থাইল্যান্ড যাচ্ছে সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশের বিজয়ী ৯ শিক্ষার্থী 



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
থাইল্যান্ড যাচ্ছে সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশের বিজয়ী ৯ শিক্ষার্থী 

থাইল্যান্ড যাচ্ছে সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশের বিজয়ী ৯ শিক্ষার্থী 

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার বনানীর হোটেল শেরাটনে এক অনুষ্ঠানে সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২২, বাংলাদেশের শীর্ষ নয় (৯) শিক্ষার্থীর নাম ঘোষণা করেছে হুয়াওয়ে। আয়োজনের পরবর্তী রাউন্ডে অংশ নিতে আগামী মাসে এই বিজয়ীরা থাইল্যান্ড যাবেন এবং এশিয়ার অন্যান্য বিজয়ীদের সাথে যোগ দিবেন। 

চলতি বছর এই প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া এক হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ জন শিক্ষার্থী দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হয়। বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে তৃতীয় রাউন্ড তথা বাংলাদেশের ফাইনাল রাউন্ডে শীর্ষ নয় (৯) শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হয়। থাইল্যান্ডে এই প্রোগ্রামের পরবর্তী রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন এবং তাদের প্রোজেক্ট আইডিয়া এবং সাবমিশনের মাধ্যমে অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতায় অংশ নিবেন। থাইল্যান্ড রাউন্ডের বিজয়ীরা ‘টেক ফর গুড অ্যাকসেলারেটর ক্যাম্প’-এ অংশ নিতে সিঙ্গাপুর যাবেন। প্রোগ্রাম শেষে চ্যাম্পিয়নরা পাবেন হুয়াওয়ে মেটবুক ল্যাপটপ।         

প্রতিযোগিতার নয়জন বিজয়ী হলেন: বুয়েটের গোলাম মাহমুদ সামদানী; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাদমিন সুলতানা; রুয়েটের মাদিহা বিনতে জাকির ও মেহরিন তাবাসসুম, আইইউটির ওয়াসিফা রহমান রেশমি ও মো. সুমিত হাসান; চুয়েটের মোহাম্মদ ইফতেখার ইবনে জালাল এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাজিব শারার শায়ক ও মোহসিনা তাজ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর ইউ লিওয়েন, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর হেড অব অফিস ও প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বোর্ড মেম্বার জেসন লি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “আমাদের স্টেমের বিষয়গুলোতে আরও বেশি জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে যথাযথ আইসিটি জ্ঞান প্রদান করতে হবে। এ ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা এই লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি। সিডস ফর দ্য ফিউচার আমার কাছে অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ক বলে মনে হয়। আমি নিশ্চিত যে, আমাদের শিক্ষার্থীরাও ঠিক এমনটাই মনে করে। এই উদ্যোগের জন্য আমি হুয়াওয়েকে সাধুবাদ জানাই এবং প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া সকল বিজয়ীকে অভিনন্দন জানাই।”

বাংলাদেশে ইউনেস্কোর হেড অব অফিস ও প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন বলেন, “হুয়াওয়ে তরুণদের শেখার ও অন্যদের শিখতে উৎসাহিত করার চমৎকার সুযোগ তৈরি করছে। আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে, এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যা শিখবে তা তাদের ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে, যা পরবর্তীতে সমাজ ও দেশের প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর ইউ লিয়েন বলেন, “ইকোসিস্টেমের বিকাশে সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে হুয়াওয়ে। যেহেতু তরুণরা এ ইকোসিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ অংশ; তাই বিশ্বজুড়ে তরুণদের ডিজিটাল দক্ষতা বিকাশের জন্য হুয়াওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

তিনি আরও বলেন, “হুয়াওয়ের সিডস ফর দ্য ফিউচার এমন একটি উদ্যোগ, যা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে সহায়তা করার পাশাপাশি তাদের এ খাত সংশ্লিষ্ট জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করবে। তরুণ মেধাবীদের বিকাশেও চীনা দূতাবাস কাজ করছে। প্রতি বছর আমরা শিক্ষার্থীদের  চীন সরকারের বৃত্তি, প্রভিন্সিয়াল বৃত্তি, বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি ও কনফুসিয়াস বৃত্তি দিয়ে থাকি। চীনা দূতাবাস ও হুয়াওয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ধরনের প্রচেষ্টা বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সাহায্য করেছে এবং ভবিষ্যতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও সাহায্য করবে বলে আমি মনে করি।"

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বোর্ড মেম্বার জেসন লি বলেন, “আইসিটি খাতের মেধাবীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে একটি উন্নত ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হুয়াওয়ে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মেধাবী তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাপী সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রামে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে হুয়াওয়ে। বাংলাদেশে অনেক মেধাবী তরুণ রয়েছেন এবং বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে হুয়াওয়ে সবসময় পাশে আছে।”

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, “বিশ্বদরবারে নিজেদের চিহ্ন রাখতে হুয়াওয়ের সিডস ফর দ্যা ফিউচার প্রোগ্রামে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের এমন স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। নিঃসন্দেহে এটি দুর্দান্ত কিছুর শুরু। তরুণদের দিকনির্দেশনায় আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাবো।”

শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি চুয়েটের ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইফতেখার ইবনে জালাল বলেন, “সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রোগ্রামে আমরা অনেকগুলো ধাপে অংশ নিয়েছি। এর মধ্যে ছিলো একটি মেন্টরশিপ স্টেজ, যেখানে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। এই প্রোগ্রামটি আমাকে এবং আমার মতো আরও অনেককে আইডিয়াকে একটি কার্যকর পরিকল্পনায় বাস্তবায়ন শিখতে সাহায্য করেছে এবং আমাদের লক্ষ্যের আরও কাছাকাছি নিয়ে গেছে।”

বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে বিভিন্নভাবে অবদান রাখছে হুয়াওয়ে। এই বৈশ্বিক আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা দেশকে ডিজিটাল রূপান্তরের সকল সুবিধা লাভে সাহায্য করছে। ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ হুয়াওয়ের এমনই একটি উদ্যোগ, যা ২০০৮ সালে থাইল্যান্ডে বৈশ্বিকভাবে চালু হয়। এখন পর্যন্ত, এই প্রোগ্রামটি বিশ্বের ১৩৭টি দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং বিশ্বের প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী ও পাঁচ শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় এই উদ্যোগের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে। স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) এবং নন-স্টেমে শীর্ষে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত এই প্রোগ্রাম, অংশগ্রহণকারীদের শেখার ও দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করে।

   

বাংলালিংককে একীভূত লাইসেন্স হস্তান্তর বিটিআরসির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেড এর অনুকূলে একীভূত লাইসেন্স হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। 

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও বিটিআরসি কার্যালয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান প্রকৌ. মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এর কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস (Erik Aas)। 

এর আগে গত ১১ মার্চ ২০২৪ তারিখে ফাইভজিসহ পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে অপর তিন অপারেটর-গ্রামীণফোন লিমিটেড, রবি আজিয়াটা লিমিটেড এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর অনুকূলে একীভূত লাইসেন্স হস্তান্তর করা হয়।

'Regulatory and Licensing Guidelines for Cellular Mobile Services in Bangladesh' গাইডলাইনের আলোকে মোবাইল অপারেটরদের  অনুকূলে (ক) Cellular Mobile Services Operator License এবং (খ) Radio Communications Apparatus License for Cellular Mobile Services শীর্ষক লাইসেন্স হস্তান্তর করা হয়েছে, যার মেয়াদ ১৫ বছর। এর ফলে পূর্বের 2G, 3G, 4G প্রযুক্তি এবং তরঙ্গ ফি এর জন্য আলাদা লাইসেন্স ও নির্দেশিকার পরিবর্তে সব বিষয়কে এক লাইসেন্সের আওতায় আনা হয়েছে। নতুন লাইসেন্সে 5G’র ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত অ্যাকসেস তরঙ্গের প্রাপ্যতা ও ব্যাকহল ফাইবারের পাশাপাশি পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যবহারের অনুমতি, অফশোর ক্লাউড সুবিধা, রোল আউট বাধ্যবাধকতা, নেটওয়ার্ক নিরাপত্তাসহ পরিবর্তিত প্রযুক্তিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে ।

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ হতে 'Regulatory and Licensing Guidelines for Cellular Mobile Services in Bangladesh' গাইডলাইনটি অনুমোদিত হওয়ার পর বিটিআরসি হতে (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) তারিখে জারি করা হয়। 

লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌ. শেখ রিয়াজ আহমেদ, অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী, লিগ্যাল এন্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার মো: আমিনুল হক, প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান, লিগ্যাল এন্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুন্ডু, সচিব (বিটিআরসি) মো. নূরুল হাফিজ, পরিচালক (লাইসেন্সিং) সাজেদা পারভীন, পরিচালক (রেডিও কমিউনিকেশন স্ট্যাডি এন্ড রিসার্চ) ড. মো.  সোহেল রানা, বাংলালিংক এর চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমানসহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

;

ফ্রিলান্সার ওমর ফারুক সোহাগের পথচলা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ওমর ফারুক সোহাগ

ওমর ফারুক সোহাগ

  • Font increase
  • Font Decrease

অনলাইনে ফ্রিল্যান্সারের কাজ করে মাসে আয় করছেন।মধ্যবিত্ত পরিবারে তার জন্ম। বাবা আবু বকর বর্তমানে ৫ সদস্যের সংসার দেখাশোনা করেন। আর, বড় ছেলে ওমর ফারুক ঘরে বসেই আয় করছেন বৈদেশিক মুদ্রা। সেইসঙ্গে আইটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ওমর ফারুক সোহাগ ২০১৭ সালে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে মাইক্রোসফট অফিস অ্যাপ্লিকেশনে কোর্স সম্পূর্ণ করেন। তারপর ২০১৮ সালে সেই প্রতিষ্ঠানে ‘ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ফিল্যান্সিং’ শেখেন। এবং যাত্রা শুরু করেন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস ফাইভার এবং আপওয়ার্কে।

প্রথমে ১০ ডলারের একটি অর্ডারের মাধ্যমে তার আয় শুরু হলেও বর্তমানে প্রতি মাসে গড়ে ৪০০-৫০০ ইউএস ডলার আয় করছেন তিনি। প্রায় ১০-১৫টি দেশের ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করছেন। এসব কাজের বিনিময়ে ঘরে বসেই উপার্জন করছেন বৈদেশিক মুদ্রা।

জানা যায়, ওমর ফারুকের বাবা আবু বকর একজন শিক্ষক। তার মা শাহিন আক্তার গৃহিণী। তিন ভাইয়ের মধ্যে ওমর ফারুক বড়। তার ছোট দুই ভাই পড়াশোনা করে ।

বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন ওমর ফারুক সোহাগ। তিনি বলেন, দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এ সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।

স্থানীয়রা জানান, তার স্বপ্ন ছিল আইটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ঘরে বসেই অনলাইনে কাজ করছেন তিনি। তিনি সফলও হয়েছেন। ওমর ফারুক সোহাগ বলেন, তিনি ইউটিউবে ভিডিও দেখে দেখে ও স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এসব কাজ শিখেছেন। তিনি আরও বলেন, যাঁরা সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবে এসব কাজ শুরু করতে পারছেন না, তাঁরা ইউটিউব ও গুগলের সাহায্য নিয়ে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারেন। তবে অবশ্যই তাঁকে অধ্যবসায়ী ও পরিশ্রমী হতে হবে।

;

বাংলাদেশের মিডিয়াটেক প্রতিষ্ঠান ব্যাকস্পেসের ৫ বছর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৫ম বছরে পদার্পণ করল বাংলাদেশের অন্যতম মিডিয়াটেক প্রতিষ্ঠান ব্যাকস্পেস। প্রতিষ্ঠানটির সিইও সাইফুল রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে একটি ছোট টেক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৯ সালে যাত্রা শুরুর পর প্রতিষ্ঠানটি এই ৫ বছরে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় টেক ইন্ডাস্ট্রিতে একটি অগ্রগ্রামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।

শুরুর গল্প সম্পর্কে প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল রহমান বলেন, ব্যাকস্পেসের শুরু হয় প্রথম অঙ্গপ্রতিষ্ঠান “রিভিউ জোন” এর মাধ্যমে। এটি একটি প্রোডাক্ট রিভিউ প্ল্যাটফর্ম, যারা বিভিন্ন বৈশ্বিক ব্রান্ড এর পণ্য সম্পর্কে তথ্যবহুল ভিডিও উত্তর আমেরিকান (কানাডা, ইউএসএ) দর্শকের উদ্দ্যেশে প্রচার করে। বর্তমানে রিভিউ জোন নিজস্ব ব্র্যান্ডগুলোর মাধ্যমে তথ্যবহুল ভিডিও দিয়ে বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলোকে ২ কোটিরও বেশি দর্শকের কাছে উপস্থাপন করছে।

ব্যাকস্পেস শুরু থেকেই নির্ভরযোগ্য তথ্যবহুল ভিডিও এবং দর্শকের পছন্দ-অপছন্দ এই দুটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে দর্শকদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে দেয়ার চেষ্টা করে এসেছে। এতে করে প্রতিষ্ঠানটি খুব দ্রুতই উত্তর অ্যামেরিকার দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে, যেখান থেকে বৈশ্বিক পরিচিতিও বাড়ে। এর ফলে বিভিন্ন বৈশ্বিক বড় বড় টেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজের সুযোগও তৈরি হয় কোম্পানিটির জন্য। ব্যাকস্পেস এর সবচেয়ে বড় মাইলফলক তৈরি হয় যখন অ্যামাজনের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পায়।

সাইফুল জানান, ২০১৯ এর শেষের দিকে, ব্যাকস্পেস বাংলাভাষী ব্যবসা সচেতন দর্শকদের জন্য “বিজনেস ইন্সপেকশন বিডি” নামে একটি প্ল্যাটফর্ম লঞ্চ করে। যেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য, স্টার্টআপ, অর্থনীতি, ইন্ডাস্ট্রি, এবং রিটেইল ব্যবসা নিয়ে কেস-স্টাডি, এনালাইসিস এর উপর জোর দিয়ে বিভিন্ন তথ্যবহুল ভিডিও পাবলিশ করে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ৫ লাখেরও অধিক মানুষের পছন্দের ইউটিউব চ্যানেল হয়ে উঠে। ব্যাকস্পেস ইতোমধ্যেই ৩০০০ এর বেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছে।

শুরু থেকেই সাইফুল রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ থেকেই বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সেবা দিবে এমন একটি প্রতিষ্ঠান তৈরির। তার নেতৃত্বে অল্প সময়েই প্রতিষ্ঠানে যোগ দেয় বেশ কিছু দক্ষ ও প্রাণবন্ত কর্মী।

২০২০ সালে ব্যাকস্পেস বাংলাদেশ থেকে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সেবা দেয়ার দিকেও মনোনিবেশ করে। এনিমেটেড কন্টেন্ট তৈরিতে ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির দক্ষতা থাকায়, তারা “টেন স্টুডিও” নামের একটি এনিমেশন স্টুডিও শুরু করে, যারা বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এনিমেটেড কন্টেন্ট এবং বিভিন্ন প্রোমোশোনাল ম্যাটেরিয়াল তৈরি করে থাকে। ২০২৩ সালে ব্যাকস্পেস তাদের নতুন ভেঞ্চার “প্রোডাক্ট ভিডিও স্টুডিও” এর কার্যক্রম শুরু করে। রিভিউ জোন পরিচালনার অভিজ্ঞতা এবং ক্লায়েন্টদের মতামতের উপর ভিত্তি করে প্রোডাক্ট ভিডিও স্টুডিওর যাত্রা শুরু হয়। পণ্য প্রস্তুতকারকদের বিশ্বব্যাপী পণ্য প্রসারে ভিডিও তৈরি করে দেওয়ার সেবা প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি।

ব্যাকস্পেসের এই সফলতার গল্প বাংলাদেশের টেক ও আইটি সেক্টরের জন্য অনুপ্রেরনার। পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি তাদের সম্পূর্ন টিমকে নিয়ে কক্সবাজারে দিনটি উদযাপন করে গত ২৯ ফেব্রুয়ারী ও ১ মার্চ। সাইফুল বলেন, এই সাফল্যের অংশীদার ব্যাকস্পেসের সকল জনবল। ব্যাকস্পেস স্বপ্ন দেখে ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের একটি টেক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ব দরবারে নিজেদের অবস্থান আরো জোরালোভাবে জানান দিবে।

;

সফল তরুণ কনটেন্ট ক্রিয়েটর রবিউল হক মিলনের পথচলা



টেক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কনটেন্ট ক্রিয়েটর রবিউল হক

কনটেন্ট ক্রিয়েটর রবিউল হক

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষ যেভাবে অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে, তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে অনেক তরুণই ক্যরিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ এ ক্যারিয়ার একজন মানুষকে একদিকে যেমন প্রযুক্তিপ্রেমী করে তুলছে, অন্যদিকে জীবনকে করে তুলছে স্বাচ্ছন্দ্যময়।

এমনই এক তরুণ উদ্যোক্তা রবিউল হক মিলন। তিনি বাসায় থেকে কাজটি করছেন। রবিউল হক মিলন বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল বিপণনকারী। বই, সঙ্গীত, ভিডিও, অভিনয়, ইউটিউব টিউটোরিয়াল, ব্লগিংসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেছেন। তার আগ্রহ প্রযুক্তি, সঙ্গীত, ডিজিটাল বিপণন ও লেখালেখিতে।

‘রবিউল হক মিলন’ নামে নিজের একটি ফেসবুক পেইজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন এই যুবক। মূলত ফেসবুকের সুরক্ষাজনিত সমস্যা সমাধান এবং সাইবার নিরাপত্তা তৈরির কাজ করছেন তিনি। বিভিন্ন ধরনের এজেন্সির হয়ে কনটেন্ট প্রজেকশন এবং ডিস্ট্রিবিউশনের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিংও করেন। এছাড়া বিভিন্ন পণ্যের প্রমোশন করে থাকেন অনলাইনের মাধ্যমে। ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করে পণ্যের প্রমোশন করাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং, বর্তমানে তিনি নতুন কিছু ই-কমার্স ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়েছেন।

বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন রবিউল হক মিলন। তিনি বলেন, দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এ সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।

তিনি বলেন, অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ-কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার। কী ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে মানুষ, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

;