এমন জয়ের প্রতীক্ষাতেই ছিলেন মুশফিক



আপন তারিক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, দিল্লি থেকে
৪৩ বলে ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম

৪৩ বলে ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ১৫ দিন দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছে মুশফিকুর রহিমের। ধর্মঘটের পর সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞা! মেনে নিতে পারছিলেন না সাবেক এই অধিনায়ক। ভেতরের রক্তক্ষরণ বুঝতেও দিচ্ছিলেন না কাউকে। রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয়ের পর হাসিমুখ নিয়েই জানালেন এমন একটা মুহূর্তের প্রতীক্ষাতেই ছিলেন তিনি।

মাঠের বাইরের এমন অনাকাংখিত ঘটনা থেকে দৃষ্টি ফেরাতে এমনই একটা জয় জরুরি ছিল।  দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে বসে হাসিমুখে মুশফিক বলছিলেন, 'গত ১৫ দিনের পরিস্থিতি থেকে ফিরে আসার উপায় ছিল একটা জয় কিংবা ফাইটিং স্পিরিট। ষোল কোটি মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। আমরা আমাদের সেরাটা দিয়ে লড়বো। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।'

তবে সাকিব কিংবা তামিম ইকবাল ছাড়া জয়টাকে বেশ বড় করেই দেখছেন মুশফিক। ভারতের মতো শক্তিশালী দলকে তাদেরই মাঠে টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে হারানোর তৃপ্তি ছুঁয়ে গেছে তাকে। তারওপর নিজে ম্যাচের সেরা।  ৪৩ বলে ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি।

জয়ের নায়ক বলছিলেন, 'দেখুন, সাকিব আমাদের জন্য বড় এক ক্রিকেটার। আমরা সব সময়ই মিস করি। তামিমও আমাদের দলের বড় একটা পার্ট। অনেক ম্যাচ তারা নিজেরা একা হাতে জিতিয়েছে। এবং আমি বলবো তাদের অবশ্যই মিস করেছি। কিন্তু এটা একটা অনেক বড় ব্যাপার যে তাদের ছাড়া আমাদের দল জিততে পারে। যেই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ দল এগিয়ে যাবে।'

২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৩ বলে ২ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে হার এখনো পোড়ায় মুশফিককে। যদিও বিশ্বকাপের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজের ম্যাচকে এক করে দেখতে রাজি নন তিনি। বলছিলেন, 'ওয়ার্ল্ড কাপের ম্যাচ আর দ্বি-পাক্ষিক সিরিজের ম্যাচের মধ্যে পার্থক্য আছে। ভারতের বিপক্ষে জিতিনি। এমন একটা জয় দরকার ছিল। একদিন তো হতোই। আমরা শুরুটা করতে পেরেছি। বিশ্বাসটা এসেছে ওদের এই ফরম্যাটে হারাতে।'

সাকিব কিংবা তামিম ইকবাল ছাড়া জয়টাকে বেশ বড় করেই দেখছেন মুশফিক 

তবে বেঙ্গালুরুতে ১ রানে রানের ম্যাচটা রোববারের থেকেও সহজ ছিল বলে মনে করেন মুশফিক। জানিয়ে দিলেন, 'বেঙ্গালুরুর ম্যাচটা আরও সহজ ছিল। কারণ ম্যাচে দুই ওভার আগেই জয় পথ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আজ কিন্তু খেয়াল করলে দেখবেন শেষ দুই ওভারে এসেও ম্যাচটা জমে ছিল। শেষ ওভারে ৩ বল বাকি থাকতে জয় পেয়েছি। আমি যদিও সেট ব্যাটসম্যান ছিলাম। কিন্তু স্লো উইকেটে ততোটা সহজ ছিল না। সৌম্যর সঙ্গে আমার যে কথা হচ্ছিল আমরা অন্তত ১৯ ওভার পর্যন্ত খেলব। আমরা একটা সেট ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলে জানতাম কিছু একটা হবে।'

সৌম্য ৩৯ রানে ফিরলেও ক্রিজে ছিলেন মুশফিক। জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। ভারতের বিপক্ষে প্রায় নিশ্চিত ম্যাচ হাতছাড়ার দুঃখটাও তাহলে এবার ভুলবে টাইগাররা। মুশি জানাচ্ছিলেন, 'অনেকবারই ভারতের শেষে জয়ের খুব কাছে গিয়েও আমরা হেরেছি। এবার অন্তত পরিকল্পনা ছিল এমন কাছে নিয়ে যেতে পারলে ওই জায়গা থেকে পিছু হটবো না। লাস্ট দুইটা হারের অংশ ছিলাম আমি। একটা ব্যাটিংয়ে একটা ফিল্ডিংয়ে। আজ ব্যাট করতে নেমে এটাই ভেবেছি আগের হারগুলোকে ওভারকাম করতে হবে! দেখে-শুনে খেলে যেটা করতে পারলাম।'

তবে জয়ের পর উৎসবটাও কেমন যেন সাদামাটা ছিল। টানা ৮ হারের পর ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি জয়, কিন্তু মাঠে বাড়তি উন্মাদনা দেখা যায়নি মুশফিকদের। এমন কী বায়ু দূষণ নিয়েও নেই কোন অভিযোগ। মুশফিক জানালেন, 'দেখুন এয়ার পলুশন নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি আমার মাথায় ছিল না। ভারতের মতো একটা দলের বিপক্ষে খেলা, এতো দর্শকের সামনে এরচেয়ে বড় কিছু হতে পারে না। এমন সুযোগ তো সব সময় আসে না। এই প্রথম এতো বড় একটা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে এসেছি। এটা কোন ব্যাপারই না।'

আন্ডার ডগ হিসেবে সিরিজ শুরু করলেও টি-টুয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বপ্ন এখন দেখতেই পারে বাংলাদেশ।মুশফিক নিজেও জানিয়ে দিলেন, এখনো সিরিজের দুটি ম্যাচ বাকি, সেখানেও এমনই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় দল! দিল্লির জয় বাড়িয়ে দিয়েছে আত্মবিশ্বাস!

   

দিল্লিতে মার্শের বদলি আফগান অলরাউন্ডার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে আইপিএল শেষ হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মিচেল মার্শের। তার বদলি হিসেবে আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবকে বেছে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।

নাইব আফগানিস্তানের অন্যতম অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। এখন পর্যন্ত ৮২ ওয়ানডে এবং ৬২ টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করারও অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ৫০ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্যে তাকে দলে ভিড়িয়েছে দিল্লি।

গত জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ পারফর্ম করেন নাইব। বেঙ্গালুরু এবং ইন্দোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচ দুটিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের দুটি ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার।

আইপিএলের চলতি আসরে শুরুটা ভালো না হলেও ধীরে ধীরে ফর্ম ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে দিল্লি। ৯ ম্যাচ থেকে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে উঠে এসেছে তারা।

;

১৬ বছর পর অনুশীলনে ফিরে রোমারিওর জোড়া গোল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৫৮ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলে ফেরার ঘোষণা দেয়ার পর প্রথম অনুশীলন করলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোমারিও। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তার চেয়ে অনেক কমবয়সী খেলোয়াড়দের সঙ্গে পাল্ল দিয়ে অনুশীলন করে জোড়া গোলও করেছেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।

বুটজোড়া তুলে রাখার পর রাজনীতিতে যোগ দেন রোমারিও। রিও ডে জেনেইরোর ক্লাব আমেরিকার সভাপতির পদও সামলান। এবার সেই ক্লাবের হয়েই ফের পেশাদার ফুটবলে মাঠে নামবেন তিনি। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য, ছেলে রোমারিনিওর সঙ্গে খেলা।

অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রোমারিও বলেন, ‘আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার ছেলের সঙ্গে একই দলে খেলা। অনেক অ্যাথলেটদেরই এমন ইচ্ছে থাকে। যেমন লেব্রন জেমস আগামী বছর এনবিএ’তে তার ছেলের সঙ্গে খেলতে চায়। রিভালদোরও এই সুযোগ হয়েছিল। আমি তেমনটা করতে চাই।’

ফুটবল পায়ে কারিকুরি দেখানোর জন্য তো জগৎজোড়া খ্যাতি ছিলই রোমারিওর। এর বাইরে ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্যও তার পরিচিত আছে। তার শব্দবাণ থেকে নিস্তার ছিল না পেলে, জিকো, মারিও জাগালোদের। তবে এবার রোমারিও নিজেকেই নিশানা বানিয়ে বললেন, ‘আমি অনেক ক্লান্ত। আমি উঠানোর জন্য জলদিই স্ট্রেচার লাগবে। ১৬ বছর ধরে অনুশীলন করিনি, আজ একটু দৌড়েছি।’ তবে অতটুকুর মধ্যেই নিজের জাত চিনিয়ে দুইবার পেয়েছেন জালের দেখা।

আগামী ১৮ মে মৌসুমের প্রথম লিগ ম্যাচ খেলবে রোমারিওর ক্লাব আমেরিকা। সব ম্যাচ যে তার খেলা হবে না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রোমারিও, ‘আমি পুরো টুর্নামেন্ট খেলব না। কিছু ম্যাচে কয়েক মিনিট খেলব।’

;

ছয় ম্যাচ পর জয়ে ঘুম ভালো হওয়ার স্বস্তি ডু প্লেসির



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হারের বৃত্তে আটকে গিয়েছিল। গত ২৫ মার্চ পাঞ্জাব কিংসকে হারানোর পর টানা ছয় ম্যাচ হেরে বসেছিল তারা। ঠিক এক মাস পর আবারও জয়ের দেখা পেয়েছে বেঙ্গালুরু। উড়তে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়েছে দলটি। দীর্ঘ সময় পর জয় পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি।

ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীতে ডু প্লেসি কণ্ঠে ঝরেছে স্বস্তি, ‘বড় স্বস্তি পেলাম। আপনি যে অবস্থানেই থাকেন না কেন, জয় না পেলে তা আপনার মানসিকতায়, আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে। আজকে (গতকাল) রাতে একটু ভালো ঘুম হবে।’

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর গল্পটা তীরে এসে তরী ডোবার। হায়দরাবাদের বিপক্ষে আগের ম্যাচটাইতেই যেমন ২৮৮ রান তাড়া করতে গিয়ে ২৫ রান দূরে থামতে হয় তাদের। কলকাতার বিপক্ষে হারটা তো আরও হৃদয়বিদারক, ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে ১ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল কোহলিদের।

অবশেষে হায়দরাবাদের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু কাঙ্ক্ষিত সে জয়ের দেখা। এই জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে বলে মনে করেন ডু প্লেসি, ‘আপনি শুধু কথা দিয়ে কাউকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলে পারবে না, ভুয়া আত্মবিশ্বাসও তৈরি করা সম্ভব না। শুধুমাত্র পারফরম্যান্সের মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।’

এই জয়ের পর অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে বেঙ্গালুরুর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ১০ দলের লিগে এখনো তলানিতেই তাদের অবস্থান। নামের পাশে যদিও পয়েন্ট দুই থেকে বেড়ে চার হয়েছে।

;

টানা দুই হারে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কায় পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটা দারুণ ছন্দে শুরু করেছিল পাকিস্তান প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় কিউইদের বিপক্ষে। কিন্তু পরের দুই ম্যাচ জিতে এখন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ৪ রানে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্ল্যাকক্যাপসরা।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। ওপেনার টিম রবিনসনের ঝোড়ো ফিফটিতে শুরুটা দুর্দান্ত হয় সফরকারীদের। ৩৬ বলে ৫১ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন তিনে নামা ডিন ফক্সক্রফট। তাতে ২০ ওভারে কিউইদের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৭৮।

৩ ওভার বল করে পাকিস্তানের পক্ষে ২০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি।

জবাব দিতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা হয় নড়বড়ে। দ্বিতীয় ওভারে স্রেফ ৫ রানে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম। সাইম আইয়ুব, উসমান খান, ইফিতিখার আহমেদরা সেট হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দেন। পাকিস্তানের আশার ভেলা ভাসিয়ে রাখেন চারে নামা ফখর জামান। ৪৫ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৬১ রান করেন এই ব্যাটার।

শেষদিকে ইমাদ ওয়াসিম ১১ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলে পাকিস্তানকে জয়ের হাতছোঁয়া দূরত্বে নিয়ে গেলেও শেষ ধাপ পার করাতে ব্যর্থ হন। লক্ষ্য থেকে চার রান দূরেই থামতে হয় পাকিস্তানকে। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৪ রান তুলতে সমর্থ হয় তারা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। কিউইদের সামনে যেখানে থাকছে সিরিজ জয়ের সুযোগ, পাকিস্তানের জন্য সেটা সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ।

;