বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অঘোষিত সেমিফাইনালই বনে গিয়েছিল বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির শেষ ম্যাচটা। সিডনিতে এই ম্যাচে ভারতকে ছয় উইকেটে হারিয়ে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। ফলে তারা বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি পুনরুদ্ধার করার পাশাপাশি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে।
ভারত তৃতীয় দিনের সকালে মাত্র ৪৫ মিনিট ব্যাট করতে পারে। ১৪১ রানের সঙ্গে ১৬ রান যোগ করে ১৫৭ রানে অলআউট হয়ে যায় দলটা। স্কট বোলান্ডের দুর্দান্ত বোলিংয়ে (৬-৪৫) ম্যাচে তার মোট ১০ উইকেট সম্পন্ন হয়। ১৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চোটগ্রস্ত জসপ্রিত বুমরাহের অনুপস্থিতিতে ভারতীয় বোলিং আক্রমণের মুখে চা বিরতির আগেই অস্ট্রেলিয়া লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম সেশনে তিনটি উইকেট হারায়, যার মধ্যে স্টিভ স্মিথ মাত্র ১ রানের জন্য ১০,০০০ টেস্ট রানের মাইলফলক ছুঁতে ব্যর্থ হন। উসমান খাজা ৪১ রানের ইনিংস খেলেন এবং ট্র্যাভিস হেড ও অভিষেক হওয়া বো ওয়েবস্টার অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান।
এই জয়ে অস্ট্রেলিয়া জুন মাসে লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। সিরিজ জুড়ে রোমাঞ্চকর ক্রিকেট উপভোগ করেছে দর্শকরা। তরুণ প্রতিভা স্যাম কনস্টাস ও নীতীশ কুমার রেড্ডির উত্থান নজর কেড়েছে। অন্যদিকে, রোহিত শর্মার মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারদের ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এই সিরিজে ভারত শুরুটা ভালোই করেছিল। জয় দিয়ে শুরু করেছিল সফরটা। দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়ায়। তৃতীয় টেস্ট ড্র হলেও মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। সিডনিতে বুমরাহ পিঠের চোটের কারণে বোলিং করতে পারেননি, যার প্রভাব পড়েছে ভারতের বোলিং আক্রমণে।
শেষ দিনে ঋষভ পন্তের ৬১ রানের ইনিংস ভারতকে কিছুটা লিড এনে দিলেও স্কট বোলান্ডের সঠিক লাইন-লেংথে বোলিং ভারতকে অলআউট করে দেয়। পরে কনস্টাস ও খাজার শুরুটা ভালো হলেও খাজার বিদায়ের পর হেড ও ওয়েবস্টার দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে ম্যাচ শেষ করেন।