বত্রিশে সাকিব, শুভ জন্মদিন



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সাকিব আল হাসান, ছবি: সংগৃহীত

সাকিব আল হাসান, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ জন্মদিন সাকিব আল হাসান।

আজ ফেসবুক, ফ্যানপেজ, ইনবক্স বা সাকিবের সেলফোনের ম্যাসেজের ঘর, ভরে যাবে এই শুভেচ্ছা বাণীতে। বয়স ষোল হলো খুব কায়দা করে বলা হয় সুইট সিক্সটিন। তাহলে ষোলোর দ্বিগুণ বত্রিশ বা থার্টি টু’কে কি বলবেন?

বত্রিশ বছরের সাকিবকে নিয়ে একটা শব্দই সবচেয়ে বেশি কার্যকর মনে হচ্ছে, পরিণত। বত্রিশের সাকিব আজ ক্রিকেট বিশ্বে পরিণত ক্রিকেটারদের মধ্যে সেরাদের একজন। সেরাদের সেরা বললেও ভুলের কিছু নয়। বিশ্বের আর কোন ক্রিকেটার তিন ফরমেটের ক্রিকেটে এতো দীর্ঘ সময় ধরে নাম্বার ওয়ান হয়েছিলেন?

উত্তর হলো, কেউ না, সাকিবই একমাত্র!

আফসোস, দুঃখ বা কষ্ট। এসব শব্দ নিয়ে বেশি ভাবেনই না সাকিব। যে আনন্দ নিয়ে খেলাটা শুরু করেছিলেন সেই উপভোগের রেশ, তীব্রতা এখন আরও বেড়েছে অনেকগুণ। সেই সঙ্গে বেড়েছে দায়িত্ব। হয়েছেন আরও পরিণত। এসেছে পরিমিতিবোধ। অর্জন করেছেন অনেক সাফল্যে। রেকর্ড গড়েছেন। পেয়েছেন স্বীকৃতি। আর এই যোগফলের হিসেব যখন মেলাতে বসেন তখন মনে স্বস্তি, ঠোঁটে তৃপ্তির হাসি এবং বুক জুড়ে একটা আত্মবিশ্বাসের আনন্দ, নাহ ক্রিকেটীয় জীবনের আপাত সময়টা মন্দ কাটেনি।

৫৫ টেস্ট, ১৯৭ ওয়ানডে এবং ৭২ টি-টুয়েন্টি, নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রায় এক যুগের পথ পরিক্রমার ছবিকে এমনই স্বস্তির রংতুলিতে রাঙাচ্ছেন সাকিব।

টেস্ট ক্যারিয়ার তার শুরু হয়েছিলো ২০০৭ সালে। মাঝের ১১ বছরে সাকিব এই ফরমেটের ক্রিকেটে ব্যাট ও বল হাতে যা করেছেন তাতে খুব স্পষ্ট করে এখন বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের অধ্যায়কে দুইভাগে ভাগ করতে পারেন আপনি, সাকিবপূর্ব এবং সাকিবোত্তর টেস্ট যুগ!

রেকর্ড। প্রভাবশালী ক্রিকেট। ক্ষুরধার ক্রিকেট মস্তিষ্ক। চ্যালেঞ্জ জেতার অদম্য প্রাণশক্তি। শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে সামনের কাতারে থাকার মানসিক দৃঢ়তা। নিজেকে সেরাকে প্রতিদিনই ছাড়িয়ে যাওয়ার পণ, এমনসব ক্রিকেটীয় অনুষঙ্গই সাকিব আল হাসানকে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা অলরাউন্ডারদের পাশে গর্বের আসন দিয়েছে।

টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ এখনো অনেক পেছনের কাতারের দল। আর এই পেছনের সারির দলের একজন যখন ব্যক্তিগত পারফরমেন্সে পুরো বিশ্বকে ছাড়িয়ে যান। ছাপিয়ে যান। তখন বুঝতেই হবে এই ‘এককের’ মূল্য অপরিসীম।

সাকিব আমাদের কাছে তেমনই রত্ন। 

মানছি র‌্যাঙ্কিং বা পরিসংখ্যান ক্রিকেট শ্রেষ্ঠত্বের শেষকথা নয়। তবে তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে যখন একজন ক্রিকেটার অনেক লম্বা সময় ধরে বিশ্বসেরা হওয়ার মর্যাদা পান, তখন অবশ্যই বুঝে নিতে হবে এই ‘হীরের’ মূল্য কোহিনুর সমান।

সাকিব আমাদের কাছে ক্রিকেটের সেই তাজ।

অথচ তার টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছিল একেবারে সাদামাটা ভঙ্গিতেই। মামুলি শুরুটা দেখে কেউই বলেনি যে সেদিনের এই ছেলেটা এতদূর যাবে। তার শুরুর কয়েক টেস্টের ব্যর্থতা দেখে সাবেক এক অধিনায়কের মন্তব্যটা আজো স্পষ্টত মনে আছে, 'সাকিব বোধহয় এখনি টেস্ট ম্যাচের জন্য তৈরি না। সম্ভবত একটু জলদি চলে এলো এই ফরম্যাটে।'

সাকিবের শুরুর সেই অধিনায়ক ভুল প্রমাণিত হয়েছেন।

২০০৮ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মুল স্পিনার হিসেবে তাকে খেলান তৎকালীন কোচ জেমি সিডন্স। তার সেই সিদ্ধান্তটা ছিল মাস্টারস্ট্রোক। সেই টেস্টে ৭০ ওভার বল করে ১১৫ রানে ৯ উইকেট শিকার করে সাকিব জানিয়ে দেন, তার শুরুর সময়ে মোটেও কোন ভুলচুক কিছু হয়নি।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাকিব যুগের সেই শুরু।

এটুকু শুনে মনে হতে পারে টেস্ট ক্রিকেটে সাকিবের ১ থেকে ৫৫, এই সময়ে পুরোটাই বোধকরি ফুলে ভরা পথ, ভুল!

এই পথচলায় সাকিব যেমন মজা করেছেন। ঠিক তেমনি মস্করারও শিকার হয়েছেন। আজ থেকে দশ বছর আগে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশকে একটু শীর্ষ সারির দলগুলোর যে কেউই সামনে পেলেই বিনামূল্যে প্রেসক্রিপশন দিতে শুরু করতো। দেখা গেছে তিনদিনেই হয়তো ম্যাচ শেষ। ড্রেসিংরুমে এসে ইনিংসে জয়ী দলের কোন ক্রিকেটার বাংলাদেশের বাকিদের সবাইকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন।

সেই সান্ত্বনায় যতখানি না আন্তরিকতা থাকতো, তারচেয়ে অনেক বেশি ঝরতো শ্লেষ, উপহাস।

শুনতে হয়েছে লাগাতার ঠাট্টা, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে পঞ্চমদিনের টিকিট ছাপানোর প্রয়োজন কী? একদিনে দুবার বাংলাদেশকে অলআউট করে কী টেস্ট ম্যাচ একদিনেই শেষ করা যায় না? টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা-প্রতিযোগিতা নষ্ট করে দিচ্ছে বাংলাদেশ। অসম লড়াই। গালিভারের সঙ্গে ম্যাচ হচ্ছে লিলিপুটদের। বাংলাদেশকে টেস্ট ক্রিকেটের দ্বিতীয় স্তরে খেলা উচিত।

এমনতর অনেক হাসি-মস্করা শুনতে হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটার, ক্রিকেট কর্তা এমনকি সাংবাদিকদেরও। তবে এসব মন্তব্যে সবচেয়ে বেশি কষ্ট ও যন্ত্রণায় পুড়েছেন মাঠের ক্রিকেটাররা। সেই যন্ত্রণা অনেকে সহ্য করতে পারেননি। তারা ছিটকে গেছেন। আর যারা কষ্টের সেই আগুনে পুড়ে ক্রিকেটকে জয় করার জেদ ধরেছিলেন সেই তারাই আজ হাসতে পারছেন গর্বের হাসি। অসামান্য সেই তালিকার একজন সাকিব আল হাসান।

আজকের এই স্বীকৃতি এবং পেছনের বন্ধুর এই পথচলার লড়াইয়ে কোন অবদানকেই এককভাবে শুধু নিজের নামের পাশে ঝুলিয়ে রাখতে চান না সাকিব। স্বীকৃতি অর্জনের এই লড়াই জেতার কৃতিত্বে সাকিব এমনকি মাঠের ঐ বলবয়ের পরিশ্রমকেও ‘ম্যান অব দ্যা ম্যাচের’ মর্যাদা দিচ্ছেন। আর বদলে যাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই পথচলার সঙ্গী হওয়াতেই সাকিবের আনন্দ।

ছোট্ট আরেকটা উদাহরণ

সাকিবপূর্ব টেস্ট যুগে বাংলাদেশ মাত্র একটি টেস্ট ম্যাচ জিতেছিল। আর বাকি জয়ী ১২ টেস্টের সবগুলোই সাকিবীয় যুগে। ক্যালেন্ডারে সময়ের হিসেব যেমন খ্রিস্টপূর্ব এবং খ্রিষ্টাব্দ এই দুইভাগে বিভক্ত। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পর্যালোচনা পর্বকেও আপনি অনায়াসে ‘সাকিবপূর্ব’ এবং ‘সাকিবীয়’ এই দুইভাগে ভাগ করতে পারেন।

অর্জন। সাফল্য। স্বীকৃতি। মর্যাদা, এমনসব তুল্যমূল্যের লক্ষণ রেখাটা তাহলে নির্ভেজাল হবে।

তবে সাকিব খেলতে নামলেই যে বাংলাদেশ সব ম্যাচ জিতে যাবে। অথবা সাকিব একাই বাংলাদেশকে প্রতি ম্যাচে জিতিয়ে আনবেন। এমন অপরিমিতবোধ থেকে সমর্থকদেরও বেরিয়ে আসতে হবে। ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব যেমন পরিণত হয়েছেন। সমর্থকদেরও এখন সেই যুগে প্রবেশ করতে হবে। আর যাই হোক, এমন ক্রিকেটারের ওপর থেকে কখনোই আস্থা হারাতে নেই।

বাংলাদেশের জান, সাকিব আল হাসান, আদুরে স্লোগানটা তখনই তাহলে সার্থক হবে।

   

টেবিল টেনিসে রুমেল খানের দ্বিমুকুট জয়



Apon tariq
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) আয়োজনে চলছে ‘ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল-২০২৪।’ সেখানে একক টেবিল টেনিস ইভেন্টে অষ্টমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন দৈনিক জনকণ্ঠের রুমেল খান। রানার্স-আপ হয়েছেন সংবাদ সংযোগের মো. শামীম হাসান এবং তৃতীয় হয়েছেন দৈনিক খবরের কাগজের মাহমুদুন্নবী চঞ্চল।

আজ (শনিবার) সকালে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ উডেন ফ্লোরে অনুষ্ঠিত হয় এই টেবিল টেনিস ইভেন্টটি।

এদিকে টেবিল টেনিসের দ্বৈত ইভেন্টে নবমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রুমেল খান ও মাহমুদুন্নবী চঞ্চল জুটি। এর মধ্য দিয়ে দ্বিমুকুট জয় করেন রুমেল খান। দ্বৈতে রানার্স-আপ হয় মজিবুর রহমান ও মোরসালিন আহমেদ জুটি এবং তৃতীয় হয়েছে মো. শামীম হাসান ও সাজ্জাদ হোসেন মুকুল জুটি।

এবার ৭টি ডিসিপ্লিনে মোট ১০টি ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন বিএসপিএ’র শতাধিক সদস্য। ইভেন্টগুলো হলো- ক্যারম একক ও দ্বৈত, টেবিল টেনিস একক ও দ্বৈত, দাবা, শুটিং, আর্চারি, সাঁতার, কল ব্রিজ ও টোয়েন্টি নাইন। সবকটি খেলাই অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও এর সংলগ্ন বিভিন্ন ভেন্যুতে।

প্রতিবারের মতো এবারও স্পোর্টস কার্নিভালের সেরা ক্রীড়াবিদের হাতে তুলে দেয়া হবে আব্দুল মান্নান লাডু ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার। ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার থাকছে সেরা দুই রানার্সআপের জন্যও। এছাড়া প্রতিটি ইভেন্টের সেরাদের জন্য ক্রেস্ট ও অর্থ পুরস্কার।

;

শিরোপা জেতানোর দুই দিন পর কোচকে বিদায় করল জুভেন্টাস



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই দিন আগেই জুভেন্টাসকে কোপা ইতালিয়া জিতিয়েছিলেন ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি। অথচ সেই কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে মেজাজ হারানোর কারণে ক্লাবের চাকরি হারাতে হলো তাকে।

তুরিনে আতালান্তাকে ১-০ গোলে হারায় জুভেন্টাস। ম্যাচ চলাকালে রেফারিদের উপর মেজাজ হারিয়ে লাল কার্ড দেখতে হয় তাকে। শিরোপা উদযাপনের সময় ক্লাবের স্পোর্টিং ডিরেক্টরের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল তার।

কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে তার আচরণ খতিয়ে দেখার ঘোষণা দিয়েছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের ডিসিপ্লিনারি ট্রাইব্যুনাল।

সেসব বিষয়ের জের ধরেই অ্যালেগ্রিকে চাকরীচ্যুত করেছে জুভেন্টাস। এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া বিবৃতিতে জুভেন্টাস লিখেছে, ‘ইতালিয়ান কাপ ফাইনালে ক্লাবের মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আচরণ তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রত্যেক ব্যক্তিকে এই মূল্যবোধগুলো আপন করে নিতে হবে।’

জুভেন্টাসে অ্যালেগ্রির প্রথম অধ্যায় ছিল সাফল্যে মোড়ানো। ২০১৪-১৯ পর্যন্ত ‘তুরিনের বুড়ি’দের পাঁচটি লিগ, চারটি ইতালিয়ান কাপ জিতিয়েছিলেন। এছাড়া দুইবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালও খেলেছিল তার দল।

তবে ২০২১-২২ মৌসুমে জুভেন্টাসে ফিরে আগের সে সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারেননি। এ যাত্রায় এক ইতালিয়ান কাপ ছাড়া আর কিছুই এনে দিতে পারেননি ক্লাবকে।

সিরি আ মৌসুমে এখনো দুই বাকি রয়েছে জুভেন্টাসের। এই দুই ম্যাচে ক্লাবের ডাগআউটে দাঁড়াবেন পাওলো মন্তেরো। আগামী মৌসুমে বর্তমান বোলোনিয়া ম্যানেজার থিয়াগো মোত্তাকে অ্যালেগ্রির উত্তরসূরি করতে চাইছে জুভেন্টাস।

;

শেষ ম্যাচের পর বড় দুঃসংবাদ পেলেন পান্ডিয়া



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দুঃস্বপ্নের মতো এক আইপিএল কাটিয়েছে। ১৪ ম্যাচের ১০টি হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে আইপিএল শেষ হয়েছে তাদের। শেষ ম্যাচে লক্ষ্ণৌয়ের কাছে ১৮ রানে হেরেছে তারা। হারের পর মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে।

গুজরাট টাইটান্সে সফল দুই মৌসুম কাটিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে ফিরেছিলেন হার্দিক। চলতি মৌসুমে রোহিত শর্মাকে সরিয়ে তার হাতে নেতৃত্ব তুলে দেয় মুম্বাই ফ্র্যাঞ্চাইজি। কিন্তু সেই নেতৃত্বই যেন তার জন্য শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়াল।

মাঠে সমর্থকদের দুয়ো, নিজের এবং দলের বাজে ফর্ম- সবমিলিয়ে ভুলে যাওয়ার মতো একটা আইপিএল কাটালেন হার্দিক। যার শেষবেলাতেও দুঃসংবাদ সঙ্গী হলো তার। মন্থর ওভাররেটের কারণ এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন তিনি।

যেহেতু এই মৌসুমে আর আইপিএলে মাঠে নামা হবে না হার্দিকের, তাই আগামী মৌসুমের প্রথম ম্যাচে এই শাস্তি প্রয়োগ হবে। ২০২৫ আইপিএলের প্রথম ম্যাচে খেলা হবে না তার।

এবারের আইপিএলে ১৪ ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৮ গড়ে ২১৬ রান এসেছে হার্দিকের ব্যাটে। অন্যদিকে বল হাতে উইকেট পেয়েছেন ১১টি। 

;

মেসি-বার্সা চুক্তির সেই ন্যাপকিন বিক্রি ১১ কোটি টাকায়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পৃথিবীর ইতিহাসে সবচাইতে জনপ্রিয় এবং পরিচিত ন্যাপকিন কোনটা সেটা নিশ্চয়ই ক্রীড়ামোদীদের মনে করিয়ে দিতে হবে না। সেই সঙ্গে সেটাই এখন দুনিয়ার সবচাইতে দামী ন্যাপকিন। বার্সার সঙ্গে ১৩ বছর বয়সী সেই মেসির চুক্তি হওয়া ন্যাপকিন নিলামে বিক্রি হয়েছে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যেটি প্রায় ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

চলতি মাসে ন্যাপকিনটি নিলামে তুলে ব্রিটিশ নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বোনহামস৷ প্রথমে নিউইয়র্ক, এরপর প্যারিস ও সবশেষ লন্ডনে প্রদর্শনীর পর নিলামে। নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সম্ভাবনা জানিয়েছিলো নিলামে এই ন্যাপকিনের দাম উঠতে পারে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ডলার। যেটা টাকায় প্রায় সাত কোটি টাকা৷

গত ৮ মে শুরু হওয়া নিলাম শেষ হয় শুক্রবার। যেখানে ভিত্তিমূল্য ছিলো দুই লাখ ২০ হাজার পাউন্ড বা প্রায় দুই লাখ ৭৫ হাজার ডলার। শেষ পর্যন্ত সেটি বিক্রি হয়েছে প্রায় ১ মিলিয়ন ডলারে।

২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর বার্সেলোনার একটি রেস্টুরেন্টে মেসির বাবাকে আশ্বস্ত করতে সেখানকার ওয়েটার থেকে নেওয়া একটা ন্যাপকিনেই তড়িঘড়ি করে চুক্তি স্বাক্ষর করেন বার্সেলোনার তৎকালের স্পোর্টস ডিরেক্টর কার্লেস রেক্সাস। যে ন্যাপকিন এতোদিন ছিলো হোরাশিও গ্যাগিওলির কাছে। আর্জেন্টাইন এই এজেন্টই মেসির নাম সুপারিশ করেছিলেন বার্সার কাছে৷

এই ন্যাপকিনের দামটাও আকাশচুম্বী হওয়াটাই ছিলো অনুমেয়। ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়া সাধারণ একটা ন্যাপকিন সাক্ষী বহু ইতিহাসের। মেসির ‘মেসি’ হয়ে ওঠার শুরুই যে এই ন্যাপকিন দিয়েই!

;