টিভিতে আজ যা থাকছে খেলার আয়োজন
-
-
|

টিভিতে দেখুন
আজ ২ ফেব্রুয়ারি, রোববার। চলুন দেখে নেই কী থাকছে টেলিভিশনের পর্দায় খেলার আয়োজন-
ক্রিকেট
টিভিতে দেখুন
আজ ২ ফেব্রুয়ারি, রোববার। চলুন দেখে নেই কী থাকছে টেলিভিশনের পর্দায় খেলার আয়োজন-
ক্রিকেট
ছবি: সংগৃহীত
শেষবার যখন দুই দলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসরে দেখা হয়েছিল তখন প্রেক্ষাপট ছিল আলাদা! তবে একটা বিষয় পরিচিত ছিল, তা হলো আইসিসির কোনো বৈশ্বিক ইভেন্টে ভারতকে পেলেই হারিয়ে দেয় কিউইরা। ২০০০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা নিজেদের ঘরে নিয়েছিল ভারতকে হারিয়ে এর পরে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপেও ভারতকে কাঁদিয়ে শিরোপা জিতে উইলিয়ামসনরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে আজ নিজেদের সেই ধারাবাহিকতা কি রক্ষা করতে পারবে নিউজিল্যান্ড নাকি তৃতীয়বারের মতো আসরের ট্রফি নিজেদের ঘরে তুলবে ভারত?
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ রোববার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩ টায় মুখোমুখি হবে ভারত-নিউজিল্যান্ড। আসরের মোস্ট ফেভারিট ভারত আছে দুর্দান্ত ফর্মে। গ্রুপপর্বে সেরা হয়ে ফাইনালে পা রাখা ভারত অবশ্য দুবাইয়ে একটু বেশিই সুবিধা পেয়েছে! হাইব্রিড মডেলের কারণে নিজেদের সব ম্যাচ খেলেছে একই দেশে। যেখানে বাকি দলগুলোকে ভ্রমণ ঝামেলা পেরিয়ে মাঠে নামতে হয়েছে। পাশাপাশি দুবাইয়ের যে পিচে আজ ফাইনাল হতে যাচ্ছে সেটাও বেশ পরিচিত রোহিত শর্মার দলের। স্পিন সহায়ক পিচের জন্য আগেই দলে রাখা হয়েছে পাচঁজন বাঘাবাঘা স্পিনারকে। ফাইনাল নিয়ে রোহিত জানান,‘শিরোপা পুনরুদ্ধার করাই মূল লক্ষ্য। এবারের আসরে দারুণ পারফরমেন্স করেছে নিউজিল্যান্ড। ফাইনালে কিউইদের সমীহ করতে হবে। আমাদের সতর্কতার সঙ্গে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
অন্যদিকে কিউইরাও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ ছাড়া বাকিসব ম্যাচ জিতে নিজেদের শিরোপার দাবিদার হিসেবে প্রমাণ করেছে। অবশ্য তারাও ভারতকে মোস্ট ফেভারিট মেনেই মাঠে নামবে বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক মিচের স্যান্টনার। ফাইনালে জিততে আশাবাদী স্যান্টনার জানান, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ভালো ক্রিকেট খেলেছি। এই ধারা অব্যাহত রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের লক্ষ্য শিরোপা জয় করা। ভারতকে হারাতে হলে তাদের চেয়েও ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। দলের সবাই শিরোপার জন্য মুখিয়ে আছে।’
ওয়ানডেতে এ পর্যন্ত ১১৯ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে ভারত ৬১ এবং নিউজিল্যান্ড জিতেছে ৫০ ম্যাচ। সেখানে ১ ম্যাচ টাই ও ৭টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। আইসিসি ইভেন্টে এই দুই দলের মধ্যে রুদ্ধশ্বাস লড়াই হয়েছে। অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুইটি শিরোপা জিতে এগিয়ে আছে ভারত। ২০০২ আসরে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ফাইনাল বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল খারত। আর ২০১৩ সালে বার্মিংহামে আসরের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৫ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মত শিরোপা ঘরে তোলে তারা। যেখানে কিউইরা জিতেছে মাত্র ১টি। তবে সেটিও ভারতের বিপক্ষে। ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে তারা।
মুখোমুখি ভারত-নিউজিল্যান্ড
একটু পরেই বহুল প্রতিক্ষীত শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামবে ভারত-নিউজিল্যান্ড। এ ম্যাচের ফল কি হবে তা সময়ই বলে দেবে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের আগে রেকর্ড ও দলের শক্তিশত্তা কিন্তু ভারতের হয়েই কথা বলছে।
২০১১ সাল থেকে অনুষ্ঠিত আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোতে ভারতই সবচেয়ে ধারাবাহিক। তবে তার থেকে কোনো অংশে খুব একটা কম নয় নিউজিল্যান্ডও। ভারতের পরেই দ্বিতীয় ধারাবাহিক দল কিউইরা।
টিভিতে দেখুন
ছবি: সংগৃহীত
পর্দা নামতে চলেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের। আগামীকাল শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় বিকাল তিনটায় শুরু হবে ম্যাচটি। ভারত-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় বারের মত মুখোমুখি হতে চলেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে। এর আগে ২০০০ সালে ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। তখন অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পরিচিত ছিল আইসিসি নক আউট ট্রফি নামে।
এবারের ফাইনালে যেহেতু আবারও মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল,তাই স্বাভাবিকভাবেই ২০০০ সালের ১৫ অক্টোবরের নাইরোবির সেই ফাইনাল নতুন করে এসেছে আলোচনায়। যেখানে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মত কোনো আইসিসি শিরোপা উচিয়ে ধরেছিল কিউইরা।
সেবারের আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে ১৯৯৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ২০ রানে ও সেমিফাইনালে প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ভারত। কিন্তু ভারতকে থামতে হয় ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৪ উইকেটের হার দিয়ে।
ফাইনালে টসে জিতে সৌরভ গাঙ্গুলির ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান কিউই অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিং। প্রথম উইকেটে গাঙ্গুলি ও শচীন টেন্ডুলকার মিলে গড়েন ১৪১ রানের জুটি। গাঙ্গুলি করেন ১১৭ রান আর শচীনের ব্যাট থেকে আসে ৬৯ রান। ভালো শুরুর পরও ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ভারত ৬ উইকেট হারিয়ে করে ২৬৪ রান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের ইতিহাসে গাঙ্গুলির ১১৭ ই এখনও পর্যন্ত ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর।
২৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় কিউইরা। ২৩.২ ওভারে ১৩২ রান তুলতেই নিউজিল্যান্ড হারায় ৫ উইকেট। কিন্তু সেখান থেকে অলরাউন্ডার ক্রিস কেয়ার্স ও ক্রিস হ্যারিস ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে গড়েন ১২২ রানের জুটি। আর তাতেই স্বপ্ন ভাঙে ভারতের। কেয়ার্স অপরাজিত থাকেন ১০২ রানে। আর হ্যারিসের ব্যাট থেকে আসে ৪৬ রান। আর তাতেই ৪ উইকেটে জয় তুলে নেয় কিউইরা।
আগামীকালের ম্যাচে ভারত তাই চাইবে ২৫ বছর পুরোনো ফাইনাল হারের প্রতিশোধ নিতে। আর কিউইরা চাইবে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে। আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে দুবারের দেখায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই বারই হেরেছে ভারত।