তাদের জীবনকে কঠিন করে তুলব: বিসিবি প্রধান
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ছিলো বেশ ক’দিন ধরেই। আসরের কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ম্যাচ পাতানো নিয়ে অভিযোগ করার পর তদন্তে নেমেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবির) দুর্নীতি বিরোধী বিভাগ (অ্যাকসু)। তদন্ত পরিচালনার মাঝপথে এবার বিসিবি প্রেসিডেন্ট কড়া হুশিয়ারি দিলেন।
দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমে বিপিএলে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ নিয়ে ক্রীড়াভিত্তিক ভারতীয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিসিবি প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ বলেন,‘ যদি তদন্তে কোনো কিছু বেরিয়ে আসে, এরপর যে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে সবাই জানেন। আমি যদি সেরকম কিছু পাই, তাদের জীবন কঠিন করে তুলব, আমি কারও অপরাধের ছাড় দেবো না। সিদ্ধান্ত একটাই আসবে এবং সেটি সবার জন্যই প্রযোজ্য হবে। সেটি হবে দৃষ্টান্তমূলক।’
এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘তদন্ত এখনও চলমান থাকায় আমাদের কিছু প্রোটোকল মেনে চলতে হয়। সে কারণে আমি আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে পারব না। পুরো তালিকা এবং যেসব ম্যাচ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে সেসব আমাদের নজরে আছে এবং সেসব নিয়েও তদন্ত হচ্ছে।’
বিপিএলে গণমাধ্যম ও ক্রিকেটের নানা সূত্রে পাওয়া ম্যাচ পাতানোর খবরের ভিত্তিতে অ্যাকসু আগেই তদন্ত শুরু করেছিল। তারই প্রেক্ষিতে চলমান বিপিএলের আটটি ম্যাচে স্পট ফিক্সিং বা ম্যাচ ফিক্সিং হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়। এমনকি নজরদারিতে রয়েছে চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলা ১০ ক্রিকেটার। এর মধ্যে ৬ জন বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সেখানে ম্যাট পাতানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠতা থাকায় দুর্বার রাজশাহীর সাবেক অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকারের ইমিগ্রেশন বিভাগ।
ক্রিকইনফোর বরাতে জানা গেছে, ‘ম্যাচ পাতানোর সন্দেহের তালিকায় থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজির হিসাবে সর্বোচ্চ ১২ জন ক্রিকেটার খেলছেন দুর্বার রাজশাহী এবং ঢাকা ক্যাপিটালসের জার্সিতে। এর বাইরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ৬ এবং চিটাগাং কিংসের ২ ক্রিকেটারকেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে।