টুইটার কেনার চুক্তি বাতিল করলেন ইলন মাস্ক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চার হাজার চারশ কোটি ডলারে টুইটার কিনে নেওয়ার চুক্তি বাতিল করেছেন টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক।

শুক্রবার (০৮ জুলাই) তার এই ঘোষণার পর টুইটারের শেয়ার ৬ শতাংশ কমে যায়। তিনি বলেন, টুইটার তাদের স্প্যাম এবং ভুয়া অ্যাকাউন্টের সংখ্যা সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি টুইটার কেনার চুক্তি বাতিল করেছেন।

তবে, টুইটার বলেছে তারা চুক্তিটি কার্যকর করার জন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

ইউএস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে দায়ের করা এক চিঠিতে মাস্কের আইনজীবী বলেছেন, টুইটার ভুয়া অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে করা একাধিক অনুরোধে সাড়া দেয়নি বা তারা বিষয়টি অস্বীকার করেছে। কিন্তু এটা কোম্পানির ব্যবসায়িক কর্মক্ষমতার জন্য মৌলিক দিক।

চিঠিতে বলা হয়েছে, টুইটার কখনো মাস্কের অনুরোধ উপেক্ষা করেছে, কখনো এগুলোকে অযৌক্তিক মনে হওয়ায় প্রত্যাখ্যান করেছে। আবার কখনো মাস্ককে অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে সেগুলোকে মানতে বলেছে।

এদিকে টুইটার কোম্পানির বোর্ড চেয়ারম্যান ব্রেট টেলর এক টুইট বার্তায় বলেন, চুক্তি কার্যকরের জন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে টুইটার।

টুইটার কেনার সময় হওয়া চুক্তির শর্তানুসারে, চুক্তিটি বাতিল করলে মাস্ককে এক বিলিয়ন ডলার দিতে হবে।

চুক্তি বাতিলের কারণ হিসেবে মাস্ক টুইটারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের বিষয়টিও সামনে আনেন। তিনি বলেন, শীর্ষ কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের পাশাপাশি প্রতিভাবান এক-তৃতীয়াংশ দক্ষ কর্মী সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যার মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক উপাদান নষ্ট করা হয়েছে।

ই-বর্জ্য: অবৈধ স্মার্ট পণ্যের প্রবেশে কঠোরতা দাবি



আইসিটি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ই-বর্জ্য: অবৈধ স্মার্ট পণ্যের প্রবেশে কঠোরতা দাবি

ই-বর্জ্য: অবৈধ স্মার্ট পণ্যের প্রবেশে কঠোরতা দাবি

  • Font increase
  • Font Decrease

স্মার্ট ডিভাইস ছাড়া জীবনযাপন অচল ও অস্থির। দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনে ডিজিটাল গ্যাজেটের পরিধি ও জনপ্রিয়তা দুটোই বাড়ছে সমান্তরাল। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই সে পণ্য পরিণত হচ্ছে ই-বর্জ্যেয়। যা পরিবেশ ও জীবনের জন্য বয়ে আনছে ঝুঁকির অশনি বার্তা।

সারাদেশে বছরে ৩০ লাখ মেট্রিকটন ই-বর্জ্য সৃষ্টি হচ্ছে। স্মার্ট ডিভাইস থেকেই সৃষ্টি হচ্ছে ১০ লাখ টন ই-বর্জ্য। অন্যদিকে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৩০২ ইউনিট নষ্ট টেলিভিশন থেকে সৃষ্টি হচ্ছে ১.৭ লাখ টনের ই-বর্জ্য। জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প থেকে আসছে ২৫ লাখ টনের বেশি।

শঙ্কার বিষয় হচ্ছে, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ই-বর্জ্য বাড়ছে ৩০ শতাংশ হারে। গবেষণা বলছে, ২০২৫ সাল নাগাদ কোটি টনের ই-বর্জ্যের ভাগাড় হবে বাংলাদেশ। ২০৩০ সাল নাগাদ বছরে বিলিয়ন ইউনিট স্মার্ট ডিভাইস উৎপাদন হবে। কম্পিউটারভিত্তিক ধাতু রূপান্তর ব্যবসায় সম্প্রসারিত হবে। যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক হবে। সঙ্কট নিয়ন্ত্রণে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার সঙ্গে অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করা রিফার্বিশ ইলেকট্রনিক্স পণ্য আমদানি বন্ধে আইনের কঠোরতা সময়ের দাবি।

শনিবার (৩ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ আইসিটি জর্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজএফ) উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ই-বর্জ্যের কার্বণ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ: কারণ ও উত্তরণের পথ’ শিরোনামে গোলটেবিল আলোচনায় ই-বর্জ্যর ভয়াবহতার বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন বক্তারা।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আখতার হোসেন। উপস্থাপনায় তিনি বলেন, ই-বর্জ্যের কোনো গাইডলাইন নেই। অভিভাবকহীন। সমস্যা উত্তরণে প্রতিটি পণ্যের সঙ্গে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োগিক নীতিমালার বাস্তবায়ন সময়ের দাবি। আগামী ১৪ অক্টোবর ২০২৩ সাল থেকে আমরা বিআইজেএফ উদ্যোগে সবাইকে নিয়ে দেশজুড়ে আন্তর্জাতিক মানের ই-বর্জ্য সচেতনতা দিবস পালন করব। শিক্ষার্থীদের নিয়ে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় হ্যাকাথন করতে চাই।

স্বাগত বক্তব্যে ই-বর্জ্যের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরার সঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পরিবেশের ভয়াবহতা থেকে রক্ষায় বিআইজেএফ’র নেওয়া উদ্যোগ আগামীতে আর জোরলো হবে বলে জানান বিআইজেএফ সভাপতি নাজনীন নাহার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম জানালেন, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সময়ের সঙ্গে খুবই প্রাসঙ্গিক। প্রতিকারে সচেতনতা গড়ে তোলার সঙ্গে ব্যবস্থাপনায় সুনির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ থাকা জরুরি। যা বাস্তবায়নে বিআইজেএফ প্রেসার গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা করছি।

র‌্যাব মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানালেন, সরকারের নির্দিষ্ট আইন আছে। তবে সে আইন না মানলে আমার ব্যবস্থা নেই। আইন প্রয়োগ করে যেকোনো কিছু পুরোপুরি বন্ধ করা অসম্ভব। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে ই-বর্জ্যের অপব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব নয়।

অধ্যাপক লাফিফা জামাল বলেন, আজকের ইলেকট্রনিক্স পণ্যেই ভবিষ্যতের ই-বর্জ্য। ল্যাপটপ-কম্পিউটারের চেয়ে কি-বোর্ড, মাউস থেকে ই-বর্জ্য বেশি সৃষ্টি হচ্ছে। ২০২২ সালের ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিধিমালা অনুযায়ী, যারা পণ্য উৎপাদন করবেন তাদেরই ফিরিয়ে নেওয়ার বিধান থাকলেও তা প্রতিপালন হয় না। তাই গণসচেতনতার বিকল্প নেই।

ডিএনসিআরপি উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মাদ শাহরিয়ার বলেন, ব্যাটারিচালিত গাড়ি থেকে দেশে ভয়ংকর মাত্রায় সিসা ছড়াচ্ছে। তাই সবার আগে উৎপাদকদের দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। নীতি নির্ধারকদের চাপের মুখে রাখতে সংগঠন হিসেবে বিআইজেএফ সমাজের আয়না হিসেবে পরিচিত গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সিইআরএম পরিচালক রওশন মমতাজ জানালেন, বুয়েট থেকে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে গবেষণা করে ই-বর্জ্য আইন-২০০১ খসড়া করা হয়। রি-ইউজ মানেই ই-বর্জ্য নয়। তাই একে ই-রিসোর্স হিসেবে অভিহিত করা যায়। ব্যবহার অযোগ্য স্মার্ট সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। জাপান রিসাইকেল ই-বর্জ্য দিয়ে গোল্ড মেডেল তৈরি করতে চায়। হাইটেক পার্কে যদি রিসাইকেল প্ল্যান্ট করা হয় তবে তা সম্পদ হিসেবে উপযোগ সৃষ্টি করবে।

স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ই-বর্জ্যকে ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ই-রিসোর্সে রূপান্তর ব্যবসায় শুভ নয়। ইন্টারনাল ই-ওয়েস্ট ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভাবতে হবে। তখন বাইরের দেশ থেকে ই-বর্জ্য বাংলাদেশে ডাম্পিং করা হচ্ছে। সারাদেশে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার রিফার্বিশ ল্যাপটপ বাজারে প্রবেশ করছে। ফলে সরকার ৩০ থেকে ৩১ কোটি টাকার মতো রাজস্ব হারাচ্ছে।

সার্ক সিসিআই (বাংলাদেশ) নির্বাহী কমিটির সদস্য শাফকাত হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি’র স্পেকট্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক প্রকৌশলী মো. মাহফুজুল আলম, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, র‌্যাব (আইন ও মিডিয়া শাখা) পরিচালক খন্দকার আল মঈন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের উপসচিব সাঈদ আলী, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) উপ-পরিচালক (ঢাকা বিভাগ) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সিইআরএম পরিচালক রওশন মমতাজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল।

সাবেক সভাপতি শহীদ উল মুনির, গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেড চেয়ারম্যান আব্দুল ফাত্তাহ, স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, জেআর রিসাইক্লিং সলিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ হোসেন জুয়েল, ডেল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আতিকুর রহমান, এইচপি বাংলাদেশ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার (ভোক্তা পিএস) কৌশিক জানা, আসুস বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রোডাক্ট ম্যানেজার আসাদুর রহমান সাকি, লেনোভো ভারতের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক ব্যবসা) সুমন রায়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজমুস সালেহীন, ইউসিসি’র হেড অব সেলস শাহীন মেল্লা, স্মার্ট টেকনোলজিসের সেলস ডিরেক্টর মুহাহিদ আল বেরুনী সুজন।

সভায় ই-বর্জ্য ঝুঁকি থেকে বাংলাদেশকে স্মার্ট হিসেবে বিশ্বের সামনে উপস্থাপনে সরকারি-বেসরকারি-ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমির যৌথ অংশীদারিত্বে কাল-বিলম্ব না করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা। বক্তাদের পরামর্শ সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আনতে বিআইজেএফ আগামীতে স্মার্ট সংবাদিকতায় ভূমিকা পালন করবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান।

;

স্মার্টফোনের নতুন অভিজ্ঞতায় ফানটাচ ওএস১৩



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টিকে প্রাধান্য দেবেন? ক্যামেরা, র্যাম-রম, নাকি আউটলুক?  অনেকেই আছেন যারা প্রথমেই যাচাই করেন স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেমটি কেমন। কারণ স্মার্টফোনের কার্যক্ষমতা কিংবা সুরক্ষা ও নিরাপত্তা অনেকাংশে নির্ভর করে অপারেটিং সিস্টেমের ওপর।

বর্তমানে সেরা অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড ১২ এর জুড়ি মেলা ভার। গ্রাহকের কাস্টমাইজেশনের সুবিধা সমৃদ্ধ অ্যান্ড্রয়েড ১২ তে রয়েছে নতুন কালার এক্সট্রাকশন ফিচার। যা ওয়ালপেপারের প্রাইমারি কালার বুঝে নিয়ে, সেই অনুযায়ী  সিস্টেম কালার ঠিক করে নেবে। এমনকি উইজেটের সাইজ, কালার, ডিজাইনে এসেছে নতুনত্ব। সাথে রয়েছে একাধিক প্রাইভেসি ফিচার। এই অপারেটিং সিস্টেমসমৃদ্ধ স্মার্টফোন অন্যান্য স্মার্টফোনের তুলনায় অনেক ফাস্ট।

গ্রাহকের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করছে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। ভিভোর ভি২৭ই এবং ভি২৭ স্মার্টফোনে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১২ সমৃদ্ধ ফানটাচ ওএস ১৩। যা ব্যবহারকারীদের দিচ্ছে দারুণ অভিজ্ঞতা।

প্রোফেশনাল ফটোগ্রাফির জন্য এই স্মার্টফোনে রয়েছে এক্সক্লুসিভ পোর্ট্রটে এলগরিদম ‘অরা লাইট’ সমৃদ্ধ ক্যামেরা সেন্সর। রয়েছে ওআইএস (অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন) এবং ইআইএস (ইলেক্ট্রনিক ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন) সিস্টেম। যা যেকোনো ছবি কিংবা ভিডিওকে প্রাণবন্ত ভাবে উপস্থাপন করবে।

ভালো মানের প্রসেসর, বিশাল স্টোরেজ এবং ব্যাটারির সুবিধা, হ্যাং কিংবা ল্যাগহীন ভিভোর এই স্মার্টফোন দুইটি পাওয়া যাবে ভিভোর যেকোনো অথোরাইজড শো-রুম এবং ই-স্টোরে। ভি২৭ই পাওয়া যাচ্ছে ল্যাভেন্ডার পার্পেল ও গ্লোরি ব্ল্যাক রঙে। দাম পড়বে ৩২,৯৯৯ টাকা। পাশাপাশি নোবেল ব্ল্যাক ও ম্যাজিক ব্লু এই দুই রঙের ভি২৭ এর দাম পড়বে ৫৪,৯৯৯ টাকা।  

;

তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষতায় নিশ্চিত হবে শান্তি-সমৃদ্ধি: আজিজ আহমদ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষতায় নিশ্চিত হবে শান্তি ও সমৃদ্ধি, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত সেমিনারে বললেন আজিজ আহমদ

তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষতায় নিশ্চিত হবে শান্তি ও সমৃদ্ধি, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত সেমিনারে বললেন আজিজ আহমদ

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও উদ্যোক্তা আজিজ আহমদ বলেছেন, প্রযুক্তিদক্ষতায় বলিয়ান একটি যুবসমাজ বিশ্বকে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেবে। এ জন্য তিনি ডিজিটাল প্রযুক্তির জগতে যা কিছু ভালো তাকে আলিঙ্গন করা, আর যা কিছু মন্দ তা পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে সমাজে যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে তা দূর করতে বৈষম্য কমিয়ে আনার ওপরও জোর দেন এই বাংলাদেশি আমেরিকান প্রযুক্তিবিদ ও উদ্যোক্তা।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদফতরে ইউনিভার্সিটি ফর পিস আয়োজিত এক সেমিনারে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন আজিজ আহমদ। মানবাধিকার চর্চায় ড্যাটা সংগ্রহ ও বণ্টন প্রক্রিয়ার কার্যকারিতার ওপর এই বিশেষ সেমিনারটি আয়োজন করা হয় বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিকতা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে।

এতে আজিজ আহমদ ছাড়াও প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন জাতিসংঘের গ্লোবাল কমিউনিকেশন্স বিভাগের চিফ অব এডুকেশন আউটরিচ জয়শ্রি ওয়াত, মাইক্রোসফটের ডেমোক্রেসি ফরোয়ার্ড বিভাগের পরিচালক এমি লারসেন, নিউইয়র্ক টাইমসের প্রধান ড্যাটা সায়েন্টিস্ট ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়র ড্যাটা সায়েন্স ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. ক্রিস উইগিনস এবং নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির এআই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষণা বিজ্ঞানী ড. মোনা সোলানি।

জাতিসংঘের স্বনামধন্য কূটনীতিক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ রামু দামোদারানের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিভার্সিটি ফর পিস এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হুয়ান কার্লোস সানজ বোরগো।

প্রযুক্তির অগ্রসরতার সাথে সাথে বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারের প্রসার ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র লঙ্ঘনের মতো ঘটনাগুলো বেশি ঘটছে বলে বক্তারা আলোচনায় তুলে ধরেন ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

আজিজ আহমদ বলেন, প্রযুক্তির উদ্ভাবন প্রতিনিয়ত বাড়তেই থাকবে তবে আমাদের এর গ্রহণ ও ব্যবহারে একটি ভারসাম্য আনতে হবে। আর সেটা নিশ্চিত করতে হবে বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার দিকটি বিবেচনায় রেখে। আমাদের এমন নীতি গ্রহণ করতে হবে যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি জগতের মন্দ চরিত্র ও উপকরণগুলো বৃদ্ধির সুযোগ না পায়।

তিনি বলেন, বিশ্বের দেশে দেশে বেকারত্ব ও যোগ্যতার চেয়ে নিম্ন আয়ের কাজে যোগ দিতে বাধ্য হওয়া যুবসমাজকে উন্নত ও মানসম্মত কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে এই তথ্য প্রযুক্তি। যুব সমাজের কাছে এই সুযোগ পৌঁছে দিতে তিনি কোডার্সট্রাস্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন, আন্তর্জাতিক এই সেমিনারে জানান আজিজ আহমদ।

কোডার্সট্রাস্টের অবদানের কথা উল্লেখ করে আজিজ আহমদকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান সেনিনারের আয়োজকরা।

আলোচনায় নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আজিজ আহমদ বলেন, একসময় যুক্তরাষ্ট্রের এটিএন্ডটি'র লিড আর্কিটেক্ট হিসেবে তিনি যে টোয়েন্টিফার্স্ট সেঞ্চুরি নেটওয়ার্ক তৈরীতে কাজ করেছেন, তখনকার অনেক প্রযুক্তির আজ কোনো ব্যবহার নেই। বিশ্বের ৬৫ শতাংশ শিশু যারা আজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছে তারা কর্মজগতে ঢুকে যে কাজ করবে কিংবা যে দক্ষতা অর্জন করবে সেই দক্ষতা বা কাজের অস্তিত্বই বর্তমান সময়ে নেই। আর এই সময়ের ৪৫ শতাংশ কর্মীকে আরও দক্ষ ও পুনরায় দক্ষ করে না তুললে তারাও কর্মজগত থেকে ঝরে পড়বে, সেমিনারে ক্রমবর্ধমান দক্ষতা বৃদ্ধির উপর গবেষণালদ্ধ তথ্য উপাত্য তুলে ধরেন আজিজ আহমদ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্বযংক্রিয়তার জয়জয়কার চলছে বর্তমানে, কিন্তু অপর দিকে কয়েক বিলিয়ন মানুষের তথ্য প্রযুক্তিতে এখনো প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা যায় নি। তারা কোনো ড্যাটা তৈরি করছে না কিংবা অবদান রাখছে না, এতে সমাজে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তির যা কিছু ভালো তাকে আলিঙ্গন করা আর যা কিছু মন্দ তাকে পরিহার করতে হবে, বলেন এই তথ্যপ্রযুক্তি প্রবক্তা।

তিনি বলেন, বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণা কিংবা প্রোপ্যাগান্ডা আমরা থামাতে পারবো না, যখন এর উদগাতাদের নিজেদের হাতেই রয়ে গেছে এইসব তৈরির ডিভাইস। কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতার দিকটি ধর্তব্যে রেখেই আমাদের এক ধরনের বিধি-বিধান তৈরি করতে হবে যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্যায় ব্যবহারগুলো প্রতিহত করা যায়, মত আজিজ আহমদের।

একটি কর্মকাঠামো তৈরির ওপর জোর দেন তিনি যাতে আমাদের উদ্ভাবন ও নৈতিকতার একটি ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহার থাকে এবং তার মাধ্যমে ধনি-দরিদ্র, নারী-পুরুষ ও লিঙ্গবৈষম্য কমে, আমাদের সচেতন ও অবচেতন মনেও আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে পারি, আর সেটাই সমাজের জন্য সবচেয়ে জরুরি, বলেন তিনি।

;

ব্যবসায়িক কৌশল উন্নয়নে নিজস্ব মেটা-ইআরপি ব্যবহার করবে হুয়াওয়ে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ব্যবসায়িক কৌশল উন্নয়নে নিজস্ব মেটা-ইআরপি ব্যবহার করবে হুয়াওয়ে

ব্যবসায়িক কৌশল উন্নয়নে নিজস্ব মেটা-ইআরপি ব্যবহার করবে হুয়াওয়ে

  • Font increase
  • Font Decrease

হুয়াওয়ে এখন থেকে এর পুরানো ইআরপি সিস্টেমের বদলে মেটা-ইআরপি সিস্টেম ব্যবহার করছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। সম্প্রতি, মেটা-ইআরপি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে এই প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে এমন ব্যক্তি ও টিমগুলোকে স্বীকৃতি  প্রদান করে হুয়াওয়ে। গত ২০ এপ্রিল চীনের ডংগুয়ানে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির শি লিউ বেই পো ভিলেজ ক্যাম্পাসে ‘হিরোজ ফাইটিং টু ক্রস দ্য ডাডু রিভার’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এন্টারপ্রাইজ ম্যানেজমেন্ট আইটি সিস্টেমগুলোর মধ্যে ইআরপি (এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং) সবচেয়ে জটিল। ১৯৯৬ সালে এমআরপি ২ (ম্যানুফ্যাকচারিং রিসোর্স প্ল্যানিং) সিস্টেম নিয়ে আসে হুয়াওয়ে, পরবর্তীতে ইআরপি সিস্টেম হিসেবে বিভিন্ন আপগ্রেডের মধ্যে দিয়ে এর পরিধি বাড়ানো হয়। পুরোনো এই ইআরপি সিস্টেমটি হুয়াওয়ের গত ২০ বছরের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও দ্রুত উন্নয়নের পেছনে কোর সিস্টেম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

হুয়াওয়ের সুদক্ষ ব্যবসায়িক কার্যক্রমে সহায়তা করেছে এই সিস্টেম; যে কারণে বিশ্বজুড়ে ১৭০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চল থেকে প্রতিবছর শত শত কোটি ডলারের কাজ করতে সক্ষম হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

হুয়াওয়ে ২০১৯ সালে ক্রমাগত বাহ্যিক চাপ ও ব্যবসায়িক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে থাকে। এ সময়, পুরোনো ইআরপি সিস্টেমটির বদলে পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন মেটা-ইআরপি সিস্টেম উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির এখন পর্যন্ত নেয়া সবগুলো প্রকল্পের মধ্যে এটিই সবচেয়ে জটিল ও ব্যয়বহুল। গত তিন বছর ধরে হুয়াওয়ে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে ইন্ডাস্ট্রি ও ইকোসিস্টেম সহযোগীদের সাথে কাজ করার পাশাপাশি, এই প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পদ ও কয়েক হাজার মানুষকে নিয়োজিত করে। পুরোনো ইআরপি সিস্টেমের বদলে এই নতুন, ভবিষ্যৎমুখী, বৃহৎ পরিসরের উপযোগী ও ক্লাউড-বান্ধব মেটা-ইআরপি ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে।

বর্তমানে, হুয়াওয়ের বিজনেস সিনারিওর শতভাগ ও বিজনেস ভলিউমের ৮০ ভাগ পরিচালনা করা হচ্ছে মেটা-ইআরপি’র মাধ্যমে। এই সিস্টেম মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বাৎসরিক সেটেলমেন্ট টেস্টেও একদম যথাসময়ে নির্ভুল ও কোনোরকম অ্যাকাউন্টিং অ্যাডজাস্টমেন্ট করা ছাড়াই পুরোপুরি উতরে গেছে।

হুয়াওয়ে’র রোটেটিং চেয়ারওমেন ও সিএফও সাবরিনা মেং বলেন, “প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়া নির্ভর করে কারিগরি দক্ষতা ও কয়েক বছরের অভিজ্ঞতার ওপর। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমাদের ভাবনা অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। আমাদের অংশীদারদের সহযোগিতা ছাড়া মেটা-ইআরপি তৈরি করা সম্ভব হত না। উদ্ভাবনের মানসিকতার মাধ্যমে উদ্ভাবন সম্ভব; আর একসাথে কাজ করার মধ্য দিয়েই আসবে সমৃদ্ধি।”

মেটা-ইআরপির ওপর হুয়াওয়ে’র পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, যা ইউলারওএস ও গাউসডিবি’র মতো অন্যান্য হুয়াওয়ে সিস্টেমের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। একইসাথে, সেবার দক্ষতা ও পরিচালনার মান বাড়াতে মেটা-ইআরপির মাধ্যমে  ক্লাউড-নেটিভ আর্কিটেকচার, মেটাডেটা-ড্রিভেন মাল্টি-ট্যালেন্ট আর্কিটেকচার ও রিয়েল-টাইম ইন্টেলিজেন্সের মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে সহযোগীদের সাথে কাজ করছে হুয়াওয়ে। সবচেয়ে সহজ উপায়ে মানসম্পন্ন কাঠামো নির্মাণ ও সবচেয়ে কম খরচে সেরা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করাই হুয়াওয়ের মূল উদ্দেশ্য। ইআরপি ও পিএলএম সহ বিস্তৃত পরিসরে বাধাহীন, দক্ষ ও নিরাপদ কোর এন্টারপ্রাইজ বিজনেস সিস্টেম তৈরি করতে সহযোগীদের সাথে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে।

;