এক আঙিনায় দেশি-বিদেশি সব রকমের খাবারের স্বাদ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিলের বিখ্যাত কপিশফ এএমএ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত সিরাজ মামার চটপটি। আছে ইন্ডিয়ান চাইনিজ থেকে অ্যারাবিয়ান খাবার। বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্যবাহী সব খাবার তো আছেই। আর এসবের স্বাদ কিনা মিলবে এক আঙিনাতে গেলেই। চট্টগ্রাম নগরীর বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ-বাওয়া মাঠে ভোজনরসিকদের জন্য বসেছে তিনদিনের এই ভিন্নরকম আয়োজন।

শুধু খাবার নয়, আছে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের প্রদর্শনী। বিদেশে উচ্চশিক্ষার নানা সুযোগ নিয়ে শিক্ষা পরামর্শ তো মিলছেই। বিভিন্ন খাবারের স্বাদ নিতে নিতে দর্শনার্থীরা ঢুঁ মারছেন এই স্টলগুলোতেও।

ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ চট্টগ্রাম ‘ফুডমাস্টার’ ও হুইজ কমিউনিকেশন্স-এর উদ্যোগে খাদ্যরসিকদের রসনার স্বাদ আরও বাড়িয়ে দিতে এ আয়োজন করা হয়েছে। এতে চট্টগ্রামের প্রায় ৪০ খাবারের রেস্তোরাঁ ও ফুড র্কোট অংশগ্রহণ করে। নগরীর বাওয়া স্কুল মাঠে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত বেলা ১১টা থেকে রাত ৯ পযর্ন্ত চলবে ভোজনরসিকদের এই মিলনমেলা।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এই ফুড ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার জয়নাল আবেদিন ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুাৎ বড়ুয়া। হুইজ কমিউনিকেশন্স-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ বকুলের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দি ইংলিশ একাডেমির সিইও ইশরাফুল আলম, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য বোরহানুল হাসান চৌধুরী। বক্তব্য দেন ফুড মাস্টার গ্রুপের অ্যাডমিন রাইহান ইসলাম, শাহদাৎ ইলহাম ও হুইজ কমিউনিকেশন্স-এর পরিচালক (প্রশাসন) কাজী আরফাত।

এক আঙ্গিনায় দেশি-বিদেশি সব রকমের খাবারের স্বাদ

সরেজমিনে দেখা গেছে, স্টলগুলো সাজানো হয়েছে নানা পিঠা দিয়ে। এখানে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠাও যেমন স্থান পেয়েছে, আবার আছে বিভিন্ন দেশের পিঠাও। পুলি পিঠা, পাটিসাপটা, দেশীয় ঐতিহ্যের মোয়া, বগুড়ার দই, সন্দীপের দুধের ছানা দই থেকে অন্তত দেশিয় একশ ধরনের খাবার মিলছে খাদ্য উৎসবে। আবার চাউমিন, চাইনিজ নুডলুস, চাইনিজ চিজলিং কারি, চিজলিং সবজি, চিকেন মাশালা কারিসহ চায়নিজ খাবারও স্থান পেয়েছে। ভারতীয় খাবারও বাদ পড়েনি উৎসব থেকে। মালাই কোরফা, রাজমা চাউলা, হায়দারাবাদি বিরিয়ানি, কোরমা, রোজান রোজ পোলাওসহ না বিভিন্ন পদের খাবারের স্বাদ নিতে দেখা যায় দর্শনার্থীদের।

এসব খাবারের দামও বেশি রাখা হচ্ছে না। ২০ থেকে ২৫০ টাকা খরচ করলেই মিলছে পছন্দের খাবারের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ। এই ফুড ফেস্টিভ্যালে সহযোগিতা করেছে দি ইংলিশ একাডেমি, সেলফি পার্টনার এমজিসি, চিটাগং লাইভ ও চট্টগ্রাম নেটওয়ার্ক টিভি।

ফুড ফেস্টিভ্যালে ঘুরতে আসা সিনথীয়া জাহান নামের এক তরুণী বলেন, সময়ের কারণে অনেক সময় সব জায়গায় গিয়ে খাবারের স্বাদ নেওয়া হয় না। সেই সুযোগটা করে দিয়েছে ফুড ফেস্টিভ্যাল। এখানে একসঙ্গে দেশি-বিদেশি সব ধরনের খাবারের স্বাদ নিতে পারছি। একই সঙ্গে জনপ্রিয় ব্যান্ডের কনর্সাটও উপভোগ করছি। আনন্দ, আড্ডা, বন্ধুদের নিয়ে হইহুল্লোড়ে বেশ ভালো সময় কাটছে।

   

এক টেবিলেই ত্রিশ পদের আচারের পসরা



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)। 
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পথের পাশেই সামিয়ানা ও কাপড় বেঁধে করা হয়েছে ছোট্ট দোকান। সেই দোকানের এক টেবিলেই পসরা সাজানো ত্রিশ পদের আচারের। দোকানের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই বাতাসে ভেসে আসছে ঝাল-টক-মিষ্টি আচারে ঘ্রাণ। মুখরোচক আচারের স্বাদ নিতে নানা বয়সী মানুষ ভিড় করছে দোকানে।

শনিবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এই চিত্রের দেখা মিলে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের বিজয় একাত্তর সড়কের সামনে। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সড়কটি আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে। সেখানেই সড়কের একপাশে বসেছে আচারের দোকান।

দোকানের নাম জুয়েল ভাইয়ের ভ্যারাইটিজ আচার। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জুয়েল মিয়া। তাদের মূল দোকান ময়মনসিংহ জেলা শহরের ভাটিকাশর এলাকায়। তবে বিভিন্ন দিবস, উৎসব ও মেলা উপলক্ষে দোকানের বিক্রয় প্রতিনিধিরা আচার নিয়ে ছুটে চলেন দেশের নানা প্রান্তে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, আচারের দোকানের সামনের অংশ কাপড় দিয়ে ঘেরা। সেখানে রাখা লম্বা টেবিলে বড় বড় গামলার ভেতর শোভা পাচ্ছে আম, বড়ই, চালতা, তেঁতুল, আমড়া, খেজুরের আচার, লাউয়ের মোরব্বা সহ ৩০ জাতের আচার।

বিভিন্ন প্রকারের আচারের পসরা

আচারের পসরা ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে দেখছেন। কেউ কিনছেন বাড়িতে নেওয়ার জন্য। কেউ কেউ আবার আচার কিনে দোকানের সামনে দাঁড়িয়েই স্বাদ নিচ্ছেন। আচার বিক্রি করা হচ্ছে সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে।

সালমা আক্তার মুক্তা বলেন, এসব আচার বাসায় তৈরি করা যায়। কিন্তু এতো পদের আচার একসাথে তৈরি করতে গেলে অনেক কিছুর প্রয়োজন। যে কারণে বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়ে উঠে না। এত পদের আচার দেখলে তো আর লোভ সামলানো যায় না। তাই কয়েক পদের আচার কেনা।

মানিক সরকার বলেন, পূজা দেখতে এসেছিলাম। মণ্ডপের প্রবেশপথে পাশে আচারের দোকান দেখে চোখ আটকে গেল। তেঁতুল, চালতা ও আমড়া এই তিন পদের আচার নিজেও খেয়েছি এবং বাড়িতেও নিয়ে যাচ্ছি।

বিক্রয় প্রতিনিধি মানিক তালুকদার বলেন, যদিও নারীদের কাছে আচার বেশি লোভনীয়। কিন্তু মেলায় ঝাল-মিষ্টি-টক আচার দেখে পুরুষেরও জিভে জল এসে যায়। এখন টুকটাক বিক্রি হচ্ছে। তবে পূজার অষ্টমী ও নবমীতে মণ্ডপে দর্শনার্থী বাড়বে। তখন বিক্রি বাড়বে।

;