তিমি’র সঙ্গে ছবি তোলা!



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম
লেখকের পাশেই নীল তিমির কঙ্কাল

লেখকের পাশেই নীল তিমির কঙ্কাল

  • Font increase
  • Font Decrease

গল ফোর্টে প্রবেশের দুটো পথ। দুটোই সুড়ঙ্গের মতো। একটা দিয়ে আগের দিন দুর্গের ভেতরের চারপাশ ঘুরে এলাম। বিচের ধার ঘেঁষে আরেকটি সুড়ঙ্গ পথ আরেক দিনের আবিষ্কারের জন্য রেখে এলাম। মাঠের ক্রিকেট শুরু হয়ে যাচ্ছে তাই পরদিনের জন্য ওটা জমিয়ে রাখলাম। দ্বিতীয় সুড়ঙ্গ পথের পাশে কালো সাইনবোর্ডে সাদা অক্ষরে লেখা-‘মেরিটাইম মিউজিয়াম, গল।’

এই শহরে সপ্তাহখানেকের বেশি থাকতে হবে- কোনো একদিন অবশ্যই সময় বের করা যাবে এই সামুদ্রিক জাদুঘর দেখার জন্য। সমুদ্রের শহরে এসে সামুদ্রিক জাদুঘর না দেখাটা ঠিক হবে না?

-শিপন, চলেন জাদুঘর দেখে আসি।

চ্যানেল টোয়েন্টি-ফোরের ক্যামেরা পার্সন নাসিরুদ্দিন ভূঁইয়া শিপনকে প্রস্তাবটা দিতেই সঙ্গে সঙ্গে রাজি। ভীষণ বন্ধুবৎসল সারাক্ষণ হাসিমুখে থাকা শিপন তার ডিজিটাল ক্যামেরা কাঁধে ঝুলিয়ে নিলেন। শিপনের সেই ক্যামেরা যে কি দারুণ কাজে দিয়েছিল!

নীল তিমির অন্য জগতে নিয়ে গেলেন এম. এম. কায়সার

-কিভাবে? সেটা না’হয় শেষেই বলি!

গল ফোর্টের বিচ ধারের প্রবেশ পথের সুড়ঙ্গ পেরিয়ে আরো খানিকটা হাঁটতেই সামনে একটা অফিস কক্ষ। সামুদ্রিক জাদুঘরটা কোনদিকে জানতে চাইলে হাতের ইশারায় পথ দেখিয়ে দিলেন এক ভদ্রমহিলা।

দুর্গের মূল ফটক পেরিয়ে হাতের বাঁ দিকের দোতালার ঘরটা গলের সামুদ্রিক জাদুঘর। প্রবেশ ফি তিনশ রুপি। মানিব্যাগ থেকে রুপি বের করে টিকিটের জন্য বলতেই কাউন্টারে থাকা লোকটা আমার গলায় ঝুলতে থাকা অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের দিকে তাকিয়ে বলল- ‘ইউ আর মিডিয়া পিপল।’ এখানে আর সাংবাদিকের সুবিধা নিতে ইচ্ছে হলো না। বললাম- সমস্যা নেই, আমরা টিকিট কেটেই ভেতরে যাব।’

ভদ্রলোক শুনলেন না। হাসিমুখে জানালেন- ‘ইটস আওয়ার অনার, ইউ কাম হিয়ার এজ অ্যা ভিজিটর।’

শ্রীলঙ্কার পর্যটন শিল্প কেন এত উন্নত করেছে সেটা তার এই কথাতেই আরেকবার বোঝা গেল। শুধু গলে নয়, পুরো দেশটাতেই পর্যটকদের মর্যাদা দেওয়া হয় একেবারে প্রথম শ্রেণীর! হোটেলে-শপিংয়ে-ট্যাক্সিতে সবর্ত্রই পর্যটকদের সহায়তায় প্রস্তুত সবাই। গলের সামুদ্রিক জাদুঘরে সেই আতিথিয়েতা মিলল। 

ভেতরে পুরোটা সময় জুড়ে জাদুঘরের তরুণ এক অ্যাটেনডেন্টকে আমাদেরকে সহায়তার জন্য বলা হলো। পরিচয়ে জানলাম তার নাম সুরং।  প্রতিটি কর্নারে, দেয়ালে ও কাঁচের ভেতরে থাকা দ্রব্যাদির ইতিহাস-ঐতিহ্যের নিখুঁত বর্ণনা দিয়ে সুরং আমাদের পুরো সময়টা উপভোগ্য করে তুলল। 

দোতলার জানালার কাঁচ দিয়ে বাইরে তাকাতেই দেখি ভারত মহাসাগর। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর এই সমুদ্রের সুনামির তোড়ে মাতারা, গল এবং কলম্বো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পাশের গল স্টেডিয়াম ভেঙ্গেচুরে একাকার হয়ে যায়। ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। সুরং জানাল, সুনামিতে গলের এই সামুদ্রিক জাদুঘরও পুরোপুরি তলিয়ে গিয়েছিল। পরে ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার সরকার এই জাদুঘর পুনর্নির্মাণ করে। 

ডাচরা যে জাহাজে চড়ে এই শহরের বন্দরে এসেছিল তার একটি মডেল

কাঁচের জানালা দিয়ে বাইরের সমুদ্রের ঢেউ’র দিকে আরেকবার তাকাতেই পাশে থাকা শিপনের দিকে চোখ ফেরালাম। যা আশঙ্কা করেছিলাম ঠিক তাই। ফিসফিস করে বললাম- শিপন, ঠিক এই মুহূর্তে যদি সুনামি হয়?

-আরে দূর, আপনি কি সব আজেবাজে কথা বলেন!

সুনামি নিয়ে আমাদের আগ্রহ শুনে অ্যাটেনডেন্ট সুরং আমাদের জাদুঘরের আরেকটি কক্ষে নিয়ে গেল। টেবিল-দেয়াল চারধারেই এখানে সুনামি চিত্র। মানচিত্রের আদলে আঁকা।

সুনামি কিভাবে হয়? শুরুর খানিক আগে সমুদ্রের কেমন রূপ থাকে? ভুমিকম্পে সমুদ্রের তলদেশের অবস্থার কি পরিবর্তন হয়? পানির স্তর কতটুকু উপরে উঠে-সবকিছুই চিত্র এঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুরংয়ের চমৎকার বর্ণনায় মনে হলো আমরা আছি ভুগোলের ক্লাসে!

পুরো জাদুঘর জুড়ে মাছ ধরার নানান ঐতিহ্যবাহী সরঞ্জামে ভরপুর। মাছ ধরার নৌকাকে শ্রীলঙ্কানরা ‘অরু’ বলে। বাঁশের তৈরি বেশ কিছু নৌকাও দেখলাম। আদলটা প্রায় আমাদের দেশের মতোই। মোটা নারিকেল গাছের খোলসের নৌকাও বিস্ময় ছড়াচ্ছে সামুদ্রিক জাদুঘরে। ষোড়শ’ শতাব্দিতে ডাচরা যে জাহাজে চড়ে এই শহরের বন্দরে এসেছিল তার একটা মডেলও এখানে যত্নে রাখা।

শ্রীলঙ্কায় মাছের কমতি নেই। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের মমিও রাখা আছে এখানে বড় বোতলে ও কাঁচের জারে। সামুদ্রিক কচ্ছপের বিলুপ্তপ্রায় পাঁচ প্রজাতির কচ্ছপ এখন শুধু শ্রীলঙ্কায় পাওয়া যায়। জাদুঘরে লেখা কচ্ছপ কর্নার থেকে নামগুলো টুকে নিলাম- লগারহেড কচ্ছপ। গ্রীন কচ্ছপ। লেদারব্যাক কচ্ছপ। ওলিভ কচ্ছপ। হকবিল কচ্ছপ।

বিশাল আকৃতির একটা গ্রিন কচ্ছপের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতেই সুরং এগিয়ে বলল- তোমাকে আরও বড় কিছু দেখাই, এদিকে এসো। ছাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি মোটা মোটা হুক দিয়ে আটকানো একটা কঙ্কালের দিকে ঈশারা দিল সুরং।

নারিকেল গাছের খোলসের নৌকা বিস্ময় ছড়াচ্ছে সামুদ্রিক জাদুঘরে

-কিসের কঙ্কাল এটা?

-ব্লু ব্রাইডস হোয়েল।

তিমি! তিমি মাছ!! বিস্ময়ে সরছিল না।

বছর কয়েক আগে কলম্বোর সমুদ্র তীরে এই নীল তিমির মৃতদেহ জোয়ারে ভেসে এসেছিল। প্রাণীবিদ্যা বিভাগের লোকজন তীরের ধারে সেই মাছটিকে মাটি চাপা দিয়ে রাখে। পরে সেই মাছের কঙ্কাল আলাদা করে গলের জাদুঘরে এনে সংরক্ষিত হয়।

জাদুঘরের কোনো জিনিসে হাত দেওয়া নিষেধ। কিন্তু সুরংয়ের কাছে অনুরোধ করে নির্দেশটা ভাঙ্গলাম। জ্যান্ত তিমিতে হাত ছোঁয়ানোর সৌভাগ্য হয়তো হবে না-অন্তত তিমির কঙ্কাল তো ছুঁয়ে এলাম!

মাথা থেকে লেজের শেষ ভাগের দৈর্ঘ্য ১৩.২ মিটার। মুখে মুখে হিসেব করলাম- ৪৩ ফুটেরও বেশি। হিসেব মেলালাম, আমার উচ্চতার আট জনকে লম্বালম্বি করে রাখলে এই তিমি মাছের সমান হতো! বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাণীর সামনে দাঁড়িয়ে আমি।

হোক না সেটা কঙ্কাল! তিমি তো!

শিপনের ডিজিটাল ক্যামেরা দারুণ কাজে লেগেছিল সেদিন!

 

পরের গল্প : চলন্ত ট্রেনে বিশ্বকাপ আনন্দ!

   

‘অদ্ভুত’ কারণে ১১ ম্যাচ নিষিদ্ধ আর্জেন্টাইন গোলকিপার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ যখন টাইব্রেকার বীরত্বে প্রশংসিত হচ্ছেন, ঠিক তখনই তার স্বদেশী আরেক গোলকিপার পড়েছেন বড় নিষেধাজ্ঞার খড়গে। তার নাম নাহুয়েল গুজমান। খেলেন মেক্সিকান ক্লাব টাইগ্রেস অব নুভো লিওনে।

হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে গুজমানের। তাই দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে রয়েছেন। কিন্তু মাঠের বাইরে থেকেও বড় শাস্তির মুখে পড়তে হলো তাকে। মেক্সিকান ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে মন্টেরির বিপক্ষে তার দলের ম্যাচ চলাকালের স্ট্যান্ড থেকে বিপক্ষে দলের গোলরক্ষকের দিকে লেজার লাইট তাক করার দায়ে ১১ ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৩৮ বছর বয়সী গুজমানকে।

গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গুজমানের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে লিগা এমএক্স কর্তৃপক্ষ।

গত শনিবার সেই ম্যাচটির প্রথমার্ধে মন্টেরি গোলরক্ষক এস্তেবান আন্দ্রাদাসহ অন্যান্য ফুটবলারের দিকেও লেজার লাইট মারেন গুজমান। পরে মন্টেরির স্পোর্টস প্রেসিডেন্ট এমন কাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে তার কাছ কাছ থেকে লেজারটি কেড়ে নেন। পরে অবশ্য এমন কাজের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন গুজমান।

ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ৩-৩ ড্রয়ে শেষ হয়েছিল। এদিকে নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও জরিমানার বিকল্প হিসেবে গুজমানকে কিছু অনির্দিষ্ট সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে হবে।

;

দুই হলুদ কার্ড দেখেও কেন মাঠ ছাড়তে হয়নি মার্তিনেজকে



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্জেন্টিনার ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের পর উদযাপনে ফ্রান্স এবং দলটির তারকা স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে ‘উপহাস’ করেছিলেন বলে আর্জেন্টাইন গোলকিপার এমি মার্তিনেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ ফরাসিদের। দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন থেকে শুরু করে সাধারণ সমর্থকরাও তার ওপর ক্ষুদ্ধ। অ্যাস্টন ভিলার হয়ে উয়েফা কনফারেন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে সে ফ্রান্সেই যেতে হয়েছিল মার্তিনেজকে। সেখানেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তার।

ফরাসি ক্লাব লিলের বিপক্ষে ভিলার ম্যাচ চলাকালে নির্ধারিত সময়ে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন মার্তিনেজ। দ্বিতীয় লেগের নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময় শেষে দুই লেগ মিলিয়ে লিল-ভিলা যখন ৩-৩ সমতা ভাঙতে পারেনি, তখন ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

পেনাল্টি শুটআউটে মার্তিনেজের পাগলাটে আচরণের কথা সবার জানা। সেই ২০২১ কোপা আমেরিকার সেমিফাইনাল থেকে শুরু করে ২০২২ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস বা বিশ্বকাপে ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে মার্তিনেজ টাইব্রেকারে প্রতিপক্ষকে ভড়কে দিয়ে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন।

লিলের বিপক্ষেও সেই স্মৃতি ফিরল। নাবিল বেনতালেব নেয়া প্রথম স্পট কিক ঠেকিয়ে দিয়ে লিল সমর্থকদের চুপ থাকার ইশারা করেন মার্তিনেজ। তাতে ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখতে হয় তাকে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে দুই হলুদ কার্ডের পরও মাঠে থেকে যান মার্তিনেজ, রেফারিকেও তাকে মাঠ ছাড়ার তাড়া দিতে দেখা যায়নি। ফুটবল অনুরাগী থেকে ধারাভাষ্যকাররাও তাতে বিস্মিত হন।

দুই হলুদ কার্ড দেখার পরও মার্তিনেজের মাঠ থেকে বিতাড়িত না হওয়ার কারণ পরে জানা যায়। ফুটবলের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি) সম্প্রতি দুই হলুদ কার্ডের নিয়মে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে। এখন থেকে ম্যাচের নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ে দেখা হলুদ কার্ড পেনাল্টি শুটআউট পর্যন্ত আসবে না। যার মানে দাঁড়াচ্ছে, কোনো খেলোয়াড় বা ম্যানেজার ম্যাচের নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ে হলুদ কার্ড দেখলেও তা টাইব্রেকারে তা ধর্তব্য হবে না। কোনো খেলোয়াড় যদি কেবল টাইব্রেকার চলাকালে দুটি হলুদ কার্ড দেখেন, শুধু তাহলেই তাকে মাঠ ছাড়তে হবে।

এই নিয়মের কারণেই লাল কার্ড থেকে বেঁচে যান মার্তিনেজ। পরে আরও একটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে ভিলাকে কনফারেন্স লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছে দেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী এই গোলকিপার।

;

জুভেন্টাস থেকে ১১৩ কোটি টাকা পেতে চলেছেন রোনালদো



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রিয়াল মাদ্রিদের ক্যারিয়ারের লম্বা সময় পার করে ২০১৮ সালে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে পাড়ি জমান রোনালদো। সেখানে তিন মৌসুম খেলে ২০২১ সালে ফের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যান এই পর্তুগিজ। বর্তমানে তিনি খেলেন সৌদি আরবে আল নাসরে। ২০২৩ সালে ইউরোপের পাট চুকিয়ে যান সেখানে। তবে বর্তমান ক্লাবের বেত্ন বা নিজের ব্যক্তিগত খাতের অ্যায় ছাড়া দ্রুতই মোটা অঙ্কের টাকা ঢুকতে চলেছে রোনালদোর অ্যাকাউন্টে। 

সাবেক ক্লাব জুভেন্টাস থেকে ৮৩ লাখ পাউন্ড বকেয়া বেতন পাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১১৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা। ইতালির এক আদালত রোনালদোর এই অর্থ পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছে সেরি আর ক্লাবটিকে। 

এই বকেয়ার ঘটনা মূলত ২০২০-২১ মৌসুমে, করোনা মহামারীর সময়ে। সে সময় পুরো বিশ্ব গিয়েছিল থমকে। ব্যক্তিক্রম ঘটেনি ক্রীড়াঙ্গনেও। এতে জুভেন্টাসের থেকে দেরীতে বেতন নেওয়ার বিষয়ে রাজি হয়েছিলেন রোনালদো। তবে পরে সেটি পরিশোধ করেনি ইতালিয়ান ক্লাবটি। যদিও রোনালদো যেই অর্থ পেতে চলেছেন সেটি তার দাবি করা অর্থের প্রায় অর্ধেক। তার মতে, জুভেন্টাস থেকে তিনি পাওয়া ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ডেরও বেশি। 

কর এবং অন্যান্য ফি বাদ দেওয়ার পরই এই অর্থ পাবেন রোনালদো। এদিকে বিষয়টি নিয়ে জানিয়েছে জুভেন্টাস ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা আদালতের এই সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করছে।

;

হাবিবুরের সেঞ্চুরিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শেষ রাউন্ডের ম্যাচ বড় জয় পেয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। হাবিবুর রহমানের সেঞ্চুরিতে সিটি ক্লাবকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে সিটি ক্লাবকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় গাজী। তবে দলটির বেশিরভাগ ব্যাটার ক্রিজে থিতু হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসায় তাদের সংগ্রহ বড় হয়নি। সমান তিনটি করে চার-ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৮ রান এসেছে ওপেনার হাসানের ব্যাটে। ৩৭ রান করেন রাফসান আল মাহমুদ।

গাজী গ্রুপের পক্ষে ৩ উইকেট নেন রুয়েল মিয়া। দুটি করে উইকেট পান হুসনা হাবিব মেহেদী, মঈন খান এবং আব্দুল গাফফার সাকলাইন।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ওপেনার মেহেদী মারুফকে হারালেও বিপদে পড়তে হয়নি গাজীকে। বরং তিনে নামা হাবিবুর রহমানের সঙ্গে সেঞ্চুরির সঙ্গে অন্য ওপেনার আনিসুল ইসলামের ফিফটিতে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয় তারা।

৮১ বলে ১০ চার এবং ৬ ছক্কায় ১০২ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন হাবিবুর। ১০ চার এবং ১ ছক্কায় ৬১ রান আসে আনিসুলের ব্যাটে।

এই জয়ে ১১ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট পেয়ে ষষ্ঠ দল হিসেবে সুপার লিগে নাম লিখিয়েছে গাজী। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে কেবল ৪ পয়েন্ট পাওয়া সিটি ক্লাব রয়েছে ৯ নম্বরে।

;