‘দেশ-সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন নির্ভর করে মানুষের কর্মদক্ষতার ওপর’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নাসিমা আক্তার নিশা

নাসিমা আক্তার নিশা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে বৈশ্বিক মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন নিয়ে বার্তা ২৪ এর প্রতিবেদকের সাথে কথোপকথনে নাসিমা আক্তার নিশা, ই-ক্যাবের (ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং উইমেন এ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এর স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা

প্রশ্ন: প্রগতি উন্নয়ন নির্ভর করে কর্মদক্ষতার ওপর, যা একমাত্র মানসম্মত উচ্চশিক্ষার মাধ্যমেই সম্ভবএকটি উন্নয়নশীল দেশে উচ্চশিক্ষার বিকাশের জন্য প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছেআপনার মতে গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থা এবং আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার পার্থক্যগুলো কী কী?

একটি দেশ, জাতি কিংবা সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন নির্ভর করে এর মানুষের কর্মদক্ষতার ওপর। সঠিক, যুগোপযোগী, মানসম্মত শিক্ষা ও প্রাযোগিক জ্ঞানের মাধ্যমেই এ কর্মদক্ষতা অর্জন সম্ভব। কোন একটি দেশ বা সমাজকে সামনে এগিয়ে যেতে হলে প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থাকে বিদায় জানিয়ে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে গ্রহণ করতে হবে। কারণ, গতানুগতিক ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক এ বিশ্বে টিকে থাকতে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থীকে গ্লোবাল কম্পিট্যান্সি অর্জনে অনুপ্রাণিত করা হয়। গ্লোবাল কম্পিট্যান্সি হলো এমন জ্ঞান, দক্ষতা ও গুণাবলিকে নির্দেশ করে, যার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিষয় জানা, বোঝা বা ব্যবহারের মাধ্যমে একজন মানুষ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারে। বিশ্বায়নের এ যুগে সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজেকে এগিয়ে রাখতে শুধু আশপাশের এক-দুটি দেশ নয়, সারা বিশ্বের সব দেশ, দেশের মানুষ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই পর্যাপ্ত জ্ঞান রপ্ত করতে হবে, হতে হবে ‘গ্লোবালি কম্পিট্যান্ট’। অন্যদিকে, গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থায় অ্যাকাডেমিক বা পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের ওপর বেশি আলোকপাত করা হয়।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা একটি তীব্র রূপান্তরের দিকে অগ্রসর হচ্ছেডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়ায় প্রথাগত শিক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এসেছে; আপনার মতে কি কি পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে এই ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়াটিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিতেতরুণ উদ্যোক্তা করপোরেট জনশক্তি তৈরিতেও কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?

বিশ্বায়নের এ যুগে রূপান্তরিত শিক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের শিক্ষা ও শেখার পদ্ধতিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এ পরিবর্তন গতানুগিক শিক্ষা পদ্ধতিকে আরো উন্নত ও ত্বরাণ্বিত করেছে। আমাদের দেশে তরুণ উদ্যোক্তা ও করপোরেট জনশক্তি তৈরি করতে হলে পিপলস স্কিলস বা সফট স্কিলসের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ সেন্টারের একটি সমীক্ষা বলছে, আমরা আমাদের ক্যারিয়ারে কতটুকু সফল তার ১৫ শতাংশ নির্ভর করে আমাদের টেকনিক্যাল বা বিষয়ভিত্তিক দক্ষতার ওপর আর বাকি ৮৫ শতাংশ নির্ভর করে আমাদের পিপল স্কিলস বা সফট স্কিলসের ওপর। বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু হয় “উই” । সংস্থাটি গড়ে তুলতে, শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে এবং মহিলা উদ্যোক্তাদের তাদের নৈপুণ্যকে ব্যবসায় পরিণত করতে অনুপ্রাণিত করেছি  সফট স্কিলসের ওপর ভিত্তি করে । বর্তমানে আমরা বিভিন্ন সফ্ট স্কিলস এর উপর প্রশিক্ষণসহ উদ্যোক্তাদের প্ল্যাটফর্ম প্রদান, জ্ঞান পরিসর বৃদ্ধি ও উদ্যোক্তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছি ।

আমার মতে, শিক্ষা পদ্ধতিতে আধুনিকায়নের সাথে সাথে সফ্ট স্কিলস থাকা উচিত এতে এই সবকিছুর সমন্বয়ে আমরা আরো তরুণ উদ্যোক্তা ও করপোরেট জনশক্তি তৈরি করতে পারবো।

প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় আমাদের বর্তমান শিক্ষা পাঠ্যসূচি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিকাশের জন্য সহায়ক?

আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিকাশে শিক্ষা পাঠ্যসূচিতে যুগোপযোগী বেশ কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাঠ্যক্রমে এমন কিছু বিষয় সংযুক্ত করতে হবে যেনো শিক্ষার্থীরা নিজের ও অন্য দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারে, ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় ঘটাতে পারে এবং টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে সবার সমৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণে আগ্রহী হতে পারে। এছাড়া, নতুনের সঙ্গে নিজেদের সহজে মানিয়ে নেয়ার মানসিকতা তৈরি করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী বিশেষজ্ঞের দ্বারা পরিচালিত কর্মশালায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতারও তারা বিকাশ ঘটাতে পারবে। 

প্রশ্ন: বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত শিক্ষাব্যবস্থা কীভাবে শিক্ষার্থীদের বেড়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে?

বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা বিশ্বমানের না হলে গ্লোবাল কম্পিট্যান্সি অর্জন প্রায় অসম্ভব। তবে, এ বিষয়গুলো নিয়ে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে কাজ করছে। একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টিকে তুলে ধরা যাক, কিছুদিন আগে একজন মোনাশ এর সাবেক শিক্ষার্থী আমিদ হোসাইন চৌধুরীর একটি লেখা আমার নজরে পরে যেখানে এক অনন্য প্রতিষ্ঠানের  ব্যাপারে জানতে পারি। বিস্তারিত পড়ে জানতে পারলাম মোনাশ কলেজ, অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র অংশীদার ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি) দেশে বসেই শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষালাভের সুযোগ করে দিয়েছে। এছাড়া, ইউসিবি বৈশ্বিক পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের গ্লোবাল কম্পিট্যান্সি অর্জনে বিভিন্ন সফট স্কিলের ওপর বিনামূল্যে কর্মশালা আয়োজন করছে। এতে যোগদান করে শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারেন এবং অন্যান্য দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে সহজে ধারণা লাভ করতে পারেন, যা গ্লোবাল কম্পিট্যান্সি অর্জনে অত্যন্ত সহায়ক। গ্লোবাল কম্পিট্যান্সি অর্জনের মাধ্যমে দেশের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের ও দেশের পরিচিতি উজ্জ্বল করবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।

প্রশ্ন: বৈশ্বিক পাঠ্যক্রমে উচ্চশিক্ষা কর্মক্ষেত্রে কেমন ভূমিকা রাখে বলে আপনি মনে করেন? আপনার মতে দেশে এরূপ পাঠ্যক্রমে শিক্ষা লাভের সুযোগ শিক্ষর্থীরা কিভাবে পেতে পারে?

বৈশ্বিক পাঠ্যক্রমে উচ্চশিক্ষা কর্মক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশে বসে শিক্ষার্থীরা যাতে এ ধরনের শিক্ষা লাভ করতে পারেন, সে লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজও করছে। একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি তুলে ধরা যাক, এ দেশের সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীরা যাতে দেশে বসেই তাদের মোনাশ ডিগ্রি অর্জনের যাত্রা শুরু করতে পারেন, এ ধরনের সুযোগ তৈরিতে প্রতিষ্ঠানটি তাদের জন্য কাজ করছি। ইউসিবি বাংলাদেশে মোনাশ কলেজ অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। শিক্ষার্থীরা তাদের ও লেভেল/এস লেভেল/এ লেভেল/ এইচ এস সি প্রথম বর্ষ ও লেভেল/এস লেভেল/এ লেভেল/ এইচ এস সি  পর পরই ঢাকায় ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশে ফাউন্ডেশন ইয়ার এবং মোনাশ ইউনিভার্সিটি ১ম বর্ষের ডিগ্রি সমমানের প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে তাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের পথে যাত্রা শুরু করতে পারেন। তরুণ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এটি সত্যিই একটি চমৎকার সুযোগ। আর এভাবেই তারা দেশে বসে বৈশ্বিক পাঠ্যক্রমের উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার কিছু পরামর্শ এবং উপদেশ যা তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে?

বিশ্বায়নের এ যুগে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নেতৃত্বের গুণাবলী, যোগাযোগ দক্ষতা, দূরদর্শিতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতার মতো সফট স্কিল অর্জন করতে হবে। আজকের তরুণ শিক্ষার্থীরাই যেহেতু ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবেন, তাই তাদের গ্লোবাল কম্পিট্যান্সি অর্জন করতেই হবে; এর কোন বিকল্প নেই।  

   

মেটা AI স্মার্ট নতুন ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হোয়াটসঅ্যাপকে আরও স্মার্ট করার উদ্যোগ নিয়েছে মেটা। তাও এআই স্মার্ট। সম্প্রতি ভারত-সহ বিশ্বজুড়েই ইউজারদের জন্য জেনারেটিভ এআই, মেটা এআই-এর মতো ফিচার ধীরে ধীরে আনতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ WhatsApp।

চ্যাটজিপিটি জেনারেটিভ এইআই ইউজারদের প্রম্পটের উপর ভিত্তি করে লেখা বা ছবি তৈরি করে দেয়। মেটা এআই ইউজারদের প্রশ্নের উত্তর দেবে, জোকস শোনাবে, ছবি বানিয়ে দেবে, আর সবটাই করবে হোয়াটসঅ্যাপ’র মাধ্যমে। ইউজাররা ডেডিকেটেড চ্যাটবট তো বটেই ব্যক্তিগত বা গ্রুপ চ্যাটের মধ্যেও মেটা এআই-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।

শুরুতে এই ফিচার থাকবে সীমিত সংখ্যক ইউজারের জন্য। শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষা থাকবে। মেটা এখনও ফিচারটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। ধীরে ধীরে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। যেমন মেটা এআই আগে শুধুমাত্র ছবি তৈরি করতে পারত, এখন সেই ছবিকে জিআইএফে আনতে অ্যানিমেট করতে পারে।

ইউজার এখন আরও মজাদার এবং আকর্ষক চ্যাটিংয়ের জন্য মেটা এআই-এর তৈরি যে কোনও ছবিকে জিআইএফ-এ অ্যানিমেট করতে পারবেন।

হোয়াটসঅ্যাপে মেটা এআই অ্যানিমেট ফিচার ব্যবহার করা যাবে যেভাবে

প্রথমে মেটা এআই খুলতে হবে। চ্যাট ইন্টারফেসের উপরে নীল রঙের গোলাকার আইকন রয়েছে। এতে ক্লিক করতে হবে। এবার চ্যাটে ডাকতে হবে মেটা এআই-কে। ব্যক্তিগত বা গ্রুপ চ্যাটে মেসেজ ফিল্ডে মেটা এআই-কে ট্যাগ করে সেন্ড করতে হবে। প্রম্পটে এআই-কে বলতে হবে পছন্দের ছবি তৈরির কথা।

ছবি তৈরি হয়ে গেলে সেই ছবিতেই মেটা এআইকে অ্যানিমেট করার কথা বলতে হবে। এই প্রম্পট পেলেই মেটা এআই জেনারেট ছবি থেকে জিআইএফ তৈরি করে দেবে।

মনে রাখতে হবে, ইউজার সরাসরি মেটা এআই-কে জিআইএফ তৈরি করার কথা বলতে পারবে না। প্রথমে ছবি করতে বলতে হবে। তারপর সেই ছবিকে জিআইএফে বদলানোর প্রম্পট দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, মেটা এআই-কে ডেটা ডিলিটের অনুরোধও করতে পারবেন ইউজাররা। গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য এটা জরুরি।

;

হোয়াটসঅ্যাপে আসছে নতুন ফিচার, দুর্দান্ত সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা!



নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত তথা সারা বিশ্বে সবথেকে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপেই থাকা হয়! বলা যায়, যোগাযোগের অপরিহার্য মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ।

মেটা-মালিকানাধীন এই সংস্থা ব্যবহারকারীদের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা দিতে বেশ কিছু নতুন ফিচার আনার কথা ঘোষণা করেছে। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সহজেই বিভিন্ন ডকুমেন্ট আদান-প্রদান করতে পারবেন।

ডব্লিউ বেটা ইনফো’র প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যান্ড্রয়েডের জন্য নতুন ফিচার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে হোয়াটসঅ্যাপ। মেসেজিং অ্যাপটি ডকুমেন্ট প্রিভিউ অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। অর্থাৎ যখন কোনও ব্যবহারকারী কোনও ডকুমেন্ট শেয়ার করবেন, তিনি সেটা খোলার আগেই একটা ছোট্ট ছবি দেখতে পেয়ে যাবেন।

এতে চ্যাটের সঠিক নথি খুঁজে বার করা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। কারণ ব্যবহারকারীরা না খুলেই এটি এটি দেখতে পাবেন। ফটো-ভিডিও শেয়ার করার ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে। আর প্রিভিউ দেখার ফলে ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারবেন, কন্টেন্ট খোলা উচিত না কি উচিত নয়।

এখন হোয়াটসঅ্যাপ-এ কোনও ছবি বা ভিডিও ডকুমেন্ট হিসেবে যদি শেয়ার করা হয়, প্রাপক সেটা ডাউনলোড না করলে দেখতে পারেন না। আসন্ন এই ফিচার আনা হলে সমস্যার সমাধান হবে।

এর পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ আরও একটি ফিচার নিয়েও কাজ করছে। যেখানে কোন কন্ট্যাক্টের সঙ্গে চ্যাট করা যাবে, তার সাজেশনও আসবে। এই ধরনের কন্ট্যাক্টগুলি এমন কন্ট্যাক্ট হবে, যাদের সঙ্গে বহুদিন যোগাযোগ হয়নি।

প্রথমে এই ফিচার শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা পাবেন। কিছুটা দেরীতে হলেও আইওএস ব্যবহারকারীরাও এই ফিচার পাবেন। এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। যোগাযোগের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতেই এই উদ্যোগ হোয়াটসঅ্যাপের।

;

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল টেলিটকের নেটওয়ার্ক



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এমনিতেই রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের নেটওয়ার্ক কাভারেজ খুবই দুর্বল। এরপর গরমে লোডশেডিংয়ে টেলিটকের গ্রাহকেরা আরো বেশি নেটওয়ার্ক বিভ্রাটে পড়েছেন।

গরম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকাসহ সারাদেশে লোডশেডিং বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুৎ বিভ্রাট অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় টেলিটকের গ্রাহকদের নেটওয়ার্ক সমস্যায় চরম ভোগান্তিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টেলিটকের ৫ হাজার ৬শ ৬১টি বিটিএস (বেস ট্রান্সিভার স্টেশন) রয়েছে, যার মাধ্যমে তারা নেটওয়ার্ক কাভারেজ নিশ্চিত করে থাকে। টেলিটকের ৩ হাজার ৮শ ৫৬টি টাওয়ার ব্যাটারি সাপোর্ট রয়েছে। তবে টেলিটকের ৮শ ৩০টি টাওয়ারে এক মিনিটের ব্যাটারি সাপোর্ট দেওয়ার সক্ষমতা নেই।

এছাড়া টেলিটকের ৪০ শতাংশ টাওয়ার এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকলে নেটওয়ার্ক সচল রাখতে পারে না।

সাধারণত, একটি বিটিএসে ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা ব্যাটারি সাপোর্ট থাকার কথা, যাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে টাওয়ারগুলোকে সচল রাখা যায়। টেলিটক ২০১৩ সালে ৩জি রোল আউটের সময় এসব টাওয়ারে ব্যাটারি সাপোর্ট বসিয়েছিল। যে হারে লোডশেডিং হচ্ছে, তাতে করে টেলিটকের টাওয়ারের একটি বড় অংশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে এবং গ্রাহকেরা কাভারেজ পেতে দুর্ভোগে পড়ছেন।

টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান এই দূরবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে, টেলিটকের ব্যাটারি সাপোর্ট খুবই স্বল্প। একবার যদি বিদ্যুৎ চলে যায়, তাহলে গ্রাহকেরা নেটওয়ার্ক পেতে দুর্ভোগে পড়ছেন।

তিনি বলেন, ‘টাওয়ারগুলোকে সচল রাখতে আমরা ৪৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছি, যা এখন পরিকল্পনা কমিশনে মূল্যায়নের অপেক্ষা করছে’।

এছাড়াও ৫জি প্রকল্পের জন্য ২ হাজার ২শ ৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এই প্রকল্প থেকে যদি কোনো অর্থ সাশ্রয় করা যায়, তা দিয়ে ব্যাটারি সাপোর্ট নিশ্চিতে কাজে লাগানো হবে। বর্তমানে টেলিটের গ্রাহক সংখ্যা ৬৫ লাখ। বিগত বছরে টেলিটক গ্রাহক বাড়ার পরিবর্তে উল্টো ২ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক হারিয়েছে।

সম্প্রতি, দায়িত্ব নিয়েই মন্ত্রণালয়ে বসে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক টেলিটকসহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সব প্রতিষ্ঠানকে ৩০ জুনের মধ্যে লাভে আনার নির্দেশনা দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সময়ের মধ্যে লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো লাভে না এলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টেলিযোগাযোগ বিভাগের কোনো কোম্পানি লোকসানে থাকতে পারবে না।

এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির দেনার পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে দুইবার শুধু লাভের মুখ দেখেছিল। সরকারের কাছেই দেনা আছে দুই হাজার কোটি টাকা।

বিটিআরসির কাছে পাওনা আছে, একই পরিমাণ অর্থ। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কাছে দেনা ৩শ ৮৯ কোটি টাকার বেশি। এর বাইরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও ঋণ প্রদানকারীদের কাছে ঋণের পরিমাণ ৩শ ৬০ কোটি টাকা। দেনার বিপরীতে টেলিটকের কাছে পাওনা ১শ ৪১ কোটি টাকা।

 

;

এবার পিক্সেল ৯ সিরিজে পাওয়া যাবে জরুরি স্যাটেলাইট সংযোগ!



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এখন গুগল পিক্সেল ৯ সিরিজে পাওয়া যাবে জরুরি স্যাটেলাইট সংযোগ। অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষ পিক্সেল ৯ সিরিজে আসা কিছু মডেম আপগ্রেড করেছে যা জরুরি স্যাটেলাইট সংযোগসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আপগ্রেড নিয়ে বাজারে আসছে। প্রতিবেদন- অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।

বেশিরভাগ ব্যবহারকারী মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে মডেমের প্রতি গুরুত্ব দেন না। তবে এটা কিন্তু সবচেয়ে জরুরি। কারণ ইন্টারনেট সংযোগে ব্যঘাত ঘটলে তা মোটেও কাজের ক্ষেত্রে সুফলদায়ক হয় না।

এদিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সংযোগের এই সমস্যাগুলো সিরিজের অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এবার এ পরিস্থিতির উন্নতি স্বরুপ আসন্ন পিক্সেল ৯ সিরিজ আরও ভাল কিছু নিয়ে আসছে বলে আশা অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষের।

পিক্সেল ৯ সিরিজে প্রথমেই যে বিষয়টি অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিয়েছে তা হল এর মডেম। ২০২১ সালে গুগল টেনসর চিপগুলোতে স্যুইচ করার পর থেকে মডেমগুলো পিক্সেলে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেহেতু চিপগুলো স্যামসাংয়ের এসএলএসআই বিভাগের সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছিল, তাই গুগল পূর্ববর্তী পিক্সেলগুলোর বিপরীতে বিকাশকে সহজ করার জন্য এক্সিনোস মডেম বেছে নিয়েছিল। যা কোয়ালকমের সমাধানে ব্যবহার কড়া হয়েছিল।

তবে দুর্ভাগ্যবশত, নতুন মডেমগুলোতে চলমান সফ্টওয়্যারটির স্থায়িত্ব খুবই কম ছিল, বিশেষ করে শুরুর দিকে। উদাহরণস্বরূপ, পিক্সেল ৬ ব্যবহারকারী একজন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেছেন, আমি এমন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি যেখানে মডেমটি ক্র্যাশ হওয়া এবং এমনকি অন্যান্য সাবসিস্টেমগুলো যেমন এটির সেন্সরগুলো অফলাইনে নিয়ে যাওয়ার মত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। তবে শুধু আমি একাই পিক্সেল ৬ সংযোগের সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হওয়ার ক্ষেত্রে একা ছিলাম না।

এছাড়াও পিক্সেল ৭ এবং ৮ ব্যবহারকারীরা মার্চ ২০২৪ আপডেটের পর থেকে এর ধরনের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী, প্রায় ৬০ শতাংশ উত্তরদাতারা এই সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

টেনসর জি ৪, পিক্সেল ৯ সিরিজে প্রথমবারের মতো একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন স্যামসাং মডেম ৫৪০০ আনছে অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষ। যদিও এটি কোয়ালকম মডেম নয়। তবে তারা আশা করছে এটি পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনায় দ্রুত এবং আরও শক্তিশালী হবে। এছাড়া এটির সফ্টওয়্যার স্ট্যাক আপগ্রেড করা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনার দীর্ঘস্থায়ী হবে। এর ৫ জি নন-টেরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্ক (এনটিএন), বা অন্য কথায় উপগ্রহ-ভিত্তিক যোগাযোগের সুবিধা নিয়ে আসছে।

ধারণা করা হচ্ছে পিক্সেল ৯ সিরিজই প্রথম অ্যান্ড্রয়েডের নেটিভ স্যাটেলাইট বাস্তবায়নকে সমর্থন করবে।

প্রাথমিকভাবে এই বৈশিষ্ট্যটি মোবাইল (স্পেসএক্সের সহযোগিতায় নির্মিত) দ্বারা সরবরাহ করা হবে এবং ভবিষ্যতে অন্যান্য সরবরাহকারীদের সাথে যুক্ত হবে। স্যাটেলাইট লিঙ্কটি দিয়ে টেক্সট করা গেলেও কল করা যাবে না। সহজভাবে বলতে গেলে, একটি বিশেষ স্যাটেলাইট গেটওয়ে অ্যাপ্লিকেশন 'জরুরি এসওএস' নামে একটি বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে জরুরি যোগাযোগের সুবিধা দেবে।

মডেমটি পিক্সেল ৯ সিরিজ এবং পরবর্তী প্রজন্মের পিক্সেল ফোল্ড সহ সমস্ত সেলুলার-সক্ষম টেনসর জি ৪ ডিভাইসে আসছে। অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির সূত্র অনুযায়ী, গুগল একই মডেমসহ একটি ৫ জি ট্যাবলেট, কোডনেম 'ক্লিমেন্টাইন' বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে ডিভাইসটি কখন বাজারে আসবে তা এখনো জানা যায়নি।

;