রানের পাহাড় গড়ে কলকাতার টানা তৃতীয় জয়
পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার বিপক্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর করার ২৬৩ রানের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড টিকেছিল ১০ বছর। তবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তাদের নতুন ২৭৭ রানের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ডটা যেন হারাতে বসেছিল ১০ দিন না পেরোতেই। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের আক্ষেপ থেকে গেল ৫ রানের। নারাইন, রঘুবংশী ও রাসেলের ব্যাটিং তাণ্ডবে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ২৭২ রানের পাহাড় সমান লক্ষ্য দাঁড় করায় কলকাতা। বিশাল এই সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে জয় তুলে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি বাংলার দলকে। ১০৬ রানের সহজ জয় তুলে আসরে নিজেদের শুরু তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতল কলকাতা।
২৭২ রানের এই সংগ্রহ কেবল এই আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান নয়, পুরো আইপিএল ইতিহাসেরও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আসর শুরুর আগে যেই তালিকায় শীর্ষ ছিল বেঙ্গালুরু, এক সপ্তাহের ব্যবধানে তারা নেমে এলো তিনে।
এই জয়ে তিন ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে রাজস্থানকে পেছেনে ফেলে শীর্ষে উঠলো কলকাতা।
বিশাখাপত্তনমে দিনের একমাত্র ম্যাচটিতে কলকাতার জয়ের শুরু সেই টস থেকেই। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৭২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় শ্রেয়াস আইয়ারের দল।
পাহাড় সমান সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই খেই হারিয়ে বসে দিল্লি। ৩৩ রানেই সাজঘরে ফেরেন শুরুর চার ব্যাটার। পরে অধিনায়ক ঋষভ পন্ত ও ট্রিস্টান স্টাবসের জোড়া ফিফটিতে মান বাঁচানোর সংগ্রহে পৌঁছায় স্বাগতিকরা। এই দুই ব্যাটার ফেরার পর বাকিরাও ছিলেন যাওয়া আসার মধ্যেই। ১৭ ওভার ২ বলে ১৬৬ রানেই গুটিয়ে যায় দিল্লি। সর্বোচ্চ ৫৫ রান আসে পন্তের ব্যাটে এবং স্টাবস করেন ৫৪ রান।
আগের দুই ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকলেও তৃতীয় ম্যাচে এসে দুটি উইকেট নিলেন কলকাতার সবচেয়ে দামি বোলার মিচেল স্টার্ক। এছাড়াও তিনটি করে উইকেট নেন আরোরা ও বরুণ।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই তাণ্ডব চালাতে থাকেন দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও সুনীল নারাইন। ১৮ রান করে সল্ট ফিরলে ভাঙে ২৭ বলে ৬০ রানের ওপেনিং জুটি। পরে রঘুবংশীকে নিয়ে তাণ্ডব জারি রাখেন নারাইন। ১১ ওভারের দলের সংগ্রহ পৌঁছায় দেড়শ’য়ে। দ্বিতীয় উইকেটে জুটি দাঁড়ায় ৪৮ বলে ১০৪ রানের। সেখানে স্রেফ ৩৯ বলে ৭ চার ও ৭ ছক্কায় ৮৫ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন নারাইন। পরের ওভারে রঘুবংশীও ফেরেন ৫৪ রান করে। স্কোরবোর্ডে তখন ৩ উইকেটে ১৭৬ রান।
সেখান থেকে ১৯ বলে রাসেলের ৪১ এবং ৮ বলে রিংকু সিংয়ের ক্যামিওতে ২৭২ রানের টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেরা সংগ্রহ দাঁড় করায় কলকাতায়।
আগের ম্যাচে টি-টোয়েন্টিতে নিজের ৫০০তম ম্যাচে ৪৭ রান ও ১ উইকেট শিকারে ম্যাচসেরার খেতাব জেতেন নারাইন। নিজের ৫০১তম ম্যাচেও ৮৫ রান ও ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হলেন এই ক্যারিবীয় তারকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ
কলকাতা নাইট রাইডার্সঃ ২৭২/৭ (২০ ওভার) (নারাইন ৮৫, রঘুবংশী ৫৪, রাসেল ১; নর্কিয়া ৩/৫৯)
দিল্লি ক্যাপিটালসঃ ১৬৬ (১৭.২ ওভার) (পন্ত ৫৫, স্টাবস ৫৪; আরোরা ৩/২৭, বরুণ ৩/৩৩)
ফলঃ ১০৬ রানে জয়ী কলকাতা
ম্যাচসেরাঃ সুনীল নারাইন