গ্রাহক ধরে রাখতে সেবার মান বাড়ানোর বিকল্প নেই



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
'নেটওয়ার্ক উন্নয়নে অবকাঠামো ভাগাভাগির চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক

'নেটওয়ার্ক উন্নয়নে অবকাঠামো ভাগাভাগির চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে মোবাইল অপারেটররা তাদের নিজস্ব টাওয়ার শেয়ারিং এ অনাগ্রহী হওয়ায় এক যুগের বেশি সময় আগে অবকাঠামো ভাগাভাগি নীতিমালা করা হলেও এর উল্লেখযোগ্য কোন সুফল পাওয়া যায়নি।

এ নীতিমালা প্রতিপালনে বাধ্যবাধকতা থাকলে নেটওয়ার্ক সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা যেত। এছাড়াও বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব।

নীতিমালাটি কঠোরভাবে প্রতিপালন করা হলে সেবার মানও তুলনামূলক বৃদ্ধি পেত বলে জানান আলোচকরা।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত 'নেটওয়ার্ক উন্নয়নে অবকাঠামো ভাগাভাগির চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা  একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, গত ২৫ বছরে মোবাইল অপারেটর টাওয়ার শেয়ারিং মাত্র ১৭% পৌঁছেছে।

টাওয়ার লাইসেন্সিং চালু পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালের মে মাসে এ বিটিআরসি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি (মোবাইল অপারেটর-টাওয়ার কোম্পানি- মোবাইল অপারেটর) সম্পাদনের নির্দেশ দিলেও কিছু মোবাইল অপারেটর অন্য মোবাইল অপারেটর নিজস্ব টাওয়ারের শেয়ারিং করতে চাইলেও গত প্রায় ৪ বছরে কোন শেয়ারিং হয়নি।

টাওয়ার নির্মাণ বাড়ছে যা টাওয়ার শেয়ারিং এর পরিপন্থী। এর কারণে টাওয়ার কোম্পানী গুলোর প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন হচ্ছে। 

আলোচকরা বলেন, এই অবস্থার মূল্য কারণ প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে মোবাইল অপারেটররা তাদের নিজস্ব টাওয়ার শেয়ারিং এ অনাগ্রহী। মোবাইল অপারেটরদের প্রায় ২০ হাজার টাওয়ার এখনও শেয়ারিং এর বাইরে রয়েছে।

আলোচকরা বলছেন, নেটওয়ার্ক তৈরির প্রতিযোগিতায় অপরিকল্পিতভাবে বিটিএস স্থাপন করেছে সেলফোন অপারেটররা। গত দুই দশকে সারা দেশে অপারেটর নিজস্ব টাওয়ারে বিটিএস বসিয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার।

বর্তমানে অপারেটরগুলোর মধ্যে রবি ৩০%, গ্রামীণফোন ১৮%, বাংলালিংক ১৭% শেয়ার করছে। অপারেটরেদের হাতে থাকা ২৪ হাজার ৪২৫ টাওয়ারেরর মাত্র ১৭ % টাওয়ার শেয়ার হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। 

টাওয়ার শেয়ারিং না করা সরকারের নীতির সম্পূর্ণ বিরোধী বলে মন্তব্য করে আলোচকরা বলেন, টাওয়ার ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজন হচ্ছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদ্যুৎ, যা চাপ তৈরি করছে জ্বালানির ওপর। অপরিকল্পিত এসব বিটিএস পরিবেশের ওপর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। অপচয় হচ্ছে জমিরও। এগুলো পরিচালনায় ব্যয় বাড়ছে অপারেটরদের।

 

অপারেটরদের ভাগাভাগির মাধ্যমে এ সংখ্যা কমিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে জানিয়ে আলোচকরা বলেন, মোবাইল অপারেটররা তাদের নিজস্ব মালিকানাধীন টাওয়ার ধরে রেখেছে যার ফলে নতুন টাওয়ার তৈরি হচ্ছে কিন্তু শেয়ারিং বাড়ছে না । টাওয়ার নির্মাণ বাড়ছে যা টাওয়ার শেয়ারিং এর পরিপন্থী।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, অপ্রয়োজনে একই জায়গায় একাধিক অবকাঠামো গড়ে তোলা সমীচিন নয়। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে যে অবকাঠামো আমরা গড়ে তুলছি তা যেন একে অপেরর সাথে ভাগাভাগি করতে পারি। অ্যাকটিভ শেয়ারিংটা জরুরি।

মন্ত্রী বলেন, বিটিআরসি উন্নয়নের কাজ বেশি করে। যে সংকটগুলো বলা হয়েছে তা অবশ্যই সমাধানের উদে্যগ নেওয়া হবে। এমএনওগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে তাদের হাতে যে টাওয়ারগুলো আছে তা দয়া করে টাওয়ার কোম্পানিগুলোকে দিয়ে দিন। কোম্পানিগুলো সেগুলো শেয়ার করুক, শেয়ার করার ক্ষেত্রে চারটি অপারেটরই যাতে নিতে পারে সে সুযোগ তৈরি করতে হবে। এরফলে এমএনওগুলোর বিনিয়োগ কম করতে হবে, যে অর্থটা তারা এভানে বিনিয়োগ করতো তা গুনগত মান উন্নয়নে ব্যয় করতে পারবে। আমাদের যে গাইডলাইন রয়েছে তা যেন মেনে চলা হয়। অ্যাকটিভ শেয়ারিং জরুরি বিষয়, এ নীতিমালা আপডেট করা হচ্ছে যা সময় নিয়ে করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, কোন অবস্থাতেই গ্রাহক ধরে রাখতে পারবেন না যদি সেবার মান ধরে না রাখতে পারেন। সেবার বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। ব্যবসা করেন বা গ্রাহক বাড়ান তাতে কোনো আপত্তি নেই। মানসম্মত সেবা দিতে না পারলে টিকে থাকা যাবে না।

বিটিআরি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, আমাদের কোয়ালিটি অব সার্ভিস নিশ্চিত করতে হবে। অবকাঠামো ভাগাভাগিতে গ্যাপ কোথায় তা দেখতে হবে। আমােদর দেশে যারা টেলিকম সেবাদাতা তারা কেউ কেউ মাকের্ট সাইজটা বৃদ্ধি করতে মনেযাগী সেবার মান বৃদ্ধি করতে মনযোগী কম। শেয়ারিং এর ক্ষেত্রে অপারেটরদের অহীনা আছে, কিছুটা সমন্বয়হীনতাও আছে। বিটিআরসি এ বিষয়ে কাজ করছে । সরকার যে সাশ্রয়ের কথা বলছে জ্বালানি ও বিদু্‌্যত , এ সাশ্রয় করতে গেলে শেয়ারিংটা মাস্ট। অনেক কিছুই আছে নতুন কোন নীতিমালা দরকার নেই, কিছু কিছু জায়গায় ভুলবুঝাবুঝি আছে তা সমাধান করতে হবে যা রিভিউ করা দরকার।

এছাড়া অনুষ্ঠানে রিকি স্টেইন, কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইডটকো বাংলাদেশ

হোসেন সাদাত, হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স, গ্রামীণফোন, তাইমুর রহমান, চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার, বাংলালিংক, সাহাব উদ্দিন আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, টেলিটক ,রফিকুল মতিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিটিসিএল, এমদাদুল হক, সভাপতি, আইএসপিএবি, মইনুল হক সিদ্দিকী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান, ফাইবার অ্যাট হোম

অনামিকা ভক্ত, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, স্পেকট্রাম অ্যান্ড টেকনিক্যাল রেগুলেশন, রবি আজিয়াটা লিমিটেড বক্তব্য রাখেন।

   

ইন্টারনেটের ধীরগতি প্রকট হতে পারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি পাওয়া যাচ্ছে। মূলত দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (সিমিউই-৫) ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। ইন্টারনেটের এই ধীরগতি প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে এই সমস্যা শুরু হয়েছে। সমস্যা সমাধানে তিন দিনের বেশি সময় লাগতে পারে। যেহেতু এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে তাই বিকল্প উপায় খোঁজার তাগিদ দিয়েছেন ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

জানা গেছে, সিঙ্গাপুরে ফাইবার কেবল `ব্রেক’ করায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। তবে সিঙ্গাপুরে ফাইবার ব্রেক করায় বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কিছু দেশে ইন্টারনেটে এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।

এ বিষযে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ জানান, ইন্টারনেটের সমস্যা মেরামতে তিন দিনের বেশি সময় লাগতে পারে। এই সময়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি কমাতে তারা চেষ্টা করছেন।

বর্তমানে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। এই সরবরাহের পুরোটা বন্ধ রয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে (প্রথম সাবমেরিন কেবল) বিকল্প উপায়ে ইন্টারনেট সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা চলছে।

বর্তমানে দেশে সাড়ে ৫ হাজার ব্যান্ডউইথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ব সাবমেরিন কেবল কোম্পানি আড়াই হাজারের বেশি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে। বাকি চাহিদা মিটিয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি)।

;

মেটা AI স্মার্ট নতুন ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হোয়াটসঅ্যাপকে আরও স্মার্ট করার উদ্যোগ নিয়েছে মেটা। তাও এআই স্মার্ট। সম্প্রতি ভারত-সহ বিশ্বজুড়েই ইউজারদের জন্য জেনারেটিভ এআই, মেটা এআই-এর মতো ফিচার ধীরে ধীরে আনতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ WhatsApp।

চ্যাটজিপিটি জেনারেটিভ এইআই ইউজারদের প্রম্পটের উপর ভিত্তি করে লেখা বা ছবি তৈরি করে দেয়। মেটা এআই ইউজারদের প্রশ্নের উত্তর দেবে, জোকস শোনাবে, ছবি বানিয়ে দেবে, আর সবটাই করবে হোয়াটসঅ্যাপ’র মাধ্যমে। ইউজাররা ডেডিকেটেড চ্যাটবট তো বটেই ব্যক্তিগত বা গ্রুপ চ্যাটের মধ্যেও মেটা এআই-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।

শুরুতে এই ফিচার থাকবে সীমিত সংখ্যক ইউজারের জন্য। শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষা থাকবে। মেটা এখনও ফিচারটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। ধীরে ধীরে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। যেমন মেটা এআই আগে শুধুমাত্র ছবি তৈরি করতে পারত, এখন সেই ছবিকে জিআইএফে আনতে অ্যানিমেট করতে পারে।

ইউজার এখন আরও মজাদার এবং আকর্ষক চ্যাটিংয়ের জন্য মেটা এআই-এর তৈরি যে কোনও ছবিকে জিআইএফ-এ অ্যানিমেট করতে পারবেন।

হোয়াটসঅ্যাপে মেটা এআই অ্যানিমেট ফিচার ব্যবহার করা যাবে যেভাবে

প্রথমে মেটা এআই খুলতে হবে। চ্যাট ইন্টারফেসের উপরে নীল রঙের গোলাকার আইকন রয়েছে। এতে ক্লিক করতে হবে। এবার চ্যাটে ডাকতে হবে মেটা এআই-কে। ব্যক্তিগত বা গ্রুপ চ্যাটে মেসেজ ফিল্ডে মেটা এআই-কে ট্যাগ করে সেন্ড করতে হবে। প্রম্পটে এআই-কে বলতে হবে পছন্দের ছবি তৈরির কথা।

ছবি তৈরি হয়ে গেলে সেই ছবিতেই মেটা এআইকে অ্যানিমেট করার কথা বলতে হবে। এই প্রম্পট পেলেই মেটা এআই জেনারেট ছবি থেকে জিআইএফ তৈরি করে দেবে।

মনে রাখতে হবে, ইউজার সরাসরি মেটা এআই-কে জিআইএফ তৈরি করার কথা বলতে পারবে না। প্রথমে ছবি করতে বলতে হবে। তারপর সেই ছবিকে জিআইএফে বদলানোর প্রম্পট দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, মেটা এআই-কে ডেটা ডিলিটের অনুরোধও করতে পারবেন ইউজাররা। গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য এটা জরুরি।

;

হোয়াটসঅ্যাপে আসছে নতুন ফিচার, দুর্দান্ত সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা!



নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত তথা সারা বিশ্বে সবথেকে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপেই থাকা হয়! বলা যায়, যোগাযোগের অপরিহার্য মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ।

মেটা-মালিকানাধীন এই সংস্থা ব্যবহারকারীদের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা দিতে বেশ কিছু নতুন ফিচার আনার কথা ঘোষণা করেছে। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সহজেই বিভিন্ন ডকুমেন্ট আদান-প্রদান করতে পারবেন।

ডব্লিউ বেটা ইনফো’র প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যান্ড্রয়েডের জন্য নতুন ফিচার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে হোয়াটসঅ্যাপ। মেসেজিং অ্যাপটি ডকুমেন্ট প্রিভিউ অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। অর্থাৎ যখন কোনও ব্যবহারকারী কোনও ডকুমেন্ট শেয়ার করবেন, তিনি সেটা খোলার আগেই একটা ছোট্ট ছবি দেখতে পেয়ে যাবেন।

এতে চ্যাটের সঠিক নথি খুঁজে বার করা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। কারণ ব্যবহারকারীরা না খুলেই এটি এটি দেখতে পাবেন। ফটো-ভিডিও শেয়ার করার ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে। আর প্রিভিউ দেখার ফলে ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারবেন, কন্টেন্ট খোলা উচিত না কি উচিত নয়।

এখন হোয়াটসঅ্যাপ-এ কোনও ছবি বা ভিডিও ডকুমেন্ট হিসেবে যদি শেয়ার করা হয়, প্রাপক সেটা ডাউনলোড না করলে দেখতে পারেন না। আসন্ন এই ফিচার আনা হলে সমস্যার সমাধান হবে।

এর পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ আরও একটি ফিচার নিয়েও কাজ করছে। যেখানে কোন কন্ট্যাক্টের সঙ্গে চ্যাট করা যাবে, তার সাজেশনও আসবে। এই ধরনের কন্ট্যাক্টগুলি এমন কন্ট্যাক্ট হবে, যাদের সঙ্গে বহুদিন যোগাযোগ হয়নি।

প্রথমে এই ফিচার শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা পাবেন। কিছুটা দেরীতে হলেও আইওএস ব্যবহারকারীরাও এই ফিচার পাবেন। এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। যোগাযোগের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতেই এই উদ্যোগ হোয়াটসঅ্যাপের।

;

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল টেলিটকের নেটওয়ার্ক



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এমনিতেই রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের নেটওয়ার্ক কাভারেজ খুবই দুর্বল। এরপর গরমে লোডশেডিংয়ে টেলিটকের গ্রাহকেরা আরো বেশি নেটওয়ার্ক বিভ্রাটে পড়েছেন।

গরম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকাসহ সারাদেশে লোডশেডিং বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুৎ বিভ্রাট অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় টেলিটকের গ্রাহকদের নেটওয়ার্ক সমস্যায় চরম ভোগান্তিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টেলিটকের ৫ হাজার ৬শ ৬১টি বিটিএস (বেস ট্রান্সিভার স্টেশন) রয়েছে, যার মাধ্যমে তারা নেটওয়ার্ক কাভারেজ নিশ্চিত করে থাকে। টেলিটকের ৩ হাজার ৮শ ৫৬টি টাওয়ার ব্যাটারি সাপোর্ট রয়েছে। তবে টেলিটকের ৮শ ৩০টি টাওয়ারে এক মিনিটের ব্যাটারি সাপোর্ট দেওয়ার সক্ষমতা নেই।

এছাড়া টেলিটকের ৪০ শতাংশ টাওয়ার এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকলে নেটওয়ার্ক সচল রাখতে পারে না।

সাধারণত, একটি বিটিএসে ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা ব্যাটারি সাপোর্ট থাকার কথা, যাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে টাওয়ারগুলোকে সচল রাখা যায়। টেলিটক ২০১৩ সালে ৩জি রোল আউটের সময় এসব টাওয়ারে ব্যাটারি সাপোর্ট বসিয়েছিল। যে হারে লোডশেডিং হচ্ছে, তাতে করে টেলিটকের টাওয়ারের একটি বড় অংশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে এবং গ্রাহকেরা কাভারেজ পেতে দুর্ভোগে পড়ছেন।

টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান এই দূরবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে, টেলিটকের ব্যাটারি সাপোর্ট খুবই স্বল্প। একবার যদি বিদ্যুৎ চলে যায়, তাহলে গ্রাহকেরা নেটওয়ার্ক পেতে দুর্ভোগে পড়ছেন।

তিনি বলেন, ‘টাওয়ারগুলোকে সচল রাখতে আমরা ৪৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছি, যা এখন পরিকল্পনা কমিশনে মূল্যায়নের অপেক্ষা করছে’।

এছাড়াও ৫জি প্রকল্পের জন্য ২ হাজার ২শ ৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এই প্রকল্প থেকে যদি কোনো অর্থ সাশ্রয় করা যায়, তা দিয়ে ব্যাটারি সাপোর্ট নিশ্চিতে কাজে লাগানো হবে। বর্তমানে টেলিটের গ্রাহক সংখ্যা ৬৫ লাখ। বিগত বছরে টেলিটক গ্রাহক বাড়ার পরিবর্তে উল্টো ২ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক হারিয়েছে।

সম্প্রতি, দায়িত্ব নিয়েই মন্ত্রণালয়ে বসে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক টেলিটকসহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সব প্রতিষ্ঠানকে ৩০ জুনের মধ্যে লাভে আনার নির্দেশনা দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সময়ের মধ্যে লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো লাভে না এলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টেলিযোগাযোগ বিভাগের কোনো কোম্পানি লোকসানে থাকতে পারবে না।

এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির দেনার পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে দুইবার শুধু লাভের মুখ দেখেছিল। সরকারের কাছেই দেনা আছে দুই হাজার কোটি টাকা।

বিটিআরসির কাছে পাওনা আছে, একই পরিমাণ অর্থ। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কাছে দেনা ৩শ ৮৯ কোটি টাকার বেশি। এর বাইরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও ঋণ প্রদানকারীদের কাছে ঋণের পরিমাণ ৩শ ৬০ কোটি টাকা। দেনার বিপরীতে টেলিটকের কাছে পাওনা ১শ ৪১ কোটি টাকা।

 

;