অবৈধ সিম উদ্ধারে এগিয়ে রবি ও টেলিটক
ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলাধীন আবাসিক ২৬ (চাব্বিশ) টি স্থাপনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)-এর সমন্বয়ে সম্প্রতি অবৈধ ভিওআইপি অভিযান চালিয়েছে।
আর এ অভিযানে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের ৪২,১৫০টি সিম ও প্রায় এক কোটি ২৩ লাখ টাকা মূল্যমানের অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ২৪ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ১৪ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়কালে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এর মধ্যে অবৈধ সিম উদ্ধারে এগিয়ে রয়েছে রয়েছে রবি ও টেলিটক। অভিযানে রবির ১৬,৮১২ টি, টেলিটকের ১৫,৯৩৯টি সিম উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধারকৃত সিমের মধ্যে রয়েছে বাংলালিংকের ৬,১৭৬ টি ও গ্রামীণফোনের ৩,২২৩ টি।
এতে জানানো হয় যে, গত ১৪-১৮ অক্টোবর ঢাকার ধানমন্ডি, তেজগাঁও, কদমতলী, সিদ্ধিরগঞ্জ, পল্লবী ও মিরপুর এবং ২১-৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী, পাঁচলাইশ, বাকলিয়া, চকবাজার, চান্দগাঁও, সদরঘাট ও হালিশহর এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।
বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান জহুরুল হক উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এতে জানানো হয় যে, গত ১৪-১৮ অক্টোবর ঢাকার ধানমন্ডি, তেজগাঁও, কদমতলী, সিদ্ধিরগঞ্জ, পল্লবী ও মিরপুর এবং ২১-৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী, পাঁচলাইশ, বাকলিয়া, চকবাজার, চান্দগাঁও, সদরঘাট ও হালিশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল অপারেটর রবির ১৬,৮১২ টি, টেলিটকের ১৫,৯৩৯ টি, বাংলালিংকের ৬,১৭৬ টি, গ্রামীণফোনের ৩,২২৩ টি সিমসহ সর্বমোট ৪২,১৫০ (বিয়াল্লিশ হাজার একশত পঞ্চাশ) টি সিম জব্দ করা হয়।
এছাড়া, অবৈধ ভিওআইপি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের সিম পোর্ট বিশিষ্ট সর্বমোট ১৪৮টি জিএসএম (সিমবক্স) গেটওয়ে, ২৬৭৭ টি মডেম ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক মালামাল জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১কোটি ২৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা। এ বিষয়ে জড়িত থাকায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট থানায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০১–এর অধীনে ২৮ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
বিটিআরসি তাঁর চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আধুনিক ও আর্ন্তজাতিক মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় বর্তমানে এ সংক্রান্ত অবৈধ কার্যক্রমে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত সিমবক্স এর সু-নিদির্ষ্ট স্থান (পিন পয়েন্ট) সনাক্তকরণে সক্ষমতা অর্জন করেছে। যার ফলে সাম্প্রতিক অভিযানগুলোতে অতীতের চেয়ে অধিকতর সফলতা অর্জিত হচ্ছে এবং উক্ত অভিযানগুলো থেকে প্রতীয়মান হয়েছে যে, ঢাকা ও চট্টগ্রামের অপারেশনে যে পরিমাণ অবৈধ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে এর মাধ্যমে দেশের বাৎসরিক ৮৬৭ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হত।