ব্যাটে-বলে সাকিবময় বিশ্বকাপ!



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম, সাউদাম্পটন, ইংল্যান্ড থেকে
বল হাতেও সাফল্য এনে দিলেন সাকিব আল হাসান

বল হাতেও সাফল্য এনে দিলেন সাকিব আল হাসান

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপে নিজের সেরাটা তাহলে এই ম্যাচের জন্যই জমিয়ে রেখেছিলেন আফগানিস্তান অধিনায়ক গুলবাদিন নায়েব?

আর বোলার সাকিবও তাই! বিশ্বকাপে নিজের সেরা বোলিংয়ের চমক দেখালেন সাকিব আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচে। শিকার করলেন ৪ উইকেট। ম্যাচে নিজের শুরুর ৭ ওভারে মাত্র ১০ রান খরচায় তুলে নিলেন ৪ উইকেট। ছাড়িয়ে গেলেন বিশ্বকাপে নিজের আগের সেরা বোলিংকে (৪/৫৫, প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড, ২০১৫)।

একটা পরিসংখ্যান জানিয়ে দেই। চলতি বিশ্বকাপে সাকিবের রান এখন পর্যন্ত ৪৭৬। হ্যাঁ, বিশ্বকাপে যারা খেলছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান তারই। দুটি সেঞ্চুরি ও তিনটি হাফসেঞ্চুরি। সবচেয়ে কম রানের ইনিংসে তার রান ৪১!  উইকেট শিকার সংখ্যাও দাড়িয়েছে ৯টি। আগের পাঁচ ম্যাচে পাঁচটি। ষষ্ঠ ম্যাচে আরো চারটি!

যে দুর্দান্ত কায়দায় বোলিং করছিলেন সাকিব তাতে মনে হচ্ছিলো এই ম্যাচে বাকি তিন ওভারে তার উইকেটের সংখ্যা আরো বাড়বে নিশ্চিত!

বাংলাদেশের ২৬২ রানের ইনিংস তাড়া করতে নেমে ২৫ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর দাড়ায় ৯৮ রানে ২ উইকেট। ম্যাচ জিততে তখনো আফগানিস্তানের প্রয়োজন ছিলো বাকি ২৫ ওভারে ১৬৫ রান। যেভাবে আফগানিস্তানের ইনিংস সামনে বাড়ছিলো তাতে তাদের জয়ের জন্য বাকি রানকে খুব দুরের কোনো পথ মনে হচ্ছিলো না!

কিন্তু প্রথম স্পেলের মতো নিজের দ্বিতীয় স্পেলে এসেও সেই সাকিবও আরেকবার ম্যাচে বাংলাদেশের অস্বস্তি দুর করলেন। আফগানদের ওপেনিং জুটি ভেঙ্গেছিলেন সাকিব নিজের প্রথম ওভারেই। ফেরান আফগানিস্তান ওপেনার রহমত শাহকে। এরপর নিজের দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম ওভারের প্রথম তিন বলেই দুই উইকেট তুলে নিয়ে এই ম্যাচের মোড় আরেকবার ঘুরিয়ে দিলেন সাকিব।

ম্যাচে তখন অ্যাডভান্টেজ বাংলাদেশ!

৩৪ ওভারে আফগানিস্তান ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ১২৫ রান। জয়ের জন্য ২৬৩ রানের টার্গেট তখন অনেক কঠিন এবং দুরের পথ মনে হতে শুরু করলো আরেকবার। বাংলাদেশকে এভাবে ম্যাচে ফিরিয়ে আনার পুরো কৃতিত্ব বোলার সাকিবের। তার শুরুর পাঁচ ওভারের বোলিংয়ের বিশ্লেষণ এমন; ৭-১-১০-৪! যার মধ্যে ৩৩ টি আবার ডটবল।

অর্থাৎ বোলিংয়ে সাকিবের শুরুর ৪২ বলের ৩৩ টি থেকে আফগানিস্তান কোনো রানই নিতে পারেনি!

প্রথম পাওয়ার প্লে সমস্যা ছাড়াই কাটিয়ে দেয় আফগানরা। তোলে বিনা উইকেটে ৪৮ রান।
চলতি বিশ্বকাপে প্রথম ১০ ওভারে এটাই আফগানিস্তানের সেরা সংগ্রহ! তাদের অধিনায়ক গুলবাদিন নায়েবের এই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ স্কোর ছিলো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ৩৭ রানের। বাংলাদেশের বিপক্ষে ছাড়িয়ে গেলেন নিজের আগের সেই স্কোর। ৪৭ রানে তাকেও ফেরালেন সাকিবই।  

মাশরাফি-মুস্তাফিজ নতুন বলে শুরুটা করেন। কোনো সাফল্য মিললো না। সাইফুদ্দিন শুরুর ৩ ওভারে মাত্র ৮ রান দিলেন। প্রথম পাওয়ার প্লে’র দশ ওভারের পুরোটাই করলেন তিন পেসাররা।

সাকিবকে আক্রমণে নিয়ে আসেন মাশরাফি, আফগানদের ইনিংসের ১১ ওভারের সময়। নিজের প্রথম ওভারেই সাকিব জানিয়ে দিলেন-শুধু ব্যাটিংয়ে নয়, বোলিংয়ে তিনি দলের সবচেয়ে বড় আস্থার প্রতীক। এই ম্যাচে ব্যাটিংয়েও ৫১ রান করেন সাকিব। চলতি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ৪৭৬ রানের মালিকও সেই তিনি।

   

লিভারপুল ছাড়ার আগেই ক্লপের ‘নতুন শুরু’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিভারপুলের ডাগআউটে আজ শেষবারের মতো দাঁড়াবেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। অলরেডদের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কের ইতি টানতে যাচ্ছেন তিনি। অবশ্য তার আগেই নতুন এক আঙিনায় পদচারণা শুরু হল তার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নাম লিখিয়েছেন ক্লপ, যোগ দেয়ার একদিনের মাথায় তার অনুসারীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ লাখ।

কোচিং ক্যারিয়ারে ব্যস্ত সময় কেটেছে ক্লপের। ২০০১ সালে জার্মান ক্লাব মেইনজের দায়িত্ব নিয়ে পেশাদার কোচিং শুরু তার। এরপর বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ঘুরে লিভারপুলে থিতু হয়েছিলেন। কোচিং ব্যস্ততায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না তিনি।

বছর চারেক আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এ বিষয়ে তিনি বেশ অজ্ঞ, এমনকি এগুলো নিয়ে খুব একটা আগ্রহ বোধ করেন না তিনি। তবে লিভারপুল ছাড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে ইনস্টাগ্রামে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পদচারণা শুরু করলেন তিনি।

ক্লপের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের নাম ‘ক্লপো’। অ্যাকাউন্ট খোলার পরপরই তার ভক্তরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। তরতরিয়ে বাড়ছে ফলোয়ার সংখ্যা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৫ লাখের বেশি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারি তাকে ইনস্টাগ্রামে অনুসরণ করেছেন।

;

জাভিকে ছাঁটাই করবে বার্সেলোনা?



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে বার্সেলোনার টানা বাজে পারফরম্যান্সের পর কোচ জাভি হার্নান্দেজ ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, এই মৌসুম শেষেই বিদায় নিবেন তিনি। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। এবার মৌসুমের শেষদিকে এসে আরও একবার জাভির বিদায়ের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

স্প্যানিশ এক সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, এখন আর জাভিকে কোচ হিসেবে রাখতে চান না বার্সেলোনার সভাপতি। তবে নিজের ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে সব গুঞ্জন উপেক্ষা করে বার্সা কোচ জানিয়েছেন, ক্লাব সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী।

একাধিক স্প্যানিশ গণমাধ্যম বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে যে, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই জাভিকে ছাঁটাই করতে যাচ্ছে কাতালান ক্লাবটি। জাভি আবার বলেছেন এ বিষয়ে বার্সেলোনা তাকে শান্ত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে, ‘কোনো রিপোর্ট নিয়ে আমি আগ্রহী নই। ক্লাব আমাকে শান্ত ও আত্মবিশ্বাসী থাকতে পরামর্শ দিয়েছে। আমার কাছে সবকিছুই এখনো আগের মতোই আছে।‘

আজ রবিবার রাতে রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সেলোনা। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে জাভি কথা বলেছেন, ‘আমরা সভাপতির সাথে পুরো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সেখানে কোন কিছু হয়ে থাকলে সবাই জানতো। কিন্তু কার্যত তিন সপ্তাহ আগে যেমন ছিল সবকিছুই এখনো তেমনই আছে।’

;

ম্যানসিটি নাকি আর্সেনাল, শেষ হাসি কার?



হোসাইন মাহমুদ আব্দুল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত মৌসুমেও প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনালের মধ্যে। তবে সেবার শেষের একটু আগে পা হড়কে যায় গানারদের। তাই শেষ পর্যন্ত হেসেখেলেই লিগ জিতে যায় সিটি। কিন্তু এবার মৌসুমের শেষ দিন পর্যন্ত গড়িয়েছে উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ। টানটান উত্তেজনাময় প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার দৌড়ে যতি পড়বে আজ। শেষ দৃশ্যে ইতিহাদে উৎসব হবে নাকি এমিরেটসে, তা দেখতেই এখন মুখিয়ে গোটা ফুটবল দুনিয়া।

ম্যানচেস্টার সিটি অবশ্য শিরোপার হিসাব-নিকাশে আর্সেনালের কিছুটা এগিয়ে বা বলা যায় স্বস্তিতে আছে। ৩৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৮৮, দুই পয়েন্টে পিছিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল। শেষদিনে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট হ্যামকে হারিয়ে দিলেই টানা চতুর্থবার লিগ শিরোপার স্বাদ পাবে তারা।

আর্সেনালের জন্য হিসেবটা একটু কঠিন। ঘরের মাঠে যদি তারা এভারটনকে হারিয়েও দেয়, তবু চেয়ে থাকতে হবে সিটি-ওয়েস্ট হ্যাম ম্যাচের দিকে। সে ম্যাচে সিটিজেনরা পয়েন্ট হারালেই কেবল ২০ বছর পর লিগ জয়ের উৎসব করতে পারবে তারা। যেহেতু সিটির চেয়ে আর্সেনাল ১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে আছে, তাই আর্সেনাল জিতলে ও সিটি ড্র করলে শিরোপা এমিরেটসে আসবে।

শিরোপার হিসাব-নিকাশ শেষ দিনের জন্য তোলা থাকলেও সেরা চারের হিসাব এবার আগেভাগেই শেষ হয়ে গেছে। ম্যানসিটি এবং আর্সেনালের সঙ্গে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে লিভারপুল ও অ্যাস্টন ভিলা।

এবার টেবিলের তলানিতে চোখ বুলানো যাক। চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে উঠে আসা তিন ক্লাব বার্নলি, শেফিল্ড ইউনাইটেড ও লুটন টাউনই অবনমিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে বার্নলি এবং শেফিল্ডের অবনমন নিশ্চিত হয়ে গেছে।

কাগজে-কলমে না হলেও প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগে আসা লুটনের অবনমনও নিশ্চিত বলা চলে। কারণ মৌসুমের শেষ দিনে তারা যদি ফুলহ্যামকে হারিয়ে দেয় এবং টেবিলের ১৭ নম্বরে থাকা নটিংহ্যাম ফরেস্ট নিজেদের ম্যাচে হেরে যায়, তাহলে দুই দলের পয়েন্ট হবে সমান ২৯। কিন্তু গোল ব্যবধানে ফরেস্টের (-১৯) চেয়ে লুটন (-৩১) অনেক পিছিয়ে থাকায় জয়টা তাদের জন্য সান্ত্বনার হয়েই থাকবে।

;

টি-টোয়েন্টিতে চাপ বেশি, সেটিই উপভোগ করেন মুস্তাফিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আধুনিক ক্রিকেটে ব্যাটিং ঝড়ের টি-টোয়েন্টিতে এখন চাপটা যে বোলারদের সবচেয়ে বেশি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আগে বোলিং পেলে ব্যাটারদের কমে আটকানোর চাপ, পরে বোলিং করলে  ব্যাটাররা যেন সেই লক্ষ্য ছুঁতে না পারে সেই চাপ। সম্প্রতিই আইপিএলের ব্যাটিং ঝড়ের হাত থেকে বোলারদের বাঁচাতে আকুতি জানিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বোলারদের এমন চাপের বিষয়টিকে সায় দিলেন মুস্তাফিজুর রহমানও। তবে সেই চাপ বেশ উপভোগ করেন তিনি এবং এই কারণেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট তার সবচেয়ে পছন্দের। 

সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর আগে টুর্নামেন্টটির সহ-আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাদের মাঠে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ইতিমধ্যেই দেশটিতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম এই আসরে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে ‘গ্রিন রেড স্টোরি’ শিরোনামে বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে বিসিবি। সেখানেই নিজের লক্ষ্য নিয়ে কথা বোলার সময় মুস্তাফিজ জানান কেন এই ফরম্যাটই তার সবচেয়ে পছন্দের। 

বিশেষ সেই সাক্ষাৎকারে মুস্তাফিজ বলেন, ‘ভালো লাগার প্রসঙ্গ এলে আমি টি-টোয়েন্টিটা বেশি পছন্দ করি। এই সংস্করণে চাপটা বেশি। এ কারণেই মনে হয় আমার ভালো লাগে। আমি চাপটা অনেক উপভোগ করি।’

জাতীয় দলের দায়িত্ব ফেরার আগে দেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এবার আইপিএলে খেলেছেন মুস্তাফিজ। সেখানে বিশ্বের নামীদামী সব খেলোয়াড়, কোচদের কাছে স্বাভাবিকভাবেই শিখেছেন অনেক কিছু। সেসব অনায়াসেই জাতীয় দলের বাকি পেসারদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে চান তিনি। এবং দেশের পেস আক্রমণ নিয়ে বেশ আশাবাদী এই বাঁহাতি পেসার। ‘আমাদের যে পেস বোলাররা আছে- তাসকিন, শরিফুল, সাইফউদ্দিন ( বিশ্বকাপ দলে নেই), হাসান মাহমুদ। আমি যেটুকু শিখেছি, সেগুলো ওদের সঙ্গে ভাগাভাগি করব। এতে যদি আমাদের আরেকটু উন্নতি হয়।’ 

;