বিদেশ থেকে ফোন আনতে যা লাগবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

মোবাইল ফোনের বৈধতা যাচাইয়ে চালু হয়েছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) ব্যবস্থা। এ কার্যক্রম তিন মাসের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এই ব্যবস্থা চালুর পর কীভাবে বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে আসা যাবে, তা জানিয়েছে। এর পাশাপাশি তারা গ্রাহকের সম্ভাব্য বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে।

বিটিআরসি'র ফেসবুক পেজ থেকে এসব প্রশ্ন ও উত্তর পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো:

১. কারও হ্যান্ডসেট চুরি হলে যথাযথ ডকুমেন্ট সাবমিট করে হ্যান্ডসেট নিষ্ক্রিয় করার কোন ব্যবস্থা থাকবে?

উত্তরঃ পরীক্ষাকালীন সময় তিন মাস অতিবাহিত হলে হ্যান্ডসেট নিষ্ক্রিয় করার ব্যবস্থা থাকবে।

২. অফিসিয়াল হ্যান্ডসেটের IMEI নাম্বার বিটিআরসি ডাটাবেজে যুক্ত হতে সর্বোচ্চ কতদিন সময় লাগতে পারে?

উত্তরঃ বিটিআরসির পূর্বানুমোদন গ্রহণপূর্বক বাংলাদেশে উৎপাদিত অথবা বিদেশ হতে আমদানীকৃত সকল হ্যান্ডসেট বিক্রয়ের পূর্বে উৎপাদনকারী/ আমদানীকারক কর্তৃক বিটিআরসি ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

৩. একজনের নামে সর্বোচ্চ কয়টি হ্যান্ডসেট রেজিস্টার করা যাবে?

উত্তরঃ কোন সিমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়নি। তবে বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট আনয়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে শুল্ক বিহীন সর্বোচ্চ দুইটি এবং শুল্ক প্রদান স্বাপেক্ষে আরও ছয়টি হ্যান্ডসেট সাথে আনতে পারবে।

৪. এন ই আই আর এর কার্যক্রম কি রাত বারোটা থেকেই কার্যকর হবে? অর্থাৎ রাত বারোটায় যেই হ্যান্ডসেটে যেই সিম ইনসার্ট থাকবে সেটাই নিবন্ধিত হবে কিনা? (বলা হয়েছে ৩০ জুন ২০২১ এর মধ্যে নিবন্ধিত হবে)

উত্তরঃ হ্যাঁ।

৫. কারও হ্যান্ডসেটে সিম ১ স্লটে নিজের নামে ও সিম ২ স্লটে অন্য কারও নামে রেজিষ্ট্রেশন করা সিম চালু থাকে তবে কোন সিম থেকে কার নামে হ্যান্ডসেট রেজিস্টার হবে?

উত্তরঃ IMEI নম্বর অনুযায়ী প্রতিটি স্লটে ব্যবহৃত সিমের বিপরীতে স্লটের ব্যবহার অনুযায়ী আলাদাভাবে রেজিস্ট্রেশন করা হবে।

৬. বিদেশ থেকে আনা হ্যান্ডসেটের ক্ষেত্রে যে শুল্কমুক্ত দুটি হ্যান্ডসেটের কথা বলা হয়েছে এই দুটি হ্যান্ডসেট কী ব্যক্তিগত ব্যবহৃত ফোন বাদ দিয়ে হিসেব করা হবে?

উত্তরঃ ব্যক্তিগত ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেট সর্বোচ্চ দুটি হ্যান্ডসেট বিনা শুল্কে বিদেশ থেকে আনা যাবে।

৭. এনইআইআর এ বিদেশ থেকে আনা মোবাইল নিবন্ধন এর ক্ষেত্রে কি চার্জ প্রযোজ্য? প্রযোজ্য হলে তার পরিমান কিভাবে নির্ধারণ হবে ?

উত্তরঃ বিদেশ থেকে আনা মোবাইল ফোন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কোনরুপ চার্জ/ ফিস প্রদান করতে হবে না।

৮. বিদেশ থেকে আনা অতিরিক্ত হ্যান্ডসেট রেজিস্টার করার জন্য কি কি ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে?

উত্তরঃ বিদেশ থেকে আসার সময় সঙ্গে নিয়ে আসা সর্বোচ্চ দুইটি ফোন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য/দলিল এর তালিকাঃ
- পাসপোর্ট নম্বর
- পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত আগমনের সিল সম্বলিত পাতা এর স্ক্যান/ছবি;

বিদেশ থেকে শুল্ক পরিশোধ সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ছয়টি হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য/ দলিল এর তালিকাঃ
- পাসপোর্ট নম্বর
- পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্তৃক প্রদত্ত আগমনের সিল সম্বলিত পাতা এর স্ক্যান/ছবি;
- কাস্টমস্‌ শুল্ক পরিশোধ সংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান/ছবি;

বিদেশ থেকে কুরিয়ারের মাধ্যমে আনীত ফোন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য/দলিল এর তালিকাঃ
- কমার্শিয়াল ইনভয়েসের স্ক্যান/ছবি;
- প্রাপকের জাতীয় পরিচয় পত্রের স্ক্যান/ছবি;
- কাস্টমস্‌ শুল্ক পরিশোধ সংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান/ছবি;

৯. এনইআইআর এর আওতায় অনিবন্ধিত সেটসমুহ ৩০শে জুন এর মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যদি নিবন্ধিত না হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আমরা গ্রাহকদের কাছে কি কোন সময় চেয়ে নিব? যদি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নিবন্ধন না হয় তাহলে আমরা এই ব্যাপারে কমপ্লেইন রাখলে কি কি তথ্য গ্রাহকদের নিকট হতে সংগ্রহ করব?

উত্তরঃ গ্রাহক কর্তৃক বর্তমানে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত সকল হ্যান্ডসেট ৩০ জুন ২০২১ তারিখের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। উক্ত সময়ের মধ্যে সচল কোন হ্যান্ডসেটই অনিবন্ধিত থাকবে না।

১০. ৩০শে জুন এর মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হ্যান্ডসেট রেজিস্ট্রেশন হয়েছে কি না তা জানার উপায় কি? স্বয়ংক্রিয়ভাবে না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ কি?

উত্তরঃ স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেজিস্ট্রেশন না হলে এসএমএস যাবে। কোন এসএমএস না গেলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে মর্মে গন্য হবে। শুধুমাত্র বিদেশ হতে আনা এবং বিদেশ হতে উপহার প্রাপ্ত হ্যান্ডসেটের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ থাকবে। দেশে ক্রয়কৃত হ্যান্ডসেট অবৈধ হলে তা রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ থাকবে না। ক্রয়ের পূর্বে হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই করার সুযোগ রয়েছে।

১১. অনেক আগে কেনা আনঅফিসিয়াল ফোনে ৩০শে জুন তারিখে কোন সিম একটিভ না থাকলে বা কোন কারনে ওইদিন নেটওয়ার্কে যুক্ত না থাকায় হ্যান্ডসেট রেজিস্টার না হলে পরবর্তীতে কি করনীয়?

উত্তরঃ পরীক্ষামূলক সময়ে হ্যান্ডসেটটি ব্যবহার করা যাবে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১২. মোবাইল অপারেটর এর গ্রাহকসেবা কেন্দ্র থেকে এনইআইআর সংক্রান্ত কি কি ধরনের সেবা দেয়া হবে? নিবন্ধন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে মোবাইল অপারেটরগুলো অপারগ হলে গ্রাহকের করণীয় কি?

উত্তরঃ এনইআইআর সংক্রান্ত সকলসেবা প্রদানের জন্য মোবাইল অপারেটরসমূহকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী মোবাইল অপারেটরগণের কাস্টমার কেয়ার নম্বর ১২১ এ ডায়াল করে এবং অপারেটরগণের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার হতে এ সম্পর্কিত সেবা গ্রহণ করা যাবে। কোন কারনে মোবাইল অপারেটরগণ সেবা প্রদানে অপারগ হলে বিটিআরসি’র হেল্পডেস্ক নম্বর ১০০ এ ডায়াল করে এ সম্পর্কিত সেবা গ্রহণ করা যাবে। এনইআইআর সংক্রান্ত সকল তথ্যাদি neir.btrc.gov.bd তে দেয়া রয়েছে।

১৩. ১টা সিম কার্ড এর সাথে হ্যান্ডসেট নিবন্ধন হয়ে গেলে পরবর্তীতে নতুন সিম কার্ড এর সাথে নিবন্ধন করা যাবে কিনা?

উত্তরঃ পরীক্ষামূলক সময়কালে তিন মাস ডি-রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই হ্যান্ডসেট হস্তান্তর করা যাবে। উল্লেখ্য যে, একজন গ্রাহক নিজ নামে রেজিস্ট্রিকৃত যে কোন সিম দিয়ে যে কোন হ্যান্ডসেট ব্যবহার করতে পারবে। পরীক্ষামূলক সময় অতিবাহিত হলে ডি-রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।

১৪. *১৬১৬১# USSD ডায়াল করে ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেট এর বর্তমান অবস্থা যাচাই প্রক্রিয়া এখনো একটিভ না, কবে নাগাদ একটিভ হবে?

উত্তরঃ ০১ জূলাই ২০২১ তারিখ হতে *১৬১৬১# USSD ডায়াল করে ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেট এর বর্তমান অবস্থা যাচাই করা যাবে।

১৫. আন্তর্জাতিক ও দেশি ই-কমার্স থেকে মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে তো বৈধতা যাচাই এর কোনো সুযোগ থাকছে না, সেক্ষেত্রে করণীয় কি?

উত্তরঃ দেশি ই-কমার্স থেকে মোবাইল ক্রয়ের পূর্বে অবশ্যই হ্যান্ডসেটটির বৈধতা মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD<space>১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে ১৬০০২ নম্বরে প্রেরণের মাধ্যেম যাচাই করা যাবে।

বিদেশ থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে বৈধভাবে ক্রয়কৃত অথবা উপহারপ্রাপ্ত হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্কে সচল হবে। দশ দিনের মধ্যে অনলাইনে তথ্য/দলিল প্রদান করে নিবন্ধন করার জন্য এসএমএস প্রদান করা হবে। দশ দিনের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করলে উক্ত হ্যান্ডসেট বৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। উক্ত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করা না হলে হ্যান্ডসেটটি বৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে না এবং সেগুলো সম্পর্কে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে অবহিত করে পরীক্ষাকালীন সময়ের জন্য নেটওয়ার্কে সংযুক্ত রাখা হবে। পরীক্ষামূলক সময় অতিবাহিত হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১৬. যেহেতু MSISDN ও NID এর মাধ্যমে মোবাইল নিবন্ধিত হচ্ছে , সেটা পরবর্তীতে মালিকানা পরিবর্তন এর সুযোগ আছে কি?

উত্তরঃ পরীক্ষামূলক সময়কালে তিন মাস ডি-রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই হ্যান্ডসেট হস্তান্তর করা যাবে। উল্লেখ্য যে, একজন গ্রাহক নিজ নামে রেজিস্ট্রিকৃত যে কোন সিম দিয়ে যে কোন হ্যান্ডসেট ব্যবহার করতে পারবে। পরীক্ষামূলক সময় অতিবাহিত হলে ডি-রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।

১৭. হ্যান্ডসেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোন প্রকার অবৈধতা সম্পর্কে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহক কোথায় যোগাযোগ করবে?

উত্তরঃ এনইআইআর সংক্রান্ত সকলসেবা প্রদানের জন্য মোবাইল অপারেটরসমূহকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী মোবাইল অপারেটরগণের কাস্টমার কেয়ার নম্বর ১২১ এ ডায়াল করে এবং অপারেটরগণের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার হতে এ সম্পর্কিত সেবা গ্রহণ করা যাবে। কোন কারনে মোবাইল অপারেটরগণ সেবা প্রদানে অপারগ হলে বিটিআরসি’র হেল্পডেস্ক নম্বর ১০০ এ ডায়াল করে এ সম্পর্কিত সেবা গ্রহণ করা যাবে। এনইআইআর সংক্রান্ত সকল তথ্যাদি neir.btrc.gov.bd তে দেয়া রয়েছে।

   

২০২৪ সাল

ব্যবসায়িক সাফল্য দিয়ে প্রথম প্রান্তিক শুরু গ্রামীণফোনের



ইশতিয়াক হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোন (জিপি) লিমিটেড ৩,৯৩২.৯ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৩ শতাংশ বেশি।

প্রথম তিন মাসে ১০ লাখ নতুন গ্রাহক নিয়ে প্রথম প্রান্তিকের শেষে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩০ লাখ। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৫৫.৮ শতাংশ অথবা ৪ কোটি ৬৩ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছেন।

গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা আমাদের কর্মকৌশলে অটুট থেকে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছি। এছাড়াও অংশীদারিত্বগুলোকে দৃঢ় করার পাশাপাশি, আমাদের কার্যক্রমকে আরো সুসংহত করেছি। এই সব কিছুই আজকের এই সাফল্যে অবদান রেখেছে। টেলকো থেকে টেলকো-টেক কোম্পানিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলা উচিত। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা নিরলসভাবে ডিজিটাল সম্পদ তৈরি ও ডিজিটাল প্লেয়ারদের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কাজ করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আমরা সিলেটে আমাদের প্রথম টিয়ার থ্রি স্ট্যান্ডার্ড ডেটা সেন্টার উদ্বোধন করেছি, যা একটি প্রযুক্তিগত বিস্ময় হিসেবে নেটওয়ার্কে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এছাড়াও অনন্য হোম ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে আমরা ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড সলিউশন ‘জিপিফাই’ চালু করেছি, যা নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ এবং ডিজিটাল বিনোদন উপভোগ করতে চান, এমন পরিবারের জন্য একটি সামগ্রিক সল্যুশন।

টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যগুলো অর্জনের বিশ্বাস আমরা শুধু নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখিনি, আমরা কৌশলগতভাবে এমন সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করছি, যারা আমাদের মূল্যবোধ এবং পরিবেশ, সমাজ ও সুশাসন (ইএসজি) উদ্যোগগুলোকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করে।’

গ্রামীণফোনের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) অটো রিসব্যাক বলেন, ‘২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে আমাদের ক্রমাগত ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে আমরা সন্তুষ্ট। প্রথম প্রান্তিকের ফলাফলে আমাদের ইতিবাচক আর্থিক প্রবৃদ্ধির প্রতিফলন হয়েছে। এই নিয়ে টানা ১২ প্রান্তিকে লক্ষ্যণীয় আর্থিক অগ্রগতি এবং ইবিআইটিডিএ-এর ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে গ্রামীণফোন। ভালো কর্মপরিকল্পনা এবং কঠোর আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখায় প্রথম প্রান্তিকে সাবস্ক্রিপশন ও ট্রাফিক রেভিনিউ হার ৫.২ শতাংশ এবং ইবিআইটিডিএ মার্জিন ৬০.৮ শতাংশে পৌঁছেছে।

আমাদের শক্তিশালী ব্যালেন্স শিট ও ক্যাশফ্লো’র কল্যাণে প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা এবং উদ্ভাবনে বিনিয়োগ অব্যহত রাখা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি তৈরি হয়েছে, একটি আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণার ভিত্তি।’

মূলত ফোরজি নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং ফাইবার সংযোগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি ২,৬০০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম প্রসারণে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোন (লাইসেন্স, ইজারা ও এআরও ব্যতিত) ৭১৭.৩ কোটি টাকার মূলধনী বিনিয়োগ করেছে।

নতুন কভারেজ সাইটসহ গত তিন মাসে ৫০০-এর বেশি নতুন ফোরজি সাইট চালু করেছে গ্রামীণফোন। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিক শেষে গ্রামীণফোনের মোট ফোরজি সাইটের সংখ্যা ২১,৭০০ এর বেশি, যার মাধ্যমে ৯৭.৯ শতাংশ গ্রাহক ফোরজি সেবার আওতায় এসেছেন।

;

বেসিস নির্বাচন

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ২০৪১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি চাই’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টিম সাকসেসের পক্ষে ফ্লোরা টেলিকমের মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা সরকারের কাছ থেকে এই ট্যাক্স এক্সেমশন আদায় করতে চাই। টিম সাকসেসের দৃঢ় বিশ্বাস, তথ্যপ্রযুক্তির মেধা আর চাহিদা সমন্বয় করতে এই ট্যাক্স এক্সেমশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।

সম্প্রতি কাকরাইলে আইডিইবি মিলনায়তনে নির্বাহী কমিটির ১১ পদে ৩৩ প্রার্থীর পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে তিন প্যানেলে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অনুষ্ঠানে টিম সাকসেসের পক্ষে ফ্লোরা টেলিকমের মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, আমাদের একটি বড় লক্ষ্য বেসিসের জন্য স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তোলা। এর জন্য প্রয়োজন একটি স্থায়ী জমি, তার উপর নির্মাণ করা হবে বেসিসের নিজস্ব ভবন। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কারার জন্য আমরা ঢাকা সিটি মেয়র এবং রাজউক কর্তৃপক্ষকে সাথে রেখে নিষ্ঠার সাথে এই সাফল্য অর্জন করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, সদস্যদের সবচেয়ে জরুরি দাবি কর অব্যাহতির সময় বাড়াতে কাজ করতে চাই। বর্তমানে ২০২৪ সালের জুন মাসে এই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।

অনুষ্ঠানে টিম সাকসেসের অন্য প্রার্থীরা তাদের পরিচিতি দিয়ে বক্তব্য রাখেন। এর মধ্যে সাধারণ সদস্য তৌফিকুল করিম, মোহাম্মদ আমিনুল্লাহ, মো. সহিবুর রহমান খান, ফারজানা কবির, মো. শফিউল আলম, ইমরান হোসেন, সৈয়দা নাফিসা রেজা এবং এন এম রাফসান জানি (সহযোগী), আবদুল আজিজ (অ্যাফিলিয়েট) ও আবু মুহাম্মদ রাশেদ মজিদ (আন্তর্জাতিক)।

প্রার্থী পরিচিতি সভা পরিচালনা করেন বেসিসের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান টি আই এম নুরুল কবির। তার সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন বোর্ডের অপর দুই সদস্য সৈয়দ মামনুর কাদের ও নাজিম ফারহান চৌধুরী। নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ তৌহিদ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বেসিসের মোট সদস্যসংখ্যা ২ হাজার ৪০১। তবে এবারের নির্বাচনে ভোটার হয়েছেন ১ হাজার ৪৬৪ জন। তাদের মধ্যে সাধারণ ৯৩২, সহযোগী ৩৮৯, অ্যাফিলিয়েট ১৩৪ ও আন্তর্জাতিক সদস্য শ্রেণিতে ভোটার ৯ জন।

;

এক মাসেও ঠিক হচ্ছে না দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাটা পড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (সিমিউই-৫) থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে দেশে ইন্টারনেট সমস্যার এখনো কোনো সমাধান হয়নি। ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে গ্রাহকেরা এবার দীর্ঘ দুর্ভোগে পড়েছেন।

ক্যাবল মেরামত না হওয়ায় সহসাই এই সমস্যার সমাধান মিলছে না। রাষ্ট্রায়ত্ব বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, মূলত গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় সিমিউই-৫ ক্যাবলটি কাটা পড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

সাবমেরিন ক্যাবলের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সাগর অংশে প্রবেশের অনুমতি এখনো পাওয়া যায়নি। অনুমতি পেতে তিন থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। এরপর কাটা ক্যাবল মেরামত করতে আরও ৮ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যেতে পারে। সব মিলিয়ে এক মাসেও দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ পুরোপুরি সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।

তবে বিকল্প উপায়ে তারা দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। এখন পর্যন্ত তারা যে পরিমাণ ব্যান্ডউইথ সরবরাহের চাহিদা পেয়েছেন প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল থেকে আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ৪০ শতাংশ পূরণ করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

বর্তমানে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। এই সরবরাহের পুরোটা বন্ধ রয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে (প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল) বিকল্প উপায়ে ইন্টারনেট সচল এখনো করা যায়নি। এজন্য কাজ করছে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি। তারা বলছে, ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে। এই সময়কালে তারা চাহিদার মাত্র ৪০ শতাংশ ইন্টারনেট সচল করতে পারবেন।

বর্তমানে দেশে সাড়ে ৫ হাজার ব্যান্ডউইথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি আড়াই হাজারের বেশি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে। বাকি চাহিদা মিটিয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি)।

;

ডেটায় সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে শীর্ষে রবি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ ও তীব্র প্রতিযোগিতা থাকার পরেও ডেটা সেবা থেকে আয়ের উপর নির্ভর করে সামগ্রিক আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে রবি। মোট ডেটা গ্রাহকের বিচারে এই খাতে সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে রবি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতিতে তার অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।

নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে নতুন ৫৭৭টি ফোরজি সাইট যুক্ত করেছে রবি। পরিষেবার মান উন্নত করার জন্য এই ধরনের উদ্যোগের ফলে রবি'র ৮১ শতাংশের বেশি ডেটা গ্রাহক এখন ফোরজি ব্যবহারকারী, যা এই খাতে সর্বোচ্চ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এমন চিত্রই উঠে এসেছে।

বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির আয় হয়েছে ২ হাজার ৫১৬ দশমিক ২ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। একই সময়ের ব্যবধানে ডেটা থেকে আয় বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ।

রবি'র আর্নিংস বিফোর ইন্টারেস্ট, ট্যাক্স, ডেপ্রিসিয়েশন এবং এমোর্টাইজেশন (ইবিআইটিডিএ) গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেড়ে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ মার্জিনসহ ১ হাজার ২২০ দশমিক ২ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে কর-পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) ছিল ১০৬ দশমিক ৭ কোটি টাকা, আর কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল শূন্য দশমিক ২ টাকা।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮১ লাখে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩৬ লাখ। ফোরজি ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ। রবির গ্রাহকদের ৭৫ শতাংশেরও বেশি ডেটা ব্যবহার করেন যা এই খাতে সর্বোচ্চ।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে এক হাজার ৬০৫ দশমিক ৫ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে রবির অর্জিত আয়ের ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এ সময়ে ৩৬৬ দশমিক ২ কোটি টাকা মূলধনী বিনিয়োগ করেছে কোম্পানিটি।

রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রাজীব শেঠি বলেন, ‍আমরা দেখতে পাচ্ছি সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং মূল্যস্ফীতির প্রভাব আমাদের গ্রাহকদের মোবাইল ব্যবহারের ওপর পড়ছে। একইসাথে লক্ষণীয় যে, স্মার্টফোন ডিভাইসের ব্যবহারের প্রসার অনেকাংশে থমকে গেছে।

উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় ডেটা ব্যবহার বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। তবে এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে অতি সত্বর স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রসার বাড়াতে সরকার থেকে নীতি সহায়তা প্রয়োজন।

গুণগত মান নিশ্চিত করে সেবা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে রাজীব শেঠি বলেন, গ্রাহকের অভিজ্ঞতা দিয়েই বলা যায়, আমাদের নেওয়া উদ্যোগের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, যার জন্য আমি গর্বিত। গত এক বছরে গড় ডেটা স্পিড শতভাগেরও বেশি বেড়েছে। সারাদেশে কভারেজ ও নেটওয়ার্কের সর্বত্র ধারাবাহিক স্পিড নিশ্চিত করার মাধ্যমে এ উন্নতি অর্জন করা হয়েছে। কল ড্রপের হার একইভাবে গত এক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। আমরা নিশ্চিত যে পরিষেবার গুণমান বৃদ্ধির উপর চলমান উদ্যোগ গ্রাহকের আস্থা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

;