জিম্বাবুয়েকে অলআউট করতে পারেনি বিসিবি একাদশ
সকালের সঙ্গে বিকেলের দারুণ মিল। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ছিল বেশ ভালো। এরপর বিকেলেও দৃঢ়তা দেখালেন ব্যাটসম্যানরা। সব মিলিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনটা স্বস্তিতেই কাটল জিম্বাবুয়ের।
দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিন শেষে ১ম ইনিংসে ৯০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে তুলেছে ২৯১ রান। টেস্টের আগে ব্যাটিং অনুশীলনটা মন্দ হচ্ছে না তাদের।
সাভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) মাঠে মঙ্গলবার সকালে টস জেতে জিম্বাবুয়ে। বিসিবি একাদশের বিপক্ষে শুরুটাও মন্দ ছিল না। প্রথম সেশনে কোনো উইকেট হারায়নি সফরকারীরা। সকালের সেশনে বিনা উইকেটে তুলে ৯৫ রান। প্রিন্স মাসভরেকে ৪৫ রানে ফিরিয়ে শুরুটা করেন অধিনায়ক আল-আমিন জুনিয়র। ১০৫ রানে ভাঙে প্রথম জুটি। এরপর কেভিন কাসুভা ৭০ রানে ফেরেন।
তারপরই বল হাতে ম্যাজিক দেখান শাহাদাত হোসেন। যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য বল স্পিন বলের মায়াজালে দিশেহারা করে দেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের। প্রথমেই ফেরান ক্রেইগ আরভিনকে (১০)। ব্রায়ান মুদজিঙ্গানায়ামাকে আউট করেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের আরেক বোলার শরিফুল ইসলাম। এরপর মাত্র ৩ বলের মধ্যে চাকাভা ও মুতুমবোজিকে এলবিডব্লু করেন শাহাদাত। চাপে পড়ে সফরকারীরা।
কিন্তু শেষ অব্দি দিনটা মন্দ কাটেনি জিম্বাবুয়ের। বিকেএসপিতে প্রথম দিনে তাদের অলআউট করতে পারেনি বিসিবি একাদশ দলের বোলাররা। অষ্টম উইকেটে ৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন কার্ল মুম্বা ও আইনসলে এনলভু।
মুম্বা ১০৫ বলে ৫৪ ও এনলভু ৪৪ বলে ২৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
বল হাতে বিসিবি একাদশের সবচেয়ে সফল বোলার শাহাদাত। তার বোলিং ফিগারটা এমন ৮-২-১৬-৩। মূলত ব্যাটসম্যান হলেও বোলিংয়েও দাপট দেখালেন শাহাদাত। দুটি উইকেট নিয়েছেন অভিজ্ঞ আল-আমিন। একটি শরিফুল ইসলামের।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের ৬ ক্রিকেটার খেলছেন বিসিবি একাদশে-আকবর আলী, পারভেজ হোসেন, মাহমুদুল হাসান, তানজিদ হাসান, শরিফুল ও শাহাদাত।
দুই দিনের এই প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে একমাত্র টেস্টে বাংলাদেশ দলের মুখোমুখি হবে জিম্বাবুয়ে। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে মুমিনুল হকদের মুখোমুখি হবে সফরকারীরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
জিম্বাবুয়ে: ৯০ ওভারে ২৯১/৭ (মাসভরে ৪৫, কাসুভা ৭০, মুদজিঙ্গানায়ামা ১৭, আরভিন ১০, মারুমা ৩৪, চাকাভা ১৩, মুতুমবোজি ০, মুম্বা ৫৪*, আইন্সলে ২৫*; শরিফুল ১/৪৫, আল-আমিন ২/৪০ ও শাহাদাত ৩/১৬)।
# ১ম দিন শেষে