সর্ববৃহৎ গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার উদ্বোধন করলো হুয়াওয়ে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু

হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের ডংগুয়ানে নিজেদের সর্ববৃহৎ গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি ও প্রাইভেসি প্রটেকশন ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার উদ্বোধন করেছে হুয়াওয়ে।

বুধবার (০৯ জুন) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন জিএসএমএ, এসইউএসই, ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড ইন্সটিটিউশনের প্রতিনিধিগণ এবং সংযুক্ত আরব-আমিরাত ও ইন্দোনেশিয়ার নিয়ন্ত্রকরা।

নতুন সেন্টার চালু করার পাশাপাশি হুয়াওয়ে এর প্রোডাক্ট সিকিউরিটি বেজলাইন প্রকাশ করেছে। যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি প্রথমবারের মতো এর প্রডাক্ট সিকিউরিটি বেজলাইন ফ্রেমওয়ার্ক ও ব্যবস্থাপনা অনুশীলন পুরো খাতের জন্য উন্মুক্ত করে হুয়াওয়ে। এ পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠানটির খাতজুড়ে সাইবার নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে ক্রেতা, সাপ্লায়ার, মানদণ্ড সংশ্লিষ্ট নির্ধারক সংস্থা এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে যৌথভাবে কাজের প্রচেষ্টা গ্রহণের বিস্তৃত পদক্ষেপের অংশ।

হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু বলেন, সাইবার নিরাপত্তা এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, একীভূত শিল্পখাত হিসেবে আমাদের একসাথে কাজ করা প্রয়োজন এবং শাসন ব্যবস্থা, মানদণ্ড, প্রযুক্তি ও যাচাইকরণে নিজেদের মধ্যে সর্বোত্তম অনুশীলনীগুলো আদান-প্রদান করতে হবে। সাধারণ মানুষ এবং নিয়ন্ত্রকরা যেনো প্রতিদিনকার ব্যবহৃত পণ্য ও সেবার নিরাপত্তার ব্যাপারে আস্থা রাখতে পারেন, আমাদের সে কারণ তৈরি করতে হবে। একসাথেই আমরা ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল বিশ্বে নিরাপত্তা ও উন্নয়নের সঠিক ভারসাম্য বজায়ে কাজ করতে পারি।

বিগত বছরগুলোতে ইন্ডাস্ট্রি ডিজিটালাইজেশন এবং ফাইভজি ও এআই এর মতো নতুন প্রযুক্তি সাইবার ক্ষেত্রকে আগের চেয়ে বেশি জটিল করে তুলেছে। এক্ষেত্রে, আরও ভূমিকা রেখেছে কোভিড-১৯। এই পরিস্থিতিতে মানুষের অনলাইনে অনেক বেশি সময় কাটানো। এসব প্রবণতাই সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে।

এসব বিষয় চিহ্নিত এবং সাইবার গভর্নেন্স নিয়ে খাত-সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের দক্ষতার আদান-প্রদানে, পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সমাধান নিয়ে একসাথে কাজ করার জন্য হুয়াওয়ে ডংগুয়ানের নতুন এই সেন্টার চালু করেছে। এর মাধ্যমে নানা সমাধান প্রদর্শন করা হবে ও অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান করা হবে, যোগাযোগ ও যৌথ উদ্ভাবন বৃদ্ধিতে কাজ করা হবে এবং সিকিউরিটি টেস্টিং ও ভেরিফিকেশনে সহায়তা প্রদান করা হবে। সেন্টারটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্বাধীন তৃতীয় পক্ষ টেস্টিং প্রতিষ্ঠান, মানদণ্ড সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং হুয়াওয়ের ক্রেতা, অংশীদার ও সাপ্লায়ারদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

টেলিকম খাতে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে একটি সমন্বিত পদ্ধতি জোরদারকরণে জিএসএমএ ও থ্রিজিপিপি খাতসংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে এনইএসএএস সিকিউরিটি অ্যাসুরেন্স স্পেসিফিকেশন ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট সার্টিফিকেশন বিষয়ে উৎসাহিত করতে কাজ করছে। এ বেজলাইনগুলো সংশ্লিষ্ট খাতে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে এবং সুরক্ষিত নেটওয়ার্কের উন্নয়নে এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জিএসএমএ’র মহাপরিচালক ম্যাটস গ্র্যানরিড বলেন, ফাইভজি যুগে বিদ্যমান ও নতুন সেবা প্রদান বিশেষভাবে নির্ভর করবে মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠানগুলোর কানেক্টিভিটি সেবা এবং মূলত নির্ভর করবে এ প্রযুক্তি সুরক্ষা এবং এর ওপরে আস্থার ওপরে।

তিনি বলেন, অংশীজনদের সহায়তা করতে জিএসএমএ ফাইভজি সিকিউরিটি নলেজ বেসের মতো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে তারা নেটওয়ার্কের ঝুঁকি বুঝতে পারেন এবং এ ঝুঁকি প্রশমনে কাজ করতে পারেন। অন্যদিকে, শিল্পখাতজুড়ে নেটওয়ার্ক সরঞ্জামের বিকাশ ও নিরাপত্তার উন্নয়নে শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটি অ্যাসুরেন্স ফ্রেমওয়ার্ক ‘এনইএসএএস’ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে এর প্রডাক্ট সাইবার সিকিউরিটি বেজলাইন প্রকাশ করে। পণ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় এক দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতা, বিস্তৃত পরিসরের বাহ্যিক বিধিমালা অন্তর্ভুক্তিকরণ, কারিগরি মানদণ্ড এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রয়োজনীয় বিষয় সমন্বিত করে প্রডাক্ট সাইবার সিকিউরিটি বেজলাইন তৈরি করা হয়েছে। এ বেজলাইন হুয়াওয়ের অন্যান্য গভর্নেন্স মেকানিজমের সাথে মিলে প্রতিষ্ঠানের পণ্যের মান, সুরক্ষা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিতে সহায়তা করবে। বিগত বছরগুলোতে হুয়াওয়ে ১৫শ’র বেশি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে যা ১শ’ ৭০টি দেশে ৩শ’ কোটির বেশি মানুষকে যুক্ত করেছে। এর মধ্যে কোনও নেটওয়ার্কে বড় ধরনের কোনও সুরক্ষা সংক্রান্ত সমস্যা উদ্ভূত হয়নি।

হুয়াওয়ের গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রাইভেসি প্রটেকশন অফিসের পরিচালক শন ইয়াং বলেন, আমরা ক্রেতা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, মানদণ্ড সংশ্লিষ্ট সংস্থা, প্রযুক্তি সেবা দাতা এবং টেস্টিং প্রতিষ্ঠান সহ সকল অংশীজনদের আমন্ত্রণ জানাই আমাদের সাথে কাজ যুক্ত হয়ে একসাথে সাইবার সিকিউরিটি বেজলাইন নিয়ে আলোচনা করার ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য। একসাথে আমরা ধারাবাহিকভাবে এ শিল্পখাতে পণ্যের নিরাপত্তার উন্নয়নে কাজ করতে পারি।

বর্তমানে মানদণ্ডের ভিত্তির ক্ষেত্রে এ খাতে এখনও অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে; বিশেষত, গভর্নেন্স, কারিগরি সক্ষমতা, সার্টিফিকেশন ও যৌথ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে।

‘সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকির ক্ষেত্রে সবার দায়িত্ব রয়েছে, উদ্বোধনী বক্তব্যের শেষে বলেন কেন হু। সাইবার নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ শনাক্তে সমন্বিত পদ্ধতি নিয়ে সরকার, মানদণ্ড সংশ্লিষ্ট সংস্থা এবং প্রযুক্তি সেবা দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর একসাথে কাজ করতে হবে। এটা অবশ্যই আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা হতে হবে। আমাদের সবার সমন্বিত লক্ষ্য থাকতে হবে, দায়িত্বের ব্যাপারে একসাথে হতে হবে এবং বিশ্বাসযোগ্য ডিজিটাল পরিবেশ তৈরিতে একসাথে কাজ করতে হবে, যা বর্তমান এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।

   

বাংলাদেশে ৬ বছর পূর্ণ করলো ভিভো



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশে ৬ বছর পূর্ণ করলো ভিভো

বাংলাদেশে ৬ বছর পূর্ণ করলো ভিভো

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্যামেরা ও লুকে বৈচিত্র্যে বাংলাদেশে নজর কেড়েছে ভিভোর স্মার্টফোন। বাংলাদেশে নিজেদের যাত্রার ৬ বছর পূর্ণ করেছে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। আজ ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ভিভোর পথ চলার নতুন বছরে পদার্পন করলো প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশে ভিভোর ‘ভি’ ও ‘ওয়াই’ সিরিজ বেশ জনপ্রিয়। ক্যামেরায় দারুণ প্রযুক্তি এনে বেশ নজর কেড়েছে ভিভোর এক্স সিরিজের স্মার্টফোন। তুলনামূলক কম দামের মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী হওয়ায় গ্রাহক চাহিদায় রীতিমতো শীর্ষস্থানে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

ক্যামেরা প্রযুক্তি, শক্তিশালী ব্যাটারি, স্টাইলিশ লুককে বরাবর গুরুত্ব দিয়েছে ভিভো। চলতি বছর দেশে এসেছে ভি সিরিজের ৪টি (ভি২৭, ভি২৭ই, ভি২৯ এবং ভি২৯ই) এবং ওয়াই সিরিজের ৬টি (ওয়াই ১৬, ওয়াই১৭এস, ওয়াই২২, ওয়াই ২৭, ওয়াই ৩৬ এবং সর্বশেষ ওয়াই২৭এস) স্মার্টফোন। মিড রেঞ্জের মধ্যে ভি সিরিজের স্মার্টফোন ক্যামেরায় এবার এসেছে বিশেষ চমক ‘অরা লাইট’। যা আরো স্মার্ট হয়েছে ভিভো ভি২৯ এবং ভি২৯ই স্মার্টফোনে। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির অন্যতম বাঁধা আলোক স্বল্পতাকে ত্রিমাত্রিক লাইটিং ইফেক্টের মাধ্যমে দূর করেছে এই স্মার্ট অরা লাইট। স্বয়ংক্রিয় এবং ম্যানুয়ালি-উভয়ভাবে কাজ করে। বিশেষ করে কালার টেম্পারেচার ক্যালভিনে পরিমাপ করতে পারে এই স্মার্ট প্রযুক্তিটি। ফলে ব্যাকগ্রাউন্ডে কম বেশি কিংবা রঙবেরঙের যেমন আলোই থাকুক, প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নয়।

ক্যামেরা প্রযুক্তিতে ভিভোর এক্স সিরিজ দারুণ সব স্মার্টফোন উপহার দিয়েছে। এক্স সিরিজের স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়েছে জার্মানির বিশ্বখ্যাত লেন্স নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কার্ল জেইসের লেন্স। যার মাধ্যমে ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফিতে মিলেছে নতুন অভিজ্ঞতা। আল্ট্রা-সেন্সিং গিম্বল ক্যামেরা ও গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশন ৩.০ প্রযুক্তি পেশাদার ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফিকে সহজ করেছে।

ভিভো এক্স৭০ প্রো ফাইভজি দিয়ে নির্মিত হয়েছে শর্টফিল্ম ‘অ্যা হ্যাপি ম্যান।’ ভিভো এক্স ৮০ ফাইভজি দিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘চক্রাকার’। দুটি শর্টফিল্মই নজর কেড়েছে সবার।

বাংলাদেশে ভিভোর কান্ট্রি ব্র্যান্ড ম্যানেজার তানজীব আহমেদ বলেন, ‘মানুষের সাধ ও সাধ্যকে সামনে রেখেই কাজ করে ভিভো। উদ্ভাবনগুলো ওই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই করা হয়। বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পছন্দমত স্মার্টফোন পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করি। শুধু বিক্রিই নয়, বিক্রয় পরবর্তী সেবা নিশ্চিত করতেও কাজ করে যাচ্ছে ভিভো।’

;

ভিভোর নতুন স্মার্টফোন ‘ওয়াই ২৭এস’এ গেমিংয়ে চমক



ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা গেমিং বা ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের সুবিধা দিতে ভিভো নিয়ে এসেছে ‘ওয়াই ২৭এস’। ওয়াই সিরিজের নতুন এই স্মার্টফোন ‘কল অব ডিউটি’র মত গেমিংয়ের অভিজ্ঞতা যেমন দিবে তেমনি কমিয়ে দিবে চার্জ নিয়ে দুর্ভাবনা।

দ্রুত চার্জের বিষয়টি মাথায় রেখে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো দেশে নিয়ে এসেছে ‘ওয়াই ২৭ এস’। ওয়াই সিরিজের নতুন এই স্মার্টফোনে আছে পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ৪৪ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ফ্ল্যাশচার্জার। যার মাধ্যমে স্মার্টফোনটি শতভাগ চার্জ হতে সময় নেবে এক ঘণ্টারও কম সময়। ভিভো ওয়াই২৭এস এর দাম রাখা হয়েছে ২২,৯৯৯ টাকা।

‘ভিভো ওয়াই ২৭এস’ স্মার্টফোনের ফুলচার্জে একটানা গান শোনা যাবে ১৮ ঘণ্টা। ইউটিউবে ভিডিও দেখা যাবে টানা ২০ ঘণ্টা। ওয়াই ২৭এস নিয়ে ইনস্টাগ্রাম বা ইউটিউবের রিল ভিডিওতে হারিয়ে যাওয়া যাবে। টানা ১২ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন রিল উপভোগ করা যাবে।

এ স্মার্টফোনে আছে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ প্রসেসর। সাথে রয়েছে ফানটাচ ওএস১৩ অপারেটিং সিস্টেম। যা ‘কল অব ডিউটি’, ‘শ্যাডোগান’, ‘ব্রাউল স্টার’ এর মত গেমিং উপভোগের সুযোগ। মিডরেঞ্জের ফোনে এ ধরণের সুযোগ ভাবাই যায় না। গেমিং থামার কোনো সুযোগ নেই। এক চার্জে টানা ৬ ঘণ্টা মেতে থাকা যাবে গেমিংয়ে।

এছাড়া এ ফোনে আছে এক্সটেন্ডেড র‌্যাম টেকনোলজি ৩.০। মিলবে ৮ জিবি র‌্যাম। তবে আরো ৮ জিবি র‌্যাম বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ আছে। এই স্মার্টফোনে আছে ১২৮জিবি রম। যা বাড়ানো যাবে ১ টেরাবাইট পর্যন্ত।

‘ভিভো ওয়াই ২৭এস’ স্মার্টফোনে ল্যাগিং দূর করে ২৫টিরও বেশি অ্যাপ ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে। বারগেন্ডি ব্ল্যাক ও গার্ডেন গ্রিন রঙের ভি২৭এস এর ব্যাক সাইডে রয়েছে ডুয়েল ক্যামেরা রিং ডিজাইন, ফ্যান্টাসি ফ্রেম। ২.৫ ডি ফ্ল্যাট ফ্রেমের স্মার্টফোনটির ওজন মাত্র ১৯২ গ্রাম এবং এর পুরুত্ব ৮.১৭ মিলিমিটার। হাতে নিলেই পাওয়া যাবে চমৎকার গ্রিপ।

‘ওয়াই২৭এস’ এর ব্যাকসাইডে আছে ম্যাট সার্ফেসের গ্লিটার এজি গ্লাস। যার কারণে হাতের ছাপ বা স্ক্র্যাচ পড়ার ভয় থাকবে না। এ ফোনের ৬ দশমিক ৬৪ ইঞ্চি মাল্টি টাচ ক্যাপাসিটিভ এলসিডি ডিসপ্লেতে রেজুলেশন থাকছে ২৩৮৮ x ১০৮০। এই ডিসপ্লে ফুল এইচ ডি প্লাস যাতে রিফ্রেশ রেট পাওয়া যাবে ৯০ হার্টজ। এতে ভিডিও কন্টেন্ট দেখার অভিজ্ঞতা হবে দারুণ। এর পিক্সেল ডেনসিটি ৩৯৪ পিপিআই ও কালার স্যাচুরেশন ৯৯ শতাংশ এনটিএসসি। এতে ভিডিও কন্টেন্টে রংটা উপভোগ করা যাবে বেশ দারুণ ভাবে।

‘ওয়াই২৭এস’ এর ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা ও ৫০ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা দেবে নান্দনিক ফটোগ্রাফির আনন্দ। ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ দিবে সেলফি বা পোর্ট্রেইট ফটোগ্রাফির দারুণ অভিজ্ঞতা।

;

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ডাউন, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ডাউন, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ডাউন, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

  • Font increase
  • Font Decrease

বকেয়া আদায় করতে না পেরে ১৯টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরের ব্যান্ডউইথ ডাউন (সীমিত) করে দিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি। এতে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে সাবমেরিন কেবল কোম্পানি। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে রোববারের (২৬ নভেম্বর) আগে চলমান সমস্যার সমাধান হবে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ১২টার পর বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) ৫০০ জিবিপিএস (গিগাবিট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ সীমিত করে দেয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশে বর্তমানে ৩১ শতাংশ মানুষ তাদের ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহার করেন ইন্টারনেট সেবা। আর এই সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রাহককে দিতে কাজ করে ৩৪টি আইআইজি প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি বলছে, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত আইপিলসি ও আইপি ট্রানজিট সেবা বাবদ বর্তমানে বিভিন্ন অপারেটরের কাছে সাবমেরিন কেবল কোম্পানির বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯টি অপারেটরের কাছেই তারা পায় ১৮১ কোটি টাকা। বারবার তাগাদা দিয়ে টাকা আদায় করতে না পেরে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের ৫৭২ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।

তবে এত বড় সিদ্ধান্ত কেন সাপ্তাহিক ছুটির আগে নেয়া হলো সেই প্রশ্ন তুলেছে মোবাইল অপারেটর আইআইজি ও আইএসপিগুলো।

বর্তমানে দেশে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল মিলিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটির বেশি।

;

ইনফিনিক্সের এক চার্জারেই চার্জ হবে সব গ্যাজেট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাদের জীবন এখন অনেকটাই প্রযুক্তিনির্ভর। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, নোটবুক, ইত্যাদিতেই কাটে দিনের বেশিরভাগ সময়। এই স্মার্ট ডিভাইসগুলো নির্ভর করে নিরবচ্ছিন্ন শক্তি সরবরাহের ওপর। দরকার হয় নির্দিষ্ট চার্জার আর ক্যাবলের। কিন্তু এতো ক্যাবলের ঝামেলা এড়াতে চলে এসেছে স্মার্ট সমাধান। ইউএসবি-পিডি চার্জার দিয়ে চার্জ হবে টাইপ-সি পোর্টযুক্ত সব ডিভাইস ।

মাঝারি বাজেটে এই প্রযুক্তি নিয়ে সম্প্রতি বাজারে এসেছে ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজের স্মার্টফোন। ইউএসবি পাওয়ার ডেলিভারি বা পিডি প্রোটোকল সাধারণত ঠিক ততটুকু শক্তি সরবরাহ করে, যতটুকু প্রয়োজন। ল্যাপটপ, স্মার্টফোন বা যেকোনো ডিভাইসের জন্যই চার্জারটি এই কাজ করতে সক্ষম। টাইপ-সি যুক্ত কোনো ডিভাইসে পিডি প্রযুক্তি থাকলে, সেটি যেকোনো চার্জার থেকে চার্জ নিতে পারবে। আবার, কোনো চার্জারে যদি এই প্রযুক্তি থাকে, তবে সেটি ইউএসবি-সি পোর্টযুক্ত যেকোনো ডিভাইস চার্জ করতে পারবে।

বাজারে বর্তমানে পিডি ৩.০ ভার্সনের চার্জারই বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এর মাধ্যমে ল্যাপটপ, প্যাড, স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ইয়ারবাড, ট্যাবলেট, অ্যাকশন ক্যামেরা এবং ইউএসবি-সি পোর্টসম্পন্ন অন্যান্য প্রায় সব ডিভাইস চার্জ করা যায়।

মাঝারি বাজেটের স্মার্টফোন সিরিজ ইনফিনিক্স নোট ৩০ এবং এর চার্জার উভয়তেই এই চার্জিং প্রোটোকল আছে। এছাড়াও স্যামসাং, গুগল, অ্যাপল ও সনির ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোতেও এই প্রযুক্তি আছে। ইনফিনিক্সের নোট ৩০ এবং নোট ৩০ প্রো যথাক্রমে ৪৫ ও ৬৮ ওয়াটে চার্জ নিতে পারে।

পিডি প্রটোকল দিয়ে এখন পর্যন্ত ২৪০ ওয়াট পর্যন্ত শক্তি সরবরাহ করা যায়। নোট ৩০ সিরিজের পিডি-৩.০ সমর্থিত ৪৫ ওয়াট ও ৬৮ ওয়াট অ্যাডাপ্টারগুলো ইউএসবি-সি পোর্টযুক্ত ল্যাপটপকেও চার্জ করতে পারে। এই যেমন, ইনফিনিক্সের ল্যাপটপগুলো ৪৫ ওয়াটে চার্জ নেয়। একইভাবে এইচপি, লেনোভো, আসুস এবং অন্যান্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাম্প্রতিক ল্যাপটপকেও এই অ্যাডাপ্টারগুলো দিয়ে চার্জ করা যাবে।

পিডি ৩.০ প্রোটোকল অন্তর্ভূক্ত করার মাধ্যমে ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজ দিচ্ছে অল-রাউন্ড ফাস্ট-চার্জিংয়ের অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশের বাজারে নোট ৩০ প্রো স্মার্টফোনের দাম ২৭,৯৯৯ টাকা। এর সাথে ক্রেতারা বিনামূল্যে পাচ্ছেন ২,০০০ টাকা সমমূল্যের একটি ওয়্যারলেস চার্জার। নোট ৩০ ফোনের ৮ জিবি+১২৮ জিবি এবং ৮ জিবি+২৫৬ জিবি’র দুইটি ভার্সনের দাম যথাক্রমে ১৮,৯৯৯ এবং ২৩,৯৯৯ টাকা। তবে নভেম্বর মাস জুড়ে চলমান ইনফিনিক্সের উইন্টার ক্যাশব্যাক অফারে ক্রেতারা পাচ্ছেন ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক।

;