শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল টাইগার পেসার নাহিদ রানার। তবে তিনি মূলত আলো কেড়ে নিয়েছেন সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তান সফরে। তরুণ এই পেসারের গতিময় বোলিং সামাল দিতে ঘরের মাঠেই হিমশিম খেয়েছে পাকিস্তানের ব্যাটাররা। দ্বিতীয় টেস্টের শেষ ইনিংসে তো তুলে নিয়েছিলেন চার উইকেট!
প্রতিপক্ষের মাটিতে এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর লাইমলাইটে আসাটাই স্বাভাবিক। তবে নাহিদ জানালেন, দলের জন্য মাঠে সেরাটা এখনও দেওয়া বাকি তার। নিজের পারফরম্যান্স দিয়েই বিশ্ব ক্রিকেটে জানান দিতে চান নিজের নাম।
তিনি নিজের মতোই হতে চান। নাহিদের ভাষ্য, ‘আমি আসলে কারো মতো হতে চাই না। আমি আমার মতো হতে চাই। আমি নাহিদ রানা, আমি বাংলাদেশের নাহিদ রানাই হতে চাই।’
‘স্বপ্নের মতো না আসলে। দল আমার কাছে যা চেয়েছে, কিংবা আমি যা করতে চেয়েছি তাই হয়েছে। দেশ ছাড়ার আগে বলেছিলাম আমি দেশের জন্য কিছু করতে চাই; তা করতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগছে।’- এমনটাই জানালেন ২১ বছর বয়সী এই তরুণ পেসার।
পাকিস্তানের মাটিতে নাহিদ গড়েছেন দেশের হয়ে আরও এক কীর্তি। বাংলাদেশী পেসার হিসেবে সর্বোচ্চ গতির বল ছুঁড়েছেন তিনি। স্পিডস্টারদের দেশে গিয়েই এমন কীর্তি গড়ে বেশ খুশি নাহিদ, ‘এটা কখনো ভাবিনি ১৫২ গতিতে বল করতে হবে, এর চেয়ে বেশি গতিতে করতে হবে। একটা চিন্তাই মাথায় ছিল যে, আমার দল আমাকে যে পরিকল্পনায় বল করতে বলে, সেটা মানা। আমি সে পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করেছি।’
দলের সিনিয়রদের থেকে বোলিং এবং টেকনিক শিখে তা রপ্ত করেন নাহিদ। তাদের থেকে নানাভাবে অনুপ্রাণিতও হন এই তরুণ টাইগার পেসার, ‘আমার বাংলাদেশের অনেক পেস বোলারকেই ভালো লাগে। তাদের খেলা দেখেই বড় হয়েছি। এখানে সবাই আমার সিনিয়র। তাদের খেলা টিভিতে দেখে বড় হয়েছি। সবার বোলিংই ভালো লাগে আমার।’
ভারতের মাটিতে আসন্ন সিরিজেও নিজের সেরাটাই দেখাতে চান নাহিদ, ‘প্রস্তুতি আছে। আজকে অনুশীলন করলাম। সেশনটা ভালো হয়েছে। এখানে প্রস্তুতিটা যত ভালো হবে, ওখানে গিয়ে ম্যাচে খেলাটা তত ভালো হবে। ভারত অবশ্যই ভালো দল। তবে দুই দলের মধ্যে যে দল ভালো ক্রিকেট খেলবে, সেই ম্যাচ জিতবে। তো ম্যাচের মধ্যে তখন দেখা যাবে।’