রাজশাহীর ঝটপট জয়
মিরপুরের উইকেটে কোনো সমস্যা ছিল না। সমস্যার যা কিছু ছিল তার সবটুকু সিলেট থান্ডারের ব্যাটিংয়ে। আর সেই সত্যটা প্রমাণিত হলো রাজশাহী রয়্যালসের ৮ উইকেটের জয়ে। সিলেট থান্ডারের ৯১ রানের স্কোর রাজশাহী রয়্যালস টপকে গেল ঝটপট এবং দাপুটে ভঙ্গিতে। ৮ উইকেটের জয়ের আনন্দ নিয়ে রাজশাহী যখন মাঠ ছাড়ছে তখনো এই ম্যাচের ৫৫ বল বাকি! এই হিসেবই জানিয়ে দিচ্ছে অসম একটা ম্যাচ হয়েছে শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু বিপিএলে।
দুপুরে রাজশাহী রয়্যালস টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। সিলেটের শুরুর চার ওভার বেশ ভালোই হয়েছিল। কিন্তু ওপেনার রনি তালুকদারের ফিরে আসায় যেন মড়ক লাগল পুরো দলের ব্যাটিংয়ে। অলক কাপালি নিজের প্রথম ওভারেই বিদায় করলেন বিপদজনক হয়ে উঠা জনসন চার্লসকে। আর পরের বলেই শূন্য রানে ফেরালেন জীবন মেন্ডিসকে। এই জোড়া উইকেট হারানোর ধাক্কা কিছুটা সামলে উঠেছিল সিলেট মোসাদ্দেক হোসেন ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটিংয়ে। কিন্তু রবি বোপারা তার ফিরতি স্পেলে এসে সিলেটের এই দুটি প্রাইজ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফের রাজশাহীর দাপট ফিরিয়ে আনেন।
১০ ওভারে ৭২ রানে ৪ উইকেট হারানো সিলেট আকস্মিকভাবে ধসে পড়ে পরের পাঁচ ওভারে। চোখের পলকেই যেন ৯১ রানে অলআউট! তখনো তাদের ইনিংসের ২৭ বল বাকি!
জয়ের টার্গেট মামুলি ৯২ রান। কিন্তু রাজশাহী রয়্যালসের শুরুটা হলো উইকেট পতন দিয়ে। অফস্পিনার নাঈম হাসানের প্রথম ওভারেই হযরতউল্লাহ জাজাই শূন্য রানে বোল্ড। ম্যাচের প্রথম ওভারে কোনো রানই করতে পারেনি রাজশাহী। ০ রানে ১ উইকেট! চলতি বঙ্গবন্ধু বিপিএলে এটাই প্রথম মেডেন ওভার। কিন্তু শুরুর সেই সমস্যা খানিকবাদেই কাটিয়ে উঠে রাজশাহী। আরেক ওপেনার লিটন দাস এবং ওয়ানডাউনে আফিফ হোসেন ধ্রুব’র ব্যাটিং দলকে সহজ জয়ের পথেই রাখে। আফিফ ৩০ রান করে ফিরলেও লিটন দাস ২৬ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৪৪ রান করে দলের প্রভাবী জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন।
চলতি টুর্নামেন্টে এটি রাজশাহীর টানা দ্বিতীয় জয়। আর সিলেট থান্ডারের টানা দ্বিতীয় হার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট থান্ডার: ৯১/১০ (১৫.৩ ওভারে, রনি তালুকদার ১৯, চার্লস ১৬, মিঠুন ২০, মোসাদ্দেক ২০, অলক কাপালি ৩/১৭, রবি বোপারা ২/১০ ও ফরহাদ রেজা ২/৯)।
রাজশাহী রয়্যালস: ৯৫/২ (১০.৫ ওভারে, লিটন দাস ৪৪*, শোয়েব মালিক ১৬*; সাঈদ ১/১৬ )।
ফল: রাজশাহী রয়্যালস ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: অলক কাপালি