রোমাঞ্চকর ফাইনাল জিতে ইসলামাবাদের তৃতীয় শিরোপা
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনালে মুলতান সুলতানসকে হারাতে শেষ ওভারে ৮ রান প্রয়োজন ছিল ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের। বল হাতে মুলতানের মোহাম্মদ আলি, আর ব্যাটিংয়ে ইসলামাদের আগের তিন ম্যাচের জয়ের নায়ক ইমাদ ওয়াসিম। প্রথম চার বলে আসে ৭ রান নিয়ে জয়ের পথ সহজ করে নেয় ইসলামাবাদ।
কিন্তু ফাইনালে রোমাঞ্চ না হলে কী চলে! শিরোপা জিততে শেষ ২ বলে যখন ১ রান চাই ইসলামাবাদের, তখন পঞ্চম বলে সাজঘরে ফিরলেন নাসিম শাহ। শেষ বলে ব্যাটিং এন্ডে আনকোরা হুনাইন শাহ। মোহাম্মদ আলির করা শেষ বলে চার হাঁকিয়ে দলকে শিরোপা এনে দেন এই টেল-এন্ডার ব্যাটার।
সুলতানদের বিপক্ষে ২ উইকেটের এই জয়ে টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি তিন শিরোপা বগলদাবা করল ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। অন্যদিকে আরও একবার হতাশায় পুড়তে হল মোহাম্মদ রিজওয়ানের দলকে। ২০২১ সালে নিজেদের প্রথম শিরোপা জয়ের পর টানা তিন আসরে ফাইনালে উঠে তিনবারই হারের মুখ দেখল তারা।
এদিকে পিএসএলের প্রথম আসর ২০১৬-তে শিরোপা জিতেছিল ইসলামাবাদ। এরপর ২০১৮ আসরেও জিতে সবশেষ পাঁচ আসরে পায়নি শিরোপার দেখা। সেই খরা কাটিয়ে নিজেদের শিরোপা ক্যাবিনেটে তৃতীয়টি যোগ করলো ফ্রাঞ্চাইজিটি।
করাচিতে ফাইনালে আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় মুলতান। ১৪ রানেই ২ উইকেট হারানোর পর উসমান খানের দলীয় সর্বোচ্চ ৫৭ এবং শেষদিকে ইফতিখার আহমেদের ৩২ রানের ইনিংসের জবাবে ৯ উইকেটে ১৫৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় মুলতান।
সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ঝোড়ো পেলেও মাঝে এসে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ইসলামাবাদ। ওপেনিংয়ে নেমে মার্টিন গাপটিলের পর ৫০ রানের পর আজম খানের ৩০ এবং শেষের এসে আরও একবার ক্যামিও ইনিংসে দলের জয়ের ভূমিকা রাখলেন ইমাদ (১৯*)। এতে ম্যাচসেরা হ্যাটট্রিক করলেন এই অলরাউন্ডার। প্রথম এলিমিনেটর, দ্বিতীয় এলিমিনেটরের পর ফাইনালে ম্যাচসেরার খেতাব ইমাদের দখলেই। এদিকে আসরজুড়ে ব্যাট হাতে ৩০৫ রান ও বোলিংয়ে ১৪ উইকেটের ভরে টুর্নামেন্ট সেরার খেতাব জেতেন শিরোপা জয়ী দলের কাপ্তান শাদাব খান।