দেশের আইসিটি খাতে সম্ভাবনার সঞ্চারণে হাত মেলালো হুয়াওয়ে ও বুয়েট



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
দেশের আইসিটি খাতে সম্ভাবনার সঞ্চারণে হাত মেলালো হুয়াওয়ে ও বুয়েট

দেশের আইসিটি খাতে সম্ভাবনার সঞ্চারণে হাত মেলালো হুয়াওয়ে ও বুয়েট

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী দুই বছরে বিশ্ব আইসিটি ক্ষেত্রে সাত লাখেরও বেশি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। আর দশ বছরের মধ্যে এই খাতের ব্যাপক সম্প্রসারণের ফলে প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় সাত কোটি পেশাদার আইসিটি কর্মীর ঘাটতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের তরুণ আইসিটি শিক্ষার্থীরা যাতে বিশ্ব পেশাবাজারে নিজেদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জায়গা করে নিতে পারে সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে এক হয়ে বিশেষ আইসিটি একাডেমি পরিচালনা করতে চায় হুয়াওয়ে।

সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) প্রথম আইসিটি একাডেমি স্থাপন করতে যাচ্ছে হুয়াওয়ে ও বুয়েট। আজ এই উদ্দেশ্যে দুই পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বুয়েট কাউন্সিল ভবনে অনুষ্ঠিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট লিনঝিজুন এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর সত্য প্রসাদ মজুমদার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এমওইউতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিওও তাও গুয়াংইয়াও। আরও উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও বুয়েটের শিক্ষকবৃন্দ।

চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যে বুয়েট একাডেমিক ভবনে তৈরি হবে এই বিশেষ ট্রেনিং সেন্টার যেখানে কারিগরি প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ নিশ্চিত করা হবে। সাথে থাকবে কানেক্টিভিটি যার মাধ্যমে সারা বিশ্বের ১,২০০ এরও বেশি প্রশিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ পাবেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। ১৯টি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের ওপর ৮৩টি সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম থাকবে এখানে। আর এই কোর্স এবং সার্টিফিকেশন সমন্বয় করবে হুয়াওয়ে অথরাইজড ইনফরমেশন এণ্ড নেটওয়ার্ক একাডেমি (এইচএআইএনএ) যা মুলত: এই হুয়াওয়ে- বুয়েট আইসিটি একাডেমি ।

এই আইসিটি একাডেমি থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের কৃতিত্বের ওপর ভিত্তি করে তিন ধরনের গ্রেড যেমন- অ্যাসোসিয়েট, প্রফেশনাল ও এক্সপার্ট; সার্টিফিকেট পাবেন। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারের জন্য নিজেদের উপযুক্ত করে তৈরি করতে পারবেন এবং সবশেষে তাদের জন্য জব ফেয়ারেরও আয়োজন করা হবে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, যে কোন দেশের অগ্রগতির জন্য শিক্ষা, বিশেষত: আইসিটি শিক্ষার গুরুত্ব অনেক বেশি। বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা বেশ অনেকদিন থেকেই বিশ্বে আমাদের নাম উজ্জ্বল করে চলেছে। কিন্তু এখনও অনেক দূর যেতে হবে আমাদের। এই যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে হুয়াওয়ে এবং বুয়েট যে পদক্ষেপ নিতে চলেছে তা অনেক আশাব্যাঞ্জক। আমাদের সামনে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন রয়েছে, তা পূরণ করতে বুয়েটের মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী দিনগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ মানবসম্পদের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। আর আমার খুব ভালো লাগবে যখন আমাদের ছেলেমেয়েরা শুধু আমাদের দেশের জন্য নয় বরং সারা পৃথিবীর উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

বুয়েটের উপাচার্য ডক্টর সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, বিশ্বব্যাপী হুয়াওয়ে একটি বিশ্বস্ত নাম। তাই, আইসিটি একাডেমি তৈরির উদ্যোগ এবং এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত। ইতিপূর্বে আমরা জিএসএম ল্যাব প্রতিষ্ঠাকালে হুয়াওয়ের কাছ থেকে যে আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছিলাম, তা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের সুশিক্ষার জন্য বেশ ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করেছিল। আসন্ন ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণে হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমির মত একটি প্রতিষ্ঠান নিঃসন্দেহে আমাদেরকে বিপুল চালিকাশক্তি জোগাবে। বিগত দশকগুলোতে পাঠদানের ক্ষেত্রে বুয়েট যে গুণগত মান ধরে রেখেছে তার সাথে এই উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিওও তাও গুয়াংইয়াওবলেন, তরুণদের কর্মদক্ষতার উন্নয়ন না ঘটলে একটি দেশ উপকৃত হতে পারে না। উন্মুক্ত বৈশ্বিক শিক্ষার সুযোগ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনেক প্রয়োজন। এই সুযোগ তাদের চিন্তাশক্তিকে বাড়িয়ে তোলে অনেক গুণ। আইসিটি ক্ষেত্র যখন প্রতি মুহূর্তেই নতুন নতুন আবিষ্কার নিয়ে আবির্ভাব হচ্ছে তখন এর সাথে আরও এক হয়ে সমাজের জন্য নতুন উপযোগিতা তৈরি করতে হবে। গত ২২ বছর ধরে আমরা বাংলাদেশের আইসিটি ক্ষেত্রের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি আমরা চাই এদেশের ছেলেমেয়েরা আরও বেশি দক্ষতা অর্জন করুক এবং আমরা একসাথে এক হয়ে দেশের জন্য কাজ করি। তাই মূলতঃ আমাদের এই হুয়াওয়ে-বুয়েট আইসিটি অ্যাকাডেমি স্থাপন করা।

অলাভজনক শিক্ষা প্রোগ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এই একাডেমিটি দু’টি বিষয়কে সামনে রেখে কাজ করবে। এর মধ্যে একটি হলো আইসিটি খাতের চাহিদা পূরণে ট্রেনিং ও লার্নিং সল্যুশন প্রদান করা; অন্যটি হলো আইসিটি খাতের জন্য একটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম তৈরি করা।

সারা বিশ্বে এরকম ৯০০টিরও বেশি আই সিটি একাডেমি স্তাপনের পরিকল্পনা রয়েছে হুয়াওয়ের এবং প্রতি বছর এই একাডেমিগুলো থেকে ৪৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী বের হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বুয়েট থেকে ২৫০ জন শিক্ষার্থী এই ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করবে। এই পর্যন্ত পাকিস্তান, জাম্বিয়া ও চীনসহ আরও বেশ কিছু দেশে এই একাডেমি কার্যক্রম শুরু করেছে।

   

এআই জীবনধারাকে সহজ করলেও সভ্যতার জন্য ঝুঁকি: পলক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) মানুষের জীবনধারাকে যেমন সহজ করবে ঠিক তেমনি এটি সভ্যতার জন্য একটি বড় ঝুঁকি।

তিনি বলেন, প্রযুক্তির এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশেষ করে এআই এর বিরূপ প্রভাব সামলাতে সরকার আইন প্রণয়ণ করতে যাচ্ছে। পাশাপাশি যাতে ইন্টারনেটের ২০ এমবিপিএস গতিকে ব্রডব্যান্ড হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে এবং ইন্টারনেট সুলভ ও সহজলভ্য করতে ২০২৪ সালের মধ্যেই নতুন ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রণয়ণ করা হবে।

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পর্যায়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। বাাংলাদেশ এবছর প্রথম বারের মতো ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগসহ টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি খাতের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীজনদের নিয়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে এ আয়োজন করা হয়েছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদযাপনের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে আইটিইউ এর সদস্যপদ অর্জন করেন এবং যুদ্ধের ধ্বংস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভূক্ত করেন।

১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবসের পাশাপাশি এ দিনটি জাতীয় জীবনের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ জনাব সজীব ওয়াজেদ এর পরিকল্পনায় ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির মতো দু:সাহসিক ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচি না নিলে আজকের এই বাংলাদেশ আমরা পেতাম না। জনাব পলক বলেন, ভিস্যাটের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট সংযোগ, তিনটি মোবাইল কোম্পানিকে লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে মোবাইলের মনোপলি ব্যবসা বন্ধ করে মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌছে দেওয়া এবং ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করে কম্পিউটার সাধারণের জন্য সহজ লভ্য করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বেরই ফসল।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিগত বছরগুলোর বিস্ময়কর সফলতা ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশকে নেতৃত্বদানকারী দেশের কাতারে সামিল করেছে উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দারিদ্রের সীমা ছাড়িয়ে অনেক উচ্চতায় পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ১৫ বছর আগে আইটি খাতে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১.৯ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তি সেবা (আইটি) রপ্তানি খাতে একটি বড় মাইলফলক ছুঁয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৪০০ প্রতিষ্ঠা বিশ্বের ৮০টি দেশে বাংলাদেশ ডিজিটাল সেবা রপ্তানি করছে।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষ্যে স্বারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন এবং দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

পরে প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মোবাইল অপারেটর রবি ও বাংলালিংকের মধ্যে একটিভ নেটওয়ার্ক স্মারক সাক্ষরিত হয়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো: সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ, কে, এম, আমিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো: মহিউদ্দিন আহমেদ ব্ক্তৃতা করেন।

;

ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ



নিউজ ডেস্ক
ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ

ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ

  • Font increase
  • Font Decrease

চার্জ সমস্যার মুশকিল আসান হয়ে এসেছে ভিভো ভি৩০ লাইট। এর ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির ৪ বছরের ব্যাটারি হেলথ নিশ্চয়তা দিচ্ছে গ্লোবাল স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ভিভো। সাথে থাকছে ৮০ ওয়াটের ফ্লাশ চার্জার। যা মাত্র ৪৩ মিনিটেই ১০০ শতাংশ চার্জ করতে সক্ষম। প্রতিদিনের স্বাভাবিক ব্যবহারে ৪ বছরের মধ্যে যদি ব্যাটারি হেলথ ৮০% থেকে কমে যায় তবে ভিভো দেবে ফ্রি ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। তাই ব্যাটারি হেলথ নিয়ে দুশ্চিন্তার অবসান হয়েছে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের।

১১ মে থেকে দেশের যেকোনো অথোরাইজড শো-রুম এবং ই-স্টোরে মিলছে ভিভোর নতুন এই স্মার্টফোনটি। থাকছে এক্সক্লুসিভ গিফট বক্স। গিফট বক্সে উপহার হিসেবে থাকছে টিডাব্লিউএস ওয়ারলেস ইয়ারফোন এল১৩ এবং ৪ বছরের ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট কার্ড।

প্রিমিয়াম ডিজাইনের পাশাপাশি ব্যাক সাইডে এবার রয়েছে বেশি ভিন্ন আয়োজন। এর ব্রিজ গ্রিন রঙয়ের স্মার্টফোনটি ব্যাক প্যানেল কালার পরিবর্তন হয়। ইউভি লাইটে বা সূর্যের আলোতে হালকা সবুজ রঙ পরিবর্তন হয়ে বেশ ভিন্ন একটি লুক আনে। ব্যবহারকারী চাইলে বিভিন্ন ডিজাইন এক্সপেরিমেন্ট করতে পারবেন ব্যাক সাইডে। ক্রিস্টাল ব্ল্যাক কালারে পাওয়া যাবে ভিভো ভি৩০ লাইট।

স্মার্টফোনটির চারপাশে রয়েছে ম্যাটালিক হাই গ্লোস ফ্রেম। মাত্র ৭.৭৯ মি.মি এর সুপারস্লিম ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনের ওজন মাত্র ১৮৬ গ্রাম। ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৬.৬৭ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লের ফোনটিতে ১৮০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস পাওয়া যায়। মাল্টিটাচ ক্যাপাসিটিভ ডিসপ্লেটির রেজুলেশন ২৪০০ × ১০৮০। স্মার্টফোনটির বডি ডায়মেশন ১৬৩.১৭ × ৭৫.৮১ × ৭.৭৯ মিলিমিটার।

মাল্টি টাস্কিং এর জন্য ভিভো ভি৩০ লাইটে থাকছে স্নাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসর এবং ফানটাচ ওস ১৪ অপারেটিং সিস্টেম। একই সাথে ২৫ টি অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে স্মার্টফোনটিতে। কারণ এতে রয়েছে ৮ জিবি র‍্যাম যা বাড়ানো যাবে আরো ৮ জিবি পর্যন্ত। পাশাপাশি ২৫৬ জিবি রমের বিশাল স্টোরেজে দৈনন্দিন কাজকে করবে আরো স্মুথ।

স্মার্টফোনটিতে থাকছে ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার যা ৩০০% পর্যন্ত ভলিউম বাড়ানো যাবে। সাথে ব্যাক সাইডে থাকছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ ক্যামেরা। সাথে আরো থাকছে ফ্লিকার সেন্সর। ফ্রন্ট সাইডে থাকছে ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।

ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনটির দাম ৩২,৯৯৯ টাকা।

;

মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী অর্থবছর থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ আসছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রস্তাবনা অনুমোদিত হলে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহার দুই ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের খরচ বাড়বে।

এনবিআর সূত্র বলছে, আগামী বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হতে পারে। এর ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়তে পারে।

সর্বপ্রথম ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। পরে তিন দফায় বাড়িয়ে ২০২০ সালে তা ১৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

এনবিআরের সূত্র মতে, ইন্টারনেটের সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হতে পারে। এমনতিতেই মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার ওপর ভ্যাট ও সারচার্জ রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, উচ্চ কর হারে জর্জরিত মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন সেবার সম্পূরক শুল্ক হার যদি আবার বৃদ্ধি করা হয় তাহলে গ্রাহক এবং সার্বিকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। বিশেষত মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত কয়েক প্রান্তিক ধরেই কমছে, বাড়তি করের বোঝা এই নেতিবাচক প্রবণতাকে আরও বেগবান করবে।

তিনি মনে করেন, সার্বিকভাবে কর হার বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্দেশ সফল হবে না, কারণ ব্যবহারকারীর ব্যয়ের পরিমাণ এতে কমে যাবে।

;

‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকারের আমলে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল, মেট্টোরেলসহ অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে ‘দিঘলিয়া (রেলিগেট)-আড়ুয়া-গাজীরহাট-তেরখাদা সড়কের (জেড-৭০৪০) প্রথম কিলোমিটারে ভৈরব নদীর ওপর ভৈরব সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অন্যতম পূর্বশর্ত হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। বর্তমান সরকারের আমলে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল, মেট্টোরেলসহ অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভৈরব সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে মানুষের যাতায়াতে অনেক সুবিধা হবে। এই প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নিদের্শনা প্রদান করেন।

পর্যালোচনা সভায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুকুল কুমার মৈত্র, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;