ইউরোপে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধের হুমকি মেটার

  • টেক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নাগরিকদের তথ্য স্থানান্তর বন্ধ করতে একটি নতুন আইন প্রনয়নের কাজ চলছে। এ আইন কার্যকরের পর যুক্তরাষ্ট্রে তথ্য স্থানান্তরে ব্যর্থ হলে ইউরোপ থেকে প্রত্যাহার করা হতে পারে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। সম্প্রতি এমনই হুমকি দিয়েছে সোস্যাল প্লাটফর্মগুলোর প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা।

সম্প্রতি প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে মেটা বলেছে, ‘যদি একটি নতুন ট্রান্সলান্টিক তথ্য স্থানান্তর কাঠামো গৃহীত না হয় এবং আমরা যদি এসসিসির (স্ট্যানডার্ড কনট্রাকচুয়াল ক্লজেস) ওপর নির্ভরশীলতা বজায় রাখতে না পারি অথবা ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তথ্য স্থানান্তরের কোন বিকল্প উপায় না থাকে তাহলে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো সেবাগুলো ইউরোপে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো।’

বিজ্ঞাপন

তারা আরও জানিয়েছে, এ ধরনের আইন বস্তুগতভাবে আমাদের ব্যবসা, আর্থিক পরিস্থিতি এবং কার্যক্রমের ফলাফলের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

ডাটা ট্রেকিং ও ডাটা শেয়ার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছে মেটা নিয়ন্ত্রিত প্লাটফর্মগুলো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্লাটফর্মগুলোয় ব্যবহারকারীদের ডাটা ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ইউরোপের আইনপ্রনেতা অ্যাক্সেল ভস এ প্রসঙ্গে টুইটারে লিখেছেন, মেটা তাদের তথ্য সুরক্ষার মান ছেড়ে দেয়ার জন্য ইইউকে হুমকি দিতে পারে না। আর ইউরোপে ব্যবসা গুটিয়ে নিলে তাদেরই ক্ষতি হবে।

ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, ইইউ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তথ্য স্থানান্তর বন্ধ করতে ২০২০ সালের আগস্টে আয়ারল্যান্ডের কমিশন ফেসবুককে প্রাথমিক নির্দেশ দেন।

ফেসবুকের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ জানিয়েছেন, ‘ফেসবুকের ইইউ-ইউএস তথ্য স্থানান্তর বিষয়ে একটি তদন্ত শুরু করেছে আয়ারল্যান্ডের তথ্য সুরক্ষা কমিশন। যদিও এটি আরো অনেক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে। বিষয়টি অব্যাহত থাকলে এসসিসির ওপর নির্ভরশীল ব্যবসা এবং অনলাইন সেবার ওপর নির্ভর করা ব্যাক্তি ও ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়ার আশা করছে আয়ারল্যান্ডের তথ্য সুরক্ষা কমিশন।তথ্য স্থানান্তরের আইনগত ভিত্তি হিসেবে এসসিসি ব্যবহার না করা যায় তাহলে ফেসবুককে ইউরোপিয় ব্যবহারকারীদের থেকে সংগ্রহ করা বেশিরভাগ তথ্য ইউরোপকে বন্ধ করে দিতে হবে। আইন মানতে ব্যর্থ হলে ফেসবুককে বার্ষিক আয়ের ৪ শতাংশ অথবা ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার জরিমানা ধার্য্য করতে পারে ডিপিসি।

সূত্র- ইন্ডিপেন্ডেন্ট