তারা ঝলমলে ইডেন গ্যালারি, কেবল ২২ গজে অন্ধকারে বাংলাদেশ



আপন তারিক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কলকাতা (ভারত) থেকে
গ্যালারিতে উপচে পড়া ভিড়, ছবি: বিসিবি

গ্যালারিতে উপচে পড়া ভিড়, ছবি: বিসিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পদ্মা আর গঙ্গার স্রোত যেন মিলে মিশে একাকার। দুই নদীরই ঢেউ যেন আছড়ে পড়ল বিনয়-বাদল-দীনেশ বাগে, ইডেনের নন্দন কাননে! কলকাতা উত্তাল গত কয়েক দিন ধরেই। গোলাপি জ্বরে কাবু শহরের এ মাথা থেকে ও মাথা! আর শুক্রবার সকাল হতেই সব স্রোত মিশল শতাব্দী প্রাচীন এই মাঠে। টেস্ট নয়, মনে হচ্ছে যেন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বসেছে ৭০ হাজার দর্শকের সামনে!

অথচ শুক্রবার ছুটির দিন নয়, শহর কলকাতায়। দশটা-পাঁচটা অফিস! তারপরও এভাবে যে ক্রিকেটপ্রেমীতে উপচে পড়বে ইডেনের গ্যালারি আঁচ করা গিয়েছিল আগেই। কারণ এদিনই যে গোলাপি বলে দিন-রাতের ক্রিকেটে অভিষেক হলো ভারতের। সঙ্গে বাংলাদেশেরও।

উপমহাদেশের নৈশলোকের টেস্ট ম্যাচ। মুমিনুল হক আর বিরাট কোহলি টস করার আগেই গ্যালারিতে হাজির হাজারো দর্শক। তারপর সময় এগিয়েছে আর পূর্ণ হয়েছে অভিজাত এই মাঠের গ্যালারি। বিকেল হতেই তিল ধারণেরও যেন জায়গা নেই। হয়তো অফিস শেষে যোগ দিলেন অনেকেই।

শেষ কবে টেস্ট ম্যাচে এমন জনস্রোত দেখা গিয়েছে ইডেনে? প্রশ্ন রেখেছিলাম শহরের বারাসাত থেকে খেলা দেখতে আসা দীপঙ্কর পালকে। পাঁড় ক্রিকেট ভক্ত জানাচ্ছিলেন, 'গত ২০ বছর ধরেই আমি ইডেনের দর্শক। বিশ্বাস করুন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও এমন দর্শক আগ্রহ আমি দেখিনি। আর টেস্ট ম্যাচ বলছেন, সেটা তো মনে হয় ইডেন কেন পুরো ভারত বর্ষেই বিরল।'

ঠিক তাই, গোলাপি বলে ভারতের পথচলার দিনে নতুন এক দিগন্ত রেখা যেন খুঁজে পেল ভারতীয় ক্রিকেট। সাদা পোশাকের পাঁচ দিনের ম্যাচে এমন আয়োজন নিয়ে যতোই ভ্রু কুঁচকান, কে জানে পিঙ্ক বলই হতে পারে টেস্টের ভবিষ্যৎ। এভাবে ২০ ওভারের ক্রিকেট নিয়েও তো কম কথা হয়নি।

পুরো হাইপ আর রোমাঞ্চটাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন, ইডেনে হাজির আরেক ক্রিকেট ভক্ত অরিন্দম শীল। চল্লিশোর্ধ এই ভারতীয় ক্রিকেট ভক্ত বলছিলেন, 'আমি টেস্ট ম্যাচে এমন রঙ নিয়ে সমস্যা দেখি না। দেখুন, যুগের সঙ্গে অনেক কিছুই তো বদলায়। এক সময় সাদা-কালো টিভি ছাড়া কিছু ভাবা যেতো? এ কারণেই মূল ঠিক রেখে পরিবর্তনটা আপনাকে মেনে নিতেই হবে!

ইডেনে শুধু ভারতীয় সমর্থকরাই নন, দেখা মিলল বিশাল সংখ্যার বাংলাদেশিদেরও। যেটা ইন্দোরে একেবারেই চোখে পড়েনি। এমন টাইগার ভক্ত ছিল না সফরে দিল্লি, রাজকোট কিংবা নাগপুরেরও। বাংলাদেশ থেকে খেলা দেখতে ইডেনে এসেছেন এমন একজন ভক্তের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। ঢাকার মিরপুর থেকে আসা ইব্রাহিম আলী স্টেডিয়ামে ঢোকার আগে বলছিলেন, 'দারুণ লাগছে। খেলায় কী হবে জানি না, কিন্তু প্রাণভরে সবকিছু উপভোগ করতে চাই। ইডেনে আবার বাংলাদেশ কবে খেলবে জানা নেই!
ইডেনের সামনে সকালেই চোখে পড়েছে বাংলাদেশ থেকে আসা দর্শকের। অনেকে আবার গায়ে ডোরাকাটা বাঘ নিয়ে হাজির গ্যালারিতে। মুমিনুলদের জন্য গলা ফাটানো চাই।

যদিও মাঠের ক্রিকেট প্রথম দিন সন্তুষ্ট করতে পারেনি টাইগার ভক্তদের। গ্যালারিতে তারা ঝলমলে, শুধু ২২ গজে অন্ধকারে বাংলাদেশ! তবে ইডেনে দেখার কী কমতি ছিল কিছু? দুপুরের আগেই হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। দু'জন মিলে পরিচিত হলেন দুই দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে। উদ্বোধন করলেন ম্যাচের।

ইডেনে ঘণ্টা বাজিয়ে খেলা শুরুর ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা। পাশে ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলি। যার আমন্ত্রণেই ভারতে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

এখানেই শেষ নয়, মাঠে দেখা মিলল মহাতারকাদের। লাঞ্চ বিরতিতে শচীন টেন্ডুলকার, ভিভিএস লক্ষ্ণণরা মাঠের মাঝে করলেন টক শো। সঙ্গে আরও দেখা মিলল রাহুল দ্রাবিড়, অনিল কুম্বলে, ভিভিএস লক্ষ্মণ, সদাগোপান রমেশ, সাবা করিম, ভেঙ্কটেশ প্রসাদ, কপিল দেব, দিলীপ বেঙ্গসরকার, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত, ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার, চাঁদু বোর্দের মতো ভারতীয় কিংবদন্তিদের।

শুক্রবারের ইডেনে দেখা মিলল বাংলাদেশের কিংবদন্তিদেরও। অভিষেক টেস্ট খেলা ক্রিকেটাররা হাজির আছেন নন্দন কাননে। অধিনায়ক নাইমুর রহমানের সঙ্গে মেহরাব হোসেন অপি, হাসিবুল হোসেন শান্ত, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, হাবিবুল বাশার সুমন, আকরাম খান, মাহমুদুল হাসানরা আছেন মাঠে।

বাংলাদেশ-ভারতের জাতীয় সংগীত অবিস্মরণীয় এক মেলবন্ধন। কারণ দুটোরই স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর! দুই জাতীয় সঙ্গীত অন্যরকম এক আবেগ ছুঁয়ে গেল ইডেনে! আমার সোনার বাংলা এরপর জনগণমন দুটোই গাইলেন শহরের উল্টোডাঙ্গা থেকে আসা কিংশুক মুখার্জি।

কেন? উত্তরটা শুনুন তার মুখ থেকেই, 'দুটোই তো আমাদের গান। আমাদের রবীন্দ্রনাথের। বাংলাদেশ নামটার সঙ্গে আসলে আমার আবেগ জড়িয়ে আছে। আমরা ওপারের কীনা। শুনেছি আমার দাদা জন্মেছিলেন আপনাদের ফরিদপুরে। আমি জানি না এই টেস্টে কে হারবে কে জিতবে, তবে আমি বলব এখানে ক্রিকেটের জয় হবে!'

কিংশুকের মতো করেই হয়তো ইডেনের দর্শকরা ভাবছেন। না, হলে শুক্রবার টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশ যে কয়েকটা বাউন্ডারি হাঁকালো তাতে এভাবে গর্জে উঠবে কেন গ্যালারি। অন্যরকম এক উদার ইডেনকেই খুঁজে পেলাম যেন!

   

টানা দুই হারে সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কায় পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটা দারুণ ছন্দে শুরু করেছিল পাকিস্তান প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পায় কিউইদের বিপক্ষে। কিন্তু পরের দুই ম্যাচ জিতে এখন পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ৪ রানে স্বাগতিক পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্ল্যাকক্যাপসরা।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। ওপেনার টিম রবিনসনের ঝোড়ো ফিফটিতে শুরুটা দুর্দান্ত হয় সফরকারীদের। ৩৬ বলে ৫১ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন তিনে নামা ডিন ফক্সক্রফট। তাতে ২০ ওভারে কিউইদের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৭৮।

৩ ওভার বল করে পাকিস্তানের পক্ষে ২০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি।

জবাব দিতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা হয় নড়বড়ে। দ্বিতীয় ওভারে স্রেফ ৫ রানে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম। সাইম আইয়ুব, উসমান খান, ইফিতিখার আহমেদরা সেট হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দেন। পাকিস্তানের আশার ভেলা ভাসিয়ে রাখেন চারে নামা ফখর জামান। ৪৫ বলে ৪ চার এবং ৩ ছয়ে ৬১ রান করেন এই ব্যাটার।

শেষদিকে ইমাদ ওয়াসিম ১১ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলে পাকিস্তানকে জয়ের হাতছোঁয়া দূরত্বে নিয়ে গেলেও শেষ ধাপ পার করাতে ব্যর্থ হন। লক্ষ্য থেকে চার রান দূরেই থামতে হয় পাকিস্তানকে। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৪ রান তুলতে সমর্থ হয় তারা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। কিউইদের সামনে যেখানে থাকছে সিরিজ জয়ের সুযোগ, পাকিস্তানের জন্য সেটা সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ।

;

ডিপিএলে বিতর্কিত আউট নিয়ে মুশফিকের ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ম্যাচ শেষে প্রাইম ব্যাংকের ক্রিকেটাররা মোহামেডানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতেই আসেননি। তামিম মাঠে ঢুকলেও সেটা ছিল আম্পায়ারদের কারণ জানাতে। তিনিও শুধুমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেছেন। মূলত মুশফিকুর রহিমের একটা ক্যাচ ধরাকে কেন্দ্র করেই এমনটা। যার কারণে খেলাও বন্ধ ছিলো ১৬ মিনিট। তামিম তখন আম্পায়াদের ভিডিওটাও দেখিয়েছিলেন যে সেটা ক্যাচ নয়, ছক্কা ছিলো। আসলেও তাই। ক্যাচ ধরার পর ফিল্ডার আবু হায়দার রনির পা স্পর্শ করেছিলো বাউন্ডারি-লাইন।

এবার সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মুশফিকুর রহিমের ফেসবুক পোস্ট। ক্যাচ ধরার সময় রনির পা বাউন্ডারির দড়ি স্পর্শ করেছে, এমন ছবি আপলোড দিয়ে মুশফিক লিখেন, 'মাশাআল্লাহ।' মূহূর্তেই যা হয়ে যায় ভাইরাল। অনেকেই বাহবা দিচ্ছেন এমন প্রতিবাদের। আবার অনেকেই প্রশ্নও তুলছেন মুশফিকের পেশাদারিত্ব নিয়ে।

মুশফিকের সেই পোষ্টে দুঃখ পোষণ করে কমেন্ট করেছেন প্রাইম ব্যাংকের আরেক ক্রিকেটার রুবেল হোসেন। ক্রিকেটার ছাপিয়ে এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন চিত্রনায়ক আরেফিন শুভ।

ডিপিএলে আম্পায়ারিং বিতর্ক এই আসরে এবারই প্রথম না। প্রাইমের বিপক্ষে আবাহনীর নাঈম শেখের নিশ্চিত আউট না দেওয়ায় প্রতিবাদ করেছিলেন তামিম। সাকিবের স্টাম্পে লাথি কিংবা স্টাম্প উপড়ে ফেলা তো উদাহরণ হয়ে আছেই।

;

শেখ রাসেল বীচ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন সিলেট ও চট্টগ্রাম



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের ডিভাইন ইকো রিসোর্ট পয়েন্টে আয়োজিত হয়েছে ষষ্ঠ শেখ রাসেল বীচ ফুটবল টুর্নামেন্টের বালক ও বালিকা অনূর্ধ্ব-১৫। তিন দিন ব্যাপী হওয়া এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল ছিল শুক্রবার। যেখানে বালক বিভাগে চট্টগ্রাম বিভাগকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেট বিভাগ। অন্যদিকে বালিকা বিভাগে সিলেটকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ।

বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন ক্রীড়া পরিদপ্তর কর্তৃক এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। যেখানে খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, ‘শেখ রাসেল ফুটবল বীচ টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি স্পোর্টস ট্যুরিজমকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়াও খেলোয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতা ও মনোবল বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এ বীচ ফুটবল টুর্নামেন্ট।
এখান থেকে বাছাইকৃত সেরা খেলোয়াড়দের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আবুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক আ ন ম তরিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ক্রীড়া পরিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এবারের অনূর্ধ্ব-১৫ বীচ ফুটবল টুর্নামেন্টে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের মোট ১৬টি দল অংশ নেয়।

;

০ রানে ৭ উইকেট, টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী টি-টোয়েন্টিতে ০ রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন ইন্দোনেশিয়ান অফ স্পিনার রোহমালিয়া। সেরা বোলিং পরিসংখ্যানের এই কীর্তি রোহমালিয়া গড়েছেন নিজের অভিষেক ম্যাচেই। তার বোলিং ঘূর্ণিতে মাত্র ২৪ রানেই আলআউট হয়ে গিয়েছে মঙ্গোলিয়া। যাদের মধ্যে সাতজনই খুলতে পারেননি রানের খাতা। আর সেই সাত জনের পাঁচজনই আবার তার শিকার।

বুধবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে হওয়া সেই ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৫১ রান তুল স্বাগতিকরা। জবাব দিতে নেমে রোহমালিয়ার বোলিং তোপে মাত্র ২৪ রানেই গুঁটিয়ে যায় মঙ্গোলিয়া। ম্যাচ হারে ১২৭ রানের ব্যবধানে। তবে সেই ম্যাচ ছাপিয়ে আলোচনায় এখন ১৭ বছরের কিশোরী রোহমালিয়া।

এর আগে নারী টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিং পরিসংখ্যানটি ছিল নেদারল্যান্ডসের পেসার ফ্রেডেরিক ওভারডিকের। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইপর্বে ফ্রান্সের বিপক্ষে ৩ রান খরচায় ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এই কীর্তি আছে আর্জেন্টিনার অ্যালিসন স্টকসেরও।

পেরুর বিপক্ষে ৩ রানে ৭ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে তারও। সেই ৭ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন এবার রোহমালিয়াও। তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেও আগের দুইজনকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। এর আগে ০ রানে ৬ উইকেট নেওয়ার কীর্তি অবশ্য ছিল নেপালের অঞ্জলি চাঁদের।

;