আইফোন ১৩’র উৎপাদন কমেছে ২০ শতাংশ

  • টেক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

২০২০ সালে করোনার প্রভাব শুরুর পর বিশ্ব ব্যাপী চিপ সংকট এবং সাপ্লাই চেইনের সমস্যার কারণে প্রথমবারের মতো আইফোন লাইনআপের উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়েছিলো ক্যালিফোর্নিয়ার কুপার্টিনোভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপেলকে।

জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই (Nikkei) এর রিপোর্ট অনুসারে, গত অক্টোবরে এক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী চিপসেটের ঘাটতির কারণে, চীনে আইফোনসহ আইপ্যাডের উৎপাদন বেশ কিছু দিনের জন্য বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়ছিল অ্যাপেল।

বিজ্ঞাপন

অ্যাপেলের একজন সাপ্লাই চেইন ম্যানেজার নিক্কেইকে বলেছেন, সীমিত উপাদান এবং চিপসের কারণে আইফোন উৎপাদন কিছুদিনের জন্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। এ কারণে ছুটির দিনে ওভারটাইম কাজ করা এবং ফ্রন্ট-লাইন কর্মীদের অতিরিক্ত বেতন দেওয়ার কোন মানে হয়নি। যা আগে কখনও ঘটেনি। বিশেষ করে চীনের গোল্ডেন ছুটির দিনে সবচেয়ে ব্যস্ত সময় যেত। ওই সময় শ্রমিকরা অতিরিক্ত ওভারটাইম করতেন। তবে ছুটি কাটানোর সময় পেয়েছে তারা।

সামনে বড় দিনকে কেন্দ্র করে এই সময়ে আইফোন কেনার হিড়িক থাকার কথা থাকলেও অ্যাপেল ইতিমধ্যে তাদের আইফোন ১৩ এর উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। এমনকি নভেম্বর মাসেও, অ্যাপলকে আইফোন ১৩ উৎপাদন ধরে রাখতে আইপ্যাড চালান ছেড়ে দিতে হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত সেপ্টেম্বরে আইফোন ১৩ লঞ্চ হয়। নতুন মডেলটি পাওয়া যাচ্ছে গোলাপি, নীল, ‘মিডলাইট স্টারলাইট’ এবং লাল রঙে। তবে লঞ্চের পর থেকে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে পূর্ববর্তী পরিকল্পনার তুলনায় ২০ শতাংশ কম উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে নিক্কেই।

বুধবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে নিক্কেই জানায়, আইফোন ১৩ সিরিজের উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল, গত দু’মাসে অপেক্ষাকৃত ২০ শতাংশ কম পণ্য উৎপাদন করেছে অ্যাপেল।

সংস্থাটি জানায়, অ্যাপলের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ২০২১ সালে ৯৫ মিলিয়ন আইফোন ১৩ মডেল তৈরি করা, কিন্তু ডিসেম্বরের শুরুতে এই সংখ্যাটি প্রায় ৮৩-৮৫ মিলিয়নে নেমে আসে। এদিকে, একই সময়ের আইপ্যাড উৎপাদনে প্রত্যাশিত লক্ষ্যের মাত্র ৫০ শতাংশ অর্জন করেছে। পুরনো আইফোনের উৎপাদন ২৫ শতাংশ কমে গেছে এবং নভেম্বরেও এ পরিস্থিতি আর ভালো হয়নি।

নিক্কেই আইফোন-১৩ মডেলের স্মার্টফোন উপাদান কমার বিষয়টি আরও গভীরে অনুসন্ধান করেছে। তারা মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের লকডাউন ব্যবস্থা, চীনে অপ্রত্যাশিত বিদ্যুতের বিধিনিষেধ-ঘাটতি, উৎপাদনে বাধা, উপাদানের লিড টাইম বৃদ্ধি এবং আরও কিছু কারণ খুঁজে পায়।