সাফল্যের মন্ত্রটা জেনেই ইডেনে নামছেন মুমিনুল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
অনুশীলনে হাসিখুশি ক্যাপ্টেন মুমিনুল হক ও কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, ছবি: বিসিবি

অনুশীলনে হাসিখুশি ক্যাপ্টেন মুমিনুল হক ও কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, ছবি: বিসিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিহারের গাড়ি চালক নাসির শেখ, ইডেন গার্ডেন্সে আমাদের নামিয়ে দিয়েই সকালে প্রশ্ন রাখলেন, 'এতো ভিড় কেন, আইপিএল শুরু হয়ে গেল নাকি?

কথাটা ভুল বলেননি উবারের এই চালক। ইডেন গার্ডেন্সের চারপাশ দেখে মনে হচ্ছে উৎসবের আমেজ। শুক্রবার শতবর্ষ পুরনো এই মাঠেই লেখা হবে নতুন এক ইতিহাস। প্রথমবারের মতো এখানে দিবা-রাত্রির টেস্টে লড়বে ভারত-বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে এতোটা উত্তেজনা দেখা যায়নি। নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে বাংলাদেশের জন্যও।

পুরো ব্যাপারটাতে বেশ রোমাঞ্চিত মুমিনুল হক। ইডেনের মিডিয়া বক্সে টাইগার ক্যাপ্টেন অনেক কথাই বললেন। তার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো এখানে-

প্রথমবারের মতো গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্ট খেলতে যাচ্ছেন। অনুভূতিটা কেমন?

দুই দলের কেউ গোলাপি বলে খেলেনি। এটা দুই দলের জন্যই নতুন। আমার মনে হয়, দুই দলই এই ম্যাচ নিয়ে রোমাঞ্চিত। আমরা এই ম্যাচের জন্য খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। আমার মনে হয়, এই প্রস্তুতির সুফল আমরা ম্যাচে পাব। গোলাপি বলের টেস্ট নিয়ে সবাই রোমাঞ্চিত। কলকাতার সবাই এই ম্যাচের অংশ হতে চায়। পরিবার-স্বজন নিয়ে মাঠে আসতে চায়। আমার সবার জন্যই এই ম্যাচটা রোমাঞ্চকর হতে যাচ্ছে।

এই টেস্টে লক্ষ্যটা কি রাখছেন? আপসেটের ভাবনাটাও কি আছে? ইন্দোর টেস্টে তো প্রত্যাশা পূরণ হয়নি..

দেখুন আমরা আপসেটের দিকে তাকিয়ে নেই। আমরা সুযোগ কাজে লাগানোর দিকে তাকিয়ে আছি। ম্যাচ নিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত।

এই টেস্ট ম্যাচটা আলাদা হাইপ তৈরি করেছে। বিশেষ করে গোলাপি বলের কারণে। এজন্য খেলার মাঠের লড়াই থেকে কী মনোযোগটা সরে যাচ্ছে?

বাইরে কি হচ্ছে না হচ্ছে আমার মনে হয় না, পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে এটা আমাদের প্রভাবিত করবে। এই চাপ কোনোভাবেই আসা উচিত না। যে যার কাজ ঠিক মতো করছি। চাপ চলে আসার কোনো সুযোগ নাই।

গোলাপি বলের টেস্ট ম্যাচকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন...

আমার মনে হয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দর্শক মাঠে আনতে গোলাপি বলের টেস্ট ভালো একটা সুযোগ। কিছু দল ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে, কিছু দল দুর্বল হচ্ছে এটা আমার মনে হয় না। দিন শেষে আপনাকে তো ক্রিকেটই খেলতে হবে। আমরা তো ক্রিকেটই খেলব। গোলাপি বল কেমন আচরণ করবে, এটা নিয়ে একটু আগ্রহ আছে সবার। এর বাইরে আমাদের রোমাঞ্চ কেবল খেলা নিয়ে।

ইন্দোরে যে সমস্যাগুলো ছিল তা কাটিয়ে উঠারও তো মিশন। শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া ইডেন টেস্টে আপনাদের লক্ষ্যটা কি?

আপনি যখন একটা ম্যাচ খেলতে নামবেন তখন আগের ম্যাচ জিতেছেন না হেরেছেন সেটা নিয়ে চিন্তা করতে পারবেন না। খারাপ-ভালো যেটাই হোক সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনি পরের ম্যাচের দিকে মনোযোগ দিতে পারবেন। আগের ম্যাচে আমরা যেসব ভুল করেছি সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এই ম্যাচে কাজে লাগাব, এটাই আমি আশা করি।

ইন্দোরে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ একাদশে ছিল দুই পেসার। এবার কি ইডেনে সংখ্যাটা বাড়বে। মুস্তাফিজুর রহমান একাদশে ফিরতে পারেন?

এখনও একাদশ ঠিক করা হয়নি। হয়তো কাল ঠিক করব। এখনও টিম ম্যানেমেন্টের সঙ্গে ওইভাবে কথা-বার্তা হয়নি। ভেতরে একটা কথা চলছে, কয়জন পেস বোলার খেলবে, কয়জন ব্যাটসম্যান খেলবে। তবে এখানে এটা আমি পরিষ্কার করতে পারছি না। মুস্তাফিজ খেলবে কি খেলবে না এই বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। হয়তো খেলতে পারে, নাও খেলতে পারে, এটা নিশ্চিত না।


গোলাপি বলে খেলা কতোটা চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করেন?

আমার মনে হয় গোলাপি বলে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে ফ্লাড লাইটের আলোয় খেলা। বলের যে ঔজ্জ্বল্য থাকে এর জন্য দৃশ্যমানতায় সমস্যা হতে পারে ব্য্যাটসম্যানদের। একই সমস্যার জন্য ফিল্ডিংও চ্যালেঞ্জিং হবে। ব্যাটিংয়ে যদি আপনার মনোযোগ না থাকে তাহলে সমস্যা হবে। আমার মনে হয়, প্রতিটি বলে শতভাগ মনোযোগী থাকতে হবে তাহলে ভালো কিছু হবে। কেমন হচ্ছে এগুলো নিয়ে আমাদের ভেতরে আলাপ হয়। আমার ধারণা ভুল হতে পারে। আমি কখনও গোলাপি বলে খেলিনি। ম্যাচে আর অনুশীলনে কিন্তু অনেক পার্থক্য হতে পারে। গোলাপি বলে ফ্লাড লাইটের আলোয় চ্যালেঞ্জ থাকবে। চ্যালেঞ্জ তো সব জায়গাতেই থাকে। আমার মনে হয় এই পর্যায়ে সবাই চ্যালেঞ্জ নিতে পারে।

ইন্দোরে তিন দিনে টেস্ট শেষ হয়েছিল। এখানে তেমন কিছুই কি হতে পারে?

একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি তো কোনো সময় বলতে পারি না খেলা তিন দিনে শেষ হবে। ঘাস থাকলেই যে খেলা তিন দিনে শেষ হবে এমন কোনো কথা নেই। হয়তো ঘাস থাকার পরও হার্ড উইকেটের জন্য বল ভালোভাবে ব্যাটে আসতে পারে। কিউরেটর স্পোর্টিং উইকেটের কথা বলেছেন, আমার মনে হয় স্পোর্টিং উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো।

টেস্টে সাফল্য পেতে পরিকল্পনাটা কিভাবে করছেন?

কিছু কিছু শট সিলেকশন নিয়ে আমাদের চিন্তা আছে। এই ব্যাপারে আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে। আমাদের মানসিকভাবে আরও বেশি প্রস্তুত থাকতে হবে, মনোযোগী হতে হবে। ওদের খুব ভালো তিনজন পেসার আছে, তাদের সামলাতে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। আমি যখনই মাঠে নামব, জেতার জন্যই খেলব। প্রথম টেস্টে যে ভুলগুলো করেছিলাম, সেই ভুলগুলো আমি যতটা না করা যায় সেই চেষ্টা করব। ব্যাটসম্যানরা সেশন বাই সেশন ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করবে, বোলাররাও সেশন ধরে ধরে ভালো বোলিংয়ের চেষ্টা করবে। আমার ফোকাস একটু বেশি রাখতে হবে। যে ভুলগুলো করেছি, সেগুলো না করার চেষ্টা করতে হবে। ব্যাটসম্যানদের ধৈর্য ধরতে হবে।

ইডেনে গোলাপি বলে খেলার আগে প্রস্তুতিটা কেমন হলো?

সফরে আমরা কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাইনি। গোলাপি বলেও কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ নেই। আমরা মূলত মানসিক দিকটায় বেশি গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি। গোলাপি বলে কোনো টেস্ট খেলার আগে অবশ্যই একটা প্রস্তুতি ম্যাচ থাকা উচিত।

   

ব্যাটিং রূপকথার রাতে পাঞ্জাবের ইতিহাসগড়া জয়



হোসাইন মাহমুদ আব্দুল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার কীর্তি গড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। কলকাতার দেয়া ২৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে তারা।

আইপিএল ইতিহাসে রান তাড়ার আগের কীর্তিটি ছিল রাজস্থান রয়্যালসের। ২০২০ সালে তখনকার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছিল দলটি। সে রেকর্ড দুমড়েমুচড়ে দিয়ে আজ নতুন ইতিহাস লিখেছে পাঞ্জাব। জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরির সঙ্গে শশাঙ্ক আরোরা এবং প্রভসিমরান সিংয়ের ঝোড়ো দুই ফিফটিতে আইপিএল ফোকলোরের অংশ হয়ে গেছে তারা।

কলকাতার মাঠ ইডেন গার্ডেনসে টসভাগ্য ছিল পাঞ্জাবের পক্ষে। টস জিতে আগে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠান পাঞ্জাব অধিনায়ক স্যাম কারেন। ঘরের মাঠে দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং সুনীল নারাইনের দুর্দান্ত শুরু পায় কলকাতা। পাঞ্জাবের বোলারদের তুলোধুনো করে ৬২ বলে ১৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন দুই ওপেনার। ১০ ওভার পেরোতেই সাজঘরের পথ ধরেন তারা। এর আগে ৩৭ বলে ৭৫ রান আসে সল্টের ব্যাটে, নারাইন থামেন ৩২ বলে ৭১ রান করে।

সল্ট-নারাইনের তাণ্ডবের পর ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ৩৯, শ্রেয়াস আইয়ারের ২৮ এবং আন্দ্রে রাসেলের ২৪ রানের ছোট তবে দেড়শর উপর স্ট্রাইক রেটে খেলা বিস্ফোরক ইনিংসগুলোতে চড়ে ২০ ওভারে ২৬১ রান পর্যন্ত পৌঁছায় তারা। পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ দুই উইকেট পান পেসার আর্শদীপ সিং।

আইপিএলের এবারের আসরে যেভাবে পাইকারি হারে দুইশর উপর রান করছে দলগুলো, তাতে এত বড় সংগ্রহ নিয়েও স্বস্তিতে থাকার উপায় ছিল না কলকাতার। তবু জিততে হলে পাঞ্জাবকে আইপিএলে ইতিহাস গড়তে হবে তা হয়ত কলকাতার সমর্থকদের আশা জোগাচ্ছিল।

কিন্তু ইংলিশ উইলোবাজ বেয়ারস্টোর ব্যাটে সে আশায় গুঁড়েবালি! ৪৫ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়া এই ব্যাটার ইনিংস শেষ করেছেন ৮ চার ও ৯ ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত থেকে। তার আগে অবশ্য ইমপ্যাক্ট সাব প্রভসিমরান ২০ বলে ৫৪ রানের তাণ্ডব চালিয়ে পাঞ্জাবের হৃদয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করার বিশ্বাস গেঁথে দিয়েছিলেন। আর সে বিশ্বাসকে শেষবেলায় পূর্ণতা দিয়েছেন ২৮ বলে ২ চার ও ৮টি বিশাল ছক্কায় ৬৮ রানের ইনিংস খেলা শশাঙ্ক।

ইডেন গার্ডেনসে কলকাতা এবং পাঞ্জাবের ব্যাটাররা মিলে করেছেন ৫২৩ রান, গড়েছেন স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ৪২ ছক্কার রেকর্ড। এমন রাতকে ব্যাটিং রূপকথার রাত না বললে চলেই না।

;

ব্রাজিলের রেকর্ড গোলদাতা মার্তার অবসরের ঘোষণা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিলের জার্সিতে তার চেয়ে বেশি গোল নেই কারও। জাতীয় দলের জার্সিতে গোল করার দিক দিয়ে যেন পেলে-নেইমাররাও তার কাছে নস্যি! পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৫ গোলের মালিক মার্তা অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। চলতি বছরেই আন্তর্জাতিক ফুটবল অধ্যায়ের ইতি টানবেন এই কিংবদন্তিতুল্য নারী ফুটবলার।

সিএনএন ব্রাজিলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অবসরের বিষয়টি জানিয়েছেন মার্তা। আগামী ২৮ এপ্রিল (রবিবার) তার সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি প্রচার করবে সিএনএন ব্রাজিল।

ব্রাজিলের হয়ে ছয় বিশ্বকাপ খেলা মার্তাকে আসছে প্যারিস অলিম্পিকে দেখা যেতে পারে। অবসরের বছরে ষষ্ঠবারের মতো অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে মার্তা বলেন, ‘যদি অলিম্পিকে যেতে পারি, তাহলে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করব। তবে অলিম্পিকে যাই আর না যাই, জাতীয় দলের সঙ্গে এটাই আমার শেষ বছর। ২০২৫ সাল থেকে ব্রাজিলের জাতীয় দলে মার্তাকে আর দেখা যাবে না।’

নারী ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে আলোচিত চরিত্রদের অন্যতম মার্তা। ব্রাজিলকে তিনবার কোপা আমেরিকা জিতিয়েছেন, দুইবার এনে দিয়েছে অলিম্পিকের রৌপ্যপদক। ফিফার বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের খেতাব রেকর্ড ছয়বার জিতেছেন, ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত এই পুরস্কার টানা পাঁচবার তার হাতে উঠেছে।

২০১৯ সালে প্রথম ফুটবলার হিসেবে পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার কীর্তি গড়েন মার্তা। এছাড়া এক বিশ্বকাপে ১৭ গোলের অনন্য রেকর্ডও তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে। পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে এই দুটি কীর্তিও মার্তা ছাড়া আর কারও নেই।

;

ব্রাজিলিয়ানের গোলে আবাহনীর কষ্টার্জিত জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে প্রথমার্ধেই শেখ রাসেলকে হেসেখেলে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল আবাহনী। তবে দ্বিতীয় দেখায় রাসেলকে রুখে দিতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে তাদের। তবে ব্রাজিলিয়ান ব্রুনো রোচার একমাত্র গোলে শেষ পর্যন্ত পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে আকাশি-হলুদরা।

 বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রচণ্ড গরম আর সঙ্গে শেখ রাসেলের প্রতিরোধের সামনে শুরুতে কিছুটা খাবি খেতে হয় আবাহনীকে। প্রথমার্ধে বলার মতো একটা সুযোগই এসেছিল তাদের সামনে। বক্সের বাইরে থেকে ব্রুনোর বাঁকানো ফ্রি-কিক ঠেকিয়ে আবাহনীকে হতাশ করেন রাসেলের গোলকিপার মিতুল মারমা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে এক আক্রমণ থেকে পরম আরাধ্য গোলটি পেয়ে যায় আবাহনী। ৭৪ মিনিটে বদলি মিডফিল্ডার রবিউল হাসানের ক্রসে ব্রুনোর হেড ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়, তবে ফিরতি শটে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি এই ব্রাজিলিয়ানের। শেষ পর্যন্ত এই গোল দিয়েই তিন পয়েন্ট বুঝে নিয়েছে আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির শিষ্যরা।

এই জয়ে ১৩ ম্যাচ থেকে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে তিনেই থাকল আবাহনী। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের চেয়ে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট পাওয়া শেখ রাসেলের অবস্থান টেবিলের ১০ নম্বরে।

;

কোপার আগে ফার্নান্দেজকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আর্জেন্টিনা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপা আমেরিকার আগে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে। দলটির তারকা মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজের যে চোটে পড়ে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে। আজ (২৬ এপ্রিল) কুঁচকির চোটে অস্ত্রোপচার হয়েছে তার। অস্ত্রোপচারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার ক্লাব চেলসি।

এনজোর চোট নিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে চেলসি জানায়, ‘এনজোর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এখন তার পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হবে।’

এক টুইটে সফল অস্ত্রোপচারের কথা জানিয়েছেন এনজো নিজেও , ‘আমার সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। গত ছয় মাস ধরে এই ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছিলাম। তাই অস্ত্রোপচারের দরকার ছিল।’

কবে নাগাদ মাঠে ফিরতে পারবেন এনজো, সে ব্যাপারে চেলসি এখনো কিছু জানায়নি। আগামী ২০ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে কোপা আমেরিকার পরবর্তী আসর। একটা কথা নিশ্চিত করে বলে দেয়া যায়, সে টুর্নামেন্টকে পাখির চোখ করেই এখন ফিট হয়ে ওঠার মিশনে নামছেন এনজো।

;