এমবাপেরা। তবে কাগজে-কলমে এখনো দুইয়ে থাকা মোনাকোর লিগ জয়ের সম্ভাবনা আছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে পিএসজিকে বিজয়ী ঘোষণা করা যাচ্ছে না।

;