ক্লার্কের চোখে কোহলিই ওয়ানডেতে সর্বকালের সেরা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিরাট কোহলিকে এগিয়ে রাখলেন ক্লার্ক

বিরাট কোহলিকে এগিয়ে রাখলেন ক্লার্ক

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা সময় ছিল ওয়ানডে ক্রিকেটের প্রায় সব রেকর্ডই ছিল শচীন টেন্ডুলকারের দখলে। এখনও ব্যাটিংয়ের সেরা রেকর্ডের মালিক এই ভারতীয় কিংবদন্তি। তবে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন তারই এক অনুজ। শচীনের রেকর্ড টপকে যাওয়ার পথেই আছেন বিরাট কোহলি। সেই এগিয়ে চলার পথে আরো একটা স্বীকৃতি পেলেন ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।

আস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক বাঁধিয়ে রাখার মতো একটা স্বীকৃতি দিয়েছেন বিরাট কোহলিকে। তিনি বেছে নিয়েছেন সর্বকালের সেরা ওয়ানডে ব্যাটসম্যান। যেখানে তার চোখে ‘গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম কোহলি।’

২০১৫ বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক জানাচ্ছিলেন, ‘এখন অব্দি যতজন ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেছেন, আমার মতে তাদের মধ্যে সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান কোহলি। ভারতের হয়ে ওর অর্জনে চোখ রাখলে আপনিও আমার সঙ্গে একমত হবেন।’

খারাপ বলেন নি ক্লার্ক। সত্যিই অসাধারণ সব সাফল্য যোগ হয়েছে বিরাটের ক্যারিয়ারে। ভারত অধিনায়ক ২১৯টি ওয়ানডে ম্যাচে ৫৯.৬৮ গড়ে করেছেন ১০৩৮৫ রান। যার মধ্যে আছে ৩৯টি শতরান। হাফসেঞ্চুরি ৪৮টি।

শচীন ২০০ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৮৪২৬ রান। শতরান ৪৯টি। অর্ধশতক ৯৬টি। তাকে ছুঁয়ে ফেলতে এগিয়ে যাচ্ছেন বিরাট কোহলি। ক্লার্ক বলছিলেন, ‘বিরাট একটু আগ্রাসী। কিন্তু আপনি ওর দায়বদ্ধতা নিয়ে কখনোই প্রশ্ন তুলতে পারবেন না। ওর কমিটমেন্ট আর ম্যাচ জেতা, রান করার তীব্র লড়াইটা মাথায় রাখতে হবে। তাকে সেরা না বলে উপায় নেই!’

   

সাঁতারে তোফায়েল ও অ্যানির ঝলক, চ্যাম্পিয়ন বিকেএসপি



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাইফপাওয়ারটেক জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতারের ৩৬ তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিকেএসপি। আসরে মোট ৮৪টি সোনা, ৫৭টি রুপা ও ১৬টি ব্রোঞ্জ জিতেছে বিকেএসপি। রানার্স আপ হওয়া কিশোরগঞ্জের নিকলী সুইমিং ক্লাব জিতেছে ৫টি সোনা, ৭টি রুপা ও ২২টি ব্রোঞ্জ। প্রতিযোগিতায় দারুণ পারফর্ম করে সেরা সাঁতারু নির্বাচিত হয়েছেন বিকেএসপির মোহাম্মদ তোফায়েল ও অ্যানি আক্তার।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসানের হাত থেকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটা হাতে নিয়েই উল্লাসে ফেটে পড়েন বিকেএসপির সাঁতারুরা। গত তিন দিন ধরে দাপটের সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন বিকেএসপির সাঁতারুরা। অবশেষে ট্রফি হাতে নিয়ে সেই পরিশ্রমের পুরস্কার পেলেন তারা। ছেলেদের বিভাগে সেরা সাঁতারু হয়েছেন বিকেএসপির মোহাম্মদ তোফায়েল। তিনি জিতেছেন ৯টি সোনা ও ১টি রুপা। এরমধ্যে ২টি ইভেন্টে নতুন জাতীয় রেকর্ডও রয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলীর এই সাঁতারুর।

মেয়েদের বিভাগে সেরা সাঁতারু হয়েছেন অ্যানি আক্তার। বিকেএসপির এই সাঁতারু ১২টি সোনা জিতেছেন। এর মধ্যে ৫টিতেই গড়েছেন নতুন জাতীয় রেকর্ড।

মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০টি ইভেন্ট। এর মধ্যে শেষ দিনে হয়েছে আরও ৪টি রেকর্ড। সব মিলিয়ে সাঁতারে রেকর্ড হয়েছে ২০টিতে।

বিকেএসপির দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র তোফায়েল ২০১৪ সালে প্রথম বয়সভিত্তিক সাঁতারে অংশ নেন। কিন্তু এর আগে কখনও সেরা সাঁতারু হতে পারেননি। এবার অধরা স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে খুশি, ‘এবার আমার আত্মবিশ্বাস ছিল সেরা সাঁতারু হতে পারব। আমার প্রস্তুতি ভালো ছিল। অনেকগুলো ইভেন্টে অংশ নিয়ে একটু কষ্ট হয়েছে। কিন্তু সেই কষ্ট ভুলে গেছি সেরা সাঁতারু হওয়ার পর। আমি দেশের হয়ে একদিন এসএ গেমসে সোনা জিততে চাই।’

অ্যানির অবশ্য সেরা সাঁতারু হওয়ার অভিজ্ঞতা এই প্রথম নয়। এর আগে আরও ২ বার হয়েছেন সেরা। ২০১৯ ও ২০২২ সালের পর আবারও সেরা হতে পেরে উচ্ছ্বসিত কুষ্টিয়ার আমলার কিশোরী, ‘দ্বিতীয় দিনে আমি অনেক পেছনে পড়ে গিয়েছিলাম। কোনও রেকর্ড হয়নি সেদিন। ভেবেছিলাম এবার হয়তো আমি সেরা সাঁতারুর পুরস্কার পাবো না। কিন্তু পরের দুই দিন আবারও নিজের সেরা টাইমিং করে সাঁতরিয়েছি। শেষ পর্যন্ত সেরা হতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’

যদিও নিজের টাইমিং নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে অ্যানির, ‘এই টাইমিং নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো কিছু করা অসম্ভব। এজন্য আমাকে আরও টাইমিংয়ে উন্নতি করতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

প্রতিযোগিতা শেষ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নাজমুল হাসান। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সভাপতি এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোল্লা বদরুল সাইফ।

;

বিটিএস এর টানে কোরিয়ার সমর্থকদের ভিড় ইনডোরে



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পপ ব্র্যান্ড দক্ষিণ কোরিয়ার বিটিএস। ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপি ছড়িয়েছে এর খ্যাতি। বাংলাদেশেও প্রচোর বিটিএস ফ্যান রয়েছে, বিশেষ করে তরুণীরা। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু কাপ ২০২৪ আন্তর্জাতিক কাবাডিতে খেলতে এসে সেই বিটিএস ফ্যানদেরই সমর্থন পাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। মঙ্গলবার মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের গ্যালারি জুড়ে বসে আছে শতাধিক স্কুলের ছাত্রীকে দেখা গেছে কোরিয়াকে সমর্থন দিয়ে গলা ফাটাতে।

দক্ষিণ কোরিয়াকে সমর্থন দেওয়া তরুণীদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, তারা স্থানীয় আলীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ে। ইন্দোনেশিয়া-দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ শুরুর আগে কোরিয়ান খেলোয়াড়রা যখন কোর্টে ঢুকছিলেন, তখন ওই ছাত্রীরা গ্যালারি থেকে তারস্বরে চিৎকার করে ওঠে। তাদের অনেকেই কোরিয়ান খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে ‘উড়ন্ত চুম্বন’ ছুঁড়ে দিচ্ছিল। তাদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। এত দল থাকতে কোরিয়ান খেলোয়াড়দের জন্য তাদের এই ভালোবাসার কারণ কি? কারণ জানার জন্য দ্বারস্থ হতে হলো স্কুলটির সিনিয়র শিক্ষিকা শরীফা আক্তারের। তার মাধ্যমে কথা হয় স্কুলটির চার শিক্ষার্থীর সঙ্গে। অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মিম আক্তার ও সাদিয়া আক্তার। নবম শ্রেণীতে পড়ে ফাতেমা গাজী মেহেরুন এবং আনিকা আক্তার লিলি।

মিম ও সাদিয়া সলজ্জ্ব কণ্ঠে জানালো, ‘কোরিয়া দল ও তাদের সংস্কৃতি আমাদের অনেক ভাল লাগে। ওদের সবকিছুই অনেক ভাল লাগে। আসলে কোরিয়া দলকে সাপোর্ট করছি দেশটির বিশ্বখ্যাত পপ-ব্যান্ড দল বিটিএস-এর কারণে! বিটিএসের গায়কদের মাঝেই যেন এই কোরিয়ান কাবাডি দলকে খুঁজে পাচ্ছি।’

তবে এ বিষয়ে কিঞ্চিৎ দ্বিমত পোষণ করে মেহেরুন ও লিলি, ‘আমরা কোরিয়ান দলকে সমর্থন করছি তাদের খেলার স্টাইলের কারণে।’ এই চার কোরিয়ান-ভক্ত মঙ্গলবারই প্রথমবারের মতো মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসে। এখানে আসতে পেরে দারুণ খুশি তারা। স্কুলের শিক্ষকদের কাছে এই কাবাডি টুর্নামেন্টের কথা শুনেই তারা স্টেডিয়ামে আসতে আগ্রহী হয়। সময়-সুযোগ পেলে আগামীতে ভলিবল-ক্রিকেট খেলাও দেখতে আসতে চায়।

মেহেরুন-লিলি আরও যোগ করে, ‘কোরিয়ান কাবাডি দলের মতো আমরাও এই প্রথম এই স্টেডিয়ামে এসেছি। এর আগে টিভিতে বাংলাদেশসহ আরও অনেক দলের খেলা দেখেছি। জানি এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে সবচেয়ে বড় সমর্থন বাংলাদেশের প্রতিই থাকবে। তারপরই কোরিয়া।’ বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে মিম-সাদিয়াও।

মিম-সাদিয়া বিটিএস ব্যান্ডের যে ভক্ত, তার খানিকটা পরীক্ষাও দিল, ‘বিটিএস ব্যান্ডে মোট সাত জন গান গায়। সবার নামও জানি-জাংকুক, জি, সুগা, আরএম, জিমিন, জে-হোপ এবং ভি। প্রায় দেড় বছর ধরে আমরা বিটিএস ব্যান্ডের ভক্ত।’ কিছুদিন আগে বিটিএস ব্যান্ডের সদস্যদের প্রেমে পড়ে বাংলাদেশের তিন কিশোরী ঘর ছেড়ে পালিয়েছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল চাকরি করে, টাকা জমিয়ে, কোরিয়ান ভাষা শিখে কোরিয়া গিয়ে জাংকুকদের সঙ্গে দেখা করবে (সম্ভব হলেও বিয়েও!)। এ ঘটনার কথা মিম-সাদিয়ারা জানে। এ ব্যাপারে তাদের ভাষ্য, ‘ঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে তারা মোটেও ঠিক কাজ করিনি। আমরা কোনদিনও এমনটা করবো না।’

মেহেরুন চাঁদপুরে নিজের গ্রামে গিয়ে কাবাডি খেলেছে শখ করে। এমনিতে তারা স্কুলে ব্যাডমিন্টন, ফুটবল, কাবাডি, ক্রিকেট খেলে থাকে। সবশেষে সবাই জানায়, কালও তারা কাবাডি খেলা দেখতে আসবে এবং মনেপ্রাণে কামনা করে বাংলাদেশ যেন আবারও শিরোপা জেতে।

;

রুপা জিতে যুব এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রীলংকার ক্যান্ডিতে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিল টেনিসে রুপা জিতেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ বালক দল। আর তাতেই নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের যুব এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ। এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ বালিকা দলও। তবে শেষ পর্যন্ত পেরে উঠেনি তার। সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপেই থামতে হয়েছে তাদের।

মূলত, যুব এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা নিশ্চিত কারার লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা ছেড়েছিল বাংলাদেশ টেবিল টেনিস দল। সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্স আপ হয়ে সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে বাংলাদেশের। কেননা, সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপ হচ্ছে এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্ব। যেখান থেকে সেরা দুই দল জায়গা পেত যুব এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে।

বালক বিভাগে যুব এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের টিকিট কেটেছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। অন্যদিকে বালিকা বিভাগে এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করেছে ভারত ও শ্রীলংকা।

আগামী ৩০ জুন চীনের চাংকুইং শহরে শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট, চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত। এশিয়ান দলগুলোকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করে প্রতিটি অঞ্চল থেকে দুটো করে দল, সঙ্গে সবশেষ আসরের সেমিফাইনালিস্ট চার দলকে নিয়ে হবে টুর্নামেন্টটি। যার টিকিটই চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ।

যদিও টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ২-০ সেটে এগিয়ে গিয়েও শেষমেশ শ্রীলঙ্কার কাছে হারতে হয় ৩-২ ব্যবধানে। তবে এরপর পাকিস্তান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কাকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে বাংলাদেশ বনে যায় রানার্স আপ।

;

স্টার্ক ২৫ কোটি, রিংকু ৫৫ লাখ, খুললেন মুখ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ছিলেন মিচেল স্টার্ক। রেকর্ড ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে স্টার্ককে নিলামে দলে ভিড়িয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। অথচ, একই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলা ভারতের অন্যতম ফিনিশার রিংকু সিংয়ের পারিশ্রমিক মাত্র ৫৫ লাখ। দু’জনের মধ্যে পারিশ্রমিকের এই ফারাক নিয়ে অনেকেরই আছে প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের উত্তরটা এবার নিজেই দিয়েছেন রিংকু।

কলকাতার হয়ে ২০১৮ সালে আইপিএলে অভিষেক হওয়ার পর থেকেই একই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলছেন রিংকু। সবশেষ আইপিএলে ফিনিশার হিসেবে ৫৯.২৫ গড়ে ৪৭৪ রান করে জায়গা করে নিয়েছেন ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে। সেখানেও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে দলে নিজের জায়গা পোক্ত করে ফেলেছেন। যদিও ভারতের পাইপলাইনে যথেষ্ট ব্যাটার থাকায় বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে জায়গা হয়নি রিংকুর। তবে তাকে ঠিকই রিজার্ভ দলে রেখেছে ভারত। কোনো ক্রিকেটার চোটে পড়লে তার জায়গায় মাঠে নামবেন তিনি। অথচ এমন ক্রিকেটারের বেতন কিনা মোটে ৫৫ লাখ!

কোনো কারণে যদি তিনি কলকাতা ছাড়ার ঘোষণা দেন রিংকু, নিশ্চিতভাবেই তাকে পেতে নিলামে হুমড়ি খেয়ে পড়বে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। ১০ কোটি রুপির উপর অনায়াসেই পারিশ্রমিক পেয়ে যাবেন তিনি। অথচ সেখানে কিনা মাত্র ৫৫ লাখ রুপিতেই খেলতে হচ্ছে তাকে। এ নিয়ে সমর্থকদের মনে অনেক প্রশ্ন থাকলেও পারিশ্রমিক নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামাতে চান না রিংকু। তিনি মনে করেন ৫৫ লাখ রুপি সংখ্যাটাও তার জন্য অনেক বেশি।

নিজের পারিশ্রমিকের প্রশ্নে রিংকু বলেন, ‘৫০-৫৫ লাখ কিন্তু অনেক। যখন আমি শুরু করি, তখন চিন্তাও করিনি এত বেশি টাকা পাব। আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন যদি ৫-১০ রুপিও পেতাম মনে হতো আমি বোধয় এটা কোনোভাবে পেয়ে গিয়েছি। আর এখন আমি ৫৫ লাখ রুপি পাচ্ছি। কাজেই এটা আমার কাছে অনেক। ঈশ্বর আমাকে যতটুকু দিচ্ছেন ততটুকুতেই আমি খুশি। এটাই আমার ভাবনা। আমি আসলে এটা কখনোই চিন্তা করি না যে আমি এত টাকা পেতে পারতাম বা এত টাকা পাওয়া আমার উচিত ছিল। আমি এই ৫৫ লাখ রুপিতেই দারুণ খুশি। যখন আমার এই অর্থ ছিল না তখন আমি বুঝেছি টাকার মূল্য কত।’

;