রান রেকর্ড ও ছক্কা বৃষ্টির ম্যাচে সানরাইজার্সের জয়



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইনিংস শেষে স্কোরবোর্ডে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান। আপনি যদি ম্যাচটা না দেখে থাকেন তাহলে প্রথম দেখায় আপনার এটাই মনে হবে ওয়ানডে হিসেবে সংগ্রহটা মন্দ নয়। তবে না, এটা কোনো ওয়ানডে ম্যাচের না টি-টোয়েন্টি ম্যাচের স্কোরকার্ড! অনন্য এক কীর্তি গড়ার দিনে আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের রেকর্ড এই সংগ্রহ গড়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। কথায় আছে, নাকে তেল দিয়ে ঘুমানো। পাহাড় সমান এই লক্ষ্য গড়ে হায়দরাবাদের এমনই কিছু চিন্তা করাটাই যেন কার্যত। তবে নিশ্চিন্ত আর থাকা হলো কোথায়! মুম্বাইও একটা সময় পর্যন্ত জবাব দিয়েছে সমান তালে। শেষ দিকে এসে পান্ডিয়ারা হারিয়েছে ট্র্যাক। আর এতেই রেকর্ড সংগ্রহ গড়ার রাতে ৩১ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে হায়দরাবাদ। 

দুই দলের মোট ৫২৩ রানের রান বন্যার এই ম্যাচে মোট বাউন্ডারি হয়েছে মোট ৬৯টি। এর মধ্যে দল দুটি ছক্কাই হাঁকিয়েছে ৩৮টি। ২০ বার বাউন্ডার লাইন উড়িয়ে পার করে ছক্কার জয় মুম্বাইয়ের হলেও ম্যাচ জয় সানরাইজারদের। 

হায়দরাবাদের মাঠে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বাই। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান তোলে হায়দরাবাদ। যা আইপিএলের ১৭ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আগের রেকর্ডটি ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২৬৩ রান করেছিল কোহলি-গেইলরা। যার এক দশক এপ্রিয়ে রেকদ এখন হায়দরাবাদের।

লক্ষ্য যখন বিশাল তখন ঝোড়ো শুরুর নেই বিকল্প। ঈশান কিষান ও রোহিত শর্মার ব্যাটে চড়ে শুরুটা তেমনই পেয়েছে মুম্বাই। দলীয় ৬৬ রানের মাথায় দুই ওপেনার সাজঘরে ফিরলেও রানের গতি ধরে ছিলেন তিলক ও নামান ধীর। রীতিমত তাণ্ডব চালিয়েছেন তিলক। ৩৪ বলে ২ চার ও ৬ ছক্কায় করেছেন দলীয় সর্বোচ্চ ৬৪ রান। 

১৪ ওভারেই সংগ্রহ পৌঁছে যায় ১৮২ রানে। শেষ ৬ ওভারে দরকার ৯৬ রান। তবে ১৫তম ওভারের প্রথম বলেই ফেরেন তিলক এবং ম্যাচ থেকেও যেন ছিটকে গেল তারা। শেষ পর্যন্ত রানের সেই গতি আর ধরে রাখতে পারেনি হার্দিক-ডেভিডরা। এতে পুরো ২০ ওভার খেলে ৫ উইকেটে মুম্বাইয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৪৬ রানে। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চার-ছক্কার রীতিমত বন্যা বইয়ে দেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। ব্যাটিং ঝড়ের শুরুটা আসে অস্ট্রেলিয়ার ২০২৩ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ট্রাভিস হেডের হাত ধরে। সেই ঝড়ের সুরে পরে তাল মেলান অভিষেক শর্মা, এইডেন মার্করাম ও হেনরিখ ক্লাসেন। 

দ্বিতীয় উইকেটে হেড-অভিষেকের ৬৮ রানের জুটিতে যেন সমান তালে রান তুলেছেন এই দুই বাঁহাতি ব্যাটার। হেড ২৪ বলে ৬২ রানে ফেরার পর অভিষেক ২৩ বলে করে ৬৩ রান। 

পরে চতুর্থ উইকেটে এসে রানের ঝড়ে আরও এক মাত্রা যোগ করে ক্লাসেন ও মার্করান। শেষ ৯ ওভারে ১১৬ রান যোগ করে দুই প্রোটিয়া সতীর্থ। সেখানে ৪২ রান করেন মার্করাম এবং ৩৪ বলে ৭ ছক্কায় ম্যাচে দলীয় সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন ক্লাসেন। শেষে ম্যাচ সেরার খেতাব সাজে তরুণ অভিষেক শর্মার হাতেই।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

সানরাইজার্স হায়দরাবাদঃ ২৭৭/৩ (২০ ওভার) (ক্লাসেন ৮০*, অভিষেক ৬৩, হেড ৬২; চাওলা ১/৩)

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সঃ ২৪৬/৫ (২০ ওভার) (তিলক ৬, ডেভিড ৪২*, রোহিত ৩৪; কামিন্স ২/৩৫)

ফলঃ ৩১ রানে জয়ী সানরাইজার্স

ম্যাচসেরাঃ অভিষেক শর্মা

   

বুমরাদের ধুলায় মিশিয়ে রানপাহাড়ে দিল্লি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে রানের ফোয়ারা ছুটছে। টি-টোয়েন্টিতে যেখানে কিছুদিন আগেও দুইশ রানকে বড়সড় সংগ্রহ ভাবা হত, সেই দুইশ রান বা তারও বেশি আড়াইশ ছাড়ানো স্কোরও এখন হাতে মোয়া। গত রাতেই যেমন টি-টোয়েন্টিতে ২৬২ রানের বিশ্বরেকর্ড রানতাড়ার কীর্তি দেখাল পাঞ্জাব কিংস। এবার নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ল দিল্লি। ঘরের মাঠে বুমরাদের ধুলায় মিশিয়ে ৪ উইকেটে ২৫৭ রানের পাহাড় গড়েছে তারা।

দিল্লীর অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় মুম্বাই। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলে দিল্লীর দুই ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক ও অভিষেক পোরেল। দুজনের মধ্যে মুম্বাইয়ের বোলারদের উপর বেশি চড়াও হন ফ্রেজার-ম্যাগার্ক। ইনিংসের প্রথম ওভারেই লুক উডকেই ছাতু বানিয়ে ১৯ রান তোলেন তিনি।

মাত্র ১৫ বলেই অর্ধশত রানের মাইলফলকে পৌঁছান। তার তাণ্ডবে পাওয়ার প্লে’তে বিনা উইকেটে ৯২ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে দিল্লি।

ফ্রেজার-ম্যাগার্ক যখন দুর্দান্ত গতিতে ছুটছেন তিন অঙ্কের দিকে, তখন তার সামনে অভিজ্ঞ স্পিনার পীযুষ চাওলা। তার গুগলিতে ডিপ মিডউইকেটে থাকা মোহাম্মদ নবীর হাতে ধরা পড়েন ফ্রেজার-ম্যাগার্ক। ফেরার আগে ২৭ বলে ১১ চার এবং ৬ ছক্কায় ৮৪ রান আসে তার ব্যাটে।

ফ্রেজার-ম্যাগার্ক সাজঘরের পথ ধরার পর কিছুটা শ্লথ হয় দিল্লীর রান তোলার গতি। নবীর করা দশম ওভারের চতুর্থ বলে স্টাম্পড হন অন্য ওপেনার অভিষেক (৩৬)।

তবে তিনে নামা ক্যারিবিয়ান ব্যাটার শাই হোপের ব্যাটে আবার ছন্দ খুঁজে পায় তারা। ১৭ বলে ৫ ছক্কায় ৪১ রান করেন তিনি। শেষদিকে ট্রিস্টান স্টাবসের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে আড়াইশ ছাড়িয়ে যায় দিল্লীর সংগ্রহ। ২৫ বলে ৬ চার এবং ২ ছয়ে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন স্টাবস।

মুম্বাইয়ের বোলারদের মধ্যে ৪ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন নবী, জশপ্রীত বুমরা, পীযুষ এবং লুক উড।

;

বেয়ারস্টো-নারাইনদের মহাকাব্যিক দ্বৈরথে যত রেকর্ড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলটা রীতিমত রান উৎসবের খেলায় পরিণত হয়েছে। দিনকে দিন ছাড়িয়ে যাচ্ছে সব রেকর্ড। ২৬০ এর বেশি রান হচ্ছে নিয়মিতই। এবার শুরু হয়েছে আড়াইশর বেশি রান তাড়ার মহড়া। পাঞ্জাব দেখালো ২৬১ রানও তাড়া করা সম্ভব। তাও আবার ৮ বল হাতে রেখে। কলকাতার বিপক্ষে পাঞ্জাবের এই রান তাড়ার ঘটনা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ রান তাড়ার মাইলফলক।

কলকাতা এবং পাঞ্জাব দুই দল মিলে ছক্কা হাঁকিয়েছে ৪২টা। যেটা টি-টোয়েন্টি একম্যাচে দুই দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ। আগে ছিলো ৩৮টা।

এই রান তাড়ার পথে পাঞ্জাব ছক্কা মেরেছে ২৪ টা। যেটা টি-টোয়েন্টি এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ২৬ ছক্কা মেরে এক নম্বরে রয়েছে নেপাল।

মজার ব্যাপার হচ্ছে দুই দলের চার ওপেনারের চারজনই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। কেকেআরের হয়ে ফিল সল্ট ৭৫ এবং সুনীল নারিন করেন ৭১ রান। পাঞ্জাবের হয়ে প্রভসিমরান করেন ৫৪ আর জনি বেয়ারস্টো অপরাজিত থাকেন ১০৮ রানে।

এই চারজন ছাড়াও ম্যাচে ফিফটির দেখা পেয়েছেন শশাঙ্ক সিং। পাঁচ ব্যাটারের প্রত্যেকেই ফিফটি করেছেন দুইশোর বেশি স্ট্রাইক রেটে। যেটা টি-টোয়েন্টিতে এবারই প্রথম।

এই নিয়ে সপ্তম বারের মতো দুইশো প্লাস স্কোর চেজ করেছে পাঞ্জাব। টি-টোয়েন্টিতে কোনো নির্দিষ্ট দলের হয়ে যেটা সর্বাধিক।

;

ফিলিস্তিনের ক্রীড়াবিদদের সুখবর দিল অলিম্পিক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর দেশটিকে অলিম্পিক সব টুর্নামেন্ট থেকে নিষিদ্ধ করে। কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পরও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়নি তারা। এই কারণে বিভিন্ন মহল থেকে ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’-এর অভিযোগ ওঠে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) বিরুদ্ধে। সে অভিযোগের মুখেই এবার প্যারিস অলিম্পিকে অংশগ্রহণের বিষয়ে ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদদের সুখবর দিয়েছে সংস্থাটি।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আইওসির সভাপতি টমাস বাখ প্যারিস অলিম্পিকে ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন। তার কথা অনুযায়ী, প্যারিস অলিম্পিকে যদি ফিলিস্তিনের কোনো ক্রীড়াবিদ সাধারণ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়ার সুযোগ নাও পান, তবু দেশটির ৬ থেকে ৮ জন ক্রীড়াবিদকে মূল আসরে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেবে আইওসি।

সুইজারল্যান্ডের লজানে অলিম্পিক সদরদপ্তরে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাখ বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে ফিলিস্তিনের কোনো ক্রীড়াবিদই যদি মাঠের খেলা দিয়ে অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন না করতে পারে, তবু ফিলিস্তিনের জাতীয় অলিম্পিক কমিটি আমন্ত্রণের মাধ্যমে লাভবান হবে।’

বাখ এও জানিয়েছেন যে, গাজায় যুদ্ধ শুরু পর থেকেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি বিভিন্নভাবে খেলোয়াড়দের অনুশীলন চালিয়ে যাওয়া এবং বাছাইয়ে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করে এসেছে।

;

শাহরুখের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা প্রীতি জিনতার দলের শশাঙ্কের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে ২৬১ রান করেও পাত্তা পায়নি কলকাতা নাইট রাইডার্স। ৮ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের দেখা পেয়ে যায় পাঞ্জাব কিংস। ম্যাচের শেষদিকে পাঞ্জাবের হয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন শশাঙ্ক ২৮ বলে ২ চারের সঙ্গে ৮ ছক্কায় ৬৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে পাঞ্জাবকে এনে দেন ইতিহাসগড়া জয়। 

ম্যাচের পর কলকাতার মালিক শাহরুখ খানের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটাও দিয়েছেন আরেক বলিউড তারকা প্রীতি জিনতার দলে খেলা এই তরুণ ক্রিকেটার।

পাঞ্জাব কিংসের এক্স-এ (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, শাহরুখের দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে দেয়া সিগনেচার পোজ দিচ্ছেন শশাঙ্ক। ব্যাকগ্রাউন্ডে শাহরুখ খানের আইকনিক সিনেমা দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’র গান।

শুধু শশাঙ্কই নন, শাহরুখের দল কলকাতার বোলারদের শাসন করেছেন ইংলিশ ব্যাটার জনি বেয়ারস্টো এবং প্রভসিমরান সিংও। ৪৮ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত থেকে পাঞ্জাবকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন বেয়ারস্টো। আর ২৬২ রান তাড়ায় ২০ বলে ৫৪ রান করে পাঞ্জাবকে শুরুতেই ছন্দ এনে দেন প্রভসিমরান সিং।

;