স্পিন উইকেটে প্রথমদিনের নায়ক এক ব্যাটসম্যান!



স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, চট্টগ্রাম থেকে
হাশমতউল্লাহকে ফিরিয়ে স্বস্তি এনে দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ, কিন্তু দিন শেষে হাসি মুখ নেই টাইগারদের

হাশমতউল্লাহকে ফিরিয়ে স্বস্তি এনে দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ, কিন্তু দিন শেষে হাসি মুখ নেই টাইগারদের

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমদিন শেষে আফগানিস্তান ৯৬ ওভারে ৫ উইকেটে ২৭১ রান।

-তাহলে এগিয়ে থাকলো কে? ব্যাটিংয়ে থাকা আফগানিস্তান নাকি টস হেরে বোলিং করতে নামা বাংলাদেশ?

উত্তরটা লুকিয়ে চট্টগ্রামের উইকেটে! তবে প্রথমদিনের বিশ্লেষণে যা মিলছে তার নাম আফগানিস্তানের স্বস্তি আর বাংলাদেশের কপালে দুঃশ্চিন্তায় রেখা। যে রেখা ক্রমশ বড়ো হচ্ছে।

-কত বড়ো?

এই টেস্টের প্রথমদিনের খেলাকে যদি ১০০ মিটার দৌড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয় তাহলে আফগানিস্তান এগিয়ে এখন বাংলাদেশের চেয়ে ৩০ মিটার বেশি!

ম্যাচের আগে স্পিনস্বর্গ হিসেবে অ্যাখা পাওয়া চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথমদিন একটা বলেও কি ‘শার্প টার্ন’ এর দেখা মিললো। মিললো না! প্রথমদিন বোলিং করা বাংলাদেশের সাত স্পিনারের কারো বলই যে ‘আনপ্লেয়েবল’ মনে হলো না।
 
সারাদিনে পাঁচ উইকেট পড়লো। যার প্রথম দুটির শিকার তাইজুল ইসলামের। শেষের দুটি নাঈম হাসানের। মাঝে এক ওভার বল করতে এসে একটা উইকেট তুলে নিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। গোটা দিন প্রান্ত বদলে সাকিব ও মিরাজ অনেক চেষ্টাই করে গেলেন। কিন্তু তাদের দুজনের জন্যই চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন সাফল্যহীন হয়ে রইলো।
 
এই উইকেটে স্পিন বেশি ধরবে জেনে বাংলাদেশ একাদশে কোনো পেসারই রাখলো না! স্পিনারদের দিয়েই বোলিং বিভাগ সাজালো। পার্ট টাইম পেসার হিসেবে সৌম্য সরকার কেবল ৪ ওভার করলেন। খরচ তার ২৬ রান।
 
তবে স্পিনারদের উইকেট বলে হাঁকডাঁক পাওয়া চট্টগ্রামে প্রথমদিনের নায়ক হয়ে রইলেন আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যান রহমত শাহ। দেশের হয়ে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির কৃতিত্ব গড়লেন এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। আর সেঞ্চুরির স্বপ্ন নিয়ে প্রথমদিনটা শেষ করলেন আরেক ব্যাটসম্যান আসগর আফগান। পায়ে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়েও আফগানিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক দিন শেষে অপরাজিত রইলেন ৮৮ রান তুলে।

৭৭ রানে ৩ উইকেট হারানো আফগানিস্তানকে চট্টগ্রাম টেস্টে নিরাপদ স্কোরের পথে রাখলো আসগর আফগান ও রহমত শাহ’র চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১১৪ রান। চা বিরতির পর দ্বিতীয় ওভারেই নিজের টেস্ট সেঞ্চুরির আনন্দে ভাসলেন রহমত শাহ। ফিরলেনও অবশ্য প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। সেঞ্চুরি করার পর খেলা নিজের প্রথম বলেই আউট হলেন। নাঈম হাসানের বলে স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ১০২ রানে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন রহমত শাহ। সেই ওভারের শেষ বলে নাঈম হাসান বোল্ড করলেন মোহাম্মদ নবীকে।

 এক ওভারে দুই উইকেট হারানো আফগানিস্তানকে দিনের শেষ সেশনে নিরাপদ রাখলেন আসগর আফগান ও উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান আফসার জাজাই। পঞ্চম উইকেট জুটিতে এই দুজনে যোগ করেন হার না মানা ৭৪  রান।

পুরোটা দিন আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা যে চমৎকার কায়দায় বাংলাদেশের স্পিনারদের বিপক্ষে খেললো তাতেই বোঝা গেলো ব্যাটিংয়ের হোমওয়ার্ক ভালো সেরেই তারা এই সিরিজ খেলতে এসেছে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: আফগানিস্তান ১ম ইনিং: ২৭১/৫ (৯৬ ওভারে, ইব্রাহিম ২১, ইসানউল্লাহ ৯, হাসমতউল্লাহ শহীদি ১৪, রহমত শাহ ১০২, আসগর ৮৮*, মোহাম্মদ নবী ০, আফসার জাজাই ৩৫* তাইজুল ২/৭৩, নাঈম হাসান ২/৪৩, মাহমুদউল্লাহ ১/৯)

# প্রথমদিন শেষে

   

শেষ ম্যাচে হাসল পাঞ্জাবের ব্যাট



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের চলতি আসরের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও পাঞ্জাব কিংস। হায়দরাবাদের প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে আছে আরও আগেই। তবে আজকে ঘরের মাঠে ম্যাচটিতে জয় তুলে নিলে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠবে তারা। অপরদিকে পাঞ্জাবের জন্য ম্যাচটি শুধুই নিয়মরক্ষার। বর্তমান পয়েন্ট তালিকা অনুযায়ী তলানির দিকেই তাদের অবস্থান।

আইপিএলের এবারের আসরটি একদমই ভালো কাটেনি পাঞ্জাবের। শেষ ম্যাচেই তাদের পাওয়ার কিছু নেই। তবে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে ব্যাট হাতে ঠিকই খুশি করতে পেরেছে সমর্থকদের। হায়দরাবাদের মাঠে তাদেরকে ২১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে তারা।

এদিন ব্যাট হাতে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনার। অথর্ব করেছেন ২৭ বলে ৪৬ রান এবং প্রভসিমরান সিংয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৫ বলে ৭১ রান। রাইলি রুসোও খেলেছেন ২৪ বলে ৪৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।

অধিনায়ক জিতেশ শর্মাও ছিলেন ফর্মে, তার ১৫ বলে ৩২ রানের ক্যামেওতে ভর পর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ২১৪ রানের বড় সংগ্রহ করেছে পাঞ্জাব কিংস। হায়দরাবাদের হয় ২টি উইকেট শিকার করেছেন নাতারঞ্জন। এছাড়া কামিন্স ও বিজয়াকান্ত নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

;

লিভারপুল ছাড়ার আগেই ক্লপের ‘নতুন শুরু’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিভারপুলের ডাগআউটে আজ শেষবারের মতো দাঁড়াবেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। অলরেডদের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কের ইতি টানতে যাচ্ছেন তিনি। অবশ্য তার আগেই নতুন এক আঙিনায় পদচারণা শুরু হল তার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নাম লিখিয়েছেন ক্লপ, যোগ দেয়ার একদিনের মাথায় তার অনুসারীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ লাখ।

কোচিং ক্যারিয়ারে ব্যস্ত সময় কেটেছে ক্লপের। ২০০১ সালে জার্মান ক্লাব মেইনজের দায়িত্ব নিয়ে পেশাদার কোচিং শুরু তার। এরপর বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ঘুরে লিভারপুলে থিতু হয়েছিলেন। কোচিং ব্যস্ততায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না তিনি।

বছর চারেক আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এ বিষয়ে তিনি বেশ অজ্ঞ, এমনকি এগুলো নিয়ে খুব একটা আগ্রহ বোধ করেন না তিনি। তবে লিভারপুল ছাড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে ইনস্টাগ্রামে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পদচারণা শুরু করলেন তিনি।

ক্লপের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের নাম ‘ক্লপো’। অ্যাকাউন্ট খোলার পরপরই তার ভক্তরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। তরতরিয়ে বাড়ছে ফলোয়ার সংখ্যা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৫ লাখের বেশি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারি তাকে ইনস্টাগ্রামে অনুসরণ করেছেন।

;

জাভিকে ছাঁটাই করবে বার্সেলোনা?



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে বার্সেলোনার টানা বাজে পারফরম্যান্সের পর কোচ জাভি হার্নান্দেজ ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, এই মৌসুম শেষেই বিদায় নিবেন তিনি। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। এবার মৌসুমের শেষদিকে এসে আরও একবার জাভির বিদায়ের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

স্প্যানিশ এক সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, এখন আর জাভিকে কোচ হিসেবে রাখতে চান না বার্সেলোনার সভাপতি। তবে নিজের ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে সব গুঞ্জন উপেক্ষা করে বার্সা কোচ জানিয়েছেন, ক্লাব সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী।

একাধিক স্প্যানিশ গণমাধ্যম বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে যে, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই জাভিকে ছাঁটাই করতে যাচ্ছে কাতালান ক্লাবটি। জাভি আবার বলেছেন এ বিষয়ে বার্সেলোনা তাকে শান্ত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে, ‘কোনো রিপোর্ট নিয়ে আমি আগ্রহী নই। ক্লাব আমাকে শান্ত ও আত্মবিশ্বাসী থাকতে পরামর্শ দিয়েছে। আমার কাছে সবকিছুই এখনো আগের মতোই আছে।‘

আজ রবিবার রাতে রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সেলোনা। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে জাভি কথা বলেছেন, ‘আমরা সভাপতির সাথে পুরো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সেখানে কোন কিছু হয়ে থাকলে সবাই জানতো। কিন্তু কার্যত তিন সপ্তাহ আগে যেমন ছিল সবকিছুই এখনো তেমনই আছে।’

;

ম্যানসিটি নাকি আর্সেনাল, শেষ হাসি কার?



হোসাইন মাহমুদ আব্দুল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত মৌসুমেও প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনালের মধ্যে। তবে সেবার শেষের একটু আগে পা হড়কে যায় গানারদের। তাই শেষ পর্যন্ত হেসেখেলেই লিগ জিতে যায় সিটি। কিন্তু এবার মৌসুমের শেষ দিন পর্যন্ত গড়িয়েছে উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ। টানটান উত্তেজনাময় প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার দৌড়ে যতি পড়বে আজ। শেষ দৃশ্যে ইতিহাদে উৎসব হবে নাকি এমিরেটসে, তা দেখতেই এখন মুখিয়ে গোটা ফুটবল দুনিয়া।

ম্যানচেস্টার সিটি অবশ্য শিরোপার হিসাব-নিকাশে আর্সেনালের কিছুটা এগিয়ে বা বলা যায় স্বস্তিতে আছে। ৩৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৮৮, দুই পয়েন্টে পিছিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল। শেষদিনে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট হ্যামকে হারিয়ে দিলেই টানা চতুর্থবার লিগ শিরোপার স্বাদ পাবে তারা।

আর্সেনালের জন্য হিসেবটা একটু কঠিন। ঘরের মাঠে যদি তারা এভারটনকে হারিয়েও দেয়, তবু চেয়ে থাকতে হবে সিটি-ওয়েস্ট হ্যাম ম্যাচের দিকে। সে ম্যাচে সিটিজেনরা পয়েন্ট হারালেই কেবল ২০ বছর পর লিগ জয়ের উৎসব করতে পারবে তারা। যেহেতু সিটির চেয়ে আর্সেনাল ১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে আছে, তাই আর্সেনাল জিতলে ও সিটি ড্র করলে শিরোপা এমিরেটসে আসবে।

শিরোপার হিসাব-নিকাশ শেষ দিনের জন্য তোলা থাকলেও সেরা চারের হিসাব এবার আগেভাগেই শেষ হয়ে গেছে। ম্যানসিটি এবং আর্সেনালের সঙ্গে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে লিভারপুল ও অ্যাস্টন ভিলা।

এবার টেবিলের তলানিতে চোখ বুলানো যাক। চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে উঠে আসা তিন ক্লাব বার্নলি, শেফিল্ড ইউনাইটেড ও লুটন টাউনই অবনমিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে বার্নলি এবং শেফিল্ডের অবনমন নিশ্চিত হয়ে গেছে।

কাগজে-কলমে না হলেও প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগে আসা লুটনের অবনমনও নিশ্চিত বলা চলে। কারণ মৌসুমের শেষ দিনে তারা যদি ফুলহ্যামকে হারিয়ে দেয় এবং টেবিলের ১৭ নম্বরে থাকা নটিংহ্যাম ফরেস্ট নিজেদের ম্যাচে হেরে যায়, তাহলে দুই দলের পয়েন্ট হবে সমান ২৯। কিন্তু গোল ব্যবধানে ফরেস্টের (-১৯) চেয়ে লুটন (-৩১) অনেক পিছিয়ে থাকায় জয়টা তাদের জন্য সান্ত্বনার হয়েই থাকবে।

;