সিরিজ হারের যন্ত্রণা নিয়েই নতুন মিশনে বাংলাদেশ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হারের যন্ত্রণা নিয়েই নতুন আরেক মিশনে যাত্রা শুরু বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে পুর্ণাঙ্গ এক সিরিজ। তার আগে অবশ্য চলছে ময়নাতদন্ত-কেন সিরিজ হারল বাংলাদেশ?
গতকাল রাতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৫ উইকেটে হারে বাংলাদেশ দল। ম্যাচের সঙ্গে সিরিজটাও হেরে যায় তারা। শারজার এই ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নাজমুল হোসেন শান্তর ইনজুরিতে জায়গা পেয়ে যান তিনি।
কিন্তু নেতৃত্বের শুরুটা ভাল হলো না। তবে নিজে ব্যাট হাতে এদিন হাফসেঞ্চুরি তুলেছেন। একইসঙ্গে বুঝতেও চেষ্টা করেছেন কেন হারল দল। মিরাজ বলছিলেন, ‘দলের ক্রিকেটাররা ভালো করেছে। রিয়াদ ভাই ও আমি একটা জুটি করতে পেরেছি। বোলাররা অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা মাঝের ওভারে উইকেট নিতে পারিনি।’
মাঝের সময়টাতে উইকেট তুলতে না পারার খেসারত দিল দল। বাংলাদেশ দলের করা ২৪৪ রানের জবাবে নেমে আফগানরা ২১ ওভারে ৮৪ রানে ৩ উইকেট হারায়। তারপরই চতুর্থ উইকেটে দৃশ্যপট পাল্টে দেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। দুজন ১১১ বলে ১০০ রান জমা করেন।
এটাই হারের কারণ মানছেন মিরাজ। শততম ম্যাচ খেলতে নামা এই ক্রিকেটার বলছিলেন, ‘গত দুই ম্যাচে দেখেছি উইকেটে যথেষ্ট স্পিন আছে। এ কারণে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও শিশির আসায় বল তুলনামূলকভাবে ভালো ব্যাটে আসছিল। কৃতিত্ব ওদের, খুব ভালো খেলেছে। বিশেষ করে গুরবাজ ও ওমরজাই। মাঝের ওভারে উইকেট পাইনি আমরা।’
এই হার নিয়ে বসে থাকার সুযোগ নেই। আগের দিন রাতেই মিরাজদের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিমানে ওঠার কথা। মিরাজ বলছিলেন, ‘আমরা অনেক দিন পর শারজায় খেললাম, বিশেষ করে ওয়ানডে। আমরা প্রথম ম্যাচ হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আমাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর আছে। আজ আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিমান ধরব।’
২২ নভেম্বর অ্যান্টিগায় শুরু সিরিজের প্রথম টেস্ট। ৩০ নভেম্বর থেকে জ্যামাইকায় শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট ও শেষ টেস্ট। এরপরই ওয়ানডে সিরিজ। ৮, ১০ ও ১২ নভেম্বর তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচই হবে সেন্ট কিটসে।
তারপরই টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেন্ট ভিনসেন্টে ম্যাচ তিনটি হবে ১৫, ১৭ ও ১৯ ডিসেম্বর।