অধিনায়ক মরগান যেন ‘গানপয়েন্টে’!
একেই বলে প্রশ্নের ঝড়!
এক প্রশ্ন শেষ না হতেই আরেকটি কড়া প্রশ্ন!
-বিশ্বকাপে ফল ভালো না হলে কি আপনি অধিনায়ক থাকবেন, নাকি নিজেই বিদায় নেবেন?
-তাহলে আপনি কি যাচ্ছেন? নাকি থাকছেন? চলে যাওয়ার জন্য আপনি কি আগাম কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন? থাকাটা ঠিকও হবে কিনা?
-হারলেই বিশ্বকাপের খাদের কিনারায় চলে যাবে দল। এমন পরিস্থিতিতে এটা আপনার অধিনায়কত্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ কিনা?
এজবাস্টনে ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মরগানের সংবাদ সম্মেলনের শেষের অংশের দৃশ্য এগুলো! কখনো এসব প্রশ্নের উত্তর মরগান এক শব্দে দিলেন। কখনো প্রশ্ন না বোঝার বা শোনার ভান ধরে এড়িয়ে যেতে চাইলেন! একসময় খানিকটা বিরক্ত হয়েই বললেন-‘আমি নিজের সম্পর্কে এখানে কিছু বলতে বসিনি। এখানে বিষয়টা আমি না। বিষয়টা পুরো দল!’
উত্তরের মধ্যে ক্ষোভ, যন্ত্রণা এবং চরম বিরক্তির প্রকাশ স্পষ্ঠতর। কিন্তু তাও মুখে লাজুক হাসি ঝুলিয়ে রেখে গেলেন ইংলিশ অধিনায়ক।
এই মূহূর্তে এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে টেনশনে থাকা অধিনায়কের নাম মরগান। অথচ প্রায় নির্লিপ্ত কণ্ঠে মরগান বললেন-‘আমি বা আমার দল মোটেও চাপে নেই। আমরা সবকিছুই ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করছি। বেশ লাকি অবস্থানে আছি আমরা। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপে খেলছি, এটাই তো অনেক বড় সুবিধা ও সৌভাগ্যের ব্যাপার। আমরা যদি পরের দুই ম্যাচ জিততে পারি তাহলে সেমি-ফাইনালে উঠবো। সেখানে জিততে পারলে ফাইনালে খেলবো। এখনো সামনে বাড়ার জন্য আমাদের পথ ও সুযোগ আছে-আমরা সেদিকেই তাকিয়ে আছি।’
৭ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়ার আশঙ্কার গর্তে পড়ে গেছে। অথচ স্বাগকিতরা কি দাপটের সঙ্গেই না বিশ্বকাপ শুরু করেছিলো। বিশ্বকাপের শুরুতে কি আনন্দময় সময়ই না কেটেছে তাদের!
আর এখন টানা হারে শুরু হয়েছে চারধার থেকে সমালোচনার তীর। ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচটি এক অর্থে ইংল্যান্ডের জন্য ‘মাষ্ট উইন’ ম্যাচ। তবে সেই ‘চাপ’ কমানোর উপায় হিসেবে মরগান ম্যাচটাকে ঠিক ঐ ব্যাখায় ফেলছেন না। বললেন-‘ ম্যাচে হারার চিন্তা করাটা নিশ্চয়ই কার্যকর কোনো কিছু নয়। আমরা যদি কালকের ( রোববারের) হেরেও যাই, তাও অংকের হিসেবে আমাদের গ্রুপের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত একটা সুযোগ রয়েছে। তবে আমরা দুটো ম্যাচেই জয় চাই। সেই হিসেবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা অনেক বেশি অগ্রাধিকার পাচ্ছে।’
অগ্রাধিকার নিয়ে চিন্তায় মরগান। আর তার সমালোচকরা অপেক্ষা করছে তাকে ‘গলাধাক্কা’ দিতে!