অচেনা এক পরিস্থিতির মুখে পড়ে সিটি
হারের বৃত্তে পেপ গার্দিওলা, জিততে ভুলে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি– কথাটা উদ্ভট শোনালেও সত্য এটাই। কোচিং ক্যারিয়ারের শুরু থেকে পেপ গার্দিওলা বিশ্বের শীর্ষ এক কোচের নাম। ওদিকে শেষ এক যুগ ধরে ম্যানচেস্টার সিটি যেভাবে দাপট ধরে রেখেছে ইংলিশ ফুটবলে, তাতে কথাটা এখন বেমানান লাগে।
তবে চলতি মৌসুম গার্দিওলা আর সিটিকে নামিয়ে এনেছে মাটিতে। বিশেষ করে শেষ চার ম্যাচ। টটেনহ্যামের কাছে লিগ কাপের হার দিয়ে শুরু। এরপরও লিগে বোর্নমাউথ আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্পোর্টিং লিসবনের কাছে হেরেছিল সিটিজেনরা।
সে বৃত্ত থেকে গত রাতেও বেরোনো হলো না। ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়নের কাছে গত রাতে হেরেছে সিটি, সেটাও আবার প্রথমে গোল করে। ব্রাইটনের মাঠে ২৩ মিনিটে গোল করেন আর্লিং হালান্ড। বিরতিতে এই গোলের লিড নিয়েই গিয়েছিল সিটিজেনরা।
তবে শেষ ১৫ মিনিটে যত ভজকট পাকাল। ৭৮ আর ৮৩ মিনিটে জোয়াও পেদ্রো আর ম্যাট ও’রাইলির গোলে হার নিশ্চিত হয়ে যায় সিটির।
তাতে অচেনা এক পরিস্থিতির মুখে পড়ে সিটি। বর্তমান প্রজন্মের ম্যানসিটি সমর্থকরা এমন কিছু দেখেননি, তা নিশ্চিত। তারা দেখবেন কী করে? ২০০৮ সাল থেকে দলের মালিকানায় আসা এতিহাদ গ্রুপও তো এভাবে কখনও হারতে দেখেনি দলকে! টানা চার ম্যাচে হার, এমন কিছু দলটা যে সবশেষ দেখেছিল সেই ২০০৬ সালে!
ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাও এমন কিছু তার কোচিং ক্যারিয়ারে দেখলেন প্রথম বারের মতো। ২০০৮ সাল থেকে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে কোচিং করাচ্ছেন তিনি, কখনও টানা চার ম্যাচে হারেনি তার কোনো দল।
সিটির এমন বাজে সময়ের ফায়দা ভালোভাবেই তুলছে লিভারপুল। দিনের অন্য ম্যাচে ২-০ গোলে হারিয়েছে অ্যাস্টন ভিলাকে। তাতে শীর্ষে তাদের সঙ্গে সিটির পয়েন্ট ব্যবধানটা বেড়ে গিয়ে দাঁড়াল ৫ এ। লিভারপুলের পয়েন্ট ১১ ম্যাচে ২৮। সিটি সমান ম্যাচে পেয়েছে ২৩ পয়েন্ট।