ভারত থেকে এলো একাডেমির ব্যাটিং পরামর্শক



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
হাই-পারফরম্যান্স ক্রিকেট একাডেমির ব্যাটিং কোচ হলেন ওয়াসিম জাফর

হাই-পারফরম্যান্স ক্রিকেট একাডেমির ব্যাটিং কোচ হলেন ওয়াসিম জাফর

  • Font increase
  • Font Decrease

আবাহনী লিমিটেডের হয়ে খেলতে এসেই নজরে পড়েন কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের। নেটে তার ব্যাটিং আর ক্রিকেট জ্ঞান মুগ্ধ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধানকে। সঙ্গে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়াসিম জাফরের অভিজ্ঞতার কথা তো জানাই ছিল। তখনই মৌখিক কথাটা সেরে নিয়েছিল দুই পক্ষ। এবার আনুষ্ঠানিক চুক্তিটাও হয়ে গেল।

ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ওয়াসিম জাফরকে হাই-পারফরম্যান্স ক্রিকেট একাডেমির ব্যাটিং কোচ নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। একাডেমিতে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে কাজ করবেন তিনি।

আগামী বছর মানে এপ্রিল পর্যন্ত এক বছরের চুক্তি হয়েছে ওয়াসিম জাফরের সঙ্গে। প্রথমেই অনূর্ধ্ব-১৬ থেকে ১৯ দলগুলোর সঙ্গে কাজ করবেন তিনি। চলতি মে মাস থেকেই তার কোচিং ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে।

এ বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে ৯টি ইনিংসে ৪৮.৩৩ গড়ে ৪৩৫ রান করেন ওয়াসিম জাফর। এখানেই শেষ নয় নেটে জুনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গেও সম্পর্কটা ছিল দেখার মতো। এই ব্যাপারটাও মুগ্ধ করেছে বিসিবি কর্তাদের। সৌম্য সরকারের মতো জাতীয় দলের ব্যাটসম্যানও নিয়েছেন তার টিপস। সেই আস্থার জায়গা থেকে এবার বিসিবি জাফরের সঙ্গে চুক্তি সেরে নিয়েছে।

৪১ বছর বয়সে জাফরের নিয়োগ প্রসঙ্গে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের ম্যানেজার কায়সার আহমেদ ভারতীয় গণমাধ্যমে বলেন, ‘জাফরের মেয়াদকাল এই মে থেকে আগামী বছরের এপ্রিল পর্যন্ত। শুরুতে মিরপুরে বিসিবি একাডেমিতে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে কাজ করবেন। তারপর এইচপিতে কাজ করবেন তিনি।’

ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের কিংবদন্তি বলা হয় ওয়াসিম জাফরকে। খেলেছেন জাতীয় দলেও। ৩১ টেস্টে ৫টি সেঞ্চুরি ও ১১টি হাফসেঞ্চুরিতে করেছেন ১৯৪৪ রান। ভারতের জার্সিতে খেলেছেন দুটি ওয়ানডে ম্যাচও।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে জাফরের রয়েছে ৫৭টি সেঞ্চুরি ও ৮৮টি হাফসেঞ্চুরি। লিস্ট-এ ক্রিকেটে ১০টি সেঞ্চুরি আর রান ২৪ হাজারের বেশি। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতার কমতি নেই ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের।

এবার পেশাদার কোচিংয়ে পথচলা শুরু হচ্ছে ওয়াসিম জাফরের। ঘরোয়া নয়, শুরুতেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক এই ভারতীয় সাবেক টেস্ট ক্রিকেটারের।

   

আস্থার প্রতিদান দিতে চান কাবাডি কোচ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের গত তিন আসরে বিদেশী কোচের উপর আস্থা রেখেছিল বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। এবার দেশী কোচদের উপর আস্থা রেখেছে ফেডারেশনটি। সেই আস্থার প্রতিদান দিতে চান জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত কোচ আবদুল জলিল। তিনি বলেন, গেল তিনটি আসরে বিদেশী কোচের মাধ্যমে আমরা হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। চতুর্থ আসরে দেশী কোচদের উপর দায়িত্ব দেওয়ায় দলকে চ্যাম্পিয়ন করানো আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ।

কোচ জলিল বলেন, এবার দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতো শক্তিশালী দল আসছে। কেনিয়াও বেশ শক্তিশালী। অন্যসব দলগুলো কমবেশি ব্যালেন্সড ও শক্ত প্রতিপক্ষ। কাউকে দুর্বল ভাবার অবকাশ নেই। তবে আমরা টেকনিক্যাল দিক থেকে অনেক এগিয়ে। আমরা শিরোপা জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব। 

কোচ আবদুল জলিল বলেন, আসন্ন এ টুর্নামেন্ট সামনে রেখে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে দল প্রশিক্ষণে রয়েছে। যদিও সবশেষ জাতীয় দলে খেলা কয়েক জন অবশ্য ইনজুরি ও ফর্মে না থাকায় দলে আসতে পারেননি। তবুও অভিজ্ঞ আর উদীয়মানদের নিয়ে গড়া দল নিয়ে আমরা আশাবাদী। বর্তমানে জাতীয় কাবাডি স্টেডিয়ামে প্রতিদিন সকাল-বিকেল দু’ বেলা কঠোর অনুশীলনে খেলোয়াড়রা শিরোপা অক্ষুন্ন রাখার প্রত্যয়ে ঘাম ঝরাচ্ছেন। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, লম্বা সময় ধরে দলের প্রস্তুতি চললেও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারলে ভালো হতো। এ নিয়ে তিনি অবশ্য চিন্তিত নন। সাবেক এ তারকা খেলোয়াড় বলেন, আমরা হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন দল। সেই সাফল্যে উজ্জীবিত দলের সবাই আরেকটি শিরোপা জয়ের জন্য মুখিয়ে আছেন। এ মুহূর্তে আমরা শেষ মুহূর্তের ভুল-ক্রটিগুলো শুধরানোর চেষ্টা করছি। সম্ভাব্য প্রতিপক্ষের দুর্বল ও সবল দিকগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে কোন কৌশলে দল খেলবে এ নিয়ে পরিকল্পনা চলছে।  

উল্লেখ্য, প্রথম আসরে কেনিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখায়। এরপর ২০২২ সালেও সেই কেনিয়াকে ফাইনালে পরাজিত করে স্বাগতিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়। তারপর ২০২৩ সালে অবশ্য চাইনিজ তাইপেকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা ঘরে তোলে বাংলাদেশ। এবার লাল-সবুজ পতাকাধারীদের চোখ চতুর্থ শিরোপা জয়ের দিকে। সে লক্ষ্যেই তাদের প্রস্তুতি জোরেশোরে এগিয়ে চলছে।

;

অবসরের ঘোষণা দিলেন জার্মানির টনি ক্রুস



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বুটজোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার টনি ক্রুস। জার্মানির মাটিতে আসন্ন ইউরোর পরই ফুটবলকে বিদায় বলবেন তিনি।

নিজের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে ক্রুস লিখেছেন, ‘১৭ জুলাই, ২০১৪- রিয়াল মাদ্রিদে আমার পরিচিতির দিন। যে দিনটা আমার জীবনকে বদলে দিয়েছিল। ফুটবলার হিসেবে তো বটেই, তবে বিশেষ করে ব্যক্তি হিসেবে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাবে নতুন একটা অধ্যায় শুরু হয়েছিল। ১০ বছর পরে সে অধ্যায় শেষ হয়েছে। একইসঙ্গে সক্রিয় ফুটবলার হিসেবেও আগামী ইউরোর পর আমার ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছি।’

রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে আগামী ১ জুন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ফাইনালই হবে তার শেষ ম্যাচ। মাদ্রিদ ক্লাব কর্তৃপক্ষও ক্রুসের অবসরের সিদ্ধান্ত এক বিবৃতিতে মাধ্যমে জানিয়েছে।

পেশাদার সম্ভাব্য সবকিছুই জিতেছেন ক্রুস। স্পেন এবং জার্মানিতে সাতটি লিগ শিরোপা, বায়ার্নের হয়ে একটি ও রিয়ালের হয়ে পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করেছেন। এছাড়া জার্মানির হয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী দলেরও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন এই ক্ষণজন্মা ফুটবলার।

ক্লাব ফুটবলের ৭৫১ ম্যাচ খেলে ৭৩ গোল করেছেন, বানিয়ে দিয়েছেন ১৬৫ গোল। জার্মানির জার্সিতে খেলেছেন ১০৮ ম্যাচ।

;

উইন্ডিজ কিংবদন্তিকে চায় পাকিস্তান ক্রিকেট



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জুন থেকে পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। এবারের আসরে ভাল কিছু করে দেখাতে বদ্ধপরিকর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ক্রিকেটারদের আর্মি ক্যাম্পে ট্রেনিং থেকে শুরু করে এখন কোচ নির্বাচন পর্যন্ত, সবকিছুই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে তারা। এবার বিশ্বকাপের জন্য দলের মেন্টর হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডসকে চায় পাকিস্তান।

পাকিস্তানের একের অধিক সংবাদমাধ্যম এটি প্রকাশ্যে বলেছে। পিসিবির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও জানিয়েছেন যে, তাদের বোর্ড এবং ভিভ রিচার্ডসের মধ্যে আলোচনা চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তান দলের অংশ হিসেবে থাকবেন তিনি।

পিসিবির সেই কর্মকর্তার উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে ক্রিকেট পাকিস্তান। যেখানে বলা আছে, ‘রিচার্ডস যেভাবে কোয়েটা গ্লাডিয়েটরসের মেন্টর হিসেবে কাজ করেছেন, তাঁর কাজে পিসিবি খুবই মুগ্ধ। পিসিবি এই সুবিধাটুকু নিতে চায়, বিশেষ করে বিশ্বকাপের ওয়েস্ট ইন্ডিজ অংশে।’

উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন পিএসএলের দল কোয়েটা গ্লাডিয়েটরসের মেন্টরের দায়িত্ব পালন করেছেন রিচার্ডস। এবারের বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ হিসেবে আছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম পর্ব টপকে যেতে পারলে পাকিস্তানের পরবর্তী ম্যাচগুলো হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেই। সেক্ষেত্রে ভিভ রিচার্ডসের মেন্টরশিপ পাকিস্তানের জন্য খুব উপকারী হবে এমনটাই মনে করছে বোর্ড।

;

শান্তর অধিনায়কত্ব ভাল লাগে লিটনের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে ভিন্নধর্মী মতামত শোনা গেলেও লিটনের কাছে বেশ ভাল লাগে শান্তর নেতৃত্ব। শুরু থেকে তার মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি ছিল বলে মনে করেন টাইগার ওপেনার। দায়িত্ব পাবার পর থেকেই নিজের সেরাটাই দেখিয়ে যাচ্ছেন শান্ত। বিসিবি থেকে সদ্য প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন বাংলাদেশ দলের ওপেনার লিটন কুমার দাস।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য নিয়ে ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবার সেখানে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন এবং দলের সার্বিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন লিটন।

সতীর্থ এবং দলের অধিনায়ক শান্তকে নিয়ে লিটন বলেছেন, ‘লাস্ট কয়েকটা সিরিজ ধরে শান্ত যে ক্যাপ্টেন্সি করছে তা আমার খুব ভাল লাগছে। যেহেতু সে একজন নিউকামার, তার হাতে তিন ফরম্যাটেরই দায়িত্ব আছে। ওভারল যা দেখছি হি ইজ ইম্প্রুভিং। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো মানুষেরই ইনপ্রুভমেন্টের কোনো শেষ নেই। সে খুব ভাল করছে।‘

এছাড়াও বিগত সময়ে ব্যাট হাতে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারছেন না এমনটাও বলেছেন টাইগার ওপেনার। তার এবং দলের সব ব্যাটারদেরই উন্নতি করার জায়গা আছে বলে মনে করেন তিনি। 

বর্তমানে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলটা যথেষ্ট ভারসাম্যপূর্ণ, এমনটা মনে করেন লিটন। তার মতে ২০২২ সালের পর থেকেই দল বেশ ব্যালেন্সড, ‘ভাল ক্রিকেট খেলেই আমরা বিগত সময়ে ভাল টিমগুলার সঙ্গে জিতেছি। অবশ্যই ওয়ার্ল্ড কাপে আলাদা একটা প্রেশার থাকবে। নো ডাউট সেটা সব টিমেরই থাকে। আমরা যদি নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলতে পারি, তাহলে মনে হয় আমাদের খুব ভাল একটা চান্স আছে।‘

তবে নিজেদের পারফরম্যান্সটা ধরে রেখেই বিশ্বকাপ মিশনে নামতে হবে বাংলাদেশে দলকে, ‘খারাপ সময়ে যত কাম এন্ড কুল থাকা যায়, যত কম চিন্তা করে নিজেদের ক্রিকেটের দিকে ফোকাস করা যায় তাই ভাল। আশা করি ভাল কিছুই হবে।‘

;