গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ারের গলায় ছুরি ধরেছিলেন ইউনিস!
বাইরে থেকে পাকিস্তানে গিয়ে কাজ করাটা মোটেও সহজ নয়। নিরাপত্তার ব্যাপারটা তো থাকছেই একইসঙ্গে অন্তঃকলহটাও বেশি। তেমনই তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ারের। পাকিস্তান দলের ব্যাটিং কোচ যা জানালেন তা রীতিমতো শিউরে উঠার মতো ঘটনা।
২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের ব্যাটিং কোচ ছিলেন ফ্লাওয়ার। জিম্বাবুয়ের এই কিংবদন্তি জানালেন- পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমে কিছু মানুষ আছেন যারা তার পরামর্শকে ভালোভাবে নেয়নি।
পডকাস্টে এক অনুষ্ঠানে জানান, ইউনিস খানের তোপে পড়তে হয়েছিল তাকে। তার ব্যাটিং টিপসের সঙ্গে এতটাই দ্বিমত পোষণ করেছিলেন যে তার গলায় একটি ছুরি ধরেছিলেন ইউনিস! শেষ অব্দি পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসেন প্রধান কোচ মিকি আর্থার!
গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার জানান, ‘দেখুন, শুধু আমি নই যে কোনো কোচের কাছে ইউনিস খান বেশ কঠিন এক মানুষ। এটা মানতে হবে ওর ক্যারিয়ার বেশ ভালো। এখন যেটি বলব তা ব্রিসবেনের একটি ঘটনা। টেস্ট চলাকালীন সময়ে আমি কিছু একটা ব্যাটিং পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম ওকে। তখনই সমস্যাটা তৈরি হলো।’
কী সেই সমস্যা?
ফ্লাওয়ার জানাচ্ছিলেন, ‘ইউনিস আমার পরামর্শটি ভালোভাবে নেননি। তখনই ও আমার গলার কাছে একটি ছুরি ধরেছিল। পাশেই ছিলেন মিকি আর্থার। তারপর মিকি’র হস্তক্ষেপে ও চুপ হয়।’ এমন তিক্ত ঘটনা থাকলেও পাকিস্তান দলের সঙ্গে থাকার সময় অনেক শিখেছেন ফ্লাওয়ার। জানালেন, ‘এসব কিছু কোচিংয়ের অংশ। সত্যিই আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি৷’
বলা দরকার, ইউনিস ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ০ আর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৬৫ রান। যদিও সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া সফরের শেষ টেস্টে ১৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস ছিলেন তিনি।
ইউনিস ছাড়াও পাকিস্তান দলের আরেক বিদ্রোহী ক্রিকেটার হলেন আহমেদ শেহজাদ। অন্তত ফ্লাওয়ারের রায় সেটাই। দলটির সাবেক ব্যাটিং কোচ বলেন, ‘দেখুন, শেহজাদও খুব দক্ষ ব্যাটসম্যান, তবে অনেকটাই বিদ্রোহী। প্রতিটি দলেই কোনো না কোনো বিদ্রোহী ক্রিকেটার থাকেন। এসব আসলে একটা দলেরই অংশ।’
ফ্লাওয়ার মনে করেন দিন শেষে সাফল্য পেলে সবাই এই আগ্রাসী মেজাজের ব্যাপারটা ভুলে যায়। সবার আগে দরকার সাফল্য।