শুরুর ঘণ্টায় বাংলাদেশের দাপুটে বোলিং



স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম
সতীর্থদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন আবু জায়েদ রাহী, ছবি: বিসিবি

সতীর্থদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন আবু জায়েদ রাহী, ছবি: বিসিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়া জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন বলছিলেন-নিরাপদে প্রথম সেশন পার করে দিতে চান। সেই লক্ষ্যের পথে ছুটতেই যেন ব্যাট হাতে শুরুতে চরম ডিফেন্সিভ পথ বেছে নিল জিম্বাবুয়ে। ম্যাচের শুরুর ঘণ্টায় জিম্বাবুয়ের স্কোরবোর্ডে জমা হলো ২৬ রান। উইকেট হারাল তারা একটি। এই সময়ে বাউন্ডারি এলো মাত্র তিনটি।

বাংলাদেশের শুরুর বোলিংটা বেশ হলো। দুই পেসার এবাদত হোসেন ও আবু জায়েদ রাহী ঠিক লাইন লেন্থে বল রেখে জিম্বাবুয়ের ওপেনারদের বেঁধে রাখেন। ম্যাচের প্রথম রান পেল জিম্বাবুয়ে পঞ্চম ওভারে। তাও আবার ওয়াইড বলে! ব্যাট হাতে প্রথম রান পায় জিম্বাবুয়ে ম্যাচের সপ্তম ওভারে।

আবু জায়েদ রাহী তার প্রথম স্পেলেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন। জিম্বাবুয়ের ওপেনার কেভিন কাসুজা অফস্ট্যাম্পের বলে পয়েন্টে ক্যাচ তুলেন। নিচু হয়ে আসা সেই ক্যাচ দক্ষতার সঙ্গে নাঈম হাসান হাতে নিলেন। দলীয় ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।

ম্যাচের ১১ ওভারের সময় বোলিংয়ে বদল আনে বাংলাদেশ। এবাদতের জায়গায় বল করতে আসেন স্পিনার নাঈম হাসান। এই ম্যাচে দুই স্পিনার ও দুই পেসার নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। সঙ্গে আছে সাত ব্যাটসম্যান। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ছুটিতে থাকা মুশফিকুর রহিম টেস্টে ফিরেছেন এই ম্যাচে।

   

‘সুদর্শন’ ইনিংসে চড়ে গুজরাটের ২০০ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম ওভারেই সাজঘরে পাড়ি জমান ঋদ্ধিমান সাহা। দলীয় ৪৫ রানের মাথায় ফেরেন আরেক ওপেনার ও গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক শুভমান গিলও। ৭ ওভারে দলীয় সংগ্রহ কেবল ২ উইকেটে ৪৭ রান। রান রেট ৭-এর নিচে। এই রান বন্যার আইপিএল মৌসুমে যা অনেকটাই বেমানান। পরে শেষে এসে গুজরাটের স্কোরবোর্ডে ৩ উইকেটে পুরো ২০০ রান। মাঝের এই পথটুকু গুজরাট পাড়ি দিয়েছে সাই সুদর্শনের ৮৪ রানের এক ‘সুদর্শন’ ইনিংসে চড়ে। 

বিস্তারিত আসছে…  

 

;

জ্যোতিদের সামনে ভারতের ১৪৬ রানের চ্যালেঞ্জ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধারহীন বোলিং, হতশ্রী ফিল্ডিং। এই দুইয়ে মিলে ইনিংসের শুরুর ১৩ ওভারে ভারতের কাছে তেমন পাত্তা পায়নি বাংলাদেশের মেয়েরা। ১২ ওভার ৫ বলেই ২ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান তুলে ফেলে হারমানপ্রীতের দল। পরে শেষ দিকে রাবেয়া খানের ঘূর্ণিতে ম্যাচ কিছু সময়ের জন্য নিজেদের দিকে নিতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা। অবশ্য শুরুর সেই দাপ্ট ধরেই শেষে এসে ভালো সংগ্রহে পৌঁছে যায় ভারত। জয়ের জন্য জ্যোতিদের তাই ছাড়িয়ে যেতে হবে সফরকারীদের ১৪৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য।

শেষ ৭ ওভারে স্রেফ বলের সমানই রান তুলতে পেরেছে ভারতের নারী ক্রিকেট দল। অর্থাৎ, ১৩ ওভারে ১০৩ রান থেকে শেষ ৪২ বলে ৪২ রান তুলতে পেরেছে সফরকারীরা। এর মধ্যে শেষ ওভারে স্রেফ ২ রান দিয়ে জোড়া উইকেট শিকার করেছেন মারুফা আক্তার। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। সেখানে দ্বিতীয় ওভারেই দলটির তারকা ব্যাটার স্মৃতি মান্ধানার উইকেট তুলে নিতে পারতো বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৯ রানের মাথায় এই বাঁহাতি ব্যাটারের সহজ এক ক্যাচ ছেড়ে দেন ফারিহা তৃষ্ণা। অবশ্য পরের ওভারেই সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন তিনি। দলীয় ১৮ রানের মাথায় বোল্ড করে ফিরিয়েছেন মান্ধানাকে। 

সেই চাপ সামলে যস্তিকা ভাটিয়াকে নিয়ে ৪৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন শেফালি ভার্মা। অষ্টম ওভারে এসে এবার শেফালিকে ফেরান রাবেয়া। পরে দারুণ ছন্দে যস্তিকাকেও ফিরিয়েছেন তিনি। স্কোরবোর্ডে তখন ৪ উইকেটে ১০৮ রান। সেখানেই ম্যাচ নিজেদের দিকে করে নেয় বাংলাদেশ। যস্তিকার আগে ৩০ রান করে ফেরেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত। বাকি কেউই আর স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারেননি তেমন কিছু।  

এদিকে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন রাবেয়া। এছাড়া মারুফা নিয়েছেন ২ উইকেট।

;

বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ে পাঠিয়েছে ভারত



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরই মেয়েদের টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসর বসবে বাংলাদেশের মাটিতে। আর তার আগে বাংলাদেশের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বাংলাদেশ সফরে এসেছে ভারতীয় নারী দল। সফরে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে তারা। যার প্রথমটি মাঠে গড়াচ্ছে আজ। যেখানে টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর।

এর আগে সবশেষ জুলাই মাসেই মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারত। সেই সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এরপর কদিন আগে ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে বাংলাদেশ। অবশ্য সবশেষ সিরিজে হারতে হয়েছে ভারতেও। তাদের বিপক্ষেও প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। তাই দু’দলের সামনেই সুযোগ জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করে এগিয়ে যাওয়ার।

ভারত একাদশ: হরমনপ্রীত কৌর (অধিনায়ক), স্মৃতি মান্ধানা, ইয়াস্তিকা ভাটিয়া, দীপ্তি শর্মা, শেফালি ভার্মা, সাজনা সজীবন, রিচা ঘোষ, পূজা ভাস্ত্রকার, রেণুকা সিং ঠাকুর, শ্রেয়াঙ্কা পাতিল, রাধা যাদব।

বাংলাদেশ একাদশ: নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, দিলারা আক্তার দোলা, সোবহানা মোস্তারি, মুর্শিদা খাতুন, ঝর্ণা আক্তার, রাবেয়া, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, সুলতানা খাতুন, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা।

;

ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ এখন পাকিস্তানের



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেকটা অনুমেয়ই ছিল পাকিস্তানের কোচ হতে যাচ্ছেন জেসন গিলেস্পি ও গ্যারি কার্স্টেন। এরপরও দেশটা পাকিস্তান বলেই শেষ ঘোষণা না আসা পর্যন্ত শঙ্কা থাকেই। অবশেষে সেই শঙ্কায় দূর হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড পিসিবি।

অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি পেসার জেসন গিলেস্পিকে টেস্ট কোচ করা হয়েছে। অন্যদিকে সাদা বল অর্থাৎ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ২০১১ সালে ভারতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতানো দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ গ্যারি কার্স্টেনকে। অন্যদিকে সদ্য শেষ হওয়া নিউজিল্যান্ড সিরিজে সাময়িকভাবে দায়িত্ব সামলানো আজহার মাহমুদকে সব ফরম্যাটেই সহকারী কোচ হিসেবে রাখা হয়েছে। আর এই তিন জনকেই আগামী দুই বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে পিসিবি।

আসছে জুন মাসেই বসবে টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসর। আর সেই আসরের আগেই পাকিস্তান দলের ইংল্যান্ড সফরে দলের দায়িত্ব নেবেন কার্স্টেন। যেখানে তার অধীনে ২২ মে চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। যা হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। এরপর সেখান থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে বিমান ধরবে পাকিস্তান দল। অন্যদিকে পাকিস্তানের টেস্ট কোচ হিসেবে গিলেস্পির যাত্রা শুরু হবে আগস্টে। যেখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে পাকিস্তান দল।

এই তিন কোচের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পিসিবি প্রধান মহসিন নকভি বলেন, ‘তাদের তিন জনেরই দুর্দান্ত রেকর্ড আছে। আমি তাদের পাকিস্তান ক্রিকেট পরিবারে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। জেসনের কোচিং ক্যারিয়ার দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় পর্যায়েই সাফল্যের ছিল। তাকে খেলোয়াড়দের উন্নয়ন এবং দলের পারফরম্যান্সের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে গ্যারির কোচিং ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। তার জয়ী মানসিকতা, সেই সঙ্গে তরুণ প্রতিভা বিকাশ করার ক্ষমতা রয়েছে। খেলার সর্বোচ্চ স্তরে সাফল্য অর্জন করেছে সে, তাকে ক্রিকেটের সবচেয়ে সম্মানিত এবং ডিমান্ডেবল কোচদের একজন করে তোলেছে।’

;