আগের ম্যাচে ড্র করে বার্সেলোনা রিয়াল মাদ্রিদের সামনে সুযোগ করে দিয়েছিল পয়েন্ট ব্যবধান কম করে আনার। কিলিয়ান এমবাপের নৈপুণ্যে সে সুযোগটা লুফে নিয়েছে দলটা। লেগানেসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট ব্যবধানটা চারে নামিয়ে এনেছে রিয়াল।
ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের ক্রস থেকে কিলিয়ান এমবাপ্পে মৌসুমের সপ্তম গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে ফেডেরিকো ভালভের্দে ফ্রি-কিক থেকে দুর্দান্ত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
৮৫তম মিনিটে জুড বেলিংহাম ব্রাহিম দিয়াজের পোস্টে লেগে আসা বল হেড করে গোল করেন, যা ছিল তার টানা দ্বিতীয় লিগ গোল।
এর আগে, এমবাপ্পে ভিনিসিয়ুসের পাস থেকে একটি গোল করলেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। পরে ৮৩তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলের সুযোগ নষ্ট করেন তিনি।
এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। একটি ম্যাচ কম খেলে বার্সার চেয়ে চার পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে। বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে খেলবে রিয়াল। তার আগে এই জয় আনচেলত্তির দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।
ট্র্যাভিস হেড নামটা শুনলে কি ভারতীয়দের মন একটু হলেও খারাপ হয়? ২০২৩ সালে দুটো আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলেছিল দলোটা। দুই ফাইনালেই অস্ট্রেলিয়া ভারতকে হারিয়েছিল, দুই ফাইনালেই সেঞ্চুরি করেছিলেন ট্র্যাভিস হেড।
আজ পার্থে যখন সহজ জয়ের আশা নিয়ে ভারত নেমেছে মাঠে, ঠিক তখনই দেয়াল তুলে দাঁড়িয়েছেন একজন। তিনি ট্র্যাভিস হেড ছাড়া আর কে! তার ব্যাটেই এখন লড়ছে অস্ট্রেলিয়া। ৫ উইকেটে ১০৪ রান নিয়ে গেছে মধ্যাহ্ন বিরতিতে।
আগের দিন শেষ বিকেলে ২৬ বল খেলেই ঘোর বিপদে পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ১২ রান তুলতে ৩ উইকেট খুইয়ে বসেছিল। সে হিসেবে আজকের সকালটা বেশ ভালো কেটেছে তাদের। ২৬.৪ ওভার খেলা হয়েছে আজ সকালে। এ সময় ২ উইকেটে ৯২ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া।
তবে এই সেশনটা এত ‘ভালো’ কাটবে, শুরুতে তা বোঝা যায়নি। মোহাম্মদ সিরাজের বলে পুল করতে গিয়েছিলেন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার উসমান খাজা। তখন মোটে দিনের দ্বিতীয় ওভার চলছে। তাতে তিনি ব্যর্থ হলেন, ক্যাচ চলে যায় ঋষভ পান্তের হাতে। খাজার ইনিংস শেষ হয় ৪ রানে।
এরপর উইকেটে আসেন ট্রাভিড হেড। তার সঙ্গে স্মিথের জুটি জমে গিয়েছিল রীতিমতো। দুজন মিলে পঞ্চম উইকেটে ৬২ রান যোগ করেন দলের স্কোরবোর্ডে। তবে তাদের এই জুটিও ভাঙেন মোহাম্মদ সিরাজ। তার বলে স্মিথ উইকেটের পেছনে ঋষভ পন্তকে ক্যাচ দেন স্মিথ।
তবে শুরু থেকেই পাল্টা আক্রমণের মেজাজে ছিলেন হেড। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি অস্ট্রেলিয়ার সিংহভাগ বল খেলেছেন, করেছেন এই সেশনে তাদের সিংহভাগ রানও। ৭২ বলে তিনি ৭টি চার মেরেছেন, করেছেন ৬৩ রান। ওপাশে আছেন ৫ রান করা মিচেল মার্শ।
অস্ট্রেলিয়ার এখনও চাই ৪৩০ রান। ভারতের চাই ৫ উইকেট।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাদের হারানোর স্মৃতিটা এখনও তরতাজা! তবে পাকিস্তান ক্রিকেট দল এরই মধ্যে একটা দুঃসংবাদই পেল। জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে বসেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল। রোববার বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে জিম্বাবুয়ে পাকিস্তানকে ৮০ রানে হারিয়ে দিয়েছে।
জিম্বাবুয়ে প্রথমে ব্যাট করে ৪০.২ ওভারে ২০৫ রানে অলআউট হয়। দলকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছাতে বড় ভূমিকা রাখেন রিচার্ড এনগারাভা (৪৮) ও সিকান্দার রাজা (৩৯)। দুজন মিলে অষ্টম উইকেটে ৬২ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন।
জবাবে, পাকিস্তান ব্যাট করতে নেমে ২১ ওভারে ৬ উইকেটে মাত্র ৬০ রান করে চাপে পড়ে যায়। এর মধ্যেই প্রবল বৃষ্টি, বজ্রপাত শুরু হয়। যার ফলে খেলা বন্ধ করে দিতে হয়। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর সিদ্ধান্ত আসে যে ম্যাচ আর মাঠে গড়াচ্ছে না। যার ফলে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির মাধ্যমে জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৮০ রানের জয় নির্ধারণ করা হয়।
এই হার পাকিস্তানের জন্য আরেকটি ধাক্কা। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের ঠিক পরে দলটা টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছিল ৩-০ ব্যবধানে।
মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার দুই দল আবার মুখোমুখি হবে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে। এরপর তিনটি টি-টোয়েন্টির সিরিজ অপেক্ষা করছে দলটির জন্য।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে: ২০৫/১০, ৪০.২ ওভার (রিচার্ড এনগারাভা ৪৮, সিকান্দার রাজা ৩৯, টাডিওয়ানাশে মারুমানি ২৯; ফয়সাল ৩/২৪, সালমান ৩/৪২)
পাকিস্তান: ৬০/৬, ২১ ওভার (মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৯*, ব্লেসিং মুজারাবানি ২/৯, শন উইলিয়ামস ২/১২)
ফলাফল: জিম্বাবুয়ে ৮০ রানে জয়ী (ডিএলএস পদ্ধতিতে)
অ্যান্টিগা টেস্টের তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ ২৬৯ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪৫০ রানে ৯ উইকেটে ডিক্লেয়ার করা প্রথম ইনিংসের চেয়ে সফরকারীরা এখনও ১৮১ রানে পিছিয়ে।
স্বাগতিকরা তাদের বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে খেলার নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে দিন শেষে। ফলো অনটাও প্রায় করিয়েই ফেলছিল বাংলাদেশকে, তবে শেষ দিকে জাকের আলির দারুণ ফিফটিতে তাদের ফলো-অন এড়াতে সাহায্য করেছে।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা মন্থর পিচে স্থিরভাবে খেলার চেষ্টা করলেও কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। জাকের আলি (৫৩) ও মুমিনুল হক (৫০) হাফ-সেঞ্চুরি করলেও দ্রুত আউট হয়ে যান। লিটন দাসও ৪০ রানে থেমে যান। সপ্তম উইকেটে জাকের ও তাইজুল ইসলাম ৬৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ফলো-অন এড়ানোর জন্য দলকে ২৫১ রানের সীমা পার করতে সাহায্য করে।
তৃতীয় দিনের শুরুতে মুমিনুল শামার জোসেফের ওভারে দুটি বাউন্ডারি হাঁকান। তবে কেমার রোচ শাহাদাত হোসেনকে ১৮ রানে আউট করেন, তিনি কাভেম হজের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। মুমিনুল ও লিটন প্রথম সেশন পার করলেও, লাঞ্চের পরে জেডেন সিলস মুমিনুলকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান।
মেহেদি হাসান মিরাজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাউন্সারের চাপে পড়ে যান, আলজারি জোসেফের একটি বাউন্সারে ক্যাচ দেন শর্ট লেগে থাকা মিকাইল লুইসের হাতে। লিটনও চাপ সামলাতে না পেরে ৪০ রানে বোল্ড হন।
তাইজুল ও জাকেরের দৃঢ়তায় বাংলাদেশ কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। জাকের চারটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তবে জোসেফ তাইজুলকে ও জাকেরকে ক্যাচে পরিণত করে এই জুটি ভাঙেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (তৃতীয় দিন শেষে)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ১৪৪.১ ওভারে ৪৫০/৯ ডিক্লে. (গ্রিভস ১১৪, লুইস ৯৭, এথানেজ ৯০, রোচ ৪৭; হাসান ৩-৮৭, মিরাজ ২-৭৬)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৯৮ ওভারে ২৬৯/৯ (মুমিনুল ৫০, জাকের ৫৩; আলজারি ৩/৬৯)।