ঢাকাকে উড়িয়ে রাজশাহীর রাজকীয় শুরু
ঢাকা প্লাটুনের ইনিংস দেখে মনে হচ্ছিল-ব্যাটিং না জানি কতোই কষ্টকর কাজ! খানিকবাদে সেই একই উইকেটে রাজশাহী রয়্যালস যখন ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতল তখন মনে হলো-ব্যাটিং করা কি সহজই না কাজ!
ঢাকার ১৩৪ রানের জবাবে রাজশাহী সত্যিকার অর্থেই রাজকীয় কায়দায় ম্যাচ জিতে নিল। জেতার জন্য স্কোরবোর্ডে রান খুব সামান্য দেখেও তাড়াহুড়ো করল না রাজশাহী রয়্যালস। নির্ভার হয়ে নিশ্চিত গতিতে ম্যাচ জয়ের পথে সামনে বাড়ল তারা। ওপেনিং জুটিতেই রাজশাহীর যোগ হলো ৬১ রান। ২৭ বলে ৩৯ রান তুলে লিটন দাস ফিরে এলেন। দলের অন্য ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেন। সঙ্গী হিসেবে পেলেন পাকিস্তানি শোয়েব মালিককে। দ্বিতীয় উইকেটে এই দুজনের অপরাজিত ৭৪ রানের জুটিতে রাজশাহী হেসেখেলে জয় তুলে নিল। তখনো ম্যাচের ১০ বল বাকি।
বাজে ব্যাটিংয়ের পরে বোলিংয়েও শক্তিমত্তার কিছু দেখাতে পারেনি ঢাকা প্লাটুন। অথচ বঙ্গবন্ধু বিপিএলে মাঠে নামার আগে সবচেয়ে আগেভাগে এবং বেশি সময় ধরে অনুশীলনে ছিল ঢাকা।
অনুশীলন নয়, মাঠের পারফরম্যান্সই মূল নির্ণায়ক। এই ম্যাচ থেকে সেই শিক্ষাই পেল ঢাকা। মাঠ কাঁপানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাঠে নামা ঢাকা নিজেই বিপিএলের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং- বোলিং এবং ফিল্ডিং সব বিভাগেই কাঁপতে কাঁপতে ম্যাচ হারল।
৫ মাস পরে ক্রিকেট মাঠে ফেরা মাশরাফির প্রত্যাবর্তনটা তেমন সুখকর কিছু হলো না। ব্যাটিংয়ে দুই ছক্কায় অপরাজিত ১৮ রান করলেন। কিন্তু বোলিংয়ে শূন্য হাতেই ফিরতেই হলো তাকে। ৩ ওভারে সাফল্যহীন সময় কাটল তার ১৮ রানের খরচায়। আসলে ম্যাচে ঢাকার হারের শুরুটা মূলত নিষ্প্রভ ব্যাটিংয়েই। ১৩৪ রান নিয়ে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কোনো উপায়ই তৈরি করতে পারেনি ঢাকা এই ম্যাচে। ঢাকার দেশী-বিদেশী কোনো ক্রিকেটারই এই ম্যাচে পাস মার্ক পাওয়ার মতো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। শহীদ আফ্রিদি পুরোদস্তুর ফ্লপ। ব্যাটিংয়ে শূন্য রানে ফেরা শহীদ আফ্রিদি বোলিংয়ে ৩ ওভারে ২৫ রানের খরচা দেন। সব ফরমেটের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এটি আফ্রিদির ১০০তম শূন্য।
হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের ৪৭ বলে হার না মানা ৫৬ এবং শোয়েব মালিকের ৩৬ বলে অপরাজিত ৩৬ রান রাজশাহীকে অনায়াস জয় এনে দিল।