‘দেশ-সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন নির্ভর করে মানুষের কর্মদক্ষতার ওপর’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নাসিমা আক্তার নিশা

নাসিমা আক্তার নিশা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে বৈশ্বিক মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন নিয়ে বার্তা ২৪ এর প্রতিবেদকের সাথে কথোপকথনে নাসিমা আক্তার নিশা, ই-ক্যাবের (ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং উইমেন এ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এর স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা

প্রশ্ন: প্রগতি উন্নয়ন নির্ভর করে কর্মদক্ষতার ওপর, যা একমাত্র মানসম্মত উচ্চশিক্ষার মাধ্যমেই সম্ভবএকটি উন্নয়নশীল দেশে উচ্চশিক্ষার বিকাশের জন্য প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছেআপনার মতে গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থা এবং আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার পার্থক্যগুলো কী কী?

একটি দেশ, জাতি কিংবা সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন নির্ভর করে এর মানুষের কর্মদক্ষতার ওপর। সঠিক, যুগোপযোগী, মানসম্মত শিক্ষা ও প্রাযোগিক জ্ঞানের মাধ্যমেই এ কর্মদক্ষতা অর্জন সম্ভব। কোন একটি দেশ বা সমাজকে সামনে এগিয়ে যেতে হলে প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থাকে বিদায় জানিয়ে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে গ্রহণ করতে হবে। কারণ, গতানুগতিক ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক এ বিশ্বে টিকে থাকতে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থীকে গ্লোবাল কম্পিট্যান্সি অর্জনে অনুপ্রাণিত করা হয়। গ্লোবাল কম্পিট্যান্সি হলো এমন জ্ঞান, দক্ষতা ও গুণাবলিকে নির্দেশ করে, যার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিষয় জানা, বোঝা বা ব্যবহারের মাধ্যমে একজন মানুষ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারে। বিশ্বায়নের এ যুগে সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজেকে এগিয়ে রাখতে শুধু আশপাশের এক-দুটি দেশ নয়, সারা বিশ্বের সব দেশ, দেশের মানুষ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই পর্যাপ্ত জ্ঞান রপ্ত করতে হবে, হতে হবে ‘গ্লোবালি কম্পিট্যান্ট’। অন্যদিকে, গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থায় অ্যাকাডেমিক বা পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের ওপর বেশি আলোকপাত করা হয়।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা একটি তীব্র রূপান্তরের দিকে অগ্রসর হচ্ছেডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়ায় প্রথাগত শিক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এসেছে; আপনার মতে কি কি পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে এই ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়াটিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিতেতরুণ উদ্যোক্তা করপোরেট জনশক্তি তৈরিতেও কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?

বিশ্বায়নের এ যুগে রূপান্তরিত শিক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের শিক্ষা ও শেখার পদ্ধতিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এ পরিবর্তন গতানুগিক শিক্ষা পদ্ধতিকে আরো উন্নত ও ত্বরাণ্বিত করেছে। আমাদের দেশে তরুণ উদ্যোক্তা ও করপোরেট জনশক্তি তৈরি করতে হলে পিপলস স্কিলস বা সফট স্কিলসের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ সেন্টারের একটি সমীক্ষা বলছে, আমরা আমাদের ক্যারিয়ারে কতটুকু সফল তার ১৫ শতাংশ নির্ভর করে আমাদের টেকনিক্যাল বা বিষয়ভিত্তিক দক্ষতার ওপর আর বাকি ৮৫ শতাংশ নির্ভর করে আমাদের পিপল স্কিলস বা সফট স্কিলসের ওপর। বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু হয় “উই” । সংস্থাটি গড়ে তুলতে, শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে এবং মহিলা উদ্যোক্তাদের তাদের নৈপুণ্যকে ব্যবসায় পরিণত করতে অনুপ্রাণিত করেছি  সফট স্কিলসের ওপর ভিত্তি করে । বর্তমানে আমরা বিভিন্ন সফ্ট স্কিলস এর উপর প্রশিক্ষণসহ উদ্যোক্তাদের প্ল্যাটফর্ম প্রদান, জ্ঞান পরিসর বৃদ্ধি ও উদ্যোক্তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছি ।

আমার মতে, শিক্ষা পদ্ধতিতে আধুনিকায়নের সাথে সাথে সফ্ট স্কিলস থাকা উচিত এতে এই সবকিছুর সমন্বয়ে আমরা আরো তরুণ উদ্যোক্তা ও করপোরেট জনশক্তি তৈরি করতে পারবো।

প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় আমাদের বর্তমান শিক্ষা পাঠ্যসূচি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিকাশের জন্য সহায়ক?

আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিকাশে শিক্ষা পাঠ্যসূচিতে যুগোপযোগী বেশ কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাঠ্যক্রমে এমন কিছু বিষয় সংযুক্ত করতে হবে যেনো শিক্ষার্থীরা নিজের ও অন্য দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারে, ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় ঘটাতে পারে এবং টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে সবার সমৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণে আগ্রহী হতে পারে। এছাড়া, নতুনের সঙ্গে নিজেদের সহজে মানিয়ে নেয়ার মানসিকতা তৈরি করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী বিশেষজ্ঞের দ্বারা পরিচালিত কর্মশালায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতারও তারা বিকাশ ঘটাতে পারবে। 

প্রশ্ন: বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত শিক্ষাব্যবস্থা কীভাবে শিক্ষার্থীদের বেড়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে?

বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা বিশ্বমানের না হলে গ্লোবাল কম্পিট্যান্সি অর্জন প্রায় অসম্ভব। তবে, এ বিষয়গুলো নিয়ে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে কাজ করছে। একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টিকে তুলে ধরা যাক, কিছুদিন আগে একজন মোনাশ এর সাবেক শিক্ষার্থী আমিদ হোসাইন চৌধুরীর একটি লেখা আমার নজরে পরে যেখানে এক অনন্য প্রতিষ্ঠানের  ব্যাপারে জানতে পারি। বিস্তারিত পড়ে জানতে পারলাম মোনাশ কলেজ, অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র অংশীদার ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি) দেশে বসেই শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষালাভের সুযোগ করে দিয়েছে। এছাড়া, ইউসিবি বৈশ্বিক পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের গ্লোবাল কম্পিট্যান্সি অর্জনে বিভিন্ন সফট স্কিলের ওপর বিনামূল্যে কর্মশালা আয়োজন করছে। এতে যোগদান করে শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারেন এবং অন্যান্য দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে সহজে ধারণা লাভ করতে পারেন, যা গ্লোবাল কম্পিট্যান্সি অর্জনে অত্যন্ত সহায়ক। গ্লোবাল কম্পিট্যান্সি অর্জনের মাধ্যমে দেশের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের ও দেশের পরিচিতি উজ্জ্বল করবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।

প্রশ্ন: বৈশ্বিক পাঠ্যক্রমে উচ্চশিক্ষা কর্মক্ষেত্রে কেমন ভূমিকা রাখে বলে আপনি মনে করেন? আপনার মতে দেশে এরূপ পাঠ্যক্রমে শিক্ষা লাভের সুযোগ শিক্ষর্থীরা কিভাবে পেতে পারে?

বৈশ্বিক পাঠ্যক্রমে উচ্চশিক্ষা কর্মক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশে বসে শিক্ষার্থীরা যাতে এ ধরনের শিক্ষা লাভ করতে পারেন, সে লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজও করছে। একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি তুলে ধরা যাক, এ দেশের সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীরা যাতে দেশে বসেই তাদের মোনাশ ডিগ্রি অর্জনের যাত্রা শুরু করতে পারেন, এ ধরনের সুযোগ তৈরিতে প্রতিষ্ঠানটি তাদের জন্য কাজ করছি। ইউসিবি বাংলাদেশে মোনাশ কলেজ অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। শিক্ষার্থীরা তাদের ও লেভেল/এস লেভেল/এ লেভেল/ এইচ এস সি প্রথম বর্ষ ও লেভেল/এস লেভেল/এ লেভেল/ এইচ এস সি  পর পরই ঢাকায় ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশে ফাউন্ডেশন ইয়ার এবং মোনাশ ইউনিভার্সিটি ১ম বর্ষের ডিগ্রি সমমানের প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে তাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের পথে যাত্রা শুরু করতে পারেন। তরুণ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এটি সত্যিই একটি চমৎকার সুযোগ। আর এভাবেই তারা দেশে বসে বৈশ্বিক পাঠ্যক্রমের উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার কিছু পরামর্শ এবং উপদেশ যা তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে?

বিশ্বায়নের এ যুগে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নেতৃত্বের গুণাবলী, যোগাযোগ দক্ষতা, দূরদর্শিতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতার মতো সফট স্কিল অর্জন করতে হবে। আজকের তরুণ শিক্ষার্থীরাই যেহেতু ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবেন, তাই তাদের গ্লোবাল কম্পিট্যান্সি অর্জন করতেই হবে; এর কোন বিকল্প নেই।  

   

৩ দিনের মোবাইল ডাটা চলবে ৭ দিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোবাইল ইন্টারনেটের তিনদিনের প্যাকেজ তুলে দেওয়া হলেও গ্রাহকের সুবিধার্থে তা সাতদিন মেয়াদে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন -বিটিআরসি। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৭, ৩০ ও আনলিমিটেড মেয়াদে প্যাকেজের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে প্যাকেজের সংখ্যা কমিয়ে সর্বোচ্চ ৪০টি করা হয়েছে। এ নির্দেশিকা আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহের ডাটা এবং ডাটা সংশ্লিষ্ট প্যাকেজ সম্পর্কিত নতুন নির্দেশিকা-২০২৩’ সংক্রান্ত সভায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

চলতি বছরের প্যাকেজ ও ডাটার মূল্য সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় গ্রাহক জরিপের ফলাফল তুলে ধরে বিটিআরসির মহা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাছিম পারভেজ জানান, মোবাইল ফোন অপেরাটরের একাধিক প্যাকেজে গ্রাহকরা বিভ্রান্ত হয়ে যায়। ফলে আমরা কয়েকটি জরিপ করি। জরিপে অংশ নেয়া এক হাজার ৬০০ ডাটা ব্যবহারকারীর ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ বিদ্যমান পাঁচটি মেয়াদ বহাল রাখার পক্ষে মত দেয়। অপর দিকে ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ গ্রাহক ৭, ৩০ ও আনলিমিটেড মেয়াদের প্যাকেজের পক্ষে মত দেয়। সেই অনুযায়ী ৩ ও ১৫ দিনের মেয়াদ বাতিল করা হয়।

তবে বিটিআরসির নতুন এই নির্দেশিকায় ৩ দিনের ডাটা প্যাকেজ রাখা যায় কিনা তা পুনঃবিবেচনার অনুরোধ জানান মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটবের (অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ) মহাপরিচালক লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার।

তিনি বলেন, ৩ দিনের ডাটা প্যাকেজ মোবাইল অপরেটরদের জন্য একটি লাভজনক প্যাকেজ। দেশে গ্রাহকদের গড়ে ৬৯ দশমিক ২৩ শতাংশ ৩ দিনের মেয়াদ ব্যবহার করেন। ৩ দশমিক ৮২ শতাংশের পছন্দ ১৫ দিনের মেয়াদ। সব দিক বিবেচনার প্যাকেজ গুলোর পুনঃমুল্যায়ন করা যায় কিনা তা ভেবে দেখার অনুরোধ জানাই।

এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, ক্ষুদ্র মেয়াদ প্যাকেজ, বোনাস প্যাকেজ এসব নানাবিধ প্যাকেজ দেওয়ার ফলে কিন্তু সাধারণ মানুষ নানা ভাবে বিভ্রান্ত হচ্ছে। এই বিভ্রান্তি টা অনেক বেশি ছিল, সেগুলো কমাতে কমাতে আমরা সর্ব শেষ যে যায়গাটাতে এসেছি আমরা ৪০ টা প্যাকেজ নির্ধারণ করেছি।মোবাইল অপরেটরদের প্রতি অনুরোধ এই ৪০ টা প্যাকেজের মধ্য থেকে ফাঁড়ি রাস্তা খুজে বের করে এটাকে ৪০০ বানায় ফেলবেন না।

তিনি বলেন, আমরা তিন দিনের যে মেয়াদ আছে সেটাকে ৭ দিনের করেছি। কারন ৩ দিনের মেয়াদের প্যাকেজটা গ্রাহক যদি ৭ দিনে ব্যবহার করতে পারে। তাহলে গ্রাহক তো উপকৃত হবে। গ্রাহক ৩ দিনে যে ডাটা শেষ করতে পারত না সেটা ৭ দিনে ব্যবহার করতে পারবে। তবে মোবাইল অপেরাটররা যদি ভাবে যে তিন দিনের মেয়াদ টা গ্রাহকদের টাকা গিলে ফেলার জন্য তৈরি করেছি। তাহলে এটা তো কোন অবস্থাতেই সঠিক বা গ্রহন যোগ্য না।

;

দাম কমল আইফোন ১৪ সিরিজের



টেক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
১০০ ডলার দাম কমেছে আইফোন ১৪ সিরিজের

১০০ ডলার দাম কমেছে আইফোন ১৪ সিরিজের

  • Font increase
  • Font Decrease

আইফোন ১৫ লঞ্চ হতেই দাম কমেছে আইফোন ১৪ সিরিজের। 

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন মডেলের আইফোন অর্ডার নেওয়া শুরু হচ্ছে।

এর মধ্যেই সিরিজটির দাম কমিয়েছে অ্যাপল কোম্পানি। ১০০ ডলার কমিয়ে আইফোন ১৪ সিরিজের দাম ৬৯৯ ও ৭৯৯ ডলার করা হয়েছে; যা বাংলাদেশি টাকায় যথাক্রমে ৭৭ হাজার ৩৭৬ ও ৮৮ হাজার ৪৪৬ টাকা। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে আইফোন ১৪ ও আইফোন ১৪ প্লাস লঞ্চ করেছিল অ্যাপল। ফোন দুটির দাম ছিল যথাক্রমে ৭৯৯ ও ৮৯৯ ডলার।

এর আগে কখনও আইফোনের দাম এতটা কমানো হয়নি বলে মনে করেন বাজার বিশ্লেষকেরা।

গত ১২ সেপ্টেম্বর বহুল প্রতীক্ষিত আইফোন ১৫ সিরিজ উন্মোচন করেছে অ্যাপল। এদিন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অ্যাপল পার্কে আইফোন ১৫ সিরিজের পাশাপাশি, অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৯, অ্যাপল ওয়াচ আল্ট্রা ২ উন্মোচন করা হয়। 

অ্যাপল কর্তৃপক্ষ জানান, আইফোন ১৫ প্রো এবং আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্সে রয়েছে অ্যাপলের এ১৭ বায়োনিক চিপসেট। এ ছাড়া এই দুই মডেলের ফ্রেমে স্টেইনলেস স্টিলের বদলে থাকছে টাইটানিয়াম চেসিস। এই ফোন দুটিতে আইফোনের সিগনেচার আইকনিক সাইলেন্ট সুইচের বদলে যুক্ত করা হয়েছে অ্যাকশন বাটন।

আইফোন ১৫ সিরিজ পাওয়া যাবে বাহারি রঙে। এরমধ্যে ব্ল্যাক টাইটেনিয়াম, হোয়াইট, ব্লু ও ন্যাচারাল টাইটেনিয়াম রঙে পাওয়া যাবে আইফোন ১৫ প্রো এবং আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স। এই দুই ফোনেই রয়েছে ইউএসবি টাইপ-সি চার্জিং পোর্ট সুবিধা।

এই সিরিজের দাম শুরু হবে ৭৯৯ ডলার থেকে। আইফোন ১৫ প্রো এর দাম ধরা হয়েছে ৯৯৯ ডলার। আর সর্বোচ্চ দাম হবে আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্সের। যা শুরু হবে ১ হাজার ১৯৯ ডলার থেকে।

২২ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ও অঞ্চলের বাজারে আসবে আইফোন ১৫ সিরিজ।

 

;

চমকে ভরপুর আইফোন ১৫



টেক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্রযুক্তি পরাশক্তি অ্যাপল আইফোন সিরিজের ১৫ ও ১৫ প্লাস উন্মোচন করেছে।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত অ্যাপল পার্কে আইফোন-১৫ সিরিজের পাশাপাশি, অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ-৯, অ্যাপল ওয়াচ আল্ট্রা-২ উন্মোচিত হয়।

প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, আইফোনের নতুন এই সিরিজে টাইটানিয়াম কেস এবং দ্রুতগতির চিপ, যা আরও ভালো গ্রাফিক্স ও মোবাইল গেমিংয়ে সহায়তা করবে। স্মার্ট ফোনের চার্জার দিয়েই আইফোন চার্জ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে নতুন এ সিরিজটিতে।

বিশ্লেষক লুক ইন জানান, স্টেইনলেস স্টিলের পরিবর্তে টাইটানিয়াম শেল ও পেরিস্কোপ ক্যামেরা সিস্টেম ব্যবহার করার কারণে আইফোন ১৫ প্রোর দাম বৃদ্ধি পাবে। পেরিস্কোপ ক্যামেরা সিস্টেমটি ৫-৬ গুণ বেশি অপটিক্যাল জুম করতে পারবে।

বিপণন প্রধান গ্রেগ জোসওয়াক বলেন, টাইটানিয়ামের প্রো ব্যবহার এটিকে অন্যান্য ধাতুর পূর্ববর্তী মডেলগুলোর তুলনায় হালকা এবং শক্তিশালী করে তোলে। আইফোনের নতুন সিরিজসমূহ ভোক্তাদের মাঝে অ্যাপলের জনপ্রিয়তা এবং উন্মাদনাকে আরও প্রবল করে তুলতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।

টেকনালাইসিস রিসার্চের প্রধান বব ও'ডোনেল বলেন, আইফোনের নতুন লাইনআপগুলো ভোক্তাদের জন্য স্থিতিশীল দামের বিস্ময়কর সুবিধা নিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, আইফোন ১৫ এর দাম শুরু ৭৯৯ মার্কিন ডলার থেকে, আইফোন ১৫ প্লাসের দাম শুরু ৮৯৯ মার্কিন ডলার থেকে এবং প্রো সিরিজের দাম শুরু ৯৯৯ মার্কিন ডলার থেকে। প্রো ম্যাক্সের দাম ১১৯৯ মার্কিন ডলার থেকে শুরু হয়।

ক্রিয়েটিভ স্ট্র্যাটেজিসের বিশ্লেষক ক্যারোলিনা মিলানেসি বলেন, ইউএসবি-সি শিফটসহ আরও কিছু ক্ষেত্রে আইফোন প্রোতে কিছু পার্থক্য আনা হয়েছে। এতে ডাটা স্থানান্তরের জন্য দ্রুত থ্রুপুট রয়েছে। যারা পেশাদার ভোক্তা তাদের জন্য ডিভাইসটি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

;

উন্মোচন হলো ‘টাইপ সি’ চার্জারযুক্ত আইফোন ১৫



টেক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আইফোন ১৫ সিরিজ উন্মোচন করল প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল। মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অ্যাপল পার্কে আইফোন ১৫ সিরিজের পাশাপাশি, অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৯, অ্যাপল ওয়াচ আল্ট্রা ২ উন্মোচন করা হয়। 

অ্যাপল জানিয়েছে, আইফোনের নতুন মডেলগুলোতে ‘টাইপ সি’ চার্জার ব্যবহার করা যাবে। ব্যবহারকারীরা দীর্ঘদিন ধরে আইফোনে ‘টাইপ সি’ চার্জার যোগ করার দাবি করে আসছিলেন। অবশেষে ব্যবহারকারীদের দাবি পূরণ করে আইফোন ১৫-তে ‘টাইপ সি’ চার্জার যুক্ত করল অ্যাপল।

জানা গেছে, গত বছর আইফোন ১৪ প্রোর মডেলে যে হার্ডওয়্যার ব্যবহার করেছিল অ্যাপল, আইফোন ১৫ ও ১৫ প্লাস ফোন দুটিতে একই হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু ক্যামেরা অ্যাপে নতুন টেলিফটো অপশন ব্যবহার করা হয়েছে। আইফোন ১৫ ও ১৫ প্লাস ফোন দুটির প্রধান ক্যামেরা ৪৮ মেগাপিক্সেলের। এই ফোন দুটি পিঙ্ক, ইয়েলো, গ্রিন, ব্লু এবং ব্ল্যাক কালারে বাজারে পাওয়া যাবে।

আইফোন ১৫ প্রো’র ১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৯৯ ডলার। আর একই ভ্যারিয়েন্টের আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স’র দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৯৯ ডলার।

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) থেকে নতুন ফোনগুলোর অর্ডার নেওয়া শুরু হবে এবং ২২ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্বের অন্তত ৪০টি দেশ ও অঞ্চলের ব্যবহারকারীরা এটি হাতে পাবেন বলে জানিয়েছে অ্যাপল। 

আইফোন ১৫ সিরিজের ডিভাইসগুলোর দাম

আইফোন ১৫ এর দাম শুরু হবে ৭৯৯ মার্কিন ডলার থেকে। আইফোন ১৫ প্লাসের দাম শুরু হচ্ছে ৮৯৯ মার্কিন ডলার থেকে। আইফোন ১৫ প্রো ১০৯৯ ডলার থেকে। আর আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স ১২৯৯ ডলার থেকে শুরু হবে।

;