বাটলারের সেঞ্চুরিতে রেকর্ডছোঁয়া জয় রাজস্থানের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজের ৫০৪তম ম্যাচে এসে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন ক্যারিবীয় তারকা সুনীল নারাইন। তবে পরের ইনিংসেই তা হয়ে গেল ম্লান, জশ বাটলারের সেঞ্চুরিতে। চলতি আসরে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন নারাইন। তারই ধারাবাহিকতায় আরও একটি নান্দনিক ইনিংস কলকাতা নাইট রাইডার্সকে উপহার দিলেন তিনি। তার ১০৯ রানের ঝড় তোলা ইনিংসে ভর করেই ২২৩ রানের বিশাল পুঁজি পায় কলকাতা। রান তাড়ায় ১২১ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছিল রাজস্থান রয়্যালস। তবে বাটলারের হার না মানা অপরাজিত ১০৭ রানের ইনিংসে শেষ বল পর্যন্ত গড়ান ম্যাচে ২ উইকেটের জয় পায় ২০০৮ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। 

এ নিয়ে আইপিএলে নিজের ১০২তম ম্যাচে সপ্তম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন বাটলার। আছেন সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিকের তালিকায় দ্বিতীয়তে। শীর্ষে থাকা বিরাট কোহলি ২৪৪ ম্যাচে করেছেন আটটি সেঞ্চুরি। 

এদিকে এদিন ২২৪ রান তাড়ায় যৌথভাবে আইপিএলে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয় পেল রাজস্থান। আগের রেকর্ডটিও তাদেরই। ২০২০ আসরে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ২২৪ রান তাড়ায় ৬ উইকেটে ২২৬ রান তুলেছিল দলটি।

ম্যাচ কলকাতার মাঠ ইডেন গার্ডেনসে। সেখানে ২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া মোটেও সহজ ছিল না রাজস্থানের জন্য। সেখানে শুরুটা ঝোড়ো পেলেও দলীয় ২২ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। পরে অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও ফেরেন দ্রুতই। তবে আসরে দারুণ ছন্দে থাকা রিয়ান পরাগকে নিয়ে চাপ সামলে এগোন বাটলার। ২১ বলেই গড়েন ৫০ রানের জুটি। তবে সেখানে দলীয় রানের মাথায় পরাগ ফিরলে থামে সেই রান ঝড়। ১৪ বলে ৩৪ রান করেন পরাগ। সেখানেই থামে রানের গতি। ৯৭ রান থেকে ১২১ রানে পৌঁছাতে ২৭ বল খেলে রাজস্থান, উইকেট হারায় আরও ৩টি। 

সেখান থেকে জয়ের জন্য ৪৬ বলে আরও ১০৩ রান প্রয়োজন ছিল দলটির। এবং ২২ গজে মূল ব্যাটারদের কেবল একজন অপরাজিত বাটলার। 

সেই বাটলারেই শেষ হাসি রাজস্থানের। রভম্যান পাওয়েল কিছুটা সঙ্গে দিলেও ১৭তম ওভারে তার ফেরার পর ১৯ বলে ৪৬ রানের কঠিন সমীকরণ ছিল রাজস্থানের সামনে। সেই পথ টুকুও একাই পাড়ি দেন বাটলার। ৬০ বলে ৯ চার ও ৬ ছক্কায় ১০৭ রান অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন এই ইংলিশ ব্যাটার। এ নিয়ে আসরের সাত ম্যাচের ছয়টিতেই জয়ের দেখা পেল সঞ্জু স্যামসনের দল। আছে তালিকার শীর্ষে। 

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দলের বাকি ব্যাটাররা নিষ্প্রভ থাকলেও নারাইনের ৫৬ বলে ১০৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে চড়ে ২২৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় কলকাতা। 

   

তামিম-মুশফিকের জোড়া ফিফটিতে প্রাইমের দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপার লিগের প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেল প্রাইম ব্যাংক। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিমের জোড়া ফিফটিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে হেসেখেলেই হারিয়ে দিয়েছে প্রাইম, তুলে নিয়েছে ৭ উইকেটের জয়।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে গাজী গ্রুপকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় প্রাইম ব্যাংক। ব্যাটিংয়ে নেমে মোটেই সুবিধা করতে পারেনি গাজী। সেট হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন অধিনায়ক মেহেদী মারুফ থেকে শুরু করে দলের বেশিরভাগ ব্যাটার। স্বীকৃত ব্যাটারদের দুর্দিনে গাজীর পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রান আসে লেজের সারির আব্দুল গাফফার সাকলাইনের ব্যাটে।

প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন দুই পেসার রেজাউর রহমান রাজা এবং হাসান মাহমুদ।

রানতাড়া করতে নেমে ওপেনার তামিম ইকবালের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় প্রাইম ব্যাংক। তার সঙ্গে যোগ দিয়ে প্রাইমকে সহজ জয়ের পথে এগিয়ে দেন মুশফিকুর রহিম।

৭৬ রানের ম্যাচসেরা ইনিংস খেলার পথে ১০টি চার হাঁকান তামিম, ছিল দুটি ছক্কাও। মুশফিকও পিছিয়ে ছিলেন না, ৫৫ বলে ৫৯ রান এসেছে তার ব্যাটে।

;

ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে শুরুতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ৪৪ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি তাই হয়ে দাঁড়িয়েছে সিরিজের ঘুরে দাঁড়ানোর। আর সেই ম্যাচে টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

এর আগে প্রথম ম্যাচে, বাজে ফিল্ডিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও ভরাডুবি হয়েছিল বাংলাদেশের। আর সে কারণেই জ্যোতির ফিফটির পরও কোনো রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ১৪৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত তুলতে পারে ৮ উইকেটে ১০১ রান।

ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে অবশ্য একাদশেও বদল এনেছে বাংলাদেশ। স্বর্ণা আক্তারের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছেন রিতু মনি। এছাড়া বাকিরা থাকছেন একাদশে। বদল এসেছে ভারতের একাদশেও। ইয়াস্তিকা ভাটিয়ার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন হেমালতা।

বাংলাদেশ একাদশ: নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), নাহিদা আক্তার, দিলারা আক্তার দোলা, সোবহানা মোস্তারি, মুর্শিদা খাতুন, রিতু মনি, রাবেয়া, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, সুলতানা খাতুন, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা।

ভারত একাদশ: হরমনপ্রীত কর (অধিনায়ক), স্মৃতি মান্ধানা, হেমালতা, দীপ্তি শর্মা, শেফালি ভার্মা, সাজনা সঞ্জীবন, রিচা ঘোষ, পূজা বস্ত্রকর, রেণুকা সিং ঠাকুর, শ্রেয়াঙ্কা পাতিল, রাধা যাদব।

;

আর্চারকে নিয়ে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত করেছে টি-টোয়েন্টির বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। দলে ডাক পেয়েছেন দীর্ঘ সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকা পেসার জফরা আর্চার। এছাড়া ক্রিস জর্ডানও দলে ফিরেছেন। নতুন মুখ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিমান চড়বেন স্পিনার টম হার্টলি।

তবে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ দলে সবচেয়ে বড় চমক হয়ে এসেছে অলরাউন্ডার ক্রিস ওকসের অনুপস্থিতি। সাদা বলের ক্রিকেট ইংল্যান্ড দলে নিয়মিত মুখ ছিলেন ওকস। তবে এবার তাকে বিশ্বকাপের জন্য বিবেচনা করেননি ইংল্যান্ডের নির্বাচকরা। পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে দলে সুযোগ পেয়েছে জর্ডান। আর ইংল্যান্ডের সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক স্যাম কারেন তো রয়েছেনই।

জর্ডান সবশেষ ইংল্যান্ডের জার্সিতে খেলেছিলেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে। অন্যদিকে আর্চার তো আরও লম্বা সময় ধরে অনুপস্থিত ছিলেন। কনুইয়ের চোটে গত বছরের মে থেকেই মাঠের বাইরে সময় কেটেছে তার।

আগামী ৩১ মে বিশ্বকাপের জন্য ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে যাবে ইংল্যান্ড দল। ৪ জুন স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে তাদের বিশ্বকাপ মিশন।

ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল

জস বাটলার (অধিনায়ক), ফিল সল্ট, উইল জ্যাকস, জনি বেয়ারস্টো, বেন ডাকেট, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলি, স্যাম কারেন, ক্রিস জর্ডান, টম হার্টলি, আদিল রশিদ, জফরা আর্চার, মার্ক উড, রিস টপলি।

;

প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপ দলে নেই ডুসেন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জার্সি উন্মোচনের একদিন পরই দল ঘোষণা করল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপ দলে রয়েছে বড় চমক। চলতি বছর দুর্দান্ত ছন্দে থাকা রাসি ফন ডার ডুসেনের জায়গা হয়নি সে দলে। দলে ডাক পেয়েছেন অনভিষিক্ত ওটনিল বার্টম্যান ও রায়ান রিকেলটন।

এইডেন মার্করামের নেতৃত্বে দলে অন্যসব পরিচিত মুখদের জায়গা হয়েছে। আইপিএল মাতানো হাইনরিখ ক্লাসেন থেকে শুরু করে ট্রিস্টান স্টাবসরাও চড়বেন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিমানে।

দলের পেস ব্যাটারির নেতৃত্ব থাকবেন কাগিসো রাবাদ, আনরিখ নরকিয়ারা। অন্যদিকে দুই স্পিনিং অলরাউন্ডার কেশব মহারাজ এবং তাবরাইজ শামসিদেরও দলে রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এছাড়া স্কোয়াডে না থাকলেও দলের সঙ্গে ট্রাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে দলের সঙ্গে থাকবেন নান্দ্রে বার্গার ও লুঙ্গি এনগিডি।

তবে ডুসেনের দলে না থাকা বড় এক চমক হয়েই এসেছে। চলতি বছর সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে তার রান ১০২৩। ৩২ ম্যাচে ১৪৬ স্ট্রাইক রেটে এই রান তুলেছেন তিনি। বিশ্বকাপের দলে না রাখলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ঠিক আগে টি-টোয়েন্টি

দুই নতুন মুখের মধ্যে ৩১ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার বার্টম্যানের এখনো কোনো ফরম্যাটেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি। রিকেলটন অবশ্য এরই মধ্যে ৪ টেস্ট ও দুটি ওয়ানডে খেলেছেন। তবে  টি-টোয়েন্টিতে এখনো দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামা হয়নি তার।

দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড

এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ওটনিল বার্টম্যান, জেরাল্ড কোয়েটজি, কুইন্টন ডি কক, বর্ন ফরচুইন, রিজা হেন্ড্রিকস, মার্কো ইয়ানসেন, হাইনরিখ ক্লাসেন, কেশব মহারাজ, ডেভিড মিলার, আনরিখ নরকিয়া, কাগিসো রাবাদা, রায়ান রিকেলটন, তাবরাইজ শামসি, ট্রিস্টান স্টাবস

রিজার্ভ: নান্দ্রে বার্গার, লুঙ্গি এনগিডি

;