গ্যারেজকে মাঠ বানিয়ে মুশফিকের ব্যাটিং ও কিপিং অনুশীলন!
করোনাভাইরাসের এই সময়টায় বাংলাদেশে এখন মাঠে কোনো ক্রিকেট নেই। কিন্তু পেছনের চার মাস ধরে ঘরবন্দী হয়ে থাকলেও মুশফিকুর রহিম যে একটা দিনও ক্রিকেট ছাড়া থাকছেন না!
ক্রিকেটের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ ও সূচিতে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের মিঃ ডিপেন্ডেবল। প্রতিদিন নিয়ম মেনে ফিটনেস চর্চা করে যাচ্ছেন। বনানীতে নিজের ফ্ল্যাটে শরীরচর্চার প্রায় সব যন্ত্রপাতি আছে তার। এই দুর্যোগে জিমন্যাসিয়ামে যাওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন না। বাকি ক্রিকেটারদের মতো ফিটনেসের কাজ চালাচ্ছেন নিজ বাসায়। তবে মাঠের অনুশীলনে যেমন বাকিদের চেয়ে এগিয়ে থাকেন মুশফিক, করোনাকালের এই সময়টায় ‘বাসায় ক্রিকেটচর্চায়’ও সেই এগিয়ে থাকার অভ্যাসটা ধরে রেখেছেন সাবেক অধিনায়ক।
বনানীতে মুশফিকের বাসার সামনে বিশাল রাস্তা। ফ্ল্যাটের বদ্ধ পরিবেশে ট্রেডমিলে প্রতিদিন দৌড়াতে কি আর ভালো লাগে? তাই সামনের রাস্তা যখন পুরোটা ফাঁকা থাকে তখন মুশফিক সেখানেই নেমে পড়েন। ফাঁকা পিচঢালা রাস্তায় কোন গাড়ি নেই। মানুষজন নেই। বিশাল চওড়া সেই রাস্তার মাঝ বরাবর রানিংয়ের কাজে লাগান। খোলা হাওয়ায় রানিংয়ের আনন্দই যে অন্যরকম!
ক্রিকেটের মানুষের কি সারাক্ষণ শুধু ফিটনেস আর রানিং নিয়ে তৃপ্তি মেটে? মুশফিক তাই মাসখানেক আগেই বিসিবি’র কাছে অনুশীলনের অনুমতি চেয়েছিলেন। বিসিবি’র ক্রিকেট একাডেমিতেই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুশীলনের অনুরোধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু সার্বিক নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে বিসিবি তাকে অনুমতি দেয়নি।
তাতেও মুশফিকের ক্রিকেট অনুশীলন থামেনি! ব্যাট-বল নিয়ে ঠিকই তিনি নেমে পড়েছেন। অবশ্য একটু অন্য ফরমেটে। কাঠের বলের ক্রিকেট নয়, টেনিস বলের ক্রিকেটে ব্যাটিং করে হাত ঝালিয়ে নিচ্ছেন বেশ করে। বনানীর বাসার গ্যারেজকে মাঠ এবং টাইলসের ফ্লোরকে পিচ বানিয়ে মুশফিক সেখানে ব্যাটিং অনুশীলনের আনন্দে মেতে উঠেন। আর টেনিস বলের অনুশীলনের সময়টা আরও আনন্দময় হয়ে উঠে মিউজিক সিস্টেমে ভেসে আসা ইংরেজি গানের সুরে।
-শুধু কি ব্যাটিং অনুশীলন?
ব্যাটিংয়ের পর গ্যারেজে উইকেট কিপিংয়ের অনুশীলন পর্বেও অংশ নেন। প্লাস্টিকের চেয়ারকে উইকেট বানিয়ে পেছনে দাঁড়িয়ে সামনে থেকে ছুটে আসা বল ধরে কিপিং প্রাকটিস করেন।
বাসার গ্যারেজকে মুশফিক খেলার মাঠও বানাতে পারেন!