১৮৩ রানে এগিয়ে ভারত
ঠিক যেমনভাবে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করার কথা, তাই করল ভারত। শুরুর দিকের কয়েক ওভারে কোনো কিছু নতুন করার চেষ্টা করল না। ধীরে ধীরে নিরাপদে সময়টা পার করল। দিনের প্রথম আধ ঘন্টায় মাত্র ২৮ রান যোগ হলো স্কোরবোর্ডে। আর প্রথম সেশন শেষে সেই সংখ্যা দাঁড়াল ১১৫ রানে। দ্বিতীয় দিনে লাঞ্চে গেল ৪ উইকেটে ২৮৯ রান নিয়ে। লিড তখন সব মিলিয়ে ১৮৩ রানের।
দিনের প্রথম সেশনেই বিরাট কোহলি তার সেঞ্চুরি তুলে নিলেন। পুরো সেশনে বাংলাদেশের সামনেও একমাত্র আনন্দের উপলক্ষ এলো; যখন অজিঙ্কা রাহানে ফিরলেন। তবে রাহানেও ফিরলেন হাফসেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর। কোহলি ব্যাট করছিলেন ১৩০ রানে। তার সঙ্গী রবিন্দ্র জাদেজা খেলছিলেন ১২ রানে।
৪০ ওভার পুরনো বল নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করা বাংলাদেশের বোলাররা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কোনো সমস্যায় ফেলতে পারেনি। শুরুর ঘণ্টার বোলিংয়ে সুইং বা স্পিন কোনো কিছুরই দেখা মিলেনি। কোহলি ও রাহানে সহজ গতিতেই সামনে বাড়েন।
বিরাট কোহলি ১৫৯ বলে তার সেঞ্চুরির পর দ্রুত গতিতে রান তোলার চেষ্টায় নামেন। আর সেই চেষ্টা হিসেবেই আবু জায়েদ রাহীর এক ওভারে প্রথম চার বলে চার বাউন্ডারি হাঁকান। সৌন্দর্য ও দক্ষতায় প্রতিটি শট যেন একে অন্যকে ছাড়িয়ে গেল!
বিরাট কোহলি যখন ব্যাটিং করেন, দেখে মনে হয় ব্যাটিং কতো সহজ। প্রভাবী ব্যাটিংয়ের অনন্য প্রতিচ্ছবি বিরাট কোহলি। নামের মতোই ক্রিকেট মাঠে ‘বিরাট’ কাজ করে যাচ্ছেন ভারত অধিনায়ক।
অধিনায়কত্ব অনেকের ক্যারিয়ারে চাপ তৈরি করে। কিন্তু বিরাট কোহলি যেন অধিনায়কত্ব পাওয়ার থেকে ব্যাট হাতে আরো বেশি ঝাঁঝালো এবং দায়িত্ববান হয়েছেন। অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট এবং ওয়ানডেতে এখন বিশ্বের সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে সবচেয়ে বেশি ৪১ সেঞ্চুরির মালিক তিনি। অধিনায়ক হিসেবে এই দুই ফরমেটে রিকি পন্টিংয়েরও ৪১টি সেঞ্চুরি আছে। তবে সেটি করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ককে খেলতে হয়েছিল ৩৭৬ ইনিংস। আর বিরাট কোহলি মাত্র ১৮৮ ইনিংস খেলে সেই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।
বাহ্ বিরাট বাহ্! উপমহাদেশের মাটিতে প্রথম দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচে সেঞ্চুরির মালিক রিবাট কোহলি। নামটা মনে রাখেন, ক্রিকেটীয় কুইজে কাজে লাগতে পারে!
দ্বিতীয় দিনের একমাত্র সাফল্যটা এলো স্পিনার তাইজুল ইসলামের বলে। হাফসেঞ্চুরির পর কাট শট খেলতে গিয়ে টাইমিংয়ে গোলযোগ করে ফেলেন অজিঙ্কা রাহানে। সহজ ক্যাচটা ধরেন এবাদাত হোসেন।