তামিমের ম্যাচে সিরিজ বাংলাদেশের

  • স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

টাইগারদের উইকেট উদযাপন, ছবি: বিসিবি

টাইগারদের উইকেট উদযাপন, ছবি: বিসিবি

এত বিশাল রান তাড়া করে জিম্বাবুয়ে কখনোই জিততে পারেনি বাংলাদেশের বিপক্ষে। এবারও পারল না। যদিও চেষ্টা তারা চালিয়েছিল দুর্দান্ত। অষ্টম উইকেট জুটিতে ৪৫ বলে ৮০ রান যোগ করে জিম্বাবুয়ে ম্যাচে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে তাদের প্রয়োজন দাঁড়ায় ২০ রানের। শেষ দুই বলে সেই হিসেব কমে দাঁড়াল ৬ রানে। কিন্তু আল-আমিন শেষ ওভারে স্নায়ু চাপের লড়াইয়ে ঠিকই জিতলেন এবং বাংলাদেশ ম্যাচ জিতল ৪ রানের ছোট্ট ব্যবধানে।

সেই সঙ্গে টানা দুই ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিতে বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজও জিতে নিল। বাংলাদেশের ৩২২ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে থামল ৮ উইকেটে ৩১৮ রানে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। আর জিম্বাবুয়ে খুঁজবে হারা সিরিজ থেকে যদি কিঞ্চিৎ কিছু পাওয়া যায়!

বিজ্ঞাপন

সিরিজের প্রথম ম্যাচের সঙ্গে স্ক্রিপ্টের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচের অনেক কিছু মিলে গেল। এবারও বাংলাদেশের ওপেনার সেঞ্চুরি করলেন। প্রথম ম্যাচে করেছিলেন লিটন দাস। এবার সেঞ্চুরির সেই শূন্যস্থান পূরণ করলেন তামিম ইকবাল। ২৩ ম্যাচ পরে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে তামিম ইকবাল গড়লেন নতুন রেকর্ড। ওয়ানডে ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৫৪ রানের আগের রেকর্ডটাও ছিল তামিমেরই। এই ম্যাচে তামিম নিজের সেই রেকর্ডকে আরেকটু উপরে নিয়ে গেলেন। করলেন ১৫৮ রান। ১৩৬ বলে ২০ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় তামিমের এই ইনিংস জানিয়ে দিল তাকে নিয়ে সমালোচনার দিন শেষ! যে দাপুটে কায়দায় বাংলাদেশি এই ওপেনার ব্যাটিং করলেন তাতে এই ম্যাচকে ‘তামিমের ম্যাচ’-এমন নামে ডাকার দাবি উঠতেই পারে!

প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা রান পেলেন। মুশফিক করলেন হাফসেঞ্চুরি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ওয়ানডে ফর্ম দেখালেন। লেট মিডলঅর্ডারে মোহাম্মদ মিঠুন নিজের কার্যকারিতা প্রমাণ করলেন। শেষের ১৫ ওভারে বাংলাদেশ মেরে কেটে ব্যাট চালিয়ে ১৩২ রান যোগ করে। তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জুটিতে যোগ হওয়া ১০৬ রানই এই ম্যাচ থেকে জিম্বাবুয়েকে ছিটকে দেয়।

বিজ্ঞাপন

দলের তিন ব্যাটসম্যানের হাফসেঞ্চুরি ছাড়া ব্যাটিংয়ে এই ম্যাচ থেকে জিম্বাবুয়ের আরেকটা বড় অর্জন আছে। শেষের সারির ব্যাটসম্যানরাও দলকে জেতানোর ক্ষমতা রাখেন-এই ম্যাচ থেকে সেই সান্ত্বনা নিয়েও ফিরছে জিম্বাবুয়ে। অষ্টম উইকেটে তিরিপানো ও মুতুমবদজি ৪৫ বলে ৮০ রানের জুটি গড়েন। বাংলাদেশের মাটিতে এই জুটিতে এটাই সর্বোচ্চ রানের নতুন রের্কড।

প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও মাশরাফি উইকেট পেয়েছেন। কিন্তু ১০ ওভারে তার ৫২ রানে ১ উইকেট শিকারের পারফরম্যান্স নির্বাচকদের সন্তুষ্ট রাখতে পেরেছে কিনা- সেই অপেক্ষায় থাকতেই হচ্ছে। তাইজুল ৩ উইকেট শিকার করেন। আর আল-আমিন ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের ১৫০তম উইকেট শিকারের মাইলফলকে পৌঁছালেন এই ম্যাচে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৩২২/৮ (৫০ ওভারে; তামিম ১৫৮, লিটন ৯, শান্ত ৬, মুশফিক ৫৫, মাহমুদউল্লাহ ৪১, মিঠুন ৩২*; মুম্বা ২/৬৪ ও তিরিপানো ২/৫৫)।

জিম্বাবুয়ে: ৩১৮/৮ (৫০ ওভারে; কুমুনহুইকামউই ৫১, মাদেভেরে ৫২, সিকান্দার রাজা ৬৬, রিচমন্ড মতুমবামি ১৯, টিনোতেন্দা মুতুমবদজি ৩৪, তিরিপানো ৫৫*; তাইজুল ৩/৫২ ও মাশরাফি ১/৫২)।

ফল: বাংলাদেশ ৪ রানে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: তামিম ইকবাল।