দাবা খেলতে খেলতেই প্রাণ হারালেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনে চলছিল জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার ১২ তম রাউন্ডের খেলা। এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে তখন খেলছিলেন জিয়াউর রহমান। আজ (শুক্রবার) দুপুর ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে খেলাকালীন হঠাৎ করেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জিয়াউর। তারপরই দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার আগেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। খবরটি বার্তা২৪ কে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আন্তর্জাতিক আরবিটার হারুনুর রশিদ।

হাসপাতালে নেওয়ার পর শুরুতেই ধারণা করা হয় যে হার্ট অ্যাটাক করেছেন তিনি। খেলা চলাকালীনই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর তাকে শাহবাগের ইব্রাহিক কার্ডিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয়। তৎক্ষণাৎ কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তার চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই মর্মান্তিক ঘটনার জন্ম হলো বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনে। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই প্রাণ হারান এই গ্রান্ডমাস্টার দাবাড়ু, এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর।

বিজ্ঞাপন

ফেডারেশনের একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গেছে, রাজীবের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মাথা ঘুরে চেয়ার থেকে পড়ে যান তিনি। সবাই তাকে ধরে রাজধানীর পল্টনের ফেডারেশন ভবন থেকে নিচে নামিয়ে নিয়ে আসে। এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রায় ১৫ মিনিট পর্যন্তও ডাক্তাররা তার পালস খুঁজে পাননি। অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন বলে জানানো হয় তার পরিবার এবং আত্মীয়স্বজনদের।

হারুনুর রশিদ ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘খেলতে খেলতে চেয়ার থেকে পড়ে যায় জিয়া। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও বাঁচানো যায়নি। ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা করেছেন কিন্তু তার জ্ঞান ফেরাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত মৃত ঘোষণা করেন।’ তার মৃত্যুর সংবাদে ভারী হয়ে ওঠে হাসপাতালের পরিবেশ, কান্নায় ভেঙে পড়েন তার পরিবার-পরিজনরা। জিয়ার অকাল মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

বিজ্ঞাপন

দাবাড়ু জিয়াউর রহমানের জন্ম ১৯৭৪ সালের পহেলা মে। ১৯৯৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার ও ২০০২ সালে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব অর্জন করেন। জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের উন্মুক্ত ইভেন্টে সর্বোচ্চ ১৪ শিরোপা জেতেন এই গ্র্যান্ডমাস্টার। বাংলাদেশি দাবাড়ুদের মধ্যে অক্টোবর ২০০৫ সালেই সর্বোচ্চ (২৫৭০) ফিদে রেটিং অর্জন করেছিলেন জিয়া।