এমএনপিতে অপারেটরদের যত অফার!



তাসকিন আল আনাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম 
এমএনপি

এমএনপি

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন চলছিলো মোবাইল নাম্বার অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদল করার সেবা বা এমএনপি সেবা চালু করার। অবশেষে ১লা অক্টোবর থেকে ইনফোজিলিয়ান টেলিটেক এর হাত ধরে বাংলাদেশে এমএনপি সেবা চালু করে বিটিআরসি। তবে সঠিক প্রচারণা না থাকায় অনেকে পুরোপুরি বিষয়টি সম্পর্কে না জানলেও ইতিমধ্যে প্রায় ১০ হাজার ৯০০ আবেদন জমা পড়েছে এই সেবাটি নেয়ার জন্য।এছাড়াও সম্প্রতি এমএনপি সেবায় নিতে যে ১০০ টাকা রাজস্ব গুনতে হতো গ্রাহকদের তা দ্রুত উঠিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে রাজস্ব বোর্ড। তা বাস্তবায়ন হলে গ্রাহকরা খুব কম খরচেই যে কোন অপারেটরকেই বেছে নিতে পারবেন।

এখন আসুন জেনে নেয়া যাক এমএনপি সেবা নিলে কোন কোন অপারেটর কি কি অফার দিচ্ছে।

গ্রামীণফোন এমএনপি অফার

মাইগ্রেশন চার্জ: ১৫৫ টাকা

গ্রামীণফোনে এলে আপনার যে নতুন সিম নিতে হবে সেটির জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে ১৫৫ টাকা। অন্য অপারেটর থেকে মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কে এলে আপনি জিপি’র নতুন সিম অফারটিই এমএনপি অফার হিসেবে পাবেন। অর্থাৎ নতুন গ্রামীণফোন সিম কিনলে যে অফার, সেটিই আপনি আপনার আগের নম্বরে নতুন জিপি নেটওয়ার্কে উপভোগ করতে পারবেন। অফারের বিস্তারিত এখানে তুলে দেয়া হল।

এমএনপি ব্যবহার করে গ্রামীণফোনে এলে যে বিশেষ এমএনপি অফার পাবেন তা নিম্নরূপ:

৫ টাকার প্রিলোডেড ব্যালেন্স

প্রিলোডেড অ্যামাউন্ট-এর মেয়াদ বোনাস প্রাপ্তির দিন থেকে ৩০ দিন (বিতরণের দিনসহ)

প্রিলোডেড অ্যামাউন্ট জানতে ডায়াল *৫৬৬#

নতুন সিমে ইন্টারনেট ব্যবহারে টাকা ১.০০/MB চার্জ প্রযোজ্য হবে, সর্বোচ্চ ৫MB পর্যন্ত। একই রেটে ২০০MB পর্যন্ত নিরবিছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ অব্যাহত রাখতে ডায়াল করতে হবে  *121*3352# অথবা ইন্টারনেট প্যাক কিনতে ডায়াল করতে হবে  *121*3#

প্রথম রিচার্জে ফ্রি ইন্টারনেট, ১ পয়সা প্রতি সেকেন্ডঃ

প্রথমবার ঠিক ৩৪ টাকা রিচার্জে গ্রাহকগণ ২৪ ঘণ্টা যেকোনো  লোকাল অপারেটরে ১পয়সা/সেকেন্ড কল রেটে কথা বলতে পারবেন, যার মেয়াদ ৩০ দিন। সাথে পাবেন ৭ দিন মেয়াদে ১ জিবি ইন্টারনেট

বোনাস ও মেয়াদ জানতে ডায়াল *১২১*১*২#

৯ টাকা রিচার্জে ১ জিবি ইন্টারনেটঃ

গ্রাহকগণ ৯ টাকা রিচার্জে (সকল চার্জ অন্তর্ভুক্ত) ১ জিবি ইন্টারনেট কেনার সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। ৭ দিন মেয়াদে এই ১ জিবি ইন্টারনেট কিনতে গ্রাহককে ঠিক ৯ টাকা (সকল চার্জ অন্তর্ভুক্ত) রিচার্জ করতে হবে। (প্রতি মাসে সর্বোচ্চ একবার)।

৯ টাকায় ১ জিবি ইন্টারনেট অফারটি সংযোগ চালু হওয়ার পর ৩৪ টাকা রিচার্জ-এর মাস সহ ৯ মাস পর্যন্ত চালু থাকবে

প্রতি মাসে কেনার অবশিষ্ট সুযোগ জানতে ডায়াল *১২১*১১১১#

রবি এমএনপি অফার

মাইগ্রেশন চার্জঃ ১৪৯ টাকা

মেইন ব্যাল্যান্সে দেয়া হবে ৫০ টাকা (২ মাস মেয়াদ)

কলরেট ৫০ পয়সা প্রতি মিনিট, যে কোন নম্বরে ( পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত)

১০০ মিনিট টকটাইম/ যে কোন নম্বরে (মেয়াদ ৩০ দিন)

ফ্রি ২ জিবি ডেটা একবার (মেয়াদ ৩০ দিন)

ফ্রি ২ জিবি ডেটা একবার (মেয়াদ ৭ দিন)

এয়ারটেল এমএনপি অফার

মাইগ্রেশন চার্জঃ ১৪৯ টাকা

মেইন ব্যাল্যান্সে এমএনপি অফার দেয়া হবে ৮০ টাকা

কলরেট ০.৯ পয়সা প্রতি সেকেন্ড, যে কোন নম্বরে (মেয়াদ ৯০ দিন)

ফ্রি ৪ জিবি ডেটা এমএনপি অফার একবার (মেয়াদ ৩০ দিন)

১ জিবি করে ৪ বারে মোট ৪ জিবি ফ্রি ডেটা মাইগ্রেশনের ৩১ তম, ৬১ তম, ৯১ তম ও ১২১ তম দিনে পাবেন। প্রত্যেকবার ৭ দিন করে মেয়াদ।

৯ টাকায় ১ জিবি পাবেন প্রতি মাসে ১ বার করে ১০ মাসে মোট ১০ বার (প্রত্যেকবার মেয়াদ ৭ দিন করে)। ৯ টাকা রিচার্জ করলেই অটো টাকা কেটে এই ডেটা কেনা হয়ে যাবে।

৩১ টাকায় ২জিবি (১ জিবি ৪জি/৩জি/২জি +১ জিবি ৪জি) ডেটা যতবার খুশি ততবার (মেয়াদ ৭ দিন), মাইগ্রেশন করার ৯০ দিন পর্যন্ত এই অফার চলবে।

ফোন ব্যালেন্স চেক করতে ডায়ালকরতে হবে  *১#

ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়ালকরতে হবে  *৩#

বাংলালিংক এমএনপি অফার

মাইগ্রেশন চার্জঃ ১০০ টাকা

রিচার্জ অফার:

১GB ফ্রি ইন্টারনেট এমএনপি অফার

যেকোনো নাম্বারে ৫৪ পায়সা/মিনিট আর এক সেকেন্ড এর পালস (মেয়াদ ৩ মাস)

১GB @ ৩৩ টাকা প্যাক:

৩৩ টাকায় ১GB নেট কিনতে পারবেন  যত খুশি ততবার (সিম এক্টিভেট করার প্রথম ৯০ দিনের মধ্যে)। কিনতে রিচার্জ করতে হবে  ৩৩ টাকা অথবা ডায়াল করতে হবে  *১৩২*০৩৩# নম্বর।

অফারের বিস্তারিত:

রিচার্জে কলরেটের মেয়াদ ৩ মাস (৯০ দিন) এবং ১GB ইন্টারনেটের মেয়াদ ১৫ দিন

১GB ফ্রি ইন্টারনেটের ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল *১২৪*৫#

৩৩ টাকায় ১GB ইন্টারনেটের মেয়াদ ৭ দিন

৩৩ টাকায় ১GB ইন্টারনেটের ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল *১২৪*৩০০#

SIM চালু করার প্রথম ৯০ দিনের মাঝে আপনি যতবার খুশি ততবার ৩৩ টাকায় ১GB ইন্টারনেটের প্যাকটি নিতে পারবেন

এই অফারগুলো সীমিত সময়ের জন্য

অ্যাক্টিভেশন বোনাস:

নতুন সংযোগে শুরুতেই ৫ টাকা এমএনপি অফার বোনাস দেয়া থাকবে যার মেয়াদ ১৫ দিন। এটি যেকোনো বাংলালিংক সার্ভিসের জন্য ব্যবহার যাবে। মূল একাউন্টের ব্যালেন্স জানতে ডায়াল *১২৪#

৩ দিনের মেয়াদে ৫০MB ইন্টারনেট দেয়া থাকবে। ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল *১২৪*৫#

৫০টি বাংলালিংক টু বাংলালিংক এসএমএস থাকবে ১০ দিনের মেয়াদে। এসএমএস ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল *১২৪*৪#

২২ পয়সা/১০ সেকেন্ড যেকোনো নাম্বারে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা

টেলিটক এমএনপি অফার

মাইগ্রেশন চার্জঃ ফ্রি

বর্তমানে একমাত্র টেলিটক সম্পুর্ন বিনামূল্যে এই এমএনপি সার্ভিসটি দিচ্ছে। তবে আপনার যদি কোনো ব্যালেন্স ধার নেয়া থাকে কিংবা আপনার কাছ থেকে এরকম কোনো পাওনা আপনার বর্তমান অপারেটরের থাকে, তাহলে সেই টাকাটা আপনার খরচ করতে হবে। টেলিটকে আসতে চাইলে এজন্য নিকটস্থ টেলিটক কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে হবে।

এমএনপি ব্যবহার করে টেলিটকে এলে যে বিশেষ এমএনপি অফার পাবেন তা নিম্নরূপঃ

৫৭ পয়সা প্রতি মিনিট (ভ্যাট সহ, ১ সেকেন্ড পালস, ৩ মাস)

৪৫ টাকা রিচার্জে ১জিবি ৩০ দিন (৯০ দিন পর্যন্ত নেয়া যাবে)

পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত টেলিটকের এই এমএনপি অফার চলবে।

বলে রাখা ভালো এই অফার গুলো প্রতিটি অপারেটরদের ওয়েবসাইট থেকে নেয়া। অফারগুলো যে কোন সময় পরিবর্তনীয়।  তাই নতুন অফার জানতে অপারেটরদের নিজস্ব ওয়েবসাইট বা এক সঙ্গে সব খবর জানতে আমাদের টেক পাতায় চোখ রাখুন।

 

   

এআই জীবনধারাকে সহজ করলেও সভ্যতার জন্য ঝুঁকি: পলক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) মানুষের জীবনধারাকে যেমন সহজ করবে ঠিক তেমনি এটি সভ্যতার জন্য একটি বড় ঝুঁকি।

তিনি বলেন, প্রযুক্তির এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশেষ করে এআই এর বিরূপ প্রভাব সামলাতে সরকার আইন প্রণয়ণ করতে যাচ্ছে। পাশাপাশি যাতে ইন্টারনেটের ২০ এমবিপিএস গতিকে ব্রডব্যান্ড হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে এবং ইন্টারনেট সুলভ ও সহজলভ্য করতে ২০২৪ সালের মধ্যেই নতুন ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রণয়ণ করা হবে।

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পর্যায়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। বাাংলাদেশ এবছর প্রথম বারের মতো ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগসহ টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি খাতের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীজনদের নিয়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে এ আয়োজন করা হয়েছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদযাপনের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে আইটিইউ এর সদস্যপদ অর্জন করেন এবং যুদ্ধের ধ্বংস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভূক্ত করেন।

১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবসের পাশাপাশি এ দিনটি জাতীয় জীবনের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ জনাব সজীব ওয়াজেদ এর পরিকল্পনায় ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির মতো দু:সাহসিক ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচি না নিলে আজকের এই বাংলাদেশ আমরা পেতাম না। জনাব পলক বলেন, ভিস্যাটের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট সংযোগ, তিনটি মোবাইল কোম্পানিকে লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে মোবাইলের মনোপলি ব্যবসা বন্ধ করে মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌছে দেওয়া এবং ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করে কম্পিউটার সাধারণের জন্য সহজ লভ্য করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বেরই ফসল।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিগত বছরগুলোর বিস্ময়কর সফলতা ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশকে নেতৃত্বদানকারী দেশের কাতারে সামিল করেছে উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দারিদ্রের সীমা ছাড়িয়ে অনেক উচ্চতায় পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ১৫ বছর আগে আইটি খাতে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১.৯ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তি সেবা (আইটি) রপ্তানি খাতে একটি বড় মাইলফলক ছুঁয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৪০০ প্রতিষ্ঠা বিশ্বের ৮০টি দেশে বাংলাদেশ ডিজিটাল সেবা রপ্তানি করছে।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষ্যে স্বারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন এবং দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

পরে প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মোবাইল অপারেটর রবি ও বাংলালিংকের মধ্যে একটিভ নেটওয়ার্ক স্মারক সাক্ষরিত হয়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো: সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ, কে, এম, আমিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো: মহিউদ্দিন আহমেদ ব্ক্তৃতা করেন।

;

ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ



নিউজ ডেস্ক
ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ

ভিভো ভি৩০ লাইট: কম সময়ে দ্রুত চার্জ

  • Font increase
  • Font Decrease

চার্জ সমস্যার মুশকিল আসান হয়ে এসেছে ভিভো ভি৩০ লাইট। এর ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির ৪ বছরের ব্যাটারি হেলথ নিশ্চয়তা দিচ্ছে গ্লোবাল স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ভিভো। সাথে থাকছে ৮০ ওয়াটের ফ্লাশ চার্জার। যা মাত্র ৪৩ মিনিটেই ১০০ শতাংশ চার্জ করতে সক্ষম। প্রতিদিনের স্বাভাবিক ব্যবহারে ৪ বছরের মধ্যে যদি ব্যাটারি হেলথ ৮০% থেকে কমে যায় তবে ভিভো দেবে ফ্রি ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। তাই ব্যাটারি হেলথ নিয়ে দুশ্চিন্তার অবসান হয়েছে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের।

১১ মে থেকে দেশের যেকোনো অথোরাইজড শো-রুম এবং ই-স্টোরে মিলছে ভিভোর নতুন এই স্মার্টফোনটি। থাকছে এক্সক্লুসিভ গিফট বক্স। গিফট বক্সে উপহার হিসেবে থাকছে টিডাব্লিউএস ওয়ারলেস ইয়ারফোন এল১৩ এবং ৪ বছরের ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট কার্ড।

প্রিমিয়াম ডিজাইনের পাশাপাশি ব্যাক সাইডে এবার রয়েছে বেশি ভিন্ন আয়োজন। এর ব্রিজ গ্রিন রঙয়ের স্মার্টফোনটি ব্যাক প্যানেল কালার পরিবর্তন হয়। ইউভি লাইটে বা সূর্যের আলোতে হালকা সবুজ রঙ পরিবর্তন হয়ে বেশ ভিন্ন একটি লুক আনে। ব্যবহারকারী চাইলে বিভিন্ন ডিজাইন এক্সপেরিমেন্ট করতে পারবেন ব্যাক সাইডে। ক্রিস্টাল ব্ল্যাক কালারে পাওয়া যাবে ভিভো ভি৩০ লাইট।

স্মার্টফোনটির চারপাশে রয়েছে ম্যাটালিক হাই গ্লোস ফ্রেম। মাত্র ৭.৭৯ মি.মি এর সুপারস্লিম ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনের ওজন মাত্র ১৮৬ গ্রাম। ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৬.৬৭ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লের ফোনটিতে ১৮০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস পাওয়া যায়। মাল্টিটাচ ক্যাপাসিটিভ ডিসপ্লেটির রেজুলেশন ২৪০০ × ১০৮০। স্মার্টফোনটির বডি ডায়মেশন ১৬৩.১৭ × ৭৫.৮১ × ৭.৭৯ মিলিমিটার।

মাল্টি টাস্কিং এর জন্য ভিভো ভি৩০ লাইটে থাকছে স্নাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসর এবং ফানটাচ ওস ১৪ অপারেটিং সিস্টেম। একই সাথে ২৫ টি অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে স্মার্টফোনটিতে। কারণ এতে রয়েছে ৮ জিবি র‍্যাম যা বাড়ানো যাবে আরো ৮ জিবি পর্যন্ত। পাশাপাশি ২৫৬ জিবি রমের বিশাল স্টোরেজে দৈনন্দিন কাজকে করবে আরো স্মুথ।

স্মার্টফোনটিতে থাকছে ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার যা ৩০০% পর্যন্ত ভলিউম বাড়ানো যাবে। সাথে ব্যাক সাইডে থাকছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ ক্যামেরা। সাথে আরো থাকছে ফ্লিকার সেন্সর। ফ্রন্ট সাইডে থাকছে ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।

ভিভো ভি৩০ লাইট স্মার্টফোনটির দাম ৩২,৯৯৯ টাকা।

;

মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী অর্থবছর থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ আসছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রস্তাবনা অনুমোদিত হলে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহার দুই ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের খরচ বাড়বে।

এনবিআর সূত্র বলছে, আগামী বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হতে পারে। এর ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়তে পারে।

সর্বপ্রথম ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। পরে তিন দফায় বাড়িয়ে ২০২০ সালে তা ১৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

এনবিআরের সূত্র মতে, ইন্টারনেটের সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হতে পারে। এমনতিতেই মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট সেবার ওপর ভ্যাট ও সারচার্জ রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, উচ্চ কর হারে জর্জরিত মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন সেবার সম্পূরক শুল্ক হার যদি আবার বৃদ্ধি করা হয় তাহলে গ্রাহক এবং সার্বিকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। বিশেষত মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত কয়েক প্রান্তিক ধরেই কমছে, বাড়তি করের বোঝা এই নেতিবাচক প্রবণতাকে আরও বেগবান করবে।

তিনি মনে করেন, সার্বিকভাবে কর হার বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্দেশ সফল হবে না, কারণ ব্যবহারকারীর ব্যয়ের পরিমাণ এতে কমে যাবে।

;

‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকারের আমলে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল, মেট্টোরেলসহ অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে ‘দিঘলিয়া (রেলিগেট)-আড়ুয়া-গাজীরহাট-তেরখাদা সড়কের (জেড-৭০৪০) প্রথম কিলোমিটারে ভৈরব নদীর ওপর ভৈরব সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অন্যতম পূর্বশর্ত হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। বর্তমান সরকারের আমলে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল, মেট্টোরেলসহ অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভৈরব সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে মানুষের যাতায়াতে অনেক সুবিধা হবে। এই প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নিদের্শনা প্রদান করেন।

পর্যালোচনা সভায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুকুল কুমার মৈত্র, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;