ক্যান্ডির মন খারাপ করা সৌন্দর্য!



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম
ক্যান্ডির সৌন্দর্যের গল্প মুগ্ধতা ছড়াবেই

ক্যান্ডির সৌন্দর্যের গল্প মুগ্ধতা ছড়াবেই

  • Font increase
  • Font Decrease

২০০৭ থেকে ২০১২। পাঁচ বছর।

এই সময়টাতে শ্রীলঙ্কার অনেক কিছু বদলে গেছে। নিয়ম-শৃঙ্খলা-নিরাপত্তা-নিশ্চয়তা অনেক কিছু।

গৃহযুদ্ধ থামার পর মোবাইল সিম কেনা থেকে হোটেল বুকিং দেওয়া বা রাস্তায় বিদেশি পরিচয়ে বের হওয়া- সবকিছুতে এখন বেশ সহজ স্বাভাবিক একটা ভাব। আগে শ্রীলঙ্কায় পা রাখলে রিপোর্টিং শুরুর আগে সোজা যেতে হতো দেশটির বিদেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিত দপ্তরে। সেখানে পাসপোর্টের ফটোকপি, ছবি জমা রেখে সীল-স্বাক্ষরের আলাদা একটা আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে শহরে বেরুতে হতো। শহরের মোড়ে মোড়ে বালির বস্তার ফাঁকে রাইফেলের নল রেখে সেনাবাহিনীর কড়া পাহারা। প্রতিটি প্রবেশ পথে পরিচয় পত্র দেখাতে হতো। গৃহযুদ্ধ থামার পর সেই নিরাপত্তা এখন অনেক ঢিলে। তবে একটা জিনিস সেই আগের মতোই আছে- শ্রীলঙ্কার সৌন্দর্য! প্রাকৃতিক সৌন্দর্য!

একটু ভুল হলো!

আগের মতো নয়, বরং এই সুন্দরের ছটা আরও রঙ ছড়িয়েছে। ভোর সকালে কলম্বো থেকে ক্যান্ডির ট্রেন যাত্রায় মনকাড়া সেই সৌন্দর্য আরেকবার ছুঁয়ে গেল মন-প্রাণ।

ট্রেনে বসেই দেখছি সৌন্দর্যের সমাহার -ছবি : নোমান মোহাম্মদ

আগেরবার কলম্বো থেকে ক্যান্ডি এসেছিলাম সড়ক পথে। এবার পরিকল্পনা বদলে ভোরের ট্রেনে। আড়াই ঘণ্টার সেই যাত্রাপথ কাটল বিমোহিত মুগ্ধ নয়নে।

সবুজে চোখ পড়লে এমনিতেই চোখ ও মনের সজীবতা বেড়ে যায়। শহর ছাড়িয়ে কলম্বোর ট্রেন গ্রামের পথ ধরতেই সেই সবুজ আরও উজ্জ্বল আরও নির্ভেজাল। বিশাল বিশাল পাথুরে পাহাড়ে নাম না জানা হাজারো গাছ। লতাগুল্ম দুলছে দোলনার ভঙ্গিতে। পেটমোটা অশ্বথ বৃক্ষের ফাঁক গলে লালরঙা বুনো ফুলের ওপর পড়া সূর্যকিরণের ছটায় চোখ ঝলসে যাওয়া সৌন্দর্য! সঙ্গী সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদ এই সৌন্দর্যের দার্শনিক একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করালেন- ‘কায়সার ভাই, এই সৌন্দর্য যে মন খারাপ করে দেয়!’

কেন, এতো সুন্দরের মধ্যে দাঁড়িয়ে এই বিশ্লেষণ কেন?

নোমানের উত্তর- ‘প্রকৃতির সৌন্দর্য যখন ব্যাখ্যাতীতরকম সুন্দর হয়ে যায় তখন তার বিশ্লেষণে এটাই যে সেরা প্রায়োগিক শব্দ!’

সুরঙ্গ পথের বিশাল টানেল ছাড়িয়ে চলছে ট্রেন

পাহাড় ও সবুজে নোমানের দুর্নিবার ভালোবাসা ও আর্কষণের গল্পটা জানা থাকায় তার এই সুন্দরের ব্যাখ্যা শুধু মেনেই নিলাম না, শিরোনামও করলাম!

পাথর কেটে সুরঙ্গ পথের বিশাল টানেলে ট্রেন প্রবেশ করতেই চারধারে ঘুটঘুটে অন্ধকার। দু’পাশের দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে আসা ট্রেনের ইঞ্জিনের শব্দের ধরন ও দোলাচলও যেন বদলে গেল। মনে হলো হঠাৎ করে অনেক অশরীরি একযোগে হাসছে! কি আশ্চর্য, সেই হাসির শব্দে কিন্তু মোটেও ভয় ছড়াল না। অ্যাডভেঞ্চার বাড়াল! পুরো শহরের পৌরাণিক ইতিহাস যেন জীবন্ত হয়ে উঠল অদ্ভুত শিহরণ জাগানো সেই প্রচন্ডতার শব্দে। পাহাড়ের প্রায় চার-পাঁচ হাজার ফুট ওপর দিয়ে দু’পাশের পাথুরে পথ বেয়ে ট্রেন ছুটছে। উপর থেকে অনেক দূরের নিচের রাস্তাকে দেখাচ্ছে ফিতার মতো। গাড়িগুলো যেন বড় পিঁপড়ার সারি। পুরো ক্যান্ডি শহরটাই সুউচ্চ পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে। দূর থেকে পাহাড়ের গায়ে বাড়িগুলো যেন ম্যাচ বক্স। পাহাড়ের গা ঘেঁষে পিচ ঢালা কালো রাস্তা বিশাল লম্বা অলস অজগরের মতো দুপুরের রোদ গায়ে শুষছে!

পরম যত্নে সাজানো গোছানো বৌদ্ধমন্দিরগুলো ঘেরা লতায় পাতায়। গৌতম বুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এই শহর বুনো প্রাণীদের অভয়ারণ্য। ক্যান্ডি লেকের পাশে যে হোটেলে উঠেছি তার নাম ক্যান্ডি ভিউ। হোটেলের চারতলা থেকে আশপাশের ‘ভিউ’ দেখে সুন্দরের যত সমর্থক শব্দ আছে, বর্ণনার জন্য খুঁজতে খুঁজতে হয়রান! চারতলা কক্ষের বাইরের দুপাশের পুরোটাই কাচ ঘেরা। সেই কাচের পেছনে পুরোটা জুড়ে আবার গাছ আর গাছ। সবুজের আনন্দে চোখ তৃপ্ত হলো আরেকবার।

হোটেল রুম থেকে চোখ মেললেই শুধুই সবুজ

সব ভুলে ছবি তোলার হুল্লোড়ে দিনের বাকিটা সময় ক্রিকেটের কথা মনেই রইল না!

অনেক দূরের চিকন আঁকাবাঁকা হ্রদ। চারধারে ঘিরে থাকা সুবজ গাছ। লতাগুল্ম, প্রায় শতাব্দী প্রাচীন সব বৃক্ষরাজি রঙিন প্রজাপতি। গাছের ডাল ধরে টারজানের ভঙ্গিতে দোল খাওয়া দুষ্টু বানরের দল। দূর পাহাড়ের চূড়ায় উড়ে চলা মেঘ। খোলা আকাশের গায়ে ডানা মেলা কালো চিল। বাতাসে ভেসে আসা বৌদ্ধমন্দিরের ঘণ্টা ধ্বনি যেন বাসার ড্রইংরুমের ওয়াইন্ডচেমের নির্মল তরঙ্গ! ঢালু রাস্তায় হঠাৎ শব্দ ছুটিয়ে দৌড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলে লেপ্টে থাকা প্রেমিকজুটির স্বর্গীয় আনন্দময় সময়।

নাহ, ক্যান্ডিতে পা রাখলে যে কেউ কবি হতে বাধ্য!

এই শহরে ক্রিকেট কাভার করতে এসে প্রথমদিনের পুরোটাই কাটল জীবনানন্দের কবিতায় ডুবে! 

আগামীকাল থাকছে: গল দুর্গের অ্যাডভেঞ্চারে...

   

ব্রাজিলের রেকর্ড গোলদাতা মার্তার অবসরের ঘোষণা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিলের জার্সিতে তার চেয়ে বেশি গোল নেই কারও। জাতীয় দলের জার্সিতে গোল করার দিক দিয়ে যেন পেলে-নেইমাররাও তার কাছে নস্যি! পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৫ গোলের মালিক মার্তা অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। চলতি বছরেই আন্তর্জাতিক ফুটবল অধ্যায়ের ইতি টানবেন এই কিংবদন্তিতুল্য নারী ফুটবলার।

সিএনএন ব্রাজিলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অবসরের বিষয়টি জানিয়েছেন মার্তা। আগামী ২৮ এপ্রিল (রবিবার) তার সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি প্রচার করবে সিএনএন ব্রাজিল।

ব্রাজিলের হয়ে ছয় বিশ্বকাপ খেলা মার্তাকে আসছে প্যারিস অলিম্পিকে দেখা যেতে পারে। অবসরের বছরে ষষ্ঠবারের মতো অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে মার্তা বলেন, ‘যদি অলিম্পিকে যেতে পারি, তাহলে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করব। তবে অলিম্পিকে যাই আর না যাই, জাতীয় দলের সঙ্গে এটাই আমার শেষ বছর। ২০২৫ সাল থেকে ব্রাজিলের জাতীয় দলে মার্তাকে আর দেখা যাবে না।’

নারী ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে আলোচিত চরিত্রদের অন্যতম মার্তা। ব্রাজিলকে তিনবার কোপা আমেরিকা জিতিয়েছেন, দুইবার এনে দিয়েছে অলিম্পিকের রৌপ্যপদক। ফিফার বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের খেতাব রেকর্ড ছয়বার জিতেছেন, ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত এই পুরস্কার টানা পাঁচবার তার হাতে উঠেছে।

২০১৯ সালে প্রথম ফুটবলার হিসেবে পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার কীর্তি গড়েন মার্তা। এছাড়া এক বিশ্বকাপে ১৭ গোলের অনন্য রেকর্ডও তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে। পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে এই দুটি কীর্তিও মার্তা ছাড়া আর কারও নেই।

;

ব্রাজিলিয়ানের গোলে আবাহনীর কষ্টার্জিত জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে প্রথমার্ধেই শেখ রাসেলকে হেসেখেলে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল আবাহনী। তবে দ্বিতীয় দেখায় রাসেলকে রুখে দিতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে তাদের। তবে ব্রাজিলিয়ান ব্রুনো রোচার একমাত্র গোলে শেষ পর্যন্ত পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে আকাশি-হলুদরা।

 বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রচণ্ড গরম আর সঙ্গে শেখ রাসেলের প্রতিরোধের সামনে শুরুতে কিছুটা খাবি খেতে হয় আবাহনীকে। প্রথমার্ধে বলার মতো একটা সুযোগই এসেছিল তাদের সামনে। বক্সের বাইরে থেকে ব্রুনোর বাঁকানো ফ্রি-কিক ঠেকিয়ে আবাহনীকে হতাশ করেন রাসেলের গোলকিপার মিতুল মারমা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে এক আক্রমণ থেকে পরম আরাধ্য গোলটি পেয়ে যায় আবাহনী। ৭৪ মিনিটে বদলি মিডফিল্ডার রবিউল হাসানের ক্রসে ব্রুনোর হেড ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়, তবে ফিরতি শটে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি এই ব্রাজিলিয়ানের। শেষ পর্যন্ত এই গোল দিয়েই তিন পয়েন্ট বুঝে নিয়েছে আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির শিষ্যরা।

এই জয়ে ১৩ ম্যাচ থেকে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে তিনেই থাকল আবাহনী। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের চেয়ে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট পাওয়া শেখ রাসেলের অবস্থান টেবিলের ১০ নম্বরে।

;

কোপার আগে ফার্নান্দেজকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আর্জেন্টিনা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপা আমেরিকার আগে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে। দলটির তারকা মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজের যে চোটে পড়ে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে। আজ (২৬ এপ্রিল) কুঁচকির চোটে অস্ত্রোপচার হয়েছে তার। অস্ত্রোপচারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার ক্লাব চেলসি।

এনজোর চোট নিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে চেলসি জানায়, ‘এনজোর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এখন তার পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হবে।’

এক টুইটে সফল অস্ত্রোপচারের কথা জানিয়েছেন এনজো নিজেও , ‘আমার সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। গত ছয় মাস ধরে এই ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছিলাম। তাই অস্ত্রোপচারের দরকার ছিল।’

কবে নাগাদ মাঠে ফিরতে পারবেন এনজো, সে ব্যাপারে চেলসি এখনো কিছু জানায়নি। আগামী ২০ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে কোপা আমেরিকার পরবর্তী আসর। একটা কথা নিশ্চিত করে বলে দেয়া যায়, সে টুর্নামেন্টকে পাখির চোখ করেই এখন ফিট হয়ে ওঠার মিশনে নামছেন এনজো।

;

সাফের আগে তাইপের বিপক্ষে খেলবেন সাবিনারা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। গত আসরে সাবিনা খাতুনের নেতৃত্ব হিমালয়ের দেশ নেপালে বিজয় নিশান ওড়ান বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার ঘরের মাঠে সে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মিশনে মাঠে নামবেন তারা। দিনক্ষণ নিশ্চিত না হলেও আগামী অক্টোবরে হতে পারে নারী সাফ। তার আগে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।

তাইপের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলার কথা নিশ্চিত করেছেন বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ, ‘জুন উইন্ডোতে আমরা চাইনিজ তাইপের সঙ্গে খেলবো। প্রথম ম্যাচ ৩১ মে এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ জুন। তারা অফিশিয়ালভাবে চিঠি দিয়ে আমাদের নিশ্চিত করেছে।’ ম্যাচ দুটি বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতেও মেয়েদের ম্যাচ আয়োজনে চেষ্টা চলছে বলে জানান এই নারী ক্রীড়া সংগঠক, ‘জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতেও আমরা ম্যাচ খেলার চেষ্টা করবো।’

চাইনিজ তাইপের ম্যাচগুলো খেলে বাংলাদেশের মেয়েরা সাফের আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবেন বলে মত কিরণের, ‘চাইনিজ তাইপে শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যখন ম্যাচগুলো খেলবে তারা তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারবে। সাফের আগে এটা অনেক বেশি কাজে দেবে বলে আমি মনে করি।’

;